ভেবে ভেবে অবাক হতে হয়
কীর্তি তোমার স্বাধীন বাংলাদেশ—সারা বিশ্বের বিষ্ময়!
এমন তরো স্বপ্নের বাস্তবায়ন
কেহ আগে কী পেরেছে অথবা পারবে? পারবে না নিশ্চয়
তোমার কারণেই স্বাধীন বাংলার লাল—সবুজ পতাকা
আজি পত পত করে উড়ে ,
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে স্বদেশ— বিশ্বের দরবারে ।
পাক হানাদার বধ মহাকাব্য
সে তোমার একান্ত অধিকারে।
তুমি ভালোবেসেছিলে —স্বদেশ মাতৃভূমি,
তুমি ভালোবেসেছিলে সুপ্রিয় বাংলাভাষা;
এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ,
মাটি-পানি-বাতাস, মৃত্যুহুলিয়া চুমি ।
মুজিব তুমি এদেশের জন্য অকূতভয়;
—বারবার কারাগারে,
মুজিব তুমি দিকবিজয়ী দূরন্ত-দূর্বার আন্দোলনে সংগ্রামে।
মুজিব তুমি যুদ্ধে যুধিষ্ঠির,
মুজিব তুমি জয় করিয়াছো হৃদয়
সাড়ে সাত কোটি— বাঙালির ।
মুজিব তুমি জয় করেছো বিশ্ব বিবেক বিশ্ব ধরিত্রীর,
মুজিব তুমি সারা পৃথিবীর বুকে— এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত;
বাংলা মায়ের গর্ব —চির উন্নত এক শির।
মুজিব তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী উত্থিত তর্জনী
অজেয় অক্ষয় ,
কীর্তি তোমার স্বাধীন বাংলাদেশ— সেই কথাই কয়।
বঙ্গবন্ধু তুমি ছিলে ,আছো —যুগে যুগে থাকবে
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তোমায় তোমারি জন্ম শতবর্ষে ।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি। আজকের এই দিনে তার দেয়া মাত্র আঠারো মিনিটের সেই ভাষণ যার সমাপ্তি “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম! এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!! জয়বাংলা।” যেন রাজনীতির মঞ্চে একজন কবির সরচিত কবিতা পাঠ বিশাল জনসমুদ্রে উত্তাল ঢেউ তুলেছিল । রক্ত যখন দিয়েছি আরও রক্ত দেবো তবু এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর উত্থিত তর্জনী জাতির জনকের চির চেনা পৌরুষদীপ্ত কন্ঠ অনন্য অসাধারণ। ফগুণের উত্তাল হাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণ বিশ্বের দরবারে যেন এক স্বর্ণালী অধ্যায়। মুজিববর্ষ পালিত হচ্ছে । বঙ্গবন্ধু নিয়ে উন্মাদনা থাকবে উৎসব হবে গল্প কবিতা গান রচিত হবে নির্মাণ হবে চলচ্চিত্র। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নগুলির বাস্তবায়নের সুদৃঢ় প্রত্যয় আকাশে বাতাসে ধ্বণিত হবে সেটাই হবে এসময়ের আরাধনা। বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু অনন্য উচ্চতায় কোন স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যেন তার টিকিটিও স্পর্শ করতে না পারে। সত্যি ৭ মার্চ বাঙালির ইতিহাসে এক মহেন্দ্র ক্ষণ। মহেন্দ্র এই ক্ষণে এই নবীশ কবি সেলিম আনোয়ার রাজনীতির কবি খ্যাত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বিনম্র শ্রদ্ধা হে স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ।
বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর তথা জিএসবি মুজিব বর্ষ উৎযাপনে নিবেদিত। আমরা এখন মুজিব বর্ষের শেষ প্রান্তে। জিএসবি শেষ দশদিনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশ উৎসব মুখর আয়োজনের মাধ্যমে মুজিব বর্ষের সফলতা সুনিশ্চিৎ করবেন। মুজিব বর্ষ সত্যিকার সফলতা লাভ করবে যেদিন বাংলাদেশ স্বনির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রহিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের অগ্রজদের সঙ্গে নিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বঞ্চনামুক্ত একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে ব্রত হয়ে যেন মুজিব বর্ষ যথার্থ অর্থবহ করে তুলতে পারি।
ছবিঃ নেট থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৪