ফিলিস্তিনিরা গতকাল মঙ্গলবার ৭০তম নাকবা দিবস পালন করেন। নাকবা আরবি শব্দ যার অর্থ দুর্যোগ। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হয় আর ১৫ মে থেকে ফিলিস্তিনিরা গৃহহীন হওয়া শুরু করেন। তাই ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং অন্যত্র ১৫ মে তারিখকে নাকবা দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়। যদিও নাকবা আসলে আগে থেকেই শুরু হয় তবে মার্চ ১৯৪৮ থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭,০০,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছিল। যদিও উদ্বাস্তুদের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে তবে পরবর্তীতে গঠিত ইসরায়েলের ভূখন্ড থেকে ৮০% এর কাছাকাছি আরব বাসিন্দা এতে গৃহহীন হয়েছিল। ইহুদিদের সামরিক আগ্রাসন, আরব গ্রামগুলিতে হামলা, দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মত আরেকটি গণহত্যার ভয়সহ বিভিন্ন কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে ইসরায়েলের প্রথম সরকারের জারিকৃত আইনসমূহে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদেরকে ফিরতে বাঁধা দেয়া হয়। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের বংশধররা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের নিজ ভূমে ফেরার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি এবং ইতিমধ্যে কয়েক প্রজন্ম চলে গেছে।
এ বছর এমন সময় দিবসটি পালিত হচ্ছে যখন পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত গাজায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৬০ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুই হাজার সাতশ' ফিলিস্তিনি। গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূ-খন্ডে ফিরে যাওয়ার অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে। ওই বিক্ষোভ শুরুর পর এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ১০৯ জন ফিলিস্তিনি শাহাদাৎবরণ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪