মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একজন আরেকজনের বন্ধু। মু’মিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিধর্মীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বলেই গণ্য হবে।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল-মুহব্বত বা বন্ধুত্ব রাখবে সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
তাই মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যা পরিণতিতে খোদায়ী গযবে পরে হালাক হওয়ার কারণ।
কাজেই মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে কাফির-মুশরিক তথা তাবৎ বিধর্মীদের থেকে দূরে থাকা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একজন আরেকজনের বন্ধু। মু’মিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিধর্মীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বলেই গণ্য হবে।’ এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যারা শরীয়তের আদেশ লঙ্ঘন করে কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, মিল- মুহব্বত রাখবে তারা খোদায়ী গযবে পরে হালাক হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাফসীরে উল্লেখ করা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইউশা বিন নুন আলাইহিস্ সালাম উনার উপর ওহী নাযিল করলেন, ‘হে আমার নবী! আপনার উম্মতের মধ্যে এক লক্ষ লোককে ধ্বংস করে দেয়া হবে, তাদের মধ্যে ষাট হাজার লোক সরাসরি গুণাহে লিপ্ত (গুমরাহ)। তখন হযরত ইউশা বিন নুন আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, ‘আয় আল্লাহ পাক ষাট হাজার লোক সরাসরি গুণাহে লিপ্ত তাই তারা ধ্বংস হওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু বাকী চল্লিশ হাজার লোককে ধ্বংস করা হবে তার কি কারণ?” তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “যেহেতু তারা ঐ গুণাহে লিপ্ত লোকদের সাথে মিল-মুহব্বত ও উঠা-বসা করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাদেরকে গুণাহের কাজে বাধা দেয় না, তাই তাদেরকেসহ ধ্বংস করে দেয়া হবে এবং ধ্বংস করে দেয়া হলো।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে- গুনাহগার বা নাফরমানদের সাথে উঠা-বসা করলে ও মিল-মুহব্বত রাখলে যদি খোদায়ী গযবে হালাক হয়ে যেতে হয়, তবে যারা সরাসরি কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন,বদদ্বীনদের সাথে উঠা-বসা ও মিল-মুহব্বত রাখবে এবং অনুসরণ-অনুকরণ করবে তাহলে তাদের ফায়ছালা কি হবে? মূলত তাদের পরিণতি আরো কঠিন হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন তথা বিধর্মীদের সাথে আমলোক মিল-মুহব্বত রাখলে তারা তো ধ্বংস হবেই এমনকি আলিম-উলামারাও যদি কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখে তবে তারাও ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন বণী ইসরাইল পাপাচারে লিপ্ত হলো তখন তাদের আলিমগণ (প্রথম প্রথম) তাদেরকে এই কাজে বাঁধা দিলো কিন্তু তারা বিরত হলোনা। অতঃপর ঐ সমস্ত আলিমগণ তাদের সাথে উঠাবসা ও খানাপিনায় শরিক হয়ে পড়লো। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টিতে পড়ে তাদের পরস্পরের অন্তরগুলো পাপাচারে কুলষিত হয়ে গেল। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম উনার ও হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম আলাইহিস্ সালাম উনাদের মাধ্যমে তাদের উপর লা’নত বর্ষন করলেন। আর এটা এই কারণে যে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানিতে লিপ্ত হয় এবং সীমালংঘন করে। বর্ণনাকারী বলেন, এই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেলান দিয়ে বসেছিলেন; অতঃপর তিনি সোজা হয়ে বসে বললেন, ‘সেই পবিত্র সত্তার কসম! যার হাত মুবারক-এ আমার প্রাণ মুবারক, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার শাস্তি হতে রেহাই পাবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা যালিম ও পাপীদেরকে তাদের পাপকার্যে বাধা প্রদান না করবে।” (তিরমিযী, আবু দাউদ)
অর্থাৎ যারা হারাম কাজকে সমর্থন করবে ও হারাম কাজে মশগুল হয়ে যাবে এবং কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যারা অনুসরণ, অনুকরণ ও সমর্থন করবে এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব বা মিল-মুহব্বত রাখবে তারাও খোদায়ী গযবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যা পরিণতিতে খোদায়ী গযবে পরে হালাক হওয়ার কারণ।
কাজেই মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে কাফির-মুশরিক তথা তাবৎ বিধর্মীদের থেকে দূরে থাকা।
কারণ, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল-মুহব্বত বা বন্ধুত্ব রাখবে সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একজন আরেকজনের বন্ধু। মু’মিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিধর্মীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বলেই গণ্য হবে।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল-মুহব্বত বা বন্ধুত্ব রাখবে সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
তাই মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যা পরিণতিতে খোদায়ী গযবে পরে হালাক হওয়ার কারণ।
কাজেই মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে কাফির-মুশরিক তথা তাবৎ বিধর্মীদের থেকে দূরে থাকা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একজন আরেকজনের বন্ধু। মু’মিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিধর্মীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বলেই গণ্য হবে।’ এ আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যারা শরীয়তের আদেশ লঙ্ঘন করে কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, মিল- মুহব্বত রাখবে তারা খোদায়ী গযবে পরে হালাক হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাফসীরে উল্লেখ করা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইউশা বিন নুন আলাইহিস্ সালাম উনার উপর ওহী নাযিল করলেন, ‘হে আমার নবী! আপনার উম্মতের মধ্যে এক লক্ষ লোককে ধ্বংস করে দেয়া হবে, তাদের মধ্যে ষাট হাজার লোক সরাসরি গুণাহে লিপ্ত (গুমরাহ)। তখন হযরত ইউশা বিন নুন আলাইহিস্ সালাম তিনি বললেন, ‘আয় আল্লাহ পাক ষাট হাজার লোক সরাসরি গুণাহে লিপ্ত তাই তারা ধ্বংস হওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু বাকী চল্লিশ হাজার লোককে ধ্বংস করা হবে তার কি কারণ?” তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “যেহেতু তারা ঐ গুণাহে লিপ্ত লোকদের সাথে মিল-মুহব্বত ও উঠা-বসা করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাদেরকে গুণাহের কাজে বাধা দেয় না, তাই তাদেরকেসহ ধ্বংস করে দেয়া হবে এবং ধ্বংস করে দেয়া হলো।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে- গুনাহগার বা নাফরমানদের সাথে উঠা-বসা করলে ও মিল-মুহব্বত রাখলে যদি খোদায়ী গযবে হালাক হয়ে যেতে হয়, তবে যারা সরাসরি কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন,বদদ্বীনদের সাথে উঠা-বসা ও মিল-মুহব্বত রাখবে এবং অনুসরণ-অনুকরণ করবে তাহলে তাদের ফায়ছালা কি হবে? মূলত তাদের পরিণতি আরো কঠিন হবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন তথা বিধর্মীদের সাথে আমলোক মিল-মুহব্বত রাখলে তারা তো ধ্বংস হবেই এমনকি আলিম-উলামারাও যদি কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখে তবে তারাও ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন বণী ইসরাইল পাপাচারে লিপ্ত হলো তখন তাদের আলিমগণ (প্রথম প্রথম) তাদেরকে এই কাজে বাঁধা দিলো কিন্তু তারা বিরত হলোনা। অতঃপর ঐ সমস্ত আলিমগণ তাদের সাথে উঠাবসা ও খানাপিনায় শরিক হয়ে পড়লো। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টিতে পড়ে তাদের পরস্পরের অন্তরগুলো পাপাচারে কুলষিত হয়ে গেল। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম উনার ও হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম আলাইহিস্ সালাম উনাদের মাধ্যমে তাদের উপর লা’নত বর্ষন করলেন। আর এটা এই কারণে যে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানিতে লিপ্ত হয় এবং সীমালংঘন করে। বর্ণনাকারী বলেন, এই সময় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হেলান দিয়ে বসেছিলেন; অতঃপর তিনি সোজা হয়ে বসে বললেন, ‘সেই পবিত্র সত্তার কসম! যার হাত মুবারক-এ আমার প্রাণ মুবারক, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার শাস্তি হতে রেহাই পাবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা যালিম ও পাপীদেরকে তাদের পাপকার্যে বাধা প্রদান না করবে।” (তিরমিযী, আবু দাউদ)
অর্থাৎ যারা হারাম কাজকে সমর্থন করবে ও হারাম কাজে মশগুল হয়ে যাবে এবং কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যারা অনুসরণ, অনুকরণ ও সমর্থন করবে এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব বা মিল-মুহব্বত রাখবে তারাও খোদায়ী গযবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মুসলমানগণের জন্য কোনো অবস্থাতেই কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন, বদদ্বীন তথা বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। যা পরিণতিতে খোদায়ী গযবে পরে হালাক হওয়ার কারণ।
কাজেই মুসলমানগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে কাফির-মুশরিক তথা তাবৎ বিধর্মীদের থেকে দূরে থাকা।
কারণ, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল-মুহব্বত বা বন্ধুত্ব রাখবে সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।’
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৮:১০