আরো পড়তে পারেন : এইদিনে বিচার হয়েছিলো গোলাম আযমের
স্পেশাল ট্রাইবুনালে গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে ও জামায়াতে ইসলামীর ফ্যাসিস্ট সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে সারা দেশব্যাপী যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, সেটাকে বানচাল করার জন্য প্রতিপক্ষ প্রথম থেকেই নানাভাবে চেষ্টা করে আসছে। প্রথম দিকে ছিল ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ-মিছিলে শিবির ও জাতীয় যুবকমান্ড দ্বারা হামলা, মারপিট, বোমাবাজি ইত্যাদি করানো, পুলিশ দিয়ে নির্যাতন, আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া ও গ্রেফতার করানো। এতেও যখন কাজ হলো না, যখন দেখা গেলো দেড় বছরের মধ্যে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ক্রমাগতই গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে আরো সোচ্চার এবং আরো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তখন জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী বর্তমান সরকার দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভিন্ন রাস্তা ধরলো। গোলাম আযমকে সাড়ম্বরে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দিলো! এনিয়ে এখন সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে,তখন সরকার পক্ষের লোকেরা একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকর রকম খোঁড়া যুক্তির অবতারণা করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেসব কথা বলে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে, সেগুলো একে একে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক।
বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলেন, (আজকের কাগজ, ২০-৭-৯৩) 'গোলাম আযমের বিচার আমাদের কাছে কোনো মূখ্য ইস্যু না। বিরোধীদল এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে তৈরি করে এনিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিতর্কের অবতারণা করছে।' তার সদয় অবগতির জন্য বলছি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি অবশ্যই এদেশে এখন মুখ্য ইস্যু। গোলাম আযমকেই সর্বপ্রথম গণআদালতের প্রতীকী বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিলো যে কারণে, তা হলো তিনি একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সহায়তা দানের যাবতীয় নীল নক্সা প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে তার সঙ্গে আরো অনেকে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে গোলাম আযমের ভূমিকা এক নম্বরে থাকার কারণে তাকেই সর্বপ্রথম আসামী করাটা স্বাভাবিক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারণে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিলো, তিনি দেশ থেকে পলাতক ছিলেন, তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সাড়ে সাত বছর ধরে 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি' করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী।
যুদ্ধাপরাধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি জিয়া সরকারের আমলে পাকিস্তানী পাসপোর্টে তিন মাসের বাংলাদেশী ভিসা নিয়ে এদেশে প্রবেশ করেন এবং তারপর থেকে এই এত বছর ধরে এদেশেই রয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ক্ষোভ ছিলোই। এদেশে আসার পর দুবার দু উপলক্ষ্যে তিনি প্রকাশ্যে বের হয়েছিলেন এবং দুবারই তিনি প্রতিবাদ ও অপমানের সম্মুখীন হয়েছিলেন। ফজলুল হক হলের ২৫ বছর পূর্তি উৎসবে তার উপস্থিতির প্রতিবাদ করে এক শহীদের সন্তান (ফজলুল হক হলের তৎকালীন ছাত্র সংসদের এজিএস)। তার পরে বায়তুল মুকাররমে এক জানাজার অনুষ্ঠানে গোলাম আযম শরীক হতে গেলে উপস্থিত জনতা তাকে জুতাপেটা করে তাড়ায়। ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ হওয়া ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী আবার যখন রাজনীতি করার ছাড়পত্র পেলো ১৯৭৮ সালে, তখনও এদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে গোলাম আযম ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে সামরিক শাসন ও স্বৈরাচারী শাসনের জগদ্দল পাথরের তলায় চাপা থেকে আন্দোলনকে সাফল্যে নিয়ে যেতে পারেনি। বাংলার জনমানুষের এই ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা মনের ভেতরে ধিকি ধিকি জ্বলছিলই। ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামী যখন সংবিধানের ৩৮ ধারা লংঘন করে গোলাম আযমকে দলের প্রকাশ্য আমীর ঘোষণা করলো, তখন জনগণ আর সহ্য করতে পারলো না। পুঞ্জীভূত ক্রোধ, ক্ষোভ, ঘৃণা ফেটে পড়লো গোলাম আযমের উপর। কিন্তু জনগণতো শুধু গোলাম আযমকে নিয়ে বসে নেই। পালের গোদা গোলাম আযমের পরে আব্বাস আলী খান, মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা মান্নানসহ আরো ৮জন যুদ্ধাপরাধীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের দ্বারা সংঘটিত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসমূহের তথ্য, স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ চলছে। এগুলো রিপোর্ট আকারে গ্রন্থিত করে জনসমক্ষে প্রকাশিত হবে এ বছরের (১৯৯৩) ১৬ ডিসেম্বর।
বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী যে বলেন, 'গোলাম আযমের বিচারের বিরোধিতা আমরা করছি না। আমাদের মধ্যেও গোলাম আযমের বিচার দাবির সমর্থক আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কর্মকাণ্ড সমাপ্ত না করে এ ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আমরা দিতে পারছি না।' যোগাযোগ মন্ত্রীও (আজকের কাগজ, ২৩-৭-৯৩) একই ধরণের কথা বলেছেন- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার এই পর্যায়ে, স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া জঞ্জাল জটিলতা কাটাতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষে গোলাম আযমের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের অবগতির জন্য জানাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করার সময় কিংবা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার স্বৈরাচারের জঞ্জাল সরাবার জটিলতা কাটাবার সময় তারা মোটেও পাবেন না। তার আগেই জামায়াতে ইসলামী তাদের ছেঁটে ফেলে দেবে। এই আলামত কি বর্তমান সরকার টের পাচ্ছে না? জামায়াতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় বসে বেগম খালেদা জিয়া ও তার সরকার যে জামায়াতের জিম্মি হয়ে রয়েছেন, এটুকু বোঝার মতো দূরদৃষ্টিও কি তাদের নেই?
নইলে আব্বাস আলী খান কোন সাহসে ১৯৯২ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এত পত্রিকায় (নবাবগঞ্জ বার্তা, ২৭/৫/৯২) ইন্টারভিউ দিয়ে বলেন, 'মহিলা নেতৃত্ব নাজায়েজ, তবে ইসলামে বিধান রয়েছে দুটি মন্দ জিনিসের মধ্যে কম মন্দটিকে গ্রহণ করা যায়। আমরা কৌশলগত কারণে মহিলা নেতৃত্ব মেনে নিয়েছি।' টেপরেকর্ডারে বলা এই স্পর্ধিত বক্তব্যের পরও আব্বাস আলী খানকে বেগম জিয়া কেনো গ্রেফতার করতে পারেনি? জনগণই এই ধাঁধার রহস্য খুঁজে বের করুন। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন- বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, আইন মোতাবেক গোলাম আযমকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো, কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ছাড়া পেয়ে গেছেন। এ কথা জ্বালানী মন্ত্রীও বলেছেন। (আজকের কাগজ, ২১/৭/৯২) তিনি আরো এক কাঠি বাড়িয়ে বলেছেন বর্তমান সরকার আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণমাত্রায় আস্থাশীল। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী সকলের উচিত আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। জনগণের কাছে আমার অনুরোধ তারাই ভেবে চিন্তে বের করুন কেনো গোলাম আযমের আটকাদেশ দিয়ে, দেড় বছরে পাঁচবার সেটার মেয়াদ বাড়িয়ে, আইনের দাবি মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে গোলাম আযমকে আটকাদেশের কারণ জানাননি। সরকারের তো না জানার কথা নয় যে আটকাদেশ দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আসামীকে কারণ জানাতে হবে। তাহলে? শেষবারেই দুই মাসের আটকাদেশ বাড়াবার মাত্র চারদিন পরেই কেন গোলাম আযমের আটকাদেশ অবৈধ বলে তাকে খালাস দেয়া হলো? এই ধাধার রহস্যও জনগণই বের করুন।
আসলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলনে যে সারা দেশব্যাপী ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আন্দোলন ক্রমশই জোরদার হচ্ছে, তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে- এতেই সরকার বিচলিত হয়ে নানা উল্টোপাল্টা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
জ্বালানী মন্ত্রী আরো বলেছেন, বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারের জন্য একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা, অভিযোগ ও গ্রেফতারী পরোয়ানা দরকার। বিরোধীদল সেটা করছে না। তাহলে সরকার কিসের ভিত্তিতে গোলাম আযমের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করবে? এটি একটি ছেলেভুলানো যুক্তি। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা তো কেবল সরকারেরই। বিরোধী দল কোন ক্ষমতাবলে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করবে? এ ধরণের এলেবেলে কথার ফাঁকিতে ভুলবার মতো বোকা যে আমাদের দেশের জনগণ নয়, সেটুকু উপলব্ধি করার ক্ষমতাও কি জ্বালানী মন্ত্রীর নেই? যারা ঘাতক দালালদের বিচার চায়, তাদের উচিত আদালতে মামলা দায়ের করা- জ্বালানী মন্ত্রীর এই বক্তব্যও সঠিক নয়। সাধারণ অপরাধীর বিরুদ্ধে সাধারণ আদালতে মামলা করা যায়- যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠনের প্রয়োজন হয় এবং বাদী হতে হয় সরকারকে।
দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন- আপনারা এইসব ধোঁকার যুক্তির ফাঁদে আটকা পড়বেন না। নিজেদের বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করুন।
বিএনপির একজন সাংসদ গোলাম আযমের প্রতি অসীম বিতৃষ্ণাবশত মন্তব্য করেছেন- ওই নামই আমি আমার মুখে উচ্চারণ করতে চাই না। সে আমার জীবনের কিংবা সমাজের কোথাও নেই। (আজকের কাগজ ২২/৭/৯৩)। কি অদ্ভুত যুক্তি! নাম উচ্চারণ করবেন না অথচ তাকে বাড়তে দেবেন, গোলাম আযম গংরা যে তার জীবন ও সমাজ ধ্বংস করতে উদ্যত, তাতে বাধা দেবেন না! শুনেছি মরুভূমিতে ঝড় উঠলে উটপাখী তার ছোট্ট মাথাটা বালিতে গুজে দেয় আত্মরক্ষার তাগিদে, যদিও তার গোটা দেহটাই অরক্ষিত থেকে যায় এবং একসময় সে প্রবল ঝড়ে উল্টিয়ে ছিটকে যায়। তাই বলি নির্লিপ্ত বসে থাকার দিন আমাদের সামনে আর নেই। গত ১৬/১৭ বছর অনেক নির্লিপ্ত হয়ে থেকেছি আমরা। এখন সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গোলাম আযম ও জামায়াতে ইসলামীর মতো ফ্রাংকেস্টাইন দানবদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেবে ওরা। সেটা বাংলাদেশের বীর জনগণ কখনোই হতে দেবে না। তাই তো শত বাধা-বিপত্তি, হুমকি, নির্যাতন, জেল-জুলুম, বোমা গুলিবাজি করেও বীর বাঙালীকে দমাতে পারছে না কেউ। একাত্তরে একবার জেগেছিলো সারা দেশের মানুষ। আবার জেগেছে বীর বাঙালী। জয় আমাদের হবেই।
মৃত্যুর আগে শহীদ জননীর শেষ নির্দেশ :
(শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পক্ষ থেকে)
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আবেদন এবং নির্দেশ
প্রিয় সহযোদ্ধারা,
গত তিন বছর ধরে গোলাম আযম এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আপনারা লড়ছেন। বাঙালী জাতি হিসেবে আপনাদের একতা ও সাহস তুলনাহীন। এই সংগ্রামের শুরুতে আমিও আপনাদের একজন ছিলাম। আমরা শপথ করেছিলাম বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার।
মরণব্যধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আমি আমার শেষদিনগুলো গুনছি। তবে আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছি। আমি লড়াই থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু অবশ্যম্ভাবী এই মৃত্যু ঠেকানোরও কোনো পথ নেই। তাই আমি আবারও লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্তু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আমাদের নেওয়া সেই শপথটার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আপনাদের সেই প্রতিজ্ঞা পূরণ করতেই হবে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে হবে। যদিও আমি আপনাদের মাঝে থাকবো না। কিন্তু আমি ঠিকই জানবো যে আপনারা- আমার লাখো বাঙালী সন্তানেরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্বাধীন সোনার বাংলায় বসবাস করছেন।
আমাদের সামনে এখনও দীর্ঘ এবং দুরূহ পথ। এই লড়াইয়ে সকল শ্রেনীর মানুষ যোগ দিয়েছেন। ভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থেকে এসেছেন তারা, আর তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র-যুবারা। আর আমি ভালো করেই জানি জনগনের চেয়ে চেতনায় একরোখা আর কেউ নেই। জনগণই শক্তি। তাই আমি আপনাদের কাছে, বাংলাদেশের জনগনের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়ে নেয়ার এবং গোলাম আযম ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোর দায়িত্বটা সঁপে দিলাম।
ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবেই।
জাহানারা ইমাম
অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? / শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
উৎসব মণ্ডল বেঁচে আছেন: সে সেনা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। (সাময়িক)
খুলনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উন্মত্ত জনতার হা’মলায় আহত উৎসব মন্ডল সামরিক হাঁসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উৎসব মন্ডল এর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসকরা খুব আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দিচ্ছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে গল্পের শেষ নাই.....
যে গল্পের শেষ নাই.....
পাসের সীটের যাত্রী সাথে আলাপচারিতায়- নাম জানার পর, জিজ্ঞেস করলাম- "বাড়ি কোথায়?"
ছেলেটি বলল- 'ঝালকাঠী, কীর্ত্তিপাশা গ্রাম।' কীর্ত্তিপাশা শুনেই বুকের ভিতরে উথাল পাথাল ঢেউ- এক কিশোরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে!
"জুলাই গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করবে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শিগগিরই এই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের এক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=কয়েন প্লান্ট বা পয়সা পাতা (বৃক্ষ পরিচিতি)=
০১। কয়েন প্লান্ট ( Hydrocotyle vulgaris)
কয়েন প্লান্ট বা পয়সা পাতা গাছ। দেখতে আগের দশ পয়সার মত এর পাতা। গাছগুলো খুব ঝুপালো হয়। পাতা গাঢ় সবুজ রংয়ের। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট হচ্ছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট!
আজ রাতে, ট্রাম্প ও কমলার মাঝে ডিবেইট!
দেশের সর্বোচ্চ পদের চাকুরীটার জন্য ৩য় বিশ্বে ডিবেইট হয় না; ফলে, বাংলাদেশের মানুষ কঠিন রাজনৈতিক ডিবেইট দেখার সুযোগ কখনো পাননি। আজকের... ...বাকিটুকু পড়ুন