আজকে ব্রাজিলের খেলার পর, টেলিভিশনের সংবাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন, ১০ তারিখ থেকে দেশ বেগম জিয়ার হুকুমে চলার কথা আছে।
বেগম জিয়া বিএনপি'র সেক্রেটারীর পদটা তারেক জিয়াকে দিতে চেয়েছিলেন, সেজন্য তিনি মির্জা ফখরুলকে ৫ বছর 'অস্হায়ী সেক্রেটারী' করে রেখেছিলেন। মির্জার ধৈর্যের অভাব ছিলোনা, অভাব ছিলো মগজের, তিনি যে রাজনীতি বুঝেন না, সেটা বেগম জিয়াও বুঝতে পেরেছিলেন। বেগম জিয়ার দরকার ছিলো, পদটি ছেলের জন্য ধরে রাখতে হলে, সেখানে একটা কলাগাছ রোপন করে উহাকে দখলে রাখা; অন্য কাউকে দিলে উহা বেদখল হয়ে যাবে।
যাক, ছেলে আসতে চাহেনি, সে আরো বড় পদের অপেক্ষায় ছিলো; তাই, বেগম জিয়া অবশেষে মির্জাকে পদটি দিয়েছেন; পদ পেয়ে মির্জা খুশী; কিন্তু মির্জা আগের মতোই আছেন; রাজনীতি উনাকে কোনদিন ছুঁতে পারেনি। তিনি রাজনীতি করছেন শেখ হাসিনার রাজত্বে, উনার লোকজন বলে বেড়াচ্ছে, ১০ তারিখ থেকে দেশ চলবে বেগম জিয়ার হুকুমে; ইহা রাজনীতি হলো?
আগামীকাল ১০ তারিখ, বুঝা যাবে দেশ কার হুকুমে চলে; তবে, মির্জা সাহেব যে হাজতে আছেন, উহা নিশ্চয় বেগম জিয়ার হুকুম নয়,সেটা মির্জা সাহেবের কাছে পরিস্কার!
বিএনপি'র কিছু লোকজন বেগম জিয়াকে জেলে পাঠাতে চাচ্ছে পুনরায়, উনি পেরোলে আছেন, ইহা অনেকের সহ্য হচ্ছে না; '১০ তারিখ থেকে দেশ বেগম জিয়ার হুকুমে চলবে' বলাতে, ও অকারণে ঢাকায় তান্ডব করায় বেগম জিয়াও আবার জেলে যাবেন, যথসম্ভব।
দলের লোকজন কি বলবে, কি বলা উচিত, সেটার ররূপরেখা দেয়ার কথা দলের সভাপতি ও সেক্রেটারী; সভাপতি থাকেন লন্ডনে, সেক্রেটারীকে কেহ ২ পয়সা দাম দেয় না, যার যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছ, করে যাচ্ছে, ইহা রাজনীতি? সেক্রেটারীকে দুবাইতে থাকতে দিলে সভাপতির সাথে উনার যোগাযোগ বাড়বে।
বিশ্ব বদলে গেছে, ইউরোপ, জাপান, ইসরায়েলকে দেখে রাজনীতি শেখার সময় হয়েছে; রাজনীতি করতে হয় মানুষের জন্য, ইহা বাংগালীদের মাথায় কোনভাবে ঢুকছে না। দলের কনভেনশন করার কথা বড় হলে, অডিটোরিয়ামে; কিন্তু লিলিপুটিয়ানরা উহা করতে চাচ্ছে রাস্তায়! এগুলো কি রাজনীতিবিদ, নাকি রাজনীতির টোকাই?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২