সুচনা: প্রতিদিন খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল খুললেই চোখে পড়ে নারী নির্যাতনের খবর, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশী হলো ধর্ষণ ও গণধর্ষণ ! এ থেকে রেহাই মিলছে না মাত্র ছয় বছরের শিশু কন্যা থেকে প্রাপ্তবয়স্কা নারীদেরও। “পরিবার, সমাজ, কর্মক্ষেত্র, এমনকি যানবাহনও” কোথাও নারীরা পাচ্ছেন না নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, নানা ধরনের কলহ ও সম্প্রতি রাজনৈতিক জের ধরেও নারীর উপর চলেছে ধর্ষন ও গণধর্ষণের মতো পাশবিক নির্যাতন।
নারীর সম্ভ্রমহাণী করা পুরুষের বিকৃত যৌনচিন্তার যে বহিঃপ্রকাশ! - তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমন হীন রুচি নর্দমার কীট বিকারগ্রস্থ মানুষদের কাছে “মানবতা ও বিবেকবোধ” ধর্ষিত হচ্ছে দিনের পর দিন।
বর্তমান পরিস্থিতি: ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশা এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে প্রকাশ্য জানিয়ে যেই আত্মতৃপ্তি - তা একটি মানসিক ব্যাধি, যেই ব্যাধিতে আক্রান্ত যুব সমাজ, সেলিব্রেটি, সিনে তারকা সহ হাল সময়ের আন্তর্জাতিক খেলার ক্রিকেটাররাও বাদ পড়েননি। হ্যাপি - রুবেল, সুভা - নাসিরের ভিডিও দেশ ছেড়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে এবং ইত্যকার ভিডিও দেখে একই পথে অনুপ্রেরনা পেয়েছে তথাকথিত অশিক্ষিত/ অর্ধশিক্ষিত/শিক্ষিত যুবক, তরুন, পুং সমাজ সহ বুড়া ভাম হিরো আলম নামক জঘণ্য নালা নর্দমার কীট ও !!!
ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির ও সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম/দ্বিতিয়া জেসিয়া তাদের গর্বভরে প্রকাশ করা রেডিও জকির অশালীন আত্মস্বীকৃত ভিডিও যেখানে উভয়ে স্বিকার করে “সালমান মুক্তাদিরের সাথে ১৫০-২০০ মেয়ের সঙ্গে নোংরা অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর কথা” - ইন্টারনেটে এই ভিডিও দেখেছে লক্ষ কোটি মানুষ এবং এখানেও অনুপ্রেরনা পাচ্ছে তথাকথিত গোবর মস্তিস্ক পুং সমাজ !!! - দায়ী কে ???
উপসংহার: ধর্ষণের মামলায় আগের ধাপগুলোর দুর্বলতার কারণে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত, তাছাড়া অনলাইন চ্যাট, ভিডিও চ্যাট, ফেসবুক, ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব এইসবকে তো বাংলাদেশী ছেলেমেয়েরা নোংরা পর্ণ সাইট করে ছেড়ে দিয়েছে। শেষ কথা একটিই ধর্ষণ অপরাধে সাজা কি ? পুরস্কার নাকি তিরস্কার !!! - ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট অপরাধের জন্য দেশে চাই দৃষ্টান্ত মুলক কঠিন স্বাস্তি এবং অবস্যই “মৃত্যুদন্ড”। তা না হলে দেশে সাইবার ক্রাইম রোধ করা যাবে কি না জানা নেই, তবে ধর্ষণ রোধ করা অসম্ভবের চেয়েও অসম্ভব !!! ***মাননীয় বিচারক মহোদয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আবেদন - বাংলাদেশে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর নজির নেই, ধর্ষণ অপরাধে ধর্ষককে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সাজা দিন, নয়তো পুরস্কার হিসেবে গলায় মেডেল পড়িয়ে দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫০