মানবজাতির প্রাগৈতিহাসিক ছোটকাল থিকা মানবেরা পশুপালন কইরা আসতেছে। পশু তারা পালত পশু খাবে বইলাই।
পশুর বিউটি দেখার কাজ শুরু হইছে খাদ্যের উদ্ধৃত্ত তৈরি হওয়ার পর।
এখন বহু একটিভিস্ট দেখা যায় তারা পশু হত্যার—পশু খাওয়ার নয়—বিরোধী।
এইটা হিউম্যান সোসাইটির বেসিক সিস্টেমের বিরোধী।
নরবলি থেকে পশুহত্যায় উন্নতি মানবজাতির একটা অতি বৃহৎ উন্নতি। এই ধাপ থেকে মানুষ আর আগাইতে পারে নাই।
পশু পালন ও হত্যা বন্ধ করলে, রক্ত অদৃশ্য করলে, সোসাইটি যেই স্ট্রাকচারে আছে তা থাকবে না। মানব অবচেতনের গূঢ় চাহিদার কারণে তখন উৎসব ভিত্তিক নরহত্যা বা গোপন ক্যানিবালিজম শুরু হইতে পারে।
অনেকে পশুবিদায় বা পশুহত্যা উৎসবের রক্তপাত নিয়া আপত্তি টাপত্তি করে। এইসব আপত্তি অমানবিক আপত্তি। পশুকে উৎসর্গ করার যে বেদনা, তার যে বিবিধ উপাচার, তা বাদ দিয়া কোনো উৎসর্গ সাধন কেমনে হবে?
আমি মনে করি রক্তপাতহীন বা অদৃশ্য পশু কোরবানি সোসাইটিকে ভুল পথে চালিত করবে। সরকারের উচিত হবে না তেমন ব্যবস্থা গইড়া তোলা।
(আমার আরো লেখা)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১