সৈয়দ বংশের জাতক/জাতিকাদের প্রতি কিশোরের এক আলাদা দূর্বলতা আছে। এই বংশের কারো প্রতি অসম্মান দেখলে কেন যেন তার মন বিদ্রোহী হয়ে উঠে, আজও! কেন এমন হয়? এটা সত্যিই কি মহানবী (সা)-এর প্রতি সম্মান থেকে? নাকি...্কিশোর পাশার সাথে যার বিয়ে হবার কথা ছিলো, তিনি একজন সৈয়দা, সেজন্যে?....ভাবছি। বিয়ের কথা-বার্তা তো অনেকেরই সাথে হয়। কিন্তু, যদি সেই কথা-বার্তা চলে এমন একজনের সাথে যার সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছে, তাহলে তো কথাই নেই! আমার বন্ধু কিশোরের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছিলো। যদিও সেই মেয়েটার সাথে আমার বন্ধুর বাস্তবে কখনো দেখা হয়নি।
কিশোরের নিজের বংশ মর্যাদা খুব নীচু শ্রেণীর। তারা হয়তো শুদ্র শ্রেণী থেকে মুসলমান হয়েছে। অন্ততঃ তার বাবাকে দেখে তা-ই মনে হতো। ভীমসে কালো ছিলেন তিনি। যদিও কিশোরের ফুফুরা সবাই-ই টকটকে ফর্সা। সেটা হয়তো ্তার দাদীর কারণে। কিশোরের মা, আমার আন্টি, বলেন- তার দাদার দাদারা মিরাশ তালুকদার ছিলেন। যদিও কখনো তাঁরা এই টাইটেল ব্যবহার করতেন না। আর, হয়তো বেশি শিক্ষিত হয়ে দাদাদের 'উল্লাহ' আজ তাদের নামের সাথে নেই! কথা সেটা না!
আসলে, কাউকে বংশ নিয়ে কথা বলতে দেখলে আমাড় বন্ধুর খুব গায়ে লাগে। কিশোরকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো- তোমার বাপ-দাদার বংশ কি? সে বলেছিলো- তাঁরা একজন নবী'র বংশধর। কোন নবী'র? তার বিলকুল উত্তর- তাঁরা ছিলেন হযরত আদম (আ)-এর সরাসরি বংশধর!
সেই নিচু বংশের মানুষ হয়ে উঁচু বংশধরদের ভূমি ইংল্যান্ডে পড়ার পাঠ শেষ করতে গিয়েছিলো সে। কয়েকটি দেশ সফর করেছে। কয়েকটি ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরীও করেছে। অনেক মানুষের সাথে যোগাযোগ ঘটেছে, সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। কিন্তু, সৈয়দ বংশের কাছে দাগা খাওয়ার ঘা এখনও শুকায়নি। যদিও সে জানে, আহলে বায়াতদের সম্পর্কে মনে যদি কারো একটুও বিদ্বেষ থাকে, সে ব্জীবনে সফলকাম হবে না।
আল্লাহ আমাদের সেই বিদ্বেষ থেকে রক্ষা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০২