মির্জা ফখরুল আমেরিকান রাষ্ট্রদুতকে বলেছেন যে, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কোনভাবেই ভোট করবে না; আমেরিকানরা এই ধরণের টোন পছন্দ করে না। শেখ হাসিনা, আমেরিকা, ভারত ও ইউরোপ এটাই চায়। এখন আগের সিআইএ নেই, তারা এখন পাকভারতে ২টি পাকিস্তান চাহে না; আজকের সিআইএ বাংলাদেশ, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মিশর নিয়ে চিন্তিত নয়; ওরা জনাে এসব দেশ কোনভাবে আমেরিকান ক্যাপিটেলিজমের বাহিরে পা দিবে না। আজকের সিআইএ শুধু মাত্র ইরান ও তুরস্ককে নিয়ে চিন্তিত, সুদানের জেনারেলরা কি করবে তা নিয়ে সিআইএ কান্নাকাটি করবে না।
১৯৭৫ সালে সিআইএ বড় ধরণের ভুল করেছিলো, তারা ভেবেছিলো যে, শেখ সাহেব সোভিয়েতের সোস্যালিজমের পক্ষে চলে যাচ্ছিলেন; আসলে, আওয়ামী লীগকে আমেরিকান পন্হী করেছিলো হোসেন শহীদ সরোয়ার্দী; সেই কারণই মওলানাকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করা হয়েছিলো। এখন সিআইএ এসে বিএনপি-জামাতকে জিয়ার মতো সাহায্য করবে না; ওরা জানে এরা কাহারা।
শেখ হাসিনা যদি উনার কৌশলগুলো সঠিক মতো কাজে লাগায়, বিএনপি কোনভাবে ক্ষমতার মুখ দেখতে পাবে না; কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার জাতীর জন্য ভালো কিছু করছে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের যেই পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, উহার ৯০ ভাগের বেনেফিসিয়ারী আওয়ামী লীগের লোকজন, সরকারী কর্মচারী, অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, মাফিয়া, ও সমাজের অপরাধী লোকজন; সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর জীবন ছাড়া কিছুই নেই। শেখ হাসিনার সরকারকে বাধা দেয়ার মতো কেহ নেই।
আওয়ামী লীগ বিরোধীরা মনে করছে যে, আওয়ামীদের সরানোর জন্য বিএনপি'কে সাপোর্ট দেয়ার দরকার; কিন্তু বিএনপিতে নেতা তো দুরের কথা, স্বাভাবিক রাজনীতিবিদও নেই; দুনিয়ার অপদার্থরা বিএনপিতে জমা হয়েছে।
যদিও নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন গুণ নেই, তবুও শেখের কারণে ড: কামাল এক সময় বড় ভুমিকায় ছিলেন; তিনি সেটা হারায়েছেন গতভোটে বিএনপি'র ডেলিগেটের সাথে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে। এবার শেখ হাসিনার বিপক্ষে জোট করার মতোও কেহ নেই। শেখ হাসিনাকে শক্তভাবে বাধা দিতে পারলে, উনার হুশ ফিরতো; কিন্তু সেটার কোন লক্ষন নেই।