ছবি: বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
হোয়াইট হাউজ, সময়কাল - আগষ্ট ১৯৮০
পর্বঃ - ০১
শীতের সকাল। সময় ০৭:৩০ একজন কর্নেল বসে আছেন প্রেসিডেন্ট সাহেবের সামনে। কর্নেল ক্লিন শেভড চকচকে পলিশ করা বুটে ফুল ডেকোরেটেড ইউনিফর্মড হয়েও মহামান্য প্রেসিডেন্ট সাহেবের সামনে মলিন জুবুথুবু বসে আছেন, তিনি কিছু বিচার নিয়ে এসেছেন। তিনি বলে যাচ্ছেন - “সৈনিক ক্যান্টিন থেকে শুরু করে অফিসার্স ক্যান্টিনে মহামান্য প্রেসিডেন্টের সমালোচনা হয় এটি সামরিক আইন পরিপন্থী” - মহামান্য প্রেসিডেন্ট সাহেবের কোনো প্রতিক্রিয়া বোঝা যাচ্ছেনা, এটি কর্নেল সাহেবের জন্য একটি চিন্তার কারণ, এই সকালেও প্রেসিডেন্ট সাহেবের চোখে কালো সানগ্লাস! কালো সানগ্লাসে তাঁর কাজল কালো চোখ ঢাকা পরে আছে তাই কোনো প্রতিক্রিয়া বোঝাও সম্ভব না। প্রেসিডেন্ট সাহেব পাঁচ তারকা হোটেলে বসে নাস্তা করার নিয়মে নাস্তা সারছেন নাস্তার মেন্যু: - তিনটি লাল আটার রুটি, আলু ভাজি, বেগুন ভাজি, আর জলপাইয়ের টক দিয়ে মসুরের ডাল। প্রেসিডেন্ট সাহেব সানগ্লাস খোলে নির্লিপ্ত কাজল কালো চোখে দীর্ঘসময় কর্নেল সাহেবের দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন “বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো খাবার হতে পারেনা”।
কারা সমালোচনা করছেন, কি বিষয়ে সমালোচনা করছেন তার ধারে কাছেও গেলেন না। আশ্চর্য একবার জানতেও চাইলেন না কে বা কাহারা সমালোচনা করছেন! প্রেসিডেন্ট সাহেব আর কেউ নন তিনি জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান স্বরূপ সবচেয়ে বড় “বীর উত্তম” খেতাব প্রাপ্ত “লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)। তাঁর ব্যক্তিত্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও মলিন মনে হতো। আর কর্নেল সাহেবও আমাদের সবার পরিচিত তিনি কর্নেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৪ সনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হোন এবং ১৯৯৬ সনে সেনাপ্রধান হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় কথিত অভ্যুত্থানের অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত ও চাকরিচ্যুত হোন।
বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সুদর্শন, সুপুরুষ রাষ্ট্রনায়ক লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)।
চলবে.................................................
কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৪