মামুনুলের জিবের তাজল্লী সর্ব মহলে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। যেই প্রভাবের কারণে, তার ভক্তকুলেরা ছাড়াও সাধারণ ধর্মালম্বীরা পর্যন্ত তার আকামকে সুকাম বলে মেনে নিয়েছে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, মামুনুলের যা গলা তাতে সে ব্যান্ড গ্রুপ চালু করলে জগদ্বিখ্যাত ব্যান্ডশিল্পীদের হারিয়ে বসতো নিশ্চিত। তার কন্ঠের মিষ্টান্নতা মানুষকে যেমন মোহনিদ্রায় ফেলে দিত, তেমনি বিরোধী শক্তিকে করতো অসম্ভব রকমের গায়েল। সে কারণে ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় ৯৮% মুসলমানের দেশে সে ধর্মের বাণী উৎরানোকেই প্রোফাইল সমৃদ্ধের পথ ধরে নিয়েছে। সফলও হয়েছে বলা যায়।
সম্প্রতি হাজতবাসের পর একাউন্টের যে হিসাবটা জনসম্মুখে আসলো। তার শুদ্ধতা নিশ্চিত করনে তিনি দাবী করেন তার পূর্বপুরুষ জমিদার ছিল। অথচ তার মরহুম পিতার কথা মতে তাদের তেমন অর্থসম্পদ ছিলো না। এই বিপরীতমুখি দু'টি দাবীর মধ্যে কোন সত্যটি মানুষ গ্রহণ করবে? পিতার নাকি পূত্রের? (ভিডিও ক্লিপে পিতা পুত্রের বিপরীতমুখি দাবী দেখতে পাবেন!)
ভিডিওটি দেখা না গেলে এখানে ক্লিক করুন
এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তুলে ধরতে হয় যে বিষয়টি তা হচ্ছে, পাকিস্তানি আমলে বাংলাদেশের কোটিপতির সংখ্যা ছিল হাতেগোনা দু-চারজন। বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে হাজারে হাজার। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য যখন নিজ নির্ভরযোগ্য বিশ্বাসীদের হাতে দায়িত্ব দিলেন। তখন থেকেই শুরু হয় কোটিপতি তৈরির শিল্প। অতপর মেজর জিয়ার নিভৃতে চলা স্বৈরাচার, এরশাদের একনায়কতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের নামে খালেদা ও হাসিনা সরকারের দুর্নীতির হাত ধরে দরিদ্রতম এদেশে তৈরি হয় হাজার হাজার কোটিপতি। সেই কোটিপতিদের মধ্যে মামুনল ফোকাসে আসা এক সংখ্যা মাত্র।
মামুনুলের কুকর্মও তেমনি ঢেকে যেত যেমন ঢেকে গেছে আনভীরের কুকীর্তি। এখানে মামুনুল নিজ জিবের রসের দ্বারা যে ভক্তকুল তৈরি করেছিল তা আমাদের বর্তমান সরকার ব্যবস্থার জন্য না হলেও যৎসামান্য ঝুঁকি ছিল। সরকার যেমন অতীতে কোন ঝুঁকি নিতে চায় নি, ভবিষ্যতেও নিতে চাইবে না। সে কারণে নামে মাত্র এই গণতান্ত্রিক দেশটাকে স্বৈরাচারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে। মামুনুল নিজ অর্থের ব্যাপারে তার ভক্তকুলকে যদিও বিশ্বাস করাতে পেরেছেন যে, তার পূর্বপুরুষ জমিদার থাকায় তার একাউন্টে এই কোটি টাকার সমাহার। কিন্তু যতদূর মনে হয়, সরকার তার চৌদ্দপুরুষের ইতিহাসের সত্যতা যাচাইয়ে তাকে বারবার রিমান্ডে পাঠাবে। এখানে তার ভক্তকুলের অবচেতনতা কোন কাজে আসবে না। আমরা বাস্তবতা খোঁজতে গেলে দেখি, এই সব মামুনুলের মত কোটিপতিরা কিন্তু সরকারের সহযোগিতায় গড়ে উঠা এক-একটা সমাজ ধ্বংসকারী কীট। যা সময়ে-সময়ে তৈরি হয় সরকারি আমলাদের দূর্নীতির হাত ধরে।
ছবি+ভিডিও: ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৩৪