একটি পরিবার চালাতে পরিবারে অভিভাবকের প্রয়োজন আছে, সমাজেরও অভিভাবক থাকেন পাশাপাশি স্থানীয় বিচার আইন প্রশাসন, উচ্চ আদালত সহ দেশের সরকার আছেন। কিন্তু একটি পরিবারকে তদারকি করার জন্য হেস্তনেস্ত করার জন্য আরেকটি পরিবার নয়। এটি পরিবার সমাজ ও দেশের আইন পরিপন্থী। কেউ নিশ্চয় চাইবেন না সে এবং তার নিজ পরিবার ডালভাত খাবেন না মাংসভাত খাবেন তা পাশের বাড়ির পরিবার বা শক্তিশালী কোনো গোষ্টি ঠিক করে দিক! তাতে তিনি ও তার পরিবার প্রতিবাদ করবেন এবং এই রাইট তাদের আছে।
ঠিক তেমনি একটি দেশ চালাতে দেশে প্রশাসন সরকার প্রয়োজন আছে। বিশ্ব পরিচলানা করার জন্য বিশ্বে অনুমোদিত আইন ও সংস্থা আছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশেষ একটি দেশ বিশ্ব পরিচালনার নামে শক্তি প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ হত্যার মতো জঘণ্য কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন - এটি কোনো সঠিক কাজ হতে পারে না। একটি দেশ বা গোষ্টি বিশ্ব পরিচালনা করবে আমার মনে হয় না তা প্রয়োজন আছে। তাহলে জাতিসংঘ সংস্থা সহ আন্তর্জাতিক আদালত কি জন্য? ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বিশ্বের প্রেসিডেন্ট নন? কথার কথা যদি ধরেও নেই আমেরিকা বিশ্ব পরিচলানা করছে তাতে কি প্রমাণ হয়? আসলেই তারা বিশ্ব পরিচলনা করছে, না বিশ্ব পরিচালনা করতে পারছে? বার্মা, চীন, উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকে চিনেও না। আমার মনে হয় বার্মা, চীন, উত্তর কোরিয়া আমেরিকা নামক কোন দেশ আছে তাও জানেন না, তাদের জানার প্রয়োজনও নেই। আমেরিকা কোন দেশ এটি কোথায়? উত্তর: - চিনি না।
একটি বিশেষ ধর্মের কিছু উগ্র মূর্খ ধর্মান্ধ লোকজন প্রায়ই বলে তারা বিশ্ব পরিচালনা করবে ! যদিও তা অসম্ভবের অসম্ভব - তাদের সেই জ্ঞান শিক্ষা শক্তি কোনোটি নেই, আগামী দশ লক্ষ বছরেও হবে না। আমেরিকা বিশ্ব পরিচালনার নামে মানুষ হত্যা করছে। মানুষ হত্যা করে বিশ্ব পরিচালনা করা কোনো ভালো কাজ নয়। ইরান এমন কিছু করেনি যে ইরানে মানুষ হত্যাযজ্ঞ চালাতে হবে। সোলায়মানী আর ইরান এক নয় যেমন বাংলাভাই আর বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাভাইয়ের জন্য নিশ্চয় কোনো দেশ বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারে না, এতো বড় সাহস কোনো দেশের নেই। হতে পারি আমরা দুর্বল দরিদ্র দেশ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ইরানী মানুষের সাথে মিশেছি তারা আমেরিকান গড়পড়তায় মানুষের চেয়ে অনেকগুন ভালো। আমেরিকান মানুষ হিংসুটে ও অহংকারী। বাংলাদেশী মানুষ যারা আমেরিকায় থাকেন তাদের ২% ও হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারেন। সাউদি আরবের মানুষ আর আমেরিকান মানুষের মধ্য পার্থক্য খুবই সামান্য।
আমেরিকা মনে হয় পা’য়ে পারা দিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ করার মতো গ্রাম্য মানসিকতার দেশ। আমি ব্লগে এই বিষয়টি প্রশ্ন করার পর অনেকেই একই প্রশ্ন করেছেন। আমি আবারো বলছি আমেরিকা কি উত্তর কোরিয়ার সাথে একবার লড়ে দেখবে? লড়াইয়ের ফলাফল কি হয়? আমি মনে করি উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দেবে। অথচ আমেরিকা দুর্বল ইরানের পেছনে আদাজল খেয়ে লেগে আছে। সোলায়মানী না কোলায়মানী তার জন্য কি ইরানে লক্ষ কোটি মানুষ ঘর বেঘর হবে? মা তার সন্তান হারাবেন, স্ত্রী তার স্বামীকে, ভাই তার বোনকে, বোন তার ভাইকে আর অনাথ হবে লক্ষ কোটি শিশু!
বর্তমান সময় ও প্রেক্ষাপট বলে দিচ্ছে ট্রাম্প ইমপিচ এসব নামমাত্র ফালতু বিশ্ব দেখানো ড্রামা। ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসছে এবং ইরানকে অনাথ শিশুর দেশ করে দেওয়ার নীল নকশা করছে। উদ্দেশ্যে একটিই - তৈল।
উপসংহার: - গ্রাম অঞ্চলে মুর্খ গোয়ার গোবিন্দ লাঠিয়াল পরিবার থাকে যাদের ত্রাসের রাজত্বে যন্ত্রনায় থাকে পুরো গ্রামকে গ্রাম। কিন্তু সেই গ্রামে যখন কোনো পরিবারে দুই একজন বিসিএস, ইউনিফর্মড অফিসার হয়ে যান তখন লাঠিয়াল পরিবার তাদের পায়ের নিচে চলে যায়। (এ বিষয়ে আগামীতে বিস্তারিত লিখবো) আমেরিকা হচ্ছে গোয়ার গোবিন্দ গ্রাম্য লাঠিয়ালদের মতো শক্তিশালী দেশ। তারা অবস্যই অবস্যই বুদ্ধিমান জাতি নয়। তার প্রমাণ দেখার জন্য ৫-১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আরব বিশ্ব আমেরিকার জন্য হুমকি নয়। অথচ আমেরিকা আরব বিশ্বের সাথে যা করছে তা অবস্যই ঘৃণ্য ও নেক্কারজনক কাজ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পোষ্টের সম্পূর্ণ লেখা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, জরুরী নয় আমার সাথে একমত হতে হবে কোনো ব্লগারকে। আমি কপিপেষ্ট লেখা কখনো পোষ্ট করিনি, কপিপেষ্ট লেখা পোষ্ট করার মতো ইচ্ছেও নেই। আমার নিজস্ব লেখা ব্লগে লিখতে হলে আমার একার ৫০ বছর সময় লাগার কথা, যে সময় আমার হাতে নেই। যেহেতু পোষ্টের সম্পূর্ণ লেখা আমার নিজস্ব অভিমত তাই এই লেখার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার নিজের।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইর ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোস্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
ছবি: - গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬