**** আমার কমেন্ট ক্ষমতা নেই। ****
পুটিন যতদিন রাশিয়ার ক্ষমতায় আছে, ইউক্রেন তার হারানো অন্চল কোনভাবে ফেরত পাবে না, বরং আরো কিছুটা হারাবে; এবং যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয়ের সম্ভাবনা শুন্যের ঘরে। দখলকৃত অংশকে ভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। পুটিন যদি ইউক্রেনে এটমবোমা ব্যবহার করে, রাশিয়ান সেনাবাহিনী কি পুটিনের বিপক্ষে চলে যেতে পারে? ন্যাটো কি সেটা পরখ করে দেখতে চায়? বাইডেন ভয় দেখাচ্ছে, যদি ইউক্রেনে এটমবোমা ব্যবহৃত হয়, তা'হলে পুটিন এমন কিছু দেখবে যা' মানবজাতি চিন্তাও করতে পারবে না! ইহা কি আসল কথা, নাকি কথার কথা, নাকি পুটিনকে রাগান্বিত করার চেষ্টা? আমেরিকা কি ইউক্রেনের জন্য বিশ্বযুদ্ধে নামবে?
ন্যাটো পুটিনকে এমন এক পরিস্হিতির মাঝে নিয়ে যাচ্ছে, পুটিন হয়তো ইউক্রেনে সীমিত ক্ষমতার এটমবোমা ব্যবহারে বাধ্য হবে। ন্যাটো কি ইহাই চাচ্ছে? ন্যাটো কি ভাবছে যে, রাশিয়ান বাহিনীর বড় অংশ কোনভাবেই ইউক্রেনে এটমবোমার ব্যবহার মেনে নেবে না, বোমা ফেললে সৈন্য বাহিনী পুটিনের কমান্ড মানবে না; তখন পুটিনকে সরে যেতে হবে! পুটিন সরলে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হবে?
পুটিন ইউক্রনের যতটুকু দখল করেছে, ইহা ধরে রাখতে হলে আরো জনবলের দরকার; পুটিন নতুন করে ৩ লাখ রিজার্ভকে সেনা বাহিনীতে নেয়ার প্ল্যান ঘোষণা করেছে। বর্তমান অবস্হায়, ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়ায় ৩ লাখ যুবক রিজার্ভ পাবার সম্ভাবনা অনেকটা নেই বললেই চলে; পুটিনকে হয়তো আইনের সাহায্য নিতে হবে, যুদ্ধে যেতে বাধ্য করার সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনার কথা মনে রেখে, দেশের অনেক তরুণ রিজার্ভরা দেশ ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। মনে হয়, সেখানে তাদেরকে ন্যাটো আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে।
তবে, পুটিন মধ্য-বয়সী ও অপেক্ষাকৃত বেশী বয়সের মানুষ পাবে, যারা রাশিয়ান জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে; এদেকে ভালুকের সাথে তুলনা করা হয়, এরা চুপচাপ আছে; কিন্তু জেগে উঠলে ন্যাটোর খবর হয়ে যাবে। বেশহিরভাগ রাশিয়ানরা কোন অবস্হায় রাশিয়ান বাহিনীর পরাজয় মেনে নেবে না, দরকার হলে তারা যুদ্ধে যাবে, যা হবার তা' পরে হবে। ন্যাটো যেই পরিস্হিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, উহা কি ছক অনুযায়ী কাজ করবে? পুটিন কি এসব সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছে না?
এটমবোমা ব্যবহারের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য ন্যাটো ইউক্রেনকে দরকারেরও বেশী অস্ত্র দিয়ে পুটিনকে ক্ষেপাচ্ছে, সাথে সাথে ন্যাটো 'ভাড়াটিয়া সৈন্য' পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে। বিদেশে অবস্হিত অনেক ইউক্রেনবাসীকে তারা টাকা দিয়ে কিনছে; এর বাহিরে, পুর্ব ইউরোপে টাকার বিনিময়ে যুদ্ধ করার লোকের অভাব নেই।
যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার মানুষ কিছুটা বিভক্ত: একটা অংশ হতাশ, তারা বুঝতে পারছে না, কেন রাশিয়ান বাহিনী ভালো করছে না, কেন জয়ী হতে পারছে না? অন্য অংশ মনে করে যে, তাদের সিষ্টার জাতিকে এভাবে ধ্বংস করা ঠিক হচ্ছে না, পুটিন অন্যায় করছে। তবে, পুটিনের থামার কোন লক্ষণ নেই।