somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘গুহা’ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চরিত্রের পরিচয় !

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গুহা’ যৌন বিশ্বাস, ব্যক্তি চিন্তার স্বাধীনতা, সমকালীন পীড়া ও নারীবাদ-নারী সামাজ চিন্তা ভিত্তিক একটি রোমান্টিক পত্রোপন্যাস...

‘গুহা’ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চরিত্রের পরিচয় !

ঋতু
পেশায় ব্যাংকার। একটি সরকারি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার। জেলা শহর পটুয়াখালিতে থাকে। তিন সন্তানের জননী। বর যৌন ক্ষমতাহীন পুরুষ। রুচি বাতিক প্রখর। পেশা ও ক্লাস মেনটেইন করতে চায় সবসময়। যে কারণে তার নিজের বাইরে প্রেম হয় না।

সেতু
বগুড়ায় থাকে। এনজিও কর্মি। সিঙ্গেল মাদার। বিকলঙ্গ এক সন্তানের জননী। চৌদ্দ বছর বয়সে মুয়াজ্জিন দ্বারা ধর্ষিত। প্রেম করে সন্তান জন্ম। সন্তানের বাবার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। সে দেশের বাইরে থাকে। স্বাধীন যৌনতায় বিশ্বাসী। সমাজকে অস্বীকার করে বাঁচার চেষ্টা তার।

রূপা
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের স্ত্রী। গৃহিনী। চট্টগ্রামে বসবাস। এক মেয়ের মা। অধ্যাপকের সাথে যৌন সম্পর্ক ভালো না। রূচিতেও বিস্তর ফারাক। ভীষণ আবেগি। হুটগাট প্রেমে পড়ে। দ্বিধা আছে কিন্তু যৌনতা তার পিছু ছাড়ে না।

শুভ্র
নেশায় ফটোগ্রাফার। স্বভাবে ভবগুরে। ঝালকাঠী জেলায় বাড়ি। ঢাকায় থাকে। ছয় মাস বয়সে তার মা অন্য পুরুষের সাথে চলে গিয়ে বিয়ে করে। তখন তার বাবা বিদেশে চাকুরি রত। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আপন ফুফাতো বোনের সাথে সেক্স হয় শুভ্রর। কিছুটা প্রেমও। পরি শুভ্রর দুধবোন। সেই থেকে শুভ্র’র নিষিদ্ধ সম্পর্ক শুরু। তারপর চলতে থাকে।

স্বাতী
শুভ্র’র বউ। পেশায় ডাক্তার। যে ব্যক্তিগত জীবনে ধর্ম বিশ্বাস না করলেও প্রেমাহত শুভ্রর প্রতি টান থেকে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে ধর্ম ত্যাগ করে চলে আসে। আবার পিএইচডি করতে বিদেশে চলে যায়। আর ফিরে না।

...........................
গুহা উপন্যাসটি অসাধারণ। সানাউল্লাহ সাগর বিংশ শতকের শেষ ভাগ ও একবিংশ শতকের শুরুর সময়ের কাছাকাছি কিন্তু দুই অচেনা মনোভাবনাকে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করেছেন তার উপন্যাসে। এমন কাজ বাংলা সাহিত্যে বিরল। এছাড়া আমাদের চিরচেনা প্রেমের অন্তর্মুখী অচেনা জগতের একটি দ্বার খোলার চেষ্টা লেখক করছেন, এটি আমার বেশ লেগেছে। এমন ভাবে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটকে সাহিত্যে তুলে আনাটা অনেক সাহসী পদক্ষেপ। যে কাজটিতে লেখক পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশেই সফল হয়েছেন। শুভ কামনা সানাউল্লাহ সাগরকে, এমন একটি উপন্যাস আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য।

-- সুজিত সজীব
গল্পকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

......................
আমি দলে দলে ‘গুহা’ কিনতে বলবো না। কারণ ‘গুহা’ সবার জন্য নয়। ‘গুহা’ অগ্রসর চিন্তার পাঠকদের বই। এ উপন্যাসের মধ্যে গতানুগতিক প্রেম, যৌনতা, অহেতুক গল্পের জন্য গল্প তৈরি করা চেষ্টা করা হয়নি। লেখকের নিজের বিশ্বাস-চিন্তাকে জোর করে কারো মধ্যে চাপিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করা হয়নি। ‘গুহা একজন শিল্পির খেলতে খেলতে তৈরি হওয়া সৃষ্টি। বাংলাদেশের নারীদের জন্য আমি বইটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ এখানকার নারীরা ধর্ম আর সমাজের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান দেয়ালে আটকে আছে। সেখান থেকে মুক্ত বিশ্বাস, মুক্ত চিন্তা, নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টা রয়েছে বইয়ের প্রধান নারী চরিত্রের মধ্যে। ইচ্ছা মতো পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দু-চার পাতা পড়ে সব নিয়ে নিবেন 'গুহা' এমন উপন্যাস নয়। ‘গুহা’ আবিষ্কার করতে হলে আপনাকে গুহার গভীরে নামতে হবে। ডুবতে হবে। হারাতে হবে...

- সানাউল্লাহ সাগর
...................................
গুহায় প্রবেশ করতে চাইলে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এ পাবেন অনুপ্রাণন প্রকাশনের ২৩১-২৩২ নম্বর স্টলে। এ ছাড়া ঘরে বসে গুহা সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন জনপ্রিয় অনলাইন বিক্রয় মাধ্যম rokomari.com / boibazar.com / anupranon.com

* গুহা [ পত্রোপন্যাস ] ১৮০ টাকা [২৫% ছাড়ে ]
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩২
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×