৭১ সালে এদেশের দুর্বল অক্ষম অসহয়রা এবং সবল সক্ষম কাপুরুষরা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলো। আর সাহসী বীর সন্তানেরা মাতৃভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো।
রোহিঙ্গারা এক হতভাগা জাতি। আমাদের মত ওদের শক্তি সাহস নেই মুক্তিযুদ্ধ করার। আমাদের মত ওদের অবিসংবাদিত কোন নেতা নেই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেয়ার। যার বারুদঘর্ষণ ভাষণ শুনে যুবকের নিবু নিবু তেজ পুনপ্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে, বিক্ষোভের লেলিহানে রক্তের ধারাগুলো টগবগ টগবগ টগবগ করে ওঠে৷ আরাকানের প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক পাড়ায়, প্রত্যেক মহল্লায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে ওঠে, রাখাইনের প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে ওঠে। যার আবেদনভরা আহ্বানে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়া যায়, পশু মায়ানমারের ঘাটিতে ঘাটিতে ঝটিকা আঘাত (গেরিলা আক্রমণ) হানা যায়৷ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়া যায়, ছিনিয়ে নেয়া যায়৷ অকাতরে মরে যাওয়া যায়, মেরে ফেলা যায়৷ রক্তপিপাসু বার্মিজ হানাদারের সাঁজোয়া বহর থামাতে বুকে মাইন বেঁধে আত্মঘাতি আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়া যায়, রাখাইনের রাজাকার আর বার্মিজ জানোয়ারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ব্রিজ কালভার্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া যায়।
তোমরা রোহিঙ্গা। তোমরা মৃততেজ ভীরু কাপুরুষ। তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী। নপুংশক খাসি তোমরা, অত্যাচারীর বেদীতে বলী হওয়ার জন্যই কি তোমাদের জন্ম? আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসটা পড়ে দেখো, সুসংগঠিত হও। আমাদের ‘আপারাজেয়বাংলা’, আমাদের ‘সাবাসবাংলোদেশ’ গুলো চেয়ে চেয়ে দেখো, অস্ত্র ধরো, প্রশিক্ষিত হও। আমাদের ‘গেরিলা’, আমাদের ‘আমারবন্ধুররাশেদ’ দেখো আর শেখো, মারো আর শহীদ হও। নিজেদের সম্মিলিত শক্তির অলৌকিক সামর্থ্যকে বিশ্বাস করো। সবাই মিলে আবার প্রিয় জন্মভূমির দিকে ফিরে যাও।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫০