আমাদের আত্মীয়, উত্তর চট্গ্রামে বসবাসরত আওয়ামী এ্যাকটিভ সাপোর্টার, ২ ভাই পালিয়ে আছে চট্টগ্রাম শহরে; তারা আওয়ামী লীগের কর্মী নয়, কোন ধরণের কমিটিতে নেই; কিন্তু স্বাধীনতাকামী পরিরারের মানুষ। তাদের ছোট চাচা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আওয়ামী লীগের থানা কমিটির মিটিং ইত্যাদিতে অতিথি হিসেবে উপস্হিত থাকতেন। ২ জনেই মুহুরী নদীর পারে দীঘি লীজ করে মাছের চাষ ও মুরগীর ফার্ম করে স্বচ্চল জীবন যাপন করছিলেন। ৫/৬ই আগষ্টেও বাড়ীতে ছিলেন; কিন্তু ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ী আক্রান্ত হওয়ার পর শহরে পালিয়ে যান; এনার্খীর কারণে ৩/৪ লাখ আওয়ামী সাপোর্টার লুকিয়ে আছে।
ওদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ১ রাতে ১০/১২ জন কোমলমতি বাড়ীতে এসে উপস্হিত; পরিবার থেকে জানতে চেয়েছে, পালিয়ে যাবার কারণ কি? ২ জনের স্ত্রী মোটামুটি পড়ালেখা জানেন; কোমলমতিদের বুঝিয়ে বলেছেন যে, ওরা আওয়ামী লীগ কর্মী নয়; তবে, স্বচ্চল হওয়ায় এলাকায় পরিচিত আছে; বিএনপি, জামাত-শিবিরের এনার্খীর ভয়ে পালিয়ে গেছে। কোমলমতিরা নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ওরা ফেরত এলে কেহ কিছু বলবে না। কিন্তু ২ ভাই পালিয়ে আছে।
এদিকে মুহুরীর বন্যায় তাদের মাছ ও মুরগীর ফার্ম ভেসে গেছে। মালিকেরা নেই বলে কাজের লোকেরা কাজে আসছে না; আরো ৪ বছরের লীজ থাকা সত্বেও দীঘির মালিক আপাতত ফার্ম নিজের দখলে নিয়ে গেছে। ২ ভাই ভয়ে মালিকের সাথে যোগাযোগ করছে না।
এই এনার্খীর অবসানের ঘোষণা দিতে হবে ড: ইউনুস ও সেনাবাহিনীকে; স্বাধীনতাকামী পরিবারগুলোর সদস্যরা, যারা দলীয় কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত নয়, তাদের উপর যাতে আক্রমণ না হয়, সেটার ব্যবস্হা নিতে হবে। মনে হচ্ছে, প্রতি ইউনিয়নে কোমলমতিদের বেনামী কমিটি বিদ্যমান, তারা স্হানীয়দের সাথে কাজ করছে, যাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাড়ীতে ফিরতে যা পারে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা ইহার সাথে তাল মিলিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে; কিন্তু এলাকার সুপরিচিত সাপোর্টাররা অকারণ ভিকটিম হয়ে বসে আছে। ইহা নিয়ে ড: ইউনিস ও মিলিটারী আজও কিছু বলেনি; ফলে, কোমলমতিরা নিজেরদের মতো করে এনার্খী চালিয়ে যাচ্ছে; রাতে মানুষের বাড়ী যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৪