somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুমিয়ান

২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১ম পর্ব,


কত সুন্দর ছিল গতবছরের সময়গুলো! কেউ না কেউ দেখা করার ইচ্ছা হলেই চলে আসতাম এখানে। হয় আমি অপেক্ষা করতাম না হয় তুমি! কখনও ফুল নিয়ে আসতে বা বাদাম। প্রত্যেক সময় বলতাম এসব কিছু লাগবে না তবুও ইচ্ছে করেই নিয়ে আসতে তুমি! কিন্তু এখন কেমন যেন অনেক একা মনে হয় নিজেকে! কারও সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। আমার প্রিয় অভ্যাস চা খাওয়া এবং বই পড়া, কোনটাই হয় না। নিজেকে জোর করলেও চা আর বই এর ধারে কাছে নিতে পারি না! অভ্যাস গুলো পরিস্থিতির করুণ বাজে অবস্থার চাপে পরে ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। কারও অভ্যাস বদলায় নিজের জন্য কারও বদলায় অন্য কারও জন্য। এতে করে নিজের মধ্যেই নতুন আরেকজন কে খুঁজে পাওয়া যায়। এবং এরই ফলে পুরানো সেজন মরে যায়! বেচে থাকে কোনো এক এলবামে, পারিবারিক স্মৃতিতে বা.. থাক এতটা নাই বলি..
ভার্সিটির উত্তর গেটের সাথে একটা কফিশপ আছে, নাম "কাশফুল"। এখানের কোণার দিকের এক টেবিলে বসে আছে সুমি। অপেক্ষা করছে ক্লাসমেট সাদিয়ার জন্য। প্রায় আধঘণ্টার কাছাকাছি হয়ে গেছে সাদিয়া এখনও আসতে পারে নি! দ্বিতীয় বার কল করল সাদিয়াকে। রিং বাজতে বাজতে কল কেটে দিল সাদিয়া। অর্থাৎ বুঝিয়ে দিল সে কাছাকাছি চলে এসেছে। এর কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পেল সাদিয়াকে। কিন্তু সাদিয়ার সাথে আরেকটি ছেলেও আছে! সাদিয়া সুমির পাশে বসলো, আর ছেলেটা আরেকটা চেয়ার টেনে বসলো। এসেই সাদিয়া সরি বলল দেরি হয়ে যাবার কারণে। একটু থেমে আবারও বললো,
"ওহ দোস্ত, পরিচয় করিয়ে দিই! এ হচ্ছে আমার ফ্রেন্ড, রাতুল।"
সুমি রাতুলকে বিস্ময় নিয়ে কিছুক্ষণ দেখে সালাম দিল। এরপর আবারও বললো, "আর রাতুল ও হচ্ছে আমার ক্লাসমেট সুমি!" সুমির সালামের জবাব নিয়ে বললো, "কেমন আছো তুমি?" এটা শুনে সুমির মেজাজ খারাপ হতে শুরু করলো। পরিচয় হল মাত্র আর এখনই তুমি করে বলা শুরু করছে!
"জ্বি ভাল আছি, আপনি?"
"এই আছি আরকি!" রাতুলের জবাব।
ক্ষাণিক পর সে আবারও বললো, "তোমরা কিছু খেয়েছো তোমরা?" সাদিয়া বললো "না কিন্তু খাবো!" রাতুল বললো, "আচ্ছা বসো তোমরা আমি অর্ডার করে আসছি!"
সুমির মনে একটা প্রশ্নই বারবার আসছে এই রাতুলের সাথে সাদিয়ার বন্ধুত্ব কিভাবে হল? চিন্তা করছে প্রশ্নটা কিভাবে করা যায়। এখনই করবে নাকি রাতুল যাওয়ার পর।রাতুলকে অসভ্যেদের কাতারে দার করিয়ে দিয়েছে সুমি। কথাবার্তা, চাল চলন কিছুই পছন্দ হয় নি তার।

ম্যাথমেটিক ক্লাস চলছে, স্যার কয়েকটা অংক বুঝাচ্ছেন। মাঝামাঝি বেঞ্চে বসে আছে সুমি আর সাদিয়া। সাদিয়া খাতায় কি লিখছে সে নিজেও জানে নাহ আর সুমি শুধু দোয়া করতেছে সময়টা যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। এমন সময় মনে হয় সাদিয়াকে একটা প্রশ্ন করার কথা ছিল তার! সঙ্গে সঙ্গে কলম দিয়া খোচা দিল সাদিয়াকে। অমনোযোগী হওয়ায় সাদিয়া একটু চমকে গিয়ে আওয়াজ করে বসল! এই আওয়াজ স্যারের কানে গেল।
"Quite please"!
স্যার আবার বোর্ডে মনোযোগ দিলেন।
"কি হইছে? এমন করে কেউ খোচা দেয়?"
সাদিয়া বললো।
- ওহ সরি! হঠাতেই জোরে লেগে গেছে... আচ্ছা বাদ দে, শোন না, একটা প্রশ্ন আছে।
- বলে ফেল।
- এই রাতুল তোর ফ্রেন্ড কেমনে হয়?
- ফ্রেন্ড তো ফ্রেন্ডের মতই হয়!!
- দেখলে মনে হয় বড় ভাইয়ের চাইতেও বড় আর ওয় তোর ফ্রেন্ড?
- হুম, তো কি হইছে?
- এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র হলে না হয় ফ্রেন্ড ভাবা যায়, তোদের তো ভাই বোন মনে হয়!
এই বলে নিঃশব্দে দাঁত কেলিয়ে হাসতে শুরু করল সুমি...

সকাল ১০টা, সুমির ফোন বেজে উঠলো। হাতে নিয়ে দেখে সাদিয়ার কল। রিসিভ করতেই বললো বিকালে এক বান্ধবীর বাসায় যাবে এবং সুমিকেও সাথে থাকতে হবে!"কিন্তু দোস্ত আম্মুকে না বলে কিভাবে যাই আর হুট করেই কি যাওয়া যায়?" সুমি বললো।
"আরে প্লানিং হুট করেই হয়, আন্টিকে ম্যানেজ কর, রাখলাম।" আর কিছু বলতে না দিয়ে কল কেটে দিল সাদিয়া!

সুমির মা অনুমিত দিল কিন্তু সময় বেধে দিয়ে বললেন, "আলো থাকতেই ফেরত আসবি!"
অনুমতি পেয়ে সুমি নিজেকে বড্ড হালকা ফিল করছে। আস্তে আস্তে বাহিরে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। ৪টার একটু আগেই সাদিয়া রিক্সা নিয়ে হাজির সুমির বাসার সামনে এবং কল দিয়ে সুমিকে নিচে নামতে বললো। রিক্সায় উঠে সুমির প্রথম প্রশ্ন "কোথায় যাচ্ছি?"
জবাবে সাদিয়া বললো, "ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে!"
- এই শুধু ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতেই এত তড়িঘড়ি করে বের হতে বললি?
- সারপ্রাইজ!!!
এই বলে সাদিয়া হাসতে শুরু করল!
আবারও বললো, "আরে কারণ হচ্ছে আমাদের নবীনবরণ হবে খুব শীঘ্রই, সেই জন্য কে কি করব এইজন্যে যাচ্ছি আড্ডা দিতে।"
- তো? ক্লাসে কি প্রত্যেক সেকেন্ড বই নিয়ে থাকিস? ক্লাসেও তো এসব আলাপ করা যায়!
- আরে বাবা রাগিস কেন? আড্ডাই তো দিব আর কিছু না তো..

পরের সপ্তাহ, ডিপার্টমেন্ট জুড়ে চলছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের অনুশীলন। সেই সাথে চলছে ক্লাসরুম গুলোকে নানা ভাবে সাজানোর প্রক্রিয়া! সবমিলিয়ে এক জমজমাট পরিবেশ! সাদিয়া নাঁচের অনুশীলনে ব্যস্ত। অন্য আরেক রুমে গানের চর্চা চলছে যেখানে সুমিও অবস্থান করছে। এখানে এসে সে একজনের দিকে মাঝে মাঝেই তাকাচ্ছে!

৩য় বর্ষের নাহিয়ান, আপাতত তার ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলে! মোটামুটি সব গুণ আছে নাহিয়ানের ভিতরে। এবারের নবীনবরণে উপস্থাপনার দায়িত্বটা পেয়েছে সে। সুমি অনেকের কাছেই শুনেছে নাহিয়ান নাকি খুব সুন্দর উপস্থাপনা করে এবং চমৎকার গান করে!
"৩৯ ব্যাচের কারা কারা নাম দিয়েছিলে তারা সামনে আসো.." নাহিয়ান নতুনদের প্রতি বললো।
এক এক করে স্টেজে গেল অনেকেই। সারিবদ্ধ ভাবে দারিয়ে দেখে ১০জন গানে নাম দিয়েছে! নাহিয়ান চিন্তিত হয়ে গেল! মনে মনে ভাবলো "এত শিল্পী সব এই ব্যাচে কেমনে আসলো?" নাহিয়ান ফাইনাল ইয়ারের আরেকজনের সাথে কথা বলতে চলে গেল। ফেরত এসে বললো, "উম আসলে কি বলবো, আমি যখন ১ম বর্ষে ছিলাম তখন নবীনবরণে আমার ব্যাচ থেকে গানের জন্য মাত্র দুইজন এসেছিলাম কিন্তু তোমাদের ব্যাচেই দেখলাম ১০-১৫জন এসে পরেছো!! তোমরা সাহস করে যে এসেছো এতেই আমরা খুশি। ধন্যবাদ তোমাদের..." সবাই হাত তালি দেয়া শুরু করলো!
এরপর পরই ফাইনাল ইয়ারের নাহিদ এসে বললো, "ধন্যবাদ তোমাদের সকলকে নাম দেয়ার জন্য। তোমরা হয়তো জেনে এসেছো আমাদের ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ এই ভার্সিটির সবচেয়ে বেস্ট অনুষ্ঠান। গত তিন বছর আমরা গর্বের সাথে সেরা পারফর্মেন্স দিয়ে এসেছি। আশাকরি এবারেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। এখন মুল কথায় আসি, আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে অনেকেই নাম দিয়েছো। আমরা সবার নাম নিলেও সময়ের স্বল্পতার কারণে সবাইকে সুযোগ দিতে পারছি না আশাকরি তোমরা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছো। যারা যারা নাম দিয়েছো ১ম আর ২য় বর্ষ তোমরা যারা নাম দিছো তাদের মধ্যে থেকে বেস্ট ৭জন সিলেক্ট করা হবে এবং সিলেক্টের দায়িত্বে আছে নাহিয়ান। আশাকরি তোমরা কোঅপারেট করবে। তো নাহিয়ান শুরু কর একজন একজন দিয়ে।"

একজন একজন করে নাহিয়ান আসতে বললো। প্রত্যেককেই বলছে, "তোমার দুই পাশে দুইজন আছে যারা গিটার বাজিয়ে তোমাকে হেল্প করবে। ভয় পেয়ে যেও না। শুরু কর!" এক এক করে অনেকেই গান গায় কিন্তু নাহিয়ানের তেমন কাউকে পছন্দ হয় না! খুব কষ্টে ৭জনের গান শুনেছে সে কিন্তু আর সে পারছে না! সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার যদি ভাল কাউকে না পায় তবে সে যাচাই করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দিবে।
"নেক্সট প্লিজ!!" বলার পর নাহিয়ানের সামনে এসে দারালো ১ম বর্ষের এক ছাত্র।
"নাম কি তোমার?"
"জ্বি ভাইয়া, আমির..."
"আচ্ছা শুরু কর"
আমির গান গাওয়া শুরু করলো নজরুলগীতি দিয়ে। নাহিয়ান ওর গান শুনে মোটামুটি খুশি। এরপরের জনকে ডাকা হল। সেখানে আছে সুমি! সেই প্রশ্ন, নাম কি? তারপর শুরু কর।
সুমিও শুরু করলো নজরুলগীতি দিয়েই। এমনভাবে গান গাওয়া আরম্ভ করলো যেটা শুনে রুমের সবাই পুরোপুরি বিস্মিত! গান শেষে নাহিয়ান জিজ্ঞেস করলো, "আগে গান শিখতে?" সুমি মাথা নাড়ালো। আবারও বললো, "চমৎকার, আমরা সবাই অবাক তোমার গান শুনে! ৩৯ব্যাচে এত প্রতিভা আছে সেটা সুমি আর আমিরের গান না শুনলে বুঝতামই না!"
গানের সিলেকশন শেষ হল। যারা সিলেক্ট হয়েছে আগামী কয়েকদিন শুধু প্রাক্টিস চলবে। বের হওয়ার সময় সুমিকে ডাক দিয়ে নাহিয়ান বললো, "হ্যালো!এই যে, কি যেন নাম তোমার?"
সুমি বুঝতে পারলো নাহিয়ান তাকেই ডাকছে! তারপর পিছনে তাকিয়ে বললো, "জ্বি ভাইয়া আমাকে ডাকছেন?"
- হ্যাঁ! কি যেন নাম তোমার?
- সুমি
- ভুলেই গেছিলাম। এখন থেকে আর ভুলবো না। যাই হোক ফ্রি আছো?
- ফ্রি বলতে ভাইয়া আমার ফ্রেন্ড ক্লাসমেট আরকি, সে নাটকের রিহার্সালে আছে। সে বের হলেই বাসায় যাবো!
- ওহ আচ্ছা, তারমানে সে না আসা পর্যন্ত ফ্রি?
- জ্বি
- ফোন নাম্বার আছে না? খোঁজ নিও!
- সেটা করা যায়
- আচ্ছা, চল আমার সাথে ক্যান্টিনে, কিছু জরুরি কথা আছে!
এই বলে সুমিকে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেল। একটা টেবিলে বসে আলাপ করতে শুরু করলো। কোত্থেকে এসছো, কোন স্কুল/কলেজে? গ্রাম কোথায় আরও নানান প্রশ্ন! সুমি কোনটাতেই বিরক্ত না হয়ে যা প্রশ্ন করছে তার বেশিই উত্তর দিয়ে দিচ্ছে! প্রায় ঘন্টার মত কথাবার্তা বললো তারা।
- আচ্ছা আজ উঠি তাহলে। কাল ক্লাসে এসো।
- জ্বি ভাইয়া।
- তোমার ফ্রেন্ড আসলো না?
- বের হয়নি এখনও, বের হলে কল দিত!
- ঠিক আছে তাহলে, আমি যাই তাহলে, আল্লাহ হাফেজ।
এই বলে একটা হাসি দিয়ে চলে গেল। এই হাসিই সুমির মনে ঝড় তোলার জন্য যথেষ্ট! এইটুকু সময় কখন চলে গেল টের পেল না সে! ফোন বের করল সাদিয়াকে কল করার জন্য। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে ৩৩টা মিসড কল! সবকয়টা সাদিয়ার কল! এতগুলো কল দেখে তাড়াতাড়ি কল ব্যাক করল সুমি। রিসিভ করতেই,
- কল দিলে মোবাইল হাতের কাছে রাখা লাগে, মাঝে মাঝে মোবাইল চেক করা লাগে, ক্লাসের পরেও চেক করা লাগে....
- সরি দোস্ত, পরের বার থেকে দেখে নিব।
- মেইন গেটে দারিয়ে আছি, জলদি আয়...


একয়েকদিন খুবই ব্যস্ততার সাথে কেটেছে সবার। অনুষ্ঠানের আগের দিন, নাহিয়ান সিনিয়রদের সাথে অনুষ্ঠানে কে কখন পারফর্ম করবে এটা নিয়ে আলোচনা করছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান। এরমধ্যে ২টা ডুয়েট পারফর্ম ঢুকালো নাহিয়ান।
.
একটা গান সুমি এবং নাহিয়ান গাইবে আরেকটা সুমি এবং আমির গাইবে। আমির সাদিয়া পারফর্ম কখন সেটা জানতে চাইলো। "লিস্টের ৪র্থ নাম্বার" সুমি বললো।

নবীনবরণে ১ম বর্ষের সবাইকে ফুল এবং কিছু উপহার দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হল। স্যার ম্যাডামরা বিভিন্ন করমের অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন। এরপর শুরু হল মুল অনুষ্ঠান। নাহিয়ান গান গাইলো, প্রত্যেকবারের মতই সবাই বেশ তারিফ করলো। এরপর আমির আসলো। কিন্তু সুমির নাম বলা হচ্ছে না। সে অধীর আগ্রহে বসে আছে স্টেজের পিছনে। এরপর সাদিয়ার পালা। সে খুব সুন্দর দলগত নৃত্য পরিবেশন করে গেল। "এবার গান নিয়ে আসছে ১ম বর্ষের নবীন, সুমি!" কিছুক্ষণপর সুমি স্টেজের দিকে আগাতে লাগলো। নাহিয়ান পাশ দিয়ে বললো, "বেস্ট অফ লাক!"
নজরুলগীতি দিয়ে শুরু করলো গান, স্যার ম্যাডামরা খুব মনোযোগ নিয়ে শুনতে শুরু করলো। গান শেষে সবাই করতালি দিল। হয়তো এরচেয়ে বেশি খুশি এখন পর্যন্ত সুমি হয় নি! অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুমি সবার কাছে পরিচিত হতে লাগলো! এরপর থেকে ডিপার্টমেন্টের প্রায় সবার কাছেই পরিচিত হতে শুরু করলো। ফেসবুকে ভার্সিটির গ্রুপে অনুষ্ঠানের গান ভিডিও দেয়ার পর অনেক পরিচিতি পেতে থাকলো সে। কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকেই প্রেমের প্রস্তাব আনতে থাকে। কিন্তু সুমি কিছুতেই সেসবকে গুরুত্ব দেয় না। ওর কাছে এসব কেমন যেন ফান লাগে! একদিন সাদিয়া বললো, "কিরে এতগুলা প্রপোজাল পাইছিস কিন্তু একটারেও পছন্দ হয় নাই?" সুমি বললো, "এরা প্রেম করার যোগ্য না।"
- ক্লাসের সজল না তোকে প্রপোজ করছিল? সেটাতেও রাজি হলি না?
- ক্লাসমেট প্রেম? ধুরু, কি যে বলিস তুই!


"রুল নাম্বার ১: Never share your feelings with others
রুল নাম্বার ২: অতীতে কি হয়েছে সেটা কখনও ভার্সিটির ফ্রেন্ডদের বলবি না।
রুল নাম্বার ৩: কেউ যদি অন্যের বদনাম তোর কাছে করে তবে তার কথায় সারা দিয়ে তুইও বদনাম করবি না! হতে পারে সেও তোর বদনাম অন্য কারও কাছে করতেছে?"
সুমির কাজিন নূপুর তাকে এই কথাগুলা বলেছিল। হঠাৎ করেই কথাগুলো মনে পরলো তার! সুমির কিছু কথা সাদিয়ার সাথে শেয়ার করা জরুরি। সে সাদিয়াকে বলে নি কারণ জানে সাদিয়ার পেটে কথা থাকে না। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে আজ ৮ মাস, এরমধ্যে ক্লাসের সবাই কেমন ধরনের সে বিষয়ে ভালই ধারণা পেয়েছে সে। তবে আমিরের কাছে একবার প্রায় ধরা পরেই গেছিল সে! একদিন ক্লাসে, আমির এসেছে খাতা নিতে, হঠাৎ দেখে সুমি বসে আছে! আমির কাছে আসতেই দেখে সুমি কি যেন খাতায় লিখছে! একটু উকি দিতেই ওর মাথার ছায়া বাতির কারণে সুমির খাতায় অন্য বর্ণ টেনে আনে! এতে বুঝে যায় পিছনে কেউ আছে। জলদি খাতা বন্ধ করে পিছনে তাকিয়ে দেখে আমির দারিয়ে! জিজ্ঞেস করল, "এমনভাবে খাতা বন্ধ করলি কেন?"
- ভয় পেয়ে গেছি! ফাজিল একটা। আওয়াজ দিয়ে আসবি না?
সেদিনের মত বেচে গেল সে! আমির যাওয়ার পর পৃষ্ঠাভরা নাহিয়ান লেখা পাতা যত সম্ভব টুকরা করা যায় সেটা করে বাহিরে ফেলে দিয়েছে! সে জানে এই কথা জানাজানি হয়ে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে।

ফাইনাল পরীক্ষা, সাদিয়া এবং সুমি পরপর বসেছে। এরমধ্যে সাদিয়া একটুপর একটুপর সুমিকে কলম দিয়ে খোঁচাচ্ছে! সাদিয়া পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করায় একদম কাঁচা! ওর সামনে আর পিছনে যে বসে তার ভাগ্য খুবই খারাপ বলা যায়! অন্যের খাতার দিকে তো তাকিয়ে লিখতে তো পারেই না বরং নিজের খাতা অন্য কাউকে দেখাতে গেলে স্যাররাও খুব ভালভাবে টের পেয়ে যায়! এবারও সেটাই। স্যার সুমিকে উঠিয়ে নাহিয়ানের পাশে বসিয়ে দিল! সেটাও সবার সামনে সিট, এক উন্মুক্ত জেলখানা! নাহিয়ান সুমিকে দেখে বললো, "জেলখানায় স্বাগতম!"
সুমির কলম ভালই চলছে খাতার উপরে কিন্তু নাহিয়ানের চলছে না। পড়ুয়া দুই বন্ধুর মাঝখান থেকে বিতারিত হওয়ায় খাতায় আর কিছুই লিখতে পারছে নাহ।

হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ, কিছু কথার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আব্বু সালাম জানিয়ে বলছে কেমন আছেন, আসতে কোনো কষ্ট হয় নি তো? ইত্যাদি! এরমধ্যে পিচ্চি এক চাচাতো বোন মুন্নি এসে বললো, সুমি আপু, ওরা চলে এসছে!" সুমি বুঝতে পেরেছে কারা এসেছে। এরা পাত্রপক্ষ। সুমি বলল, "কয়জন এসেছে?" উত্তরে মুন্নি জানালো তিনজন। একটুপর সুমির আম্মু এল, "কি রে তুই এখনও রেডি হইস নাই?" সুমি বললো, "বিয়েটা কি খুব জরুরী? আমার কি পছন্দ থাকতে পারে না?" তিনি বুঝে গেলেন সুমি কার কথা বলছে! "এখনিই তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না? যা রেডি হয়ে আয়..." কিছুক্ষণপর চায়ের ট্রে সহ সুমিকে পাঠিয়ে দেয়া হল পাত্রপক্ষ কাছে। এক এক চা দিয়ে সুমি বসল ওর বাবার কাছে। ছেলের চাচা বললো, "মা আমাদের দিকে তাকাও কিছুক্ষণ।" সুমি তাকাতেই ছেলের দুই চাচা "মাশাআল্লাহ" বললেন! "এ যেন দেখতে এক টুকরা চাঁদ! আল্লাহু আঁকবার!" পুরো পরিবার পরিবার বুঝতে পারলেন সুমিকে তাদের বড্ড পছন্দ হয়েছে! ছেলের আরেক চাচা বললো, "মা আমরা তোমার মুখ খুব শুনতে ইচ্ছুক তোমার বর্তমান অবস্থা, কোথায় পড়ালেখা করছো?" সুমির বলতে ইচ্ছা করছে না। একটুপর সুমির মাথায় ওর আব্বু হাত বুলিয়ে দিলেন। খুব নিচু স্বরে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিল সুমি। "মামনি খুব নার্ভাস মনে হচ্ছে, থাক আমরা আর প্রশ্ন না করি, আ... তোর কিছু জানার আছে?" চাচা ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল। এর সাথে সুর মেলালেন সুমির বাবা, "তোমার যদি কোন প্রশ্ন থাকে করতে পারো।" ছেলে লজ্জায় কিছু বলতে পারে না! মুরুব্বীয়াল একারাম বুঝে গেলেন কি চাচ্ছে ছেলে। তাৎক্ষণিক নূপুরকে ডাকলেন এবং সেও হাজির! "ওরা দুইজন আলাদা কথা বলবে চাচ্ছে, ছাদে নিয়ে যা..." সুমি মনে মনে "শুধু সেই চেয়েছে, আমি নই" নূপুর তাদের নিয়ে ছাদে চলে গেল।


ছেলেপক্ষ চলে গেল, নাহিয়ানের কথা খুব মনে পরছে তার। নাহিয়ান যখন ফাইনাল ইয়ারে, ততক্ষণে ডিপার্টমেন্টে একটা নাম হয়ে গেছে তাদের নিয়ে, "সুমিয়ান!" অর্থাৎ সুমি আর নাহিয়ানের সন্ধি। সুমির ক্লাসমেটরা সুমিয়ান বলে ডাকা শুরুও করে দিছে! ভিতরে ভিতরে কেমন যেন একটা অস্বস্তিবোধ কাজ করছে। অস্বস্তিবোধ এজন্য নয় যে অনেকেই সুমিয়ান বলে ডাকে, বরং এজন্য এরই বাহানায় নাহিয়ান যদি ভালবাসি বলে দিত সমস্ত অসহ্যবোধ কেটে যেত সুমির। আর যদি সুমির প্রসঙ্গে আশা যায় যে সেও তো বলতে পারে? এই ভাবনায় তার মনে পরলো কলেজের বান্ধবী কাজল বলেছিল, "ভুলেও আগে প্রপোজ করতে যাবি না আর ভুলেও প্রপোজ পাওয়ার সাথে সাথে রাজি হবি না, ওকে?" সাদিয়া আচমকা পাশে বসে ধাক্কা দিয়ে বললো, "কি রে কি ভাবিস?" সুমি চমকে গিয়ে বলল, "আচ্ছা তুই কি স্বাভাবিকভাবে আসতে/বসতে পারিস না? যখনই আসিস লাউডস্পিকারের মত চিৎকার দিস আর ধাক্কা তো তার সাথে ফ্রি!"
- আচ্ছা চেতিস না, কি ভাবছিলি বল?
- শুনতেছিস না অনেকের মুখে মুখে সুমিয়ান কথাটা?
সাদিয়া তখন বললো, "ও আচ্ছা কি যেন বলে তোকে? সুমিয়ান? আসলে আমি কখনও সুমিয়ান নামটা শুনি নাই, আজকেই শুনলাম সুমিয়ান নামটা, বেশ খারাপ নাম তো সুমিয়ান, ঠিক আছে আমিও বলবো না সুমিয়ান। এটা কোনো নাম হল সুমিয়ান? কে কে বলিসরে সুমিয়ান? আর কেউ কখনও সুমিকে সুমিয়ান ডাকবি না? ঠিকাচ্ছে? সুমিয়ান নাম এখন থেকেই বাতিল, আর কে তো সুমিয়ান বলে ডাকবে না, কেউ সুমিয়ান বললে আমাকে বলবি, ওকে?" সুমি দাত কটমট করে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। ক্লাসের সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে!

"আজ আমার শেষ ক্লাস ছিল, জানো এটা ভাবতেও কেমন খারাপ লাগছে! মনে হচ্ছে এই সেদিনমাত্র ভর্তি হলাম আর আজ অনার্সের শেষ দিনে চলে এসেছি!" নাহিয়ান বললো। পাশে সুমি বসা। একটু নিশ্বাস নিয়ে সুমিকে বললো, "সুমি, অনেকদিন হল তোমাকে একটা কথা বলবো কিন্তু বলা হচ্ছিল না। অনেকবার বলার চেষ্টা করছি কিন্তু সাহস করতে পারি নি!" সুমি একটু একটু ধারণা পেয়ে গেছে সে কি শুনতে যাচ্ছে!
"তোমাকে প্রথম দেখি সেই গানের ক্লাসে, সেই থেকে খুব ভাল লাগতো তোমাকে, একটু একটু করে ভাললাগা এখন রীতিমত ভালবাসায় রুপ নিয়েছে। হ্যাঁ, আমি ভালবাসি তোমাকে। খুবই!"
দুইজনই চুপচাপ, নিরবতা। এরমধ্যে সাদিয়া আর আমির দেখল সুমি আর নাহিয়ান ভাই বসা! "দেখছিস, সুমিয়ান বললে প্রবলেম আর পাশাপাশি বসে আছে তাতে কোনো সমস্যা নাই!" সাদিয়া বললো। "এই জন্যেই তোদের নিয়ে আমি কখনও গবেষণা করি না!"
- আমাদের নিয়ে মানে?
মানে মেয়েরা কেমন, কি চায়, মনের ভাব ব্লা ব্লা ব্লা....

"তারপর? তোর উত্তর কি ছিল? কি বললি?" নূপুর বলে উঠলো! "উত্তর চায় নি সে, শুধু জানিয়ে দিয়েছে ভালবাসে! এরপর থেকে কেমন এক অজানা অনুভূতি কাজ করতো ভিতরে। সেটা এমন ছিল যে ওকে দেখলেই কেমন যেন মনে হতো হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে! বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে সে ভালবাসি বলার থেকে আমার সাথে আর কথা বলতে আসে নি! কেমন প্রেম বুঝলাম না। দেখা হতো কিন্তু কথা বলতো না সে! ফেসবুকে নানা রকমের স্ট্যাটাস পোস্ট করতো, লেখাগুলো পড়লেই বুঝতাম কতটা ভাবে সে আমাকে নিয়ে!
মাঝে মাঝে মনে হতো সে নিশ্চয়ই তার ক্লাসমেটদের বুঝাচ্ছে একটা মেয়ে তার সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে! কিন্তু ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার সময় এমন কোনো কথা আমার কানে আসে নি শুধু সুমিয়ান বাদে। তাও সেটা আগের মত কেউ আর বলে নাহ।"
নূপুর বললো, "মিস করিস তাকে?"
সুমি হালকা হেসে উত্তর দিল, "অসঙ্গায়িত"

পরেরদিন সকালে,
সুমির বাসায় খুশির আমেজ! পাত্রপক্ষ সুমিকে খুবই পছন্দ করেছে, সুমির বাবার সুবিধা অনুযায়ী দিন তারিখ ঠিক করার অনুরোধ জানিয়েছে! যৌতুক তো দুরের কথা, এক পয়সাও চায় নি তারা। তাদের আগ্রহ এমন যে পারলে আজই ঘরের বউ করে নিয়ে যায়!
এসব কথা শুনে সুমি অন্য রুমে চলে গেল। মন খুলে কাঁদতে ইচ্ছা করছে তার! নাহিয়ান যদি ভাল একটা চাকরি পেত, হয়তো তার সাথেই বিয়ের কথা বার্তা চলতো! বাবা তাকে জিজ্ঞেসও করেছিল পছন্দের কেউ আছে কিনা, প্রথমবার ভয়ে বলতে না পারলেও দ্বিতীয়বার হ্যাঁ বলেছিল সুমি! উত্তরে বাবা বলেছিলেন বাসায় নিয়ে আসতে। যখন নাহিয়ানকে বাসায় নিয়ে গেল পরিচয়ের জন্য, সুমির বাবা প্রথম দেখাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ছেলে চলবে না। কথাবার্তার লাগাম নেই, চুলের কাটিং ইত্যাদি সুমির বাবার মেজাজ চরম খারাপ করে দিয়েছিল। বাহ্যিকভাবে সেটা প্রকাশ না করলেও সুমি বুঝতে পেরেছিল সেদিন। "তুমি ভেব না তুমি আমার সামনে বসে তোমার অভ্যাস প্রদর্শণ করে আমাকে রাজি করিয়ে নিবে! তোমাকে একটা সুযোগ দিচ্ছি যদি তুমি চাও..." সুমির বাবার বক্তব্য। নাহিয়ান কথাটা শোনার পর বলল, "আপনার কোনো সুযোগ আমার লাগবে না আঙ্কেল! আমি আমার অভ্যাস বদলাতে পারবো না, আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো, আসি আজ।" এই বলে নাহিয়ান বিদায় নিল! সুমি বুঝতে পেরেছে নাহিয়ানকে জীবন সঙ্গী হিসাবে পাওয়া অসম্ভব।

"তাহলে শেষ কবে কথা হয়েছে?" নূপুরের প্রশ্ন।
- পরশুদিন রাতে,
- কি বলেছে?
- কষ্ট লাগছে কারণ সিগারেট খাওয়া শুরু করেছে আর নেশা তো আছেই!!
- বলিস কি?
- সেদিন নেশা করে আজেবাজে অনেক কথা বলেছে...
এই বলে কাঁদতে শুরু করলো আবার! চোখ মুছে বললো, "আমি একটা সিদ্ধান্ত নিছি, শুধু তোর হেল্প লাগবে। পারবি হেল্প করতে?" নূপুর কিছুটা আন্দাজ করে বললো, "পালাবি না তো?"
"ঠিক ধরছিস!" নূপুর বললো, "এটা পাগলামি ছাড়া কিছুই নাহ, ভাবতে পারছিস কি হবে তুই যদি পালিয়ে যাস? ননসেন্স স্টুপিডিটি!!"
"তো? তারা নিজেদের সম্মানের জন্য যেখানে খুশি সেখানেই বিয়ে দিবে?" "তোর এখন মাথা ঠিক নাই, আমি গেলাম ভাবতে থাক তুই.." এই নূপুর চলে গেল। সুমি ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো। ডায়াল স্ক্রিনে নাম্বার তুলে রেখেছে শুধু কলে ট্যাপ করার অপেক্ষা। সাহস পাচ্ছে নাহ! হঠাৎই ফোনটা বেজে উঠলো, স্ক্রিনে নাহিয়ানের নাম্বার!! খুব হাপাচ্ছে সে, নিশ্বাসও বারছে, স্বাভাবিক হতে পারছে না সে। শেষ পর্যন্ত কল রিসিভ করলো সে,
- আমি একটা চাকরি পাইছি, তুই কি এবার আসবি আমার সাথে?
সুমি কিছু বলছে না, চুপ করে আছে!
- কি রে সুমিয়ান, কথা বলবি না? বল না আসবো! তুমি অপেক্ষা কর...
অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকার পর কেঁদেই দিল সুমি! কান্নাজরিত কণ্ঠে বললো, "না, যাবো না..!"
"আমি জানি তুই যাবি, তোর ভিতরটা বলছে তুই যাবি শুধু অভিমানটাই বলছে তুই যাবি না.."
দুপাশের নিরবতা! "তুই কিছু বলছিস না কিন্তু বুঝতে পারছি তুই কাঁদছিস! তুই যাবি, আমার মন বলছে যাবি.." নাহিয়ান আবারও বললো, "আমরা কতচিন্তা ভাবনা করে রাখছি না আমাদের ভবিষ্যৎ কিভাবে সাজাবো? তুই কি সব ভুলে গেছিস?"
"হুম আমি যাবো, যাবো..."
উভয়েই হেসে দিল..
সুমির মনে এবার খুব শান্তি লাগছে। বারান্দায় গিয়ে দারালো, সকালের তীব্র তেজে থাকা সূর্যটা দেখছে সে! পরবর্তী জীবন ঝলমলে হওয়ার দিন হয়তো এখন থেকেই চলে এসেছে??


চলবে...


ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন..
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×