somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্তর্জাতিক ভদ্রবেশী অপরাধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ভদ্রবেশী সন্ত্রাসবাদিতা (২য় পর্ব)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথিত সমর্থন কে কাজে লাগিয়ে এ যুদ্ধ চালাচ্ছে এবং এক ধরণের প্রতারণা, শঠতা ও প্রগলভতার মাধ্যমেই এ সমর্থন আদায় করেই তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করছে। তাই এটা নিঃসন্দেহে ভদ্রবেশী অপরাধই বটে। অন্তত ভদ্রবেশী অপরাধের সংজ্ঞা তাই বলে। অথবা আমরা ৯/১১ বিষয়ে পিটার জোসেফের উত্থাপিত প্রশ্ন সমুহ বাদ দিলেও ইরাকের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে শেষ পর্যন্ত সেখানে কোন গণবিদ্ধংসী অস্ত্র ছিল না অথচ এর জন্যই সেখানে হামলা চালানো হয়েছিল।
আমরা সেই সভ্যতায় বাস করছি যেখানে সেই আদিম যুগের মত ধর্ম ও জাতিগত দাঙ্গা প্রকট আকার ধারণ করে আছে।
৯/১১ কে কেন্দ্র করেই আফগান যুদ্ধের সুত্রপাত এবং মানবজাতির জন্য হুমকী এমন অস্ত্রের মজুদ থাকার কারণে ইরাক আক্রমণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও শান্তি রক্ষার জন্যে নিবেদিত প্রাণ যা সে বিশ্ববাসীকে বারেবারে বুঝাতে চেয়েছে এবং ব্যর্থভাবে প্রমাণ করতেও মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা যদি পিটার জোসেফের উপস্থাপিত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখি, যদি আমরা ধরে নেয় যে ৯/১১ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নিজেদের পরিকল্পিত হামলা। তাহলে আমরা এটাও অনায়াসে বলতে পারি যে ৯/১১ কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধ পরিচালিত হল, হত্যা করা হল হাজার হাজার নারী ও শিশু, অসহায় সাধারণ মানুষ, গৃহহীন হয়ে পড়ল অসংখ্য মানুষ, একটা রাষ্ট্রের যে অবকাঠামো ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ল এবং এবং এটাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে তার স্বার্থ হাসিল করল এটাই তো আন্তর্জাতিক হোয়াইট কলার ক্রাইম, এবং এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্রবেশী সন্ত্রাসবাদিতা (International white coller crime terrorism)।
সত্যি বলতে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করে চলেছে বিশ্ববাসীর বুঝতে বাকী নেই যে, এটি আসলে এক ধরণের শঠতা, ধোঁকাবাজি এবং নগ্ন মিথ্যারই চর্চা। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আমেরিকা মিথ্যের প্রতি আসক্ত (addicted to lying) হয়ে গেছে। আমেরিকা তার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মুসলমানদের ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদকে একটা পলিটিক্যাল প্রপাগান্ডায় পরিণত করেছে। ৯/১১ কে কেন্দ্র করে আমেরিকা তার জনগণের মিথ্যাশ্রয়ী সমর্থন কে কাজে লাগিয়েছে বিশ্বজুড়ে তার শক্তিমত্তার প্রদর্শন ও খবরদারি পাকাপোক্ত করে একনায়কতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা কায়েমের অভিলাশে যেমনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে হিটলার করেছিল ইহুদীদের বিরুদ্ধে যা করছে বর্তমান আমেরিকা। এখানে হিটলার আর জর্জ বুশ ও তার উত্তরসূরী বারাক এইচ ওবামার মধ্যে পার্থক্য খুব কম।
৯/১১ পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা ভয়ানকভাবে নিগৃহীত হয় নানা ক্ষেত্রে। বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়ে, চাকরি প্রাপ্তিতে, বহির্গমনের ক্ষেত্রে তারা মারাত্মকভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়। এছাড়াও তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ আইনের খড়্গ তো রয়েছেই। নর্দার্ন ভার্জিনিয়ার সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বিষয়ক আইনজীবী শেল্ডন কোহেনের বক্তব্যে তা সুস্পষ্ট প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “Today, Muslims are more likely than Jews to lose security clearances. I am finding discrimination against Muslims because of their religion and because of Islamophobia and I find no evidence of anti-Semitism today”.
এক্ষেত্রে নোয়াম চমস্কি, রবার্ট ফিস্ক, পিটার জোসেফ ও এডওয়ার্ড সাইদ এর অন্যরা নিজেরা যেমন মহাভাগ্যবান তেমনিভাবে মুসলমানদের জন্যেও এটা ভাগ্যের ব্যাপার যে তারা মুসলমান নয়। এটা এ জন্য যে তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে (প্রকৃতপক্ষে একজন মিথ্যেবাদী ও অপরাধীরই বিপক্ষে) যা বলেন তা মুসলমানদের মধ্যে থেকে যদি কেউ একজন বলতেন তবে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “muslim terrorist” হিশেবে আখ্যায়িত করত।
৯/১১ রহস্য, পিটার জোসেফ ও Zeitgeist আন্দোলনঃ পৃথিবীটা পুরোটাই নাট্যমঞ্চ, আমেরিকা সেখানে অভিনেতা, দর্শক বাকি বিশ্ব
অগাস্টের প্রথম দিকে সি আই এ হোয়াইট হাউস এবং আর আর অন্যান্য উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে জানিয়ে রেখেছিলেন যে, ওসামা বিন লাদেন খুব তাড়াতাড়ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরণের হামলা করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে নিউজউইক এর সেপ্টেম্বর ২৪তম সংখ্যায় একটা বিস্ময়কর, চমকপ্রদ এবং অনেকটা গুপ্ততথ্য ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটা ছিল এরকম- “on September 10, ‘A group of top Pentagon officials suddenly canceled travel plans for the next morning, apparently because of security concerns”. এর অর্থ কী আমরা বলব যে, হোয়াইট হাউস এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর আর অন্যান্য উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাগণ ৯/১১’র হামলার বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। মোদ্দাকথা, এটা ছিল তাদের জানা কথা। এমন কী তারা হামলার সঠিক সময় ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কেও যথেষ্ট ভালোভাবে জানতেন। কিন্তু তারা হামলা ঠেকানোর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং নিজেদের বাঁচাতে সব রকমের বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন। আরও খুব ভালোভাবে বলা যায় এ হামলা ঠেকানোর কোনোরূপ ইচ্ছাই তাদের ছিল না। এটা কী এ জন্য যে, এটা ছিল তাদের নিজেদের ইচ্ছাকৃত হামলা (inside job or preplanned attack)?
“Zeitgeist: The Movie” পিটার জোসেফ পরিচালিত একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। ফিল্মের তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথমাংশে খৃস্টান ধর্ম, দ্বিতীয়াংশে ৯/১১ হামলার আগে ও পরের কিছু ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে ৯/১১’র হামলার ক্ষেত্রে conspiracy theory ’র ব্যবহার নিয়ে পিটার জোসেফ আলোচনা করেন এবং তৃতীয়াংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী নিয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয়াংশে যার শিরোনাম “All the World’s a Stage” ৯/১১ হামলার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “the September 11 attacks were either orchestrated or allowed to happen by elements within the United States government in order to generate mass fear, initiate and justify the War on Terror, provide a pretext for the curtailment of civil liberties, and produce economic gain”.
পিটার জোসেফ অভিযোগ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে এ হামলার আগাম তথ্য ছিল। তারা বিষয়টা ভালোভাবেই জানত এবং হামলার লক্ষ্যেই মার্কিন সেনাবাহিনী অতি সতর্কতার সাথে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই বিমান পাঠায়। আর হামলার পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করার জন্যে WTO ‘র ১, ২ ও ৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের উপর বিমান হামলা চালানো হয়।
ফিল্মের দ্বিতীয়াংশে আমরা দেখতে পাই, মার্কিন সরকারই নিউইয়র্কে ৯/১১ হামলার নকশা প্রণয়ন করে এবং এই নোংরা কাজটা তাদেরই ভাড়া করা প্রশিক্ষিত জনবল দিয়েই সম্পাদন করে। মুভিতে এ বিষয়ে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেয়া হয় কিছু ভিডিও ক্লিপ্সের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে- “TV clips of witnesses describing a second explosion”, “the questionable government efforts to hide any conclusive evidence of a Boeing 757 hitting the Pentagon” এবং “the perplexing the demolition-like accuracy with which the buildings collapsed”. এছাড়াও হামলার আগে-পরে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা রয়েছে যা মুভিতে “a series of facts” শিরোনামে আলোচিত হয়েছে এবং এ বিষয়গুলো সত্য অথবা অন্ততপক্ষে বিশ্বাসযোগ্য। অবশ্য এ মুভিকে নানাদিক থেকে "internet nonsense" বলে সমালোচনা করা হয়, কিন্তু সমালোচনাগুলো মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে নয়। অন্যদিকে রাশিয়ান ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রকার Dmitri Bushny রাশিয়ান সাপ্তাহিক “Literaturnaya Gazeta” তে পিটার জোসেফের প্রশংসা করেন এবং লিখেন, “ এ মূভিতে পিটার জোসেফ ৯/১১ হামলার অফিসিয়াল নথিপত্র একেবারে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করেন। Dmitri Bushny পিটার জোসেফের পক্ষাবলম্বন করে বলেন "there is no distortion in putting forward rational questions and trying to answer them. This is done persuasively, and no perception of underhand shuffling or manipulation arises."
এই মুভির গ্রহণযোগ্যতা এখানে যে, পিটার জোসেফ অন্তত এই হামলার সত্যাসত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
৯/১১ আসলেই কী ভেতর থেকে সংঘটিত ঘটনাঃ প্রফেসর স্টিভেন জোন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় পদার্থ বিজ্ঞানী। স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীদের অভিযোগ হচ্ছে, নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলা কোনও যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল আসলে ভেতর থেকেই সংঘটিত একটি পরিকল্পিত হামলা। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক জোন্স বলেন, বিধ্বস্ত টুইনটাওয়ার থেকে সংগৃহীত ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা শেষে প্রমাণিত হয় যে সেখানে প্রকৃতপক্ষে দালান ধ্বসিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় এমন বিস্ফোরক ব্যবহারের সুনিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে। জোন্স মনে করেন আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এ হামলার পরিকল্পনা করেছে আর ১৯ জন ছিনতাইকারী এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এমনটি আসলে হতে পারে না। আমরা সরকারের এই ধারণা ও প্রচারণাকে সঠিক প্রমাণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। জোন্সের মতে, আমরা যা দেখেছি, বিমান দুটি যেভাবে টাওয়ারে আঘাত করেছে তাতে টুইনটাওয়ার এভাবে ধ্বসে যাওয়া একেবারে অসম্ভব।
বিবিসি ও ইসলাম অনলাইনের খবরে আমরা দেখেছি ৯/১১ এর পরপরই লাদেনকে গ্রেফতার বা হত্যা করার মতো সুযোগ মার্কিন বাহিনী পেয়েছিলো। যদি টুইনটাওয়ার হামলার নেপথ্যে নায়ক যদি বিন লাদেনই হয়ে থাকেন তবে তাকে মার্কিন বাহিনী গ্রেফতার বা হত্যা করার মতো সুযোগ পেয়েও কেন তাকে ছেড়ে দিলেন? আরো বিষ্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বুশ ৯/১১ হামলার আলাদা তদন্তে বিরুদ্ধে প্রচণ্ড রকমের বাঁধা প্রদান করে বলে অভিযোগ করেন বুশের ডেমোক্র্যাট চ্যালেঞ্জাররা। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন যে, ৯/১১ হচ্ছে একটি পরিকল্পিত হামলা। এটি একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। যুক্তরাষ্ট্র যা বলেছে তা চরম মিথ্যে কথা। তিনি একেবারে জোর দিয়েই বলেছেন, পেন্টাগনে প্রকৃতপক্ষে রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিলো, বিমান হামলা নয়। কারণ সেখানে বিমানের যাত্রীদের কোনও চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “Open”. “Open” এর দাবি হচ্ছে বিমানের নাক বিল্ডিং ছোঁয়ানো মাত্রই একটা বড় রকমের বিস্ফোরণ ঘটে ককপিটে। এটা কেন? বিমানে জ্বালানি পেট্রল তো থাকে পেছনের দিকে। তাহলে কী বিমানের ককপিটে এমন কিছু থাকতে পারে যে সেখানে এমন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। “Open” এর আরও দাবি, ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ারেই বিমান আঘাত হানার আগ মুহুর্তেই একেবারে একই রকমের আগুনের ঝলকানি দেখা গিয়েছিল। সত্যি বলতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছাড়া এতটা নিয়ন্ত্রিত মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো অসম্ভব। তাহলে কী বিমানের লেবাসে সেটা ছিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা? “Open” এর সদস্যদের মধ্যে আছেন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ, এমন কী নোয়াম চমস্কি ও পিট সিগার এর মতো লোকজন।
৯/১১ এর দশম বার্ষিকীতে আমরা দেখতে পাই, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পত্র পত্রিকাগুলোতেই রিপোর্ট করা হয়েছে যে টুইনটাওয়ার হামলার পেছনে সি আই এ’ র হাত থাকতে পারে। অন্যদিকে মন্ট্রিল, কানাডা থেকে প্রকাশিত “দি গেজেট” পত্রিকায় তো ডেভিড গোল্ডস্টেইন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকেই অভিযুক্ত করেছেন টুইনটাওয়ার হামলার জন্য এবং এ ক্ষেত্রে লাদেনকে এ দায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন। ডেভিড অনেকগুলো বাস্তবসম্মত যুক্তি, প্রমাণ ও তর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে দাবী করেছেন, এ হামলা কোনোভাবেই লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এ হামলা ঘটানোর পেছনে বুশের অনেক উদ্যেশ্য ছিল বলেই বুশ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সুতরাং টুইনটাওয়ার হামলা কী সন্ত্রাসী হামলা না খোদ মার্কিনীদেরই ভেতর থেকে ঘটানো একটা পরিকল্পিত হামলা যার রেশ ধরে এতো যুদ্ধ, প্রাণক্ষয়, রক্তপাত, ধংসলীলা। যদি তাই হয় তাহলে এরচে’ বড় কোনও ভদ্রবেশী সন্ত্রাসবাদীতার নজীর আর নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×