কোরআন এবং বিজ্ঞান এক নয়।
কোনো বিজ্ঞানী আজ পর্যন্ত বলেন নি, তাঁরা কোরআন গবেষণা করে আবিস্কার করেছেন। আসলে ধার্মিকেরা এটা ভেবে শান্তি পায়, যে বিজ্ঞানীরা কোরআন গবেষনা করে ল্যাপটপ, মোবাইল, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, পারমানবিক বোমা, উড়োজাহাজ, রকেট ইত্যাদি সমস্ত কিছু আবিস্কার করেছেন। ইহা ভুল। মসজিদে আযান দেওয়া সহজ, কিন্তু টেকনলজি শেখা কঠিন। পুরো কোরআন মুখস্ত করা সহজ কিন্তু একজন আইনস্টাইন না টমাস আলভা এডিসন হওয়া সহজ নয়। ধর্মের সাথে বিজ্ঞান মিলানো ঠিক না। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের আকাশ পাতাল পার্থক্য। বিজ্ঞানময় কুরআনের পিডিএফ না দিয়ে গাছের ছাল, কাঠের টুকরা, চামড়ায় সংরক্ষিত হওয়া কি বিজ্ঞানের নিদর্শন?
মানুষের ক্ষমতা অনেক।
সীমাহীন পরিশ্রম করে, নিজের জীবন তেজপাতা করে একজন বিজ্ঞানী আবিস্কার করেন। ধার্মিকেরা নির্লজের মতো বলেন, এটা কোরআন গবেষনা করে আবিস্কার হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো হুজুর, মাওলানা, মুফতি বা কোরানে হাফেজ কেন কিছু আবিস্কার করতে পারলো না? অথচ তাঁরা কোরআন মূখস্ত করে বসে আছে! আপনি আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিন- কোরআনে কোথায় কোন আবিস্কারের সুত্র দেওয়া আছে। আমি মাথা পেতে মেনে নিবো। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে হুজুররা আর কতটুকু শিখবে? তাদের শেই শিক্ষা দিয়ে দেশ বা সমাজের কতটুকু উপকার হবে?
ধার্মিকরা শুধু বিশ্বাস করে। লজিক খুঁজে না।
আপনি স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে দেখুন, কোরআন পড়ে দেখুন- কোথাও কি কোনো সুত্র লেখা আছে কোরআনে? পদার্থ বিজ্ঞানের কোনো সুত্র কি আছে কোরআনে? মানুষের ক্ষমতা সীমাহীন। পৃথিবী সৃষ্টির সময় কি ছিলো? আজকে যে সাজানো গোছানো দেশ, মহাদেশ দেখছেন এটা মানুষের হাজার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। মানুষ থাকতো গুহায়। কাঁচা খাবার খেত। পশুর মতো জীবনযাপন করতো। আল্লাহ তো দুনিয়া তৈরি করে আমাদের জন্য দালান কোঠা, রাস্তাঘাট, গাড়ি বাড়ি, শপিংমল, কলকারখানা, খাট পালং, ফ্যাক্টরি প্লেন, জাহাজ ইত্যাদি সব রেডি করে আমাদের দুনিয়ায় পাঠান নাই। যা করার মানুষ'ই করেছেন। জ্বীন, ফেরেশতারা এসে কিছু করে দিয়ে যায়নি।
সত্য কথা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়?
যদি কোরআনে সমস্ত আবিস্কারের কথা লেখা থাকতো তাহলে নবিজির আমলে সব আবিস্কার হয়ে যেত। কোরআন সংরক্ষনের জন্য নবিজিকে চিন্তা করতে হতো না। নবিজির হাদীস সংগ্রহ করতে এত লম্বা সময় লাগতো না। আপনি হুজুরদের ওয়াজ শুনবেন। বুঝে যাবেন হুজুরদের জ্ঞান কতটুকু! অল্প জ্ঞান দিয়ে তাঁরা ভুলভাল কথা বলেন। আসলে হুজুরেরা ধর্মের সর্বনাশ করছে। ওয়াজ কারা শুনে? গ্রামের মূর্খ মানুষ, চাষা, শ্রমিক আর দিন মজুর। এই শ্রেনীর মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। এদের কে একটা ম্যাজিক দেখালে ভাববে অলৌকিক ব্যাপার। কিন্তু ম্যাজিক কোনো অলৌকিক ব্যাপার নয়। জাস্ট একটা কৌশল। একজন পিএইচডি করা মানুষ বা বিজ্ঞানের কোনো শিক্ষক বা ছাত্র কি ওয়াজ শুনবেন? একজন কুসংস্কার মুক্ত মানুষ কি ওয়াজ শুনবেন? নো নেভার।
পৃথিবীর কোনো ধর্মগ্রন্থ থেকে কোনো কিছু আবিস্কার করা হয়নি।
মানুষের জ্ঞান, হাজার বছরের পরিশ্রম থেকেই সব কিছু আবিস্কার হয়েছে। কোরআন শরীফে সূরা গুলোতে কি লেখা আছে আগে ভালো করে পড়ুন। আপনি নিজেই তা বুঝতে পারবেন। দুনিয়াতে বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই ছিলেন নাস্তিক। সবচেয়ে বড় কথা আইনস্টাইন থেকে শুরু করে স্টিফেন হকিং পর্যন্ত কেউ কোরআন পড়েন নি। পড়ার প্রয়োজন অনুভব করেন নি। বিজ্ঞানীরা ধর্মগ্রন্থ থেকে মোটামোটি দূরেই থেকেছেন। কোরআনে আছে যুদ্ধের কথা। নবিদের কথা। জ্বীন আর ফেরেশতাদের কথা। বিয়ের কথা। নামাজ রোজার কথা। আরো বহু বহু কথা আছে। কিন্তু কোনো আবিস্কারের কথা লেখা নেই।
আদিম বা আদম মানব মানব গোষ্ঠীর প্রারম্ভিক যুগে পৃথিবীতে না ছিল কোনো ঈশ্বর, না ছিলো কোনো ধর্মের অস্তিত্ব। মানুষের মন থেকেই ধর্মের জন্ম, ঈশ্বর নামক অদৃশ্য অলীক ব্যক্তিটির গর্ভপাত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬