সিলেট পুন্যভুমি, সিলেটের মানুষ ধর্মপরায়ন, সব অর্থমন্ত্রীগুলো ছিলো সিলেটের, এখন বিদেশমন্ত্রী সিলেটের; সেক্রেটারীদের সংখ্যা সব সময় সিলেটের বেশী ছিলো; বিদেশ থেকে পাউন্ড, ডলার আসে বস্তায় বস্তায়। ওখানে বন্যা হলেও, সিলেটবাসীরা উহা কাটিয়ে উঠবে সহজেই।
আপনারা, ব্লগারেরা এতদিনে বন্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চয় জেনে গেছেন। ইহা আল্লাহের গজব নয়; মনে হয়, ইহা জলবায়ু সমস্যার জন্য হচ্ছে। ইহা যে আসছে, সামুর ১ জন ব্লগার ( কানাডার পলাশ সাহেব ) ২ সপ্তাহ আগে বলেছেন; তিনি বলেছিলেন, "বৃষ্টি-বলয় রিমঝিম আসছে আমাদের এলাকায়, উহার কলসীতে অনেক পানি, সেগুলো বাংলাদেশে ঢালা হবে, অনেক কদমফুল ফুটবে"।
১৬ ও ১৭ই জুনে ভারতের মেঘালয়ে যথাক্রমে ৮১২ মিলিমিটার ও ৯১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে; জুনমাসে মেঘালয়ে ৪০০০ মি: মিটারের বেশী বৃষ্টি হয়েছে; ইহা ১২২ বছরের রেকর্ড ভংগ করেছে; একই সময়ে আসামে ভয়ংকর পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে, সব পানি ভাটির দিকে নেমে এসেছে, এবং আরো নাকি আসবে; মেগালয় ও আসাম অনেক উঁচু, সিলেট ভাটিতে, এবং এই জেলার একাংশ সমতল; এখানে এসে পানি কিছুটা থিতু হয়েছে, নীচের দিকে যাচ্ছে মন্দ গতিতে, ইহাই বন্যার কারণ।
সিলেটে যেই গতিতে পানি প্রবেশ করেছে, সেই গতিতে পানি নীচের দিকে সরতে পারেনি; সিলেট থেকে পানি ভাটির দিকে যেতে যেসব বাধা আছে, সেগুলো দেশের ভুমি বিভাগের ইন্জিনিয়ারেরা ও জিওজিষ্টরা জানেন, কিংবা জানতে চাইলে জানতে পারবেন।
আমি আমাদের জিওলোজিষ্ট ও বিরহী কবি, সেলিম আনোয়ার সাহেবকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করেছি, উনি কারণগুলো জানেন; সম্ভবত, সমাধানও জানেন; তবে, উনার কিছু সমস্যা আছে, উনি কবি মানুষ, বৃষ্টি ভালোবাসেন। উনি যদি সাম্প্রতিক সময়ের জিওলজিক্যাল ম্যাপ দেখাতে পারেন, আমরা বুঝতে পারবো কোথায় কোথায় খাল কাটতে হবে; তখন জেনারেল জিয়ার লোকদের লাগায়ে দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২২ রাত ১:২৩