
আমাদের এখন একটা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করা উচিৎ,এইটাকে আপনি ইলিগ্যাল পলিটিক্যাল মুভমেন্ট হিসেবেও দেখতে পারেন। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক,ছাত্র জনতা কিংবা বিপ্লবী সরকারের পক্ষ থেইকা আন-অফিশিয়ালি ও করা যেতে পারে।
একটা আন্তর্জাতিক বিপ্লব,আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি এই মহূর্তে বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক বিপ্লবের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমান বাংলাদেশের নির্বাচন,রাজনৈতিক সংকট,রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,সংস্কার সহ নানা রকমের যে জটিল ধাধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেসব থেকে বের হয়ে আসার পথ হতে পারে এই আন্তর্জাতিক বিপ্লব।
যেহেতু ভারতীয় মোদি সরকার কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়াই কোন প্রকার প্রসেস কিংবা বৈধ উপায় ছাড়াই হাসিনার মত একজন জঘন্য ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কারণে ঠিক আমরা সেখান থেকে শুরু করতে পারি। আমি মনে করি আসমানের নিচে থাকা জমিনটাই আমার,খোদা আমার জন্য বানিয়েছেন,সেই জমিনের শাসক খারাপ হতে পারে,শাসকের দলের একাংশ খারাপ হতে পারে অথবা পুরোটাই খারাপ হতে পারে কিন্তু,কিন্তু এর বাইরেও কিন্তু অন্য একটা দল শাসক হওয়ার জন্য রাতদিন কুটকৌশল করতে থাকে এর বাইরে থাকে সাধারণ মানুষ,ভিন্ন চিন্তার,ভিন্ন মতের ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের। তো আমরা কেন ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছিনা? সুসম্পর্ক করছিনা? কেন আমরা মোদি সরকার বাদে অন্য সব গোত্রের,দলের,মতের,ধর্মের মানুষদের সঙ্গে এই নিয়ে আলাপ করছিনা?
ভারতে কি মোদি সরকার ছাড়া কি অন্য দল নেই? সাধারণ মানুষ? জেনজি? ভিন্নমতের? ভিন্ন রাজনীতির? অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া এবং অবৈধভাবে একজন বাঙালিকে রেখে দেয়া এবং সেখান থেকে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা করা এইগুলা কি সভ্য ভারতের নিয়ম?
আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় এইভাবে আমরা ভারত জুড়েও একটা বিপ্লব তৈরী করতে পারি,যেটা আমাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটা শক্তপোক্ত বন্দোবস্ত হবে বলে আমি মনে করছি। আমাদের এই বিপ্লবের বিষয়ে ভাবা উচিৎ,যদিও আমার কাছে ডক্টর ইউনুস স্যারের কথাটা ভালো লেগেছে,আগামির বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেভেন সিস্টার্সের লোকেশন কে 'ঐটুকু' বলে সম্বোধন করেছেন।
আমরা যেভাবে একটা আন্তর্জাতিক বিপ্লব তৈরী করতে পারি
- রিয়াজ হান্নান
ব্লগার,অনলাইন এক্টিভিস্ট,হিউম্যানিস্ট
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



