গাছের মগডালে উঠেই "ঝাপ্পাং" - পুকুরে, দিঘির জলে কিংবা মেধহীন-স্রোতশীনী খালের জলে। মাছ ধরতে পিপড়ার ডিম খুজেছি এগ্রাম থেকে সেগ্রামে, প্রতিদিনই তৈরি হতো নতুন নতুন মাছ ধরার ছিপ। মাছের সন্ধানে ধন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি পুকুর-ডোবা-খাল-বিল। মালিকানাহীন মাছগুলো মাছধরা ছিপের হাত থেকে রক্ষা পেলেও শেষ রক্ষা হতনা। কেননা পানি কিছুটা শুকিয়ে আসলেই হাটু কাদায় নেমে কাঁচা মাটির বাঁধ দিয়ে ছাঁকন পদ্ধতিতে পাকড়াও করা হত হাজার রকম দেশি মাছ। ঘুড়ি তৈরির আঠা পেতে বহল্লার (এক ধরনের ফল) গাছ ছিল দুই গ্রাম পর। পশ্চিম পাড়ার উমেদ আলি চাচা খুব সুন্দর ঘুড়ি বানাতেন কিন্তু তার বাড়িতে অভাবের ছিল বড্ড বাড়াবাড়ি। ঘুড়ি নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছি ভরদুপুরে মাঠের পর মাঠ আর খেয়েছি দাদার হাতের কানমলা!! বাঁশঝাড়ের মাঝে ধাই দাড়িয়ে থাকা জামগাছে জাম পাড়তে গিয়ে বুঝেছি, জামগাছের সরু ডাল(শাখা) কতটা মড়কা (ভঙ্গুর) হয়। বিকেলের মাঠে অলস চরতে থাকা মহিষের পিঠে চড়ে যেন পূর্ন হয়েছিল হাতি-চড়ার আকাঙ্খা !! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সে কি যুদ্ধ, নলখাগড়ার এক একটি ফল ছিল এক একটি স্কাট্ ক্ষেপনাস্ত্র.......................... এমনই ছিল আমাদের কৈশর........... যদি আপনার ফেলে আসা দিনগুলোও অনুড়িত হয় উপরের বর্ননার সাথে...... যদি আপনার বর্তমানও ঢাকা পড়ে থাকে ঢাকার কংক্রিটের তলায়, তবে নীচের ছবিগুলি আপনাকে করে তুলবে নস্টালজিক............
"Sweet childish days, that were as long
As twenty days are now"
>William Wordsworth, "To a Butterfly"
( প্রথমেই বলে নেই, নিচের কোন ছবির কৃতিত্বই আমায় বর্তায় না, সবগুলোই সংগৃহিত, ছবি নয় মহুর্তগুলো শেয়ার করার প্রয়াস মাত্র)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫