প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে- মন্ত্রী এমপি নেতা, বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা সবাই'ই বলছেন, দেশে প্রচুর উন্নতি হচ্ছে। অথচ আমি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাই না। আমি দেখি রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। ফুটপাতে লোকজন রাত্রিযাপন আর বেকার। হ্যা পদ্মা সেতু হচ্ছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। এসব দিয়ে তো আর দেশে ভিক্ষুক বা দরিদ্র মানুষ কমবে না।
প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে। সব মন্ত্রনালয়কে কম বেশি করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই বরাদ্দের টাকা কত পারসেন্ট দূর্নীতি হচ্ছে? তার হিসাব কি কেউ রাখছে? গত চার মাসে দুদক কয়জন দূর্নীতিবাজকে ধরেছে? এত এত নিউজ পেপার, এত এত টিভি চ্যানেল বা এত এত অনলাইন নিউজ পোর্টাল তারা দূর্নীতিবাজদের গলা টিপে ধরে না কেন? কারন নিউজ পেপার, টিভি চ্যানেল অথবা অনলাইন পোর্টাল গুলোর মালিকগনই হয়তো সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজ।
রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকলে দূর্নীতি করতে সুবিধা হয়। যত দূর্নীতিবাজ আমাদের দেশে আছেন তারা কোনো কোনো রাজনীতিবিদের আত্মীয়, বন্ধু অথবা কাছের লোক। সরকারের সমস্ত কাজকাম মানেই দূর্নীতি। ভূমি অফিস থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বা গ্যাস-পানি, শিক্ষাখাতসহ সব সেক্টরেই দূর্নীতি। ধর্ম মন্ত্রনালয়েও দূর্নীতি হয়। স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের বেহাল দশা। কাগজে কলমে বরাদ্দ, কাগজে কলমে উন্নয়ন। শিক্ষাখাতের যখন প্রশ্ন আসে- দেখা যায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু শিক্ষার মান একদম শুয়ে পড়েছে। যখন সড়ক নিরাপত্তার কথা আসে- তখন দেখা যায়। হায় হায় সড়কের বেহাল দশা। অথচ পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।
যখন কোথাও আগুন লাগে, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। মানুষ মরে। তখন দেখা যায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয় নি। যখন স্বাস্থ্যখাতের কথা আসে- দেখা যায় তাদের কোনো উন্নতি হয় নি। সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালও দূর হয়নি। হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে আছে রোগী। অথচ প্রতি বছর নিয়ম করে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দের টাকা গুলো যায় কই? আর কতদিন এভাবে চলবে? চলতেই থাকবে?
যে বা যারা এই টাকা গুলো খাপ করে দেয়।
কাগজে কলমে উন্নয়ন দেখিয়ে, আসল সত্যিকারের উন্নয়ন না হয়ে হাজার হাজার কোটি নাই হয়ে যায়। টাকা গায়েবকারীরা বিদেশ গিয়ে জুয়া খেলে। নারী নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। বিদেশে গাড়ি বাড়ি করে। দেশে রাজার হালে থাকে। দল বেধে সামান্য মাথা ব্যথার চিকিৎসা করাতে যায় সিঙ্গাপুর। এরাই আবার বড় বড় কথা বলে। লোকজন তাদের বাহবা দেয়। ভাগ্যহত আমরা জিম্মি সেই সব শ্রেণিদের কাছে- যারা শোষক এবং চোর।
এমন উন্নয়নের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮