ভারতের.নিয়ন্ত্রনহীন অপকর্ম মানবতাবিরোধী অপরাধের বহঃপ্রকাশ হিসেবে বাংলাদেশী হ্যাকারদের সাইবার যুদ্ধ ন্যায় কি অন্যায়, তা জানিনে; কিন্তু ওরা দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়ে যা করছে এবং পা্লটা আক্রমন করেও ভারতের পরাজয়ের বিষয়টা আমি খুব এনজয় করছি। আপনারাও কি তা-ই??
.
সাইবারযুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে! আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশভিত্তিক ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপ বিএসএফের একটিসহ ভারতের প্রায় ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ওয়েবসাইটটি (http://www.bsf.nic.in) পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের হায়দরাবাদ থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ডেকান ক্রনিকল গতকাল এ খবর জানিয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় হ্যাকার ‘ইন্ডিশেল’ গোষ্ঠীর দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩০০ সাইটে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো সাইট আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্রনিকলের খবরে বলা হয়, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস গ্রুপ দাবি করেছে, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার প্রতিবাদে তারা এ কাজ করেছে। ফেসবুকে এই গ্রুপের একটি ফ্যানপেজে এক হ্যাকার লিখেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত বিষয় (শত্রুতা) নেই। কিন্তু বিএসএফের বর্বরতা এবং সর্বোপরি ভারত সরকার এটা করতে আমাদের বাধ্য করেছে।’
পত্রিকাটি বলেছে, ‘অপর একটি পোস্টে এক হ্যাকার লিখেছেন, ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সমর্থন করেছে। এখন তারা আমাদের হত্যা করছে। একজন ভণ্ড বন্ধুর চেয়ে একজন প্রকাশ্য শত্রু ভালো।’ অপর একটি পোস্টে এক পাঠক লিখেছেন, ‘আমি মৃত্যুর পরোয়া করি না। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ অব্যাহত রাখব।’
ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, বাংলাদেশের এই হ্যাকার গ্রুপটি ভারতের একটি জনপ্রিয় শেয়ার বাজারবিষয়ক সংবাদ ওয়েবসাইটও (http://www.paisacontrol.com) হ্যাক করেছে। অনেক ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর এই গ্রুপটি ওই সাইটে নানা ধরনের দাবি পোস্ট করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—‘বিএসএফ, সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধ কর।’ এছাড়া ‘থ্রিএক্সপিওয়ানআরথ্রি সাইবার আর্মি’ নামের একটি বাংলাদেশী হ্যাকার গোষ্ঠী ভারতের সাত শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বলে জানায় ডেকান ক্রনিকল।
খবরে বলা হয়, ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করার পর ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস লিখেছে, তারা এই হ্যাকিং উত্সব উদযাপন করছে। ভারতীয় হ্যাকার গোষ্ঠীর সদস্য অ্যাসেল ইন্ডিয়া ভয়ে সাইবার বিশ্ব ছেড়ে গেছে। তাই আমরা বলতে পারি, এই সাইবারযুদ্ধে ভারতের পরাজয় হয়েছে।’
বাংলাদেশী হ্যাকার পরিচয়দানকারীরা বলেছেন, বিএসএফের সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ও অত্যাচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশী হ্যাকাররা এই সাইবারযুদ্ধ শুরু করেছেন। টিপাইমুখ বাঁধসহ অন্যান্য বিষয়ের কথাও তারা বলছেন।
৯ ফেব্রুয়ারি ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েবসাইট ইউটিউবে ভারত সরকারের প্রতি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে ‘বিডি ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস’। ভিডিওতে মুখোশ পরা এক হ্যাকারকে যান্ত্রিক (রোবটিক) গলায় কথা বলতে দেখা যায়। তার বক্তব্য হলো, ‘হ্যালো বাংলাদেশের নাগরিকরা, আমরা বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস। এখন সময় আমাদের চোখ খোলার। বিএসএফ এক হাজারের বেশি বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে, তাদের গুলিতে আহত হয়েছে আরও ৯৮৭ বাংলাদেশী। অপহৃত হয়েছে হাজারো মানুষ। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তারা অবিচার করছে। সঙ্কটময় এ মুহূর্তে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে। আমরা চাই ভারত সরকার নিরপরাধ বাংলাদেশীদের হত্যা করা বন্ধ করুক। নতুবা আমরা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে সাইবারযুদ্ধ শুরু করব। এবং এটি চলতেই থাকবে।’
এদিকে ভারতের ‘ইন্ডিশেল’ হ্যাকার দল বাংলাদেশী সাইটগুলোতে আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় হ্যাকারদের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩০০ সাইটে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য কোনো সাইট আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ দেখুন তাহলে নিচের লিঙ্ক-- ক্লিক দিন
এখানেও ক্লিক দিন