somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'মাননীয় মন্ত্রী যে একটা লকডাউন দিয়েছে সেটা ভুয়া, থ্যাংকইউ।'

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


'আচ্ছা, যে লকডাউন দিয়েছে, সামনে ঈদ, মানুষে খাবে কী? মাননীয় মন্ত্রী যে একটা লকডাউন দিয়েছে সেটা ভুয়া, থ্যাংকইউ।' (আমি পথ শিশুকে 'পথফুল' সম্বোধন করি) পথফুল মারুফ নেশাগ্রস্ত হোক বা না হোক এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না, করতে গেলেই এর দায় আমাদের কাঁধে এসে বর্তাবে। পথফুলটির ইস্যুতে আমাদের ফেবু পাগলেরা বৃহৎ সমস্যাকে ছোট আকারে দেখছেন। এই ইস্যুর মূল বিষয়টি সবার সামনে আসার পূর্বেই তা হারিয়ে যাবে। যেভাবে হারিয়ে গেছে অতীতের ইস্যুগুলো।

বাংলাদেশ পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশ। যতই আপনি উন্নয়নশীল সন্যাসীর দেশ বলে চিৎকার চেচামেচি করেন না কেন বাস্তবে তা কিন্তু নয়। এই দরিদ্রতম দেশের মানুষ কখনো চায় নি রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির নাম করে একে অন্যের বিরোদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে গিয়ে জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে লুণ্ঠন করুক। কিন্তু তাদের চাওয়াকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসা প্রত্যেকটি দলই বিরোধী শক্তি নির্মূলের নাম করে দেশকে করে তুলেন নরকতুল্য। আওয়ামী সরকার অতীতের সব সরকার ব্যবস্থা থেকে এগিয়ে আছে এসব ব্যাপারে। তারা অতি সুকৌশলে রাষ্ট্রের সর্বদিক নিয়ন্ত্রণ করে নিয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আর রাষ্ট্রের সর্বদিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করা এক না। এই বিষয়টি সচেতন নাগরিকগণ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু কিছুই বলতে পারছেন না। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে।

এই পথফুলটি আমাদের অসৎ বুদ্ধিজীবীদের মত দুর্নীতি গ্রস্থ, সুযোগ সন্ধানী নয়। বর্তমান সময়ে রাষ্ট্র আমাদেরকে যে বুদ্ধিজীবী দিচ্ছে তাদের অধিকাংশই পক্ষপাতী। অনেকে বস্তুত তোতাপাখি। সুযোগ সন্ধানী ও চরম দুর্নীতিগ্রস্থ। আর আগামীর জন্য যে বুদ্ধিজীবীগণ তৈরি হচ্ছেন তাদের অধিকাংশরা বাহ্যিক চাকচিক্যের উপর হেঁটে দেশকে ভাসিয়ে দিতে চান স্বপ্নীল স্বর্গে। এমনটাই তারা প্রতি কদমে ভাবেন। সরকারের প্রয়োজন সচেতন মহলকে তন্দ্রাঘোরে ভাসিয়ে নিজেদের কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নামে-সচেতন নাগরিকেরাও টকশোতে বসেন অবচেতন মস্তিষ্ক নিয়ে। বুলি আউড়ান সমাজতান্ত্রিকতার, গণতন্ত্রের পাঠ দেন টেলিভিশন প্রেমি সাধারণ নাগরিকদের। নাগরিকেরা তন্দ্রাঘোরে ভাবেন 'সত্যিই তো তাই'। পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করায়- "জনগণ ক্ষমতার উৎস"। বাচ্চার মুখে সে কথা শুনে স্বামী-স্ত্রী সরকারের যেকোনো কাজের সমালোচনা করেন নিজ অধিকার বলে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এটাই আমাদের বাংলাদেশের গণতান্ত্র।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাস শাটডাউনের কারণে হঠাৎ করেই উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লাখ লাখ মানুষের। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন খাতের বা কলকারখানার শ্রমিক বা দিন মজুর হিসেবে কাজ করা মানুষ না খেয়ে দিন যাপন করেছেন। সেই করুণ কথাগুলোই বলতে চেয়েছে পথফুল মারুফ। তার উপর লকডাউনে যারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সরকার কর্তৃক তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। না সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে, না অসহায়দের পাশে সরকার দাঁড়াচ্ছে। গত বছরের লকডাউনে সরকারি ভাবে কিছু ত্রাণ বিতরণ হয়েছিল কিন্তু এ বছর সেগুলো হচ্ছে না। গত বছর সুদীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা লকডাউনের কারণে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো একেবারে ভেঙে পড়ে। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠার পূর্বেই আবার লকডাউন দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে নিস্ব করার যে লকডাউন সরকার জারি করেছে তা আসলেই সরকারের করোনা নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার প্রকাশ। ধারনা করা হচ্ছে, বর্তমান লকডাউনের ত্রাণের অর্থগুলো সরকারি দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। বাস্তবতার আলোকে বলতে গেলে, এই মূহুর্তে বাংলাদেশে প্রকৃত লকডাউন প্রয়োজন। যা একই সাথে হবে কঠোর ও সচেতনধর্মী। যা পালনে সবাইকে এগিয়ে আসা আবশ্যক। সরকারের উচিত নিজ দায়িত্ব আদায়ে সক্রিয় হওয়া। যেন একজন মানুষও অনাহারে না থাকে। করোনা যেন অসহায়দের দুয়ারে ক্ষুধার্ত মৃত্যুর রূপে না পৌঁছায়।




ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:২২
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×