somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম হিসেবে যা যা আমার ব্যক্তিগত!

২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসালামু আলাইকুম। আর কিছুদিন পরই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে পবিত্র রমাদান। রমাদানের পবিত্রতা আমাদের স্পর্শ করুক ।

ব্যক্তিগত বলে সবারই কিছু বিষয় থাকে। মুসলিম হিসেবে আমারও কিছু ব্যক্তিগত বিষয় আছে। যেগুলো আমি পরম মমতায় আগলে রাখি। যত্ন নেওয়ার সময় একটু বেশী খেয়াল রাখি। অন্তত এই বিষয়গুলো সবসময় ঘুছিয়ে রাখার চেষ্টা করি। আমি মনে করি মুসলিম হিসাবে সবার উচিত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিদিষ্ট করা। এত করে ব্যক্তিত্ববোধ পরিষ্কার হয়, নিজেকে অন্যের সামনে বয়ান ছাড়া উপস্থাপন করা যায়। আসুন আমার ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই…



১. পবিত্র কোরআনঃ
খুব ছোট বেলায় মকতবে গিয়ে কায়দা পড়তাম। তারপর কোরআন শরীফ নেওয়া। পড়তাম মকতবে রেখে চলে আসতাম। একটা সময় মকতবে যাওয়া বন্ধ হলো। বাসায় নিয়ম করে সকালে কোরআন পড়তাম। এই নিয়ম করে পড়ার পিছনে আমার মমতাময়ী মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তো বলেই দিয়েছেন,

أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ ۖ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا ١٧:٧٨

“আপনি নামায কায়িম করুন সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরের কুরআনে। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআনে (দিন ও রাতের ফেরেশতাদের) উপস্থিতি হয়।” (আল-কুরআন, সূরাহ ইসরা, আয়াত নং ৭৮) । এই আয়াতের তেলাওয়াত শুনতে চাইলে view this link ক্লিক করে শুনতে পারেন। চমৎকার তেলায়াত। তো যখন থেকে বাসায় কোরআন পড়া শুরু তখন থেকে একটা কোরআন আমার ব্যক্তিগত হয়ে গেল। যদিও আজকে আমরা ইন্টারনেটে, মোবাইলে পবিত্র কোরআন পড়ি তবুও আমার সেই কোরআন শরীফে আমি কোরআন তেলাওয়াত করে আমি অন্যরকম একটা শান্তি পাই। আমার কোরআনের সূরাহ ইয়াসিন ও সূরাহ আর রাহমানের পাতাগুলো বেশীই নরম হয়ে গেছে। এই করণে মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়।



২. জায়নামাজঃ
আমার ডেস্কে হাত দিলেই যাকে পাই সে হল এই জায়নামাজ। এটা আমাকে উদ্যত করে। মাঝে মাঝে জায়নামাজকে আমার কাছে গরম কালের পুকুর মনে হয়। যার চারপাশে অনেকগুলো বড় বড় গাছ। খালি ডুব দিতে মন চায়।



৩.মেসওয়াকঃ
আরেক মজার জিনিস। কাছে থাকলে মনে হয় আমি অন্যদের থেকে আলাদা। লটারি জিতার মত একটা একটা ব্যাপার। যদিও ইসলামে প্রত্যেকজন মুসলমানের লটারি জিতার সম্ভাবতা ১/১ । মুখে দুই ডলা দিয়া নামাজ পড়লে ৭০গুণ বেশী। বিশ্বনবী বলেছেন, ” যদি আমার উম্মতের জন্য কঠিন হওয়ার আশংকা না হত তবে আমি প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক করা ওয়াজিব করে দিতাম “। ( বুখারী, মুসলিম ) কি জিনিসই না লুকিয়ে আছে এতে! যা থাকার থাকুন, আমি ব্যবহার করতে থাকি। বিশ্বনবী যেহেতু বলেছেন, লুকানো বিষয়টা আনন্দেরই হবে। তুচ্ছ বিষয় অথচ ইসলাম কত আন্তরিক। ভাই, তুমাগরে বুজাইতে পারলাম, ইসলাম কি জিনিস! কেন, টলস্টয় Saying of prophet(PBUH) নিয়ে ঘুরতেন! এই মহামতির মৃত্যুর পর তার ওভারকোটের পকেটেও পাওয়া গিয়েছিল, Saying of prophet(PBUH). এই টলস্টল নিয়ে লিখা হয়েছে, Tolstoy : Escape from Paradise.



৪.টুপিঃ
টুপি নিয়ে একটা গল্প শেয়ার করি। একবার কি একটা কিনার জন্য বাজার গিয়েছিলাম। তখন রাত ৮টা কি ৯টা। দোকানদারের সাথে কথা চলছে। এমন সময়ে হঠাৎ দুইজন বৃদ্ধ আসলো। একজনের মাথায় টুপি আছে। অন্যজনের মাথায় টুপি নাই। যার মাথায় টুপি আছে সে, অন্যজনকে টুপি কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে [সম্ভবত দুইজনে খুব প্রিয় ও কাছের বন্ধু]। আমি আর হকে’র মত। তো টুপিওয়ালা বন্ধু টুপিছাড়া বন্ধুকে বলছে, একবার আমাদের নবীর কাছে তার এক সাহাবী এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ সা: আপনাকে আমার মাথায় নিয়ে নিয়ে ঘুরতে মন চায়! তখন রাসূল সা: বললেল, তুমি টুপি মাথায় দিয়ে ঘুরলেই আমাকে মাথায় নিয়ে ঘুরার মত হবে! দুই বন্ধু টুপি মাথায় দিয়ে হাসি মুখি চলে গেল। যেন তাদের মাথায় সত্যিই বিশ্বনবী বসে আছেন!

এই গল্পের সত্যতা কতটুকু আমি জানি না তবে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। এই গল্প জানার আগে আমার অনেকগুলো টুপি ছিল। গল্প জানার পর আমর টুপি একটা, যাকে সবসময় সাথে রাখার চেষ্ট করি। এই টুপিটাও আমার ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম।



৫. মাঃ
মায়ের কারণে আমি জন্ম থেকেই পাপী। দুনিয়াতে যখন আসছি তখন এই মানুষকে কষ্ট দিয়েই আসছি। কষ্ট দিসি এই কারণে ভালোবাসি না, অজানা কারণে ভালোবাসি মা! মা, তুমি আমার ব্যক্তিগত। সুঘ্রাণ দরকার হলে আমি মায়ের কাছে যাই অথবা বেলী ফুলের কাছে [ মা কাছে না থাকলে ]। আমার কাছে,মায়ের জন্য কিছু করা সুখের সমানুপাতিক!

আরেকটা বিষয় আছে ব্যক্তিগত। ও এখনো আমার হয়নি, বয়স কম তো! যদিও আমি তাকে জানি না!


ওমর মোহাম্মদ ফারুক
সমালোচক
fb.com/100000852806090
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×