somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ম্যানহ্যাটানে বেশী হাটাহাটি করার কিঞ্চিৎ খারাপ দিক

৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিগত ২২ মে তারিখে হাটাহাটির পাশাপাশি ভিডিও করার জন্য গিয়েছিলাম ম্যানহ্যাটানে। লেক্সিংটন এ্যাভিনিউর ৫৩তম স্ট্রিটে নেমে চলে এলাম ৫৫তম স্ট্রিটের একেবারে ইস্ট সাইডে। এপাশ থেকে ইস্ট রিভার দেখা যায়, মানে ম্যানহ্যাটানের একদম এক প্রান্তে। ক্যামেরা অন করার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজ হেটে একেবারে ওয়েস্ট সাইডে হেটে যাবো। হাটতে হাটতে মনে হলো, কাজটা যতটা সহজ ভেবেছিলাম ততটা সহজ হবে না। দুই মাইল রাস্তা, গুগল মামা বলেছিলো হেটে যেতে ৪০/৪২ মিনিট লাগবে। যেতে যেতে বিভিন্ন ক্রসিংএ থামতে হয়েছে। একেতো গরম তার উপর মোটামুটিভাবে জোরে-সোরে হাটা। ঘেমে অবস্থা কাহিল। একটানা প্রায় ৪৫ মিনিট ক্যামেরা অন করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে হাটতে হাটতে দেখলাম ক্যামেরা বেশ গরম হয়ে গেছে। মানে ভীষণ গরম অবস্থা। আর কিছুক্ষণ হলে হয়তো ফিজিক্যাল ড্যামেজ হওয়ার উপক্রম হতো।

আমার যেটা ভুল হয়েছিলো সেটা হলো, আমি সর্বক্ষণ ক্যামেরার ডিসপ্লে চালু করে রেখেছিলাম যদিও ব্রাইটনেস কিছুটা কমানো ছিলো তবুও সেটা করা ঠিক হয়নি। হয় ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভিডিও করা উচিত ছিলো নয়তো ডিসপ্লে বন্ধ রাখা উচিত ছিলো। কিন্তু ডিসপ্লে বন্ধ থাকলেতো বোঝা যেত না যে কি রেকর্ড হচ্ছে। যাইহোক, গরমে ৪৫ হেটে আমার অবস্থা কাহিল। হাটা শেষে পার্কে বসে কিছুটা ঠান্ডা হয়ে নিয়েছি। এর মাঝে অবশ্য ক্যামেররা ব্যাটারী খুলে অনেকক্ষণ ক্যামেরাটিকে ঠান্ডা করেছি। পাশাপাশি নতুন অন্য ব্যাটারী ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পরে ক্যামেরা অন করেছি। কোন সমস্যা হয়নি।

মূল সমস্যা হয়েছে বাসায় এসে। ভিডিওটাকে এডিট করে যেই এনকোডিং করতে দিয়েছি ওমনি আমার পিসির ফুল স্পীডে তার ফ্যান চালু করে দিলো। প্রায় এক ঘন্টার মতো লেগেছে এনকোডিং শেষ হতে। ততক্ষণে পিসির মাথা এত গরম হয়ে গেছে যে, কেসিং খুলে টেবিল ফ্যান দিয়ে ঠান্ডা করতে হয়েছে। বুঝতে পারলাম পিসি শক্তিশালী হলেও কেসিংটা মূলত ভিডিও এনকোডিং এর জন্য ততটা উপযোগী নয়। এর ভেন্টিলেশন সিস্টেমটা বেশ দুর্বল। অভিজ্ঞতা হলো যে, আগামীতে এত বড় ভিডিও বানানোর আগে আমাকে বেশ ভাবতে হবে। এমনিতে আমি আমার কেসিং নিয়ে ভীষণ খুশি কিন্তুু দীর্ঘ ভিডিও এনকোডিং করতে গিয়ে বেশ বাজে একটা অভিজ্ঞতা হলো।

একই সাইজের তেমন কোন ভালো ভেন্টিলেশন সিস্টেমসহ কেসিং খুঁজতে হতে পারে আগামীতে যদিও আমার বর্তমান কেসিংটা আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয়। শেষ মেশ ভিডিওটার সাইজ সম্ভবত ৫০ গিগাবাইটের মতো হয়েছে। আপলোড করার পরেও কয়েকদিন লেগেছে ভিডিওটা ৪কে রেজুলেশনে ইউটিউবে এনকোডিং হতে। বিশাল কর্মযজ্ঞ। যাইহোক ভিডিওটা শেয়ার করছি সবার সাথে। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×