অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি বেশ কয়েক বছর যাবত প্রবলভাবে একটি প্র্যাকটিস চালু হয়ে গেছে আর তা হচ্ছে দেশের শিল্পী সমাজে কেউ অসুস্থ হলে তিনি আর্থিক সাহায্যের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাত পাতেন! এখানে প্রশ্ন তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে বা কোষাগারে টাকা জমা রেখেছিলেন? তাহলে কেনো এই প্র্যাকটিস? এই প্র্যাকটিস থেকে শিল্পী সমাজকেই বেড়িয়ে আসতে হবে নয়তো তাদের জন্য দেশে বঞ্চিত হবেন সত্যি সত্যি যারা দুঃখী দুস্থ গরীব নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীন মানুুষ। এবং সত্যি সত্যি তাই হচ্ছেন।
বাঁচতে চান চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির খাঁন বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ জাকির খাঁন প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তশালীদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। জীবনের শেষ সময় অর্থ সংকটে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যুপথযাত্রী এই পরিচালক ও প্রযোজক। বিতর্কিত নোবেল (জাতীয় সঙ্গীত সমালোচনাকারী) পুরো দেশ নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করে তুঙ্গে যেতে চেয়েছে কিছুদিন পর নোবেলও মরণ রোগের জন্য ভিক্ষা করে টাকা চাইবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে!!!
শিল্পীরা দেশে চ্যারিটি করেন নি তারা বিনা টাকায় কোনো অনুষ্ঠানে গান করেছেন এমন ঘটনা আমার জানা নেই (হয়তোবা দু একটি ঘটনা থাকতেও পারে) তবে শিক্ষকগণ চ্যারিটি করেছেন আমাদের সময় শিক্ষকগণ খুব অল্প বেতনে চাকুরী করেছেন তাদের অনেকে এখনো বেঁচে আছেন তাদের জীবন মানবেতর জীবন, বর্তমান এখন শিক্ষকদের বেতন ভালো। কিন্তু যারা রিটায়ার্ড তাদের জীবন পেনশন নির্ভর মাসের শুরুতে তারা মাসের শেষের দিকে তাকিয়ে থাকেন আহারে - - - রুপালী পর্দার লোকেরা কোনো সময় আমাদের দেশের সম্পদ ছিলো না। আমাদের দেশের টাকা তারা এভাবে প্রতারণা করে নেবেন? আর এটাও দেখতে হবে দিনের পর দিন !!! কয়টা অসহায় ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে বিনামুল্যে এক বোতল হরলিক্স দেওয়া হয়েছে? যার সর্বোচ্চ মুল্য ৫০০ টাকা হতে পারে।
আমাদের দেশে কতোগুলো সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল সহ মেডিক্যাল কলেজ আছে আর সেখানে কি পরিমান রোগী আছেন যারা অর্থের অভাবে সামান্য ৫০০-১০০০ টাকার ঔষধ কিনতে পারছেন না, বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ কি জানেন? জানেন কি আমাদের প্রধানমন্ত্রী?
উপসংহার: - সাহায্যে চাওয়ার যেই প্র্যাকটিস চালু হয়েছে তা ভালো কাজ নয়, এটি ব্ন্ধ করুন। দেশে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা স্পেশাল ফান্ড তৈরি করে দেশের জনগণকে বোকা বানিয়ে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্য কোটি কোটি টাকা উঠিয়েছিলেন তারপর থেকে শুরু হয়েছে শিল্পী সমাজের টাকা চাওয়ার আর টাকা নেওয়ার সুন্দর এক পলিসি। এতে করে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন একবারও কি প্রশাসন মন্ত্রনালয় ভেবে দেখেছেন? আমাদের দেশ হয়ে গেছে গন্ডারের মতো অনুভূতিহীন, কোনো এক ঘটনা ঘটার ১০ বছর পর মনে করেন “ভুল হয়েছে, সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো”!!! একটি উচ্চ পদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন হয় যার তদন্ত আর কোনোদিন শেষ হয়না !!!
কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ
ছবি: - গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪