নির্দেশিত আদেশ
শেখ জাকারিয়া
কবিতা লিখতে হয়, তাই কবিতা লিখছি
কিন্তু এমন করে তো ভাবিনি
কবিতা লিখতেই হবে-
সস্তা দরেই হোক আর উঁচু দরেই…..
মরণোন্মুখ যুদ্ধের ডামাডোলে
আমার এক ছোট্ট সওয়াল-
অগ্নিঝরা রক্তাক্ত প্রান্তর ঘিরে..
দেহের ভেতর দেহ ছাড়া কি থাকে;
কেউ কি বলতে পারো?
প্রশ্ন শুনে হয়তো কেউ কেউ বলবে;
আরে, বোকারাম! এটা কোন প্রশ্ন হলো-
সহজ কথা, এটাতো সবাই জানে- আত্মা,রুহ,সুয়া ময়না
কিংবা ইচ্ছে পাখি- যার যার মতো করে
কিন্তু আমি কি বলি জানো.. ?
এটা যে তার নির্দেশিত আদেশ
যিনি নাটাই, হাতে রেখে
ঘুড়ি আকাশে ছেড়েছেন ইচ্ছেমতো উড়ার জন্য
যিনি পুতুল বানিয়ে
ব্যাটারি ভরে দিয়েছেন ইচ্ছে মতো নাচার জন্য
এরকম প্রতিটি মানব দেহে রয়েছে
একটি সুশৃংখল নির্দেশিত আদেশ
যা ফিরিয়ে নিলেই মানব হয়ে যায় মরদেহ
সময় যত গড়ায় মরদেহ পচে দূর্গন্ধ বের হয়
মানুষ তখন মরদেহ গুলিকে
অতিদ্রুত মাটির ভেতর সমাহিত
কিংবা চিতায় পুড়ানোর ব্যাবস্থা করে ...
আজ, বুকের জমিনে যে খেলা চলছে
তা-তো তার খেলা নয়;
সেটা যে তার সৃষ্টির হিংসাত্মক মরণ খেলা
এ যে নীতি বর্হিভূত অমানবিক নির্দেশনা
যদি এই নির্দেশিত আদেশ বন্ধ না হয়
যদি মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে না পড়ে
দেখবে বুকের জমিন, ঢেকে গেছে গভীর অন্ধকারে
তাই এখনও সময় আছে,
জেগে উঠ মনের সকল ঘৃণা দূর করে;
একবার নিক্ষেপ কর ঘৃণার উপর মুখের থুথু,
দেখবে সকল অশান্তি,
সকল অমানবিক নির্দেশ; ঢেকে গেছে থুথুর ভেতরে……………..
০৪.০৩.১৩