somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষকগো শাস্তি লইয়া কিছু কইতে চাই!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিক্ষকেরা শাস্তি না দিলে পোলাপান পড়াশুনা করবো না। এই ধারনা নতুন কিছু না। পুরাতন। পোলাপান শয়তানি করবো। ক্লাসে হুদাই হাসবো, গল্প করবো, হোম-ওয়ার্ক করবো না, পরীক্ষায় ফেল করবো। আর শিক্ষকরা চাইয়া চাইয়া এই বিষয়গুলা দেখবো। মোটেও তা হইতে দেয়া যায় না। স্যারগো হাতে বেত ছাড়া মানায়? বেত লাগবো। একদম জালি বেত।
আমার স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যার তার কলিগ-দের কইত, বেত দিয়া পাছায় মারবা। যাতে বাসায় যাইয়া দেখাইতে না পারে।
বাংলায় "পাছা" অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লজ্জাকর বিষয়। লজ্জাকর জায়গায় মারলে বেয়াদব পোলাপান মনে মনে কানবো। অপমানে হিমশিম খাইবো। কিন্তু বাসায় কইতে পারবো না। পুলিশের কাছেও যাইতে পারবো না। যদি যায়, তাইলে পাছা প্রদর্শন হইবো বহুবার। যেমুন: বাসায় বাপ-মা কইবো, দেখি বাবা কই মারছে?
তারপর ধরেন গেলো স্কুলে। কইবো, আপনেরা আমার পোলারে মারছেন। স্যার কইবো, প্রমাণ কই? তখন আবার পাছা দেখাও। এরপর ব্যাপারটা যদি মিমাংশা হয় তাইলে তো হইল-ই। আর যদি না হয়, তা হইলে পুলিশের কাছে যাইয়া জিডি। পুলিশ পাছার একটা ছবি তুলবো। আর মিডিয়ায় জানাজানি হইলে তো, ক্যামেরা লইয়া টিভির পর্দায় ভাইসা উঠবো পাছা।
তাই বুঝেন কি অবস্থাটা দাঁড়াইবো?
১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ কইরা কি লাভটা হইবো জানি না। আপনেগো নিম্নবর্ণিতভাবে শাস্তির নামগুলা কই।
‍"হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত, শিক্ষার্থীর দিকে চক বা ডাস্টারজাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা, আছাড় দেওয়া ও চিমটি কাটা, কামড় দেওয়া, চুল টানা বা চুল কেটে দেওয়া, হাতের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চাপা দিয়ে মোচড় দেওয়া, ঘাড় ধাক্কা, কান টানা বা ওঠবস করানো, চেয়ার, টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা, রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো, যা শ্রম আইনে নিষিদ্ধ।"
এইখানে এক অদ্ভুদ শাস্তি আছে। যা জীবনকালের এই মুহূর্ত পর্যন্ত শুনি নাই। তা হইল, কামড় দেয়া।
বাপরে বাপ। আমাগো স্যারেরা তাইলে মাঝে মইধ্যে কুত্তার কামটাও কইরা ফালায়। বড়ই লজ্জিত হইলাম এই জাতির অংশ হইয়া। যেই জাতির শিক্ষকেরা তার ছাত্ররে কামড় মারে।
এই শিক্ষানীতিতে বহু আইনের কাহিনী হইতাছে। ওমুক আইন, তমুক আইন। আমার একখান লেখা ছিল। যার শিরোনাম ছিল: শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের নীতির প্রসঙ্গ এসেছে কি?
শিক্ষকগো নীতির প্রসঙ্গ নিয়া বহু কথা চলে।
শিক্ষকগো কু-নজর বড় ভয়ানক। যার দিকে একবার কু-নজর দিয়া চাইবো সেই ছাত্রের খাতাতেও কু-নজর পড়বো। এই কু-নজর সামলানোর ব্যবস্থা কেমনে হইবো?
তবে কু-নজর ছাত্রের জন্য খারাপ। কিন্তু ছাত্রীর জন্য অইত্যন্ত ভালো। ছাত্রী যদি কু-নজরে মিষ্টি হাসে। তাইলে সেই হাসির প্রতিফলন পড়বো খাতার উপর। পরীক্ষার খাতাডা হাইসা উঠবো।
আমার লেখা কোন সমালোচনা না। কোন প্রশ্ন না। কোন উত্তরও না। একটু কনফিউশন মুলক লেখা। শিক্ষকগো নিয়া আমার অনেক ক্ষ্যাপা মনোভাব আছে। আমি এককালে ভাবতাম এনারা জাতির উন্নয়নের কারিগর। মানুষ তৈরী তাগো কাম। শুধু ক্লাসে পড়াইবো। আর চইলা যাইবো। এই বিষয়ে আমি বিশ্বাসী না। একজন ছাত্রের মনেও যদি কল্পনার রেখা টানতে ব্যর্থ হয় কোন শিক্ষক তাইলে বুঝতে হইবো শিক্ষকগো জীবনটাই বৃথা।
আজকে প্রথমআলোতে আনিসুল হক সাহেবের একটা লেখা ছাপছে। তিনি কইতে চাইছেন, মঙ্গলবারও হাসো। আনিসুল হকের লেখা পড়ার আগেই আমি প্রথমআলোর "শ্রেণীকক্ষে ১১ ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে না" নিউজটা পইড়া ফালাইছি। তাই মঙ্গলবার চা-য়ে চুমুক দিতে দিতেই হাইসা উঠলাম। আর কইলাম, আহারে আমার দেশ।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×