নারী ম্যাজিষ্ট্রেট তারাসসুম প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গেছেন; সামুর কয়কজন ব্লগার উনাকে দোষী করে পোষ্ট দিয়েছিলেন, অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, ম্যাজিষ্ট্রেট তারাসসুম অপরাধ করেছে। আসলে, সরকারের ভুল ধরা, ভুলনীতির সমালোচনা করার অধিকার সরকারী কর্মচারীেদের আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সাপোর্টারেরা যেভাবে লেজ তুলে পালিয়ে গেছে, সামান্য মেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট তারাসসুম কোন সাহসে কোমলমতিদের এনার্খীর মাঝে নিজের মতামত জানিয়ে প্রাণে বাঁচবে? পালিয়ে গেছে ভালো করেছে; তবে, বেকুবের মতো পালালে ধরা খাবে। ১ জন ম্যাজিষ্ট্রেট ভয়ানক প্রতারকদের ভয়ে পালিয়ে গেছে, দেশের অবস্হা অনুমান করতে পারছেন? দেশের সবাই কোমলমতিদের ভয়ে আছে।
আমাদের বেশীরভাগ ব্লগারগণ শুধু পরীক্ষা সময় "গণতন্ত্র"এর উপর ১০ লাইন লিখেছেন; জীবনে কোন গণতান্ত্রিক দেশে বাস করেননি; ফলে, গণতান্ত্রিক দেশে সরকারী কর্মচারীরা কি কি করতে পারে, নাগরিকদের কি কি অধিকার আছে, সেই সম্পর্কে ২ পয়সার জ্ঞানও নেই। কিছু কিছু প্রবাসী ব্লগার গণতান্ত্রিক দেশে বাস করেন, কিন্তু তাঁরা নিজেদের মতো বাংগালী হয়ে বাস করেন, মুলস্রোতের সাথে মিশেন না; আমেরিকায় ২০ বছর বাস করে, আমেরিকার প্রাইমারী ইলেকশান বুঝেন না।
তারাসসুম সামুতে আসেন কিনা আমি জানি না; উনি সামুতে এলে, উনাকে নিয়ে লেখা পোষ্টগুলো দেখলে উনি পালিয়ে যাবার কথা। তারাসসুমের কমেন্ট সঠিক ছিলো, ড: ইউনুসের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে; যখনই মানুষ কোমলমতিদের পরিচয় পাবার শুরু করেছে, সেই মহুর্ত থেকে ড: ইউনুসের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে, মানুষ ড: ইউনুসকে আগেও পছন্দ করতেন না, এখন উনাকে কোমলমতিদের গুরু ভাবার শুরু করেছেন, ইহা ভীতিকর।
আমি সব সময় বলে আসছি যে, অনেক চলমান ঘটনার ব্যাপারে আমাদের ব্লগারদের ধারণা, এনালাইসিস ও মতামত ঠিক নয়; ১ জন সরকারী কর্মচারী সরকারের ভুল নীতি, ভুল পদক্ষেপের কথা পাবলিকের সামনে বলতে পারে। বাইডেনের ভুল ইমিগ্রশন পদক্ষেপের কথা প্রতিদিন বলে যাচ্ছে বর্ডার গার্ডরা জাতীয় টেলিভিশন সাক্ষাতকারে। ১ সপ্তাহ আগে, কমলা হ্যারিস গিয়েছিলেন বর্ডারে, ২ জন বর্ডার গার্ড কমলাকে টেলিভিশন লাইভে বলেছে যে, সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণ দৈনিক হাজারের মত মানুষ আমেরিকায় প্রবেশ করছে। এরা গণতান্ত্রিক দেশের সরকারী চাকুরীজিবি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:২৮