somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংশপ্তক মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি আমাদের ক্ষমা করুন! বীরশ্রেষ্ঠ নিয়েও চলেছে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের খেলা

০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাস্কর চৌধুরীর লেখাটি পড়ে জগৎজ্যোতির সম্মন্ধে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী থেকে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ শুরু। স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত প্রতিশ্রুতিতে এই মুক্তিযোদ্ধাকে বীর শ্রেষ্ঠ ঘোষণার কথা বার বার বলা হলেও মাত্র কয়েক মাস পরে '৭২ এর ৬ এপ্রিল প্রথম গেজেটে একমাত্র বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী পায় মুন্সী আবদুর রউফ । বলাবাহুল্য ৩ জনকে বীরউত্তম, ১৪ জনকে বীরবিক্রম এবং ২৫ জনকে বীরপ্রতীক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও জগৎজ্যোতির দুরের কথা কোন গণ মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধা এতে ছিল না । কেন? তবে কী এখানে অলিখিত বিধান ছিল যে জগৎজ্যোতির মত গণবাহিনীর সংশপ্তক যোদ্ধারা যতই বীরত্ব প্রদর্শণ করুক তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় উপাধী প্রযোজ্য নয়? পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ৬ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম যুক্ত হয়। দেখা যায় জিয়া সহ সর্বমোট ৬৮ জন বীরউত্তম খেতাব পায় । কাদের সিদ্দিকী সহ মাত্র ২ জন আসে গণবাহিনী থেকে! (সুত্র: বীরশ্রেষ্ঠ , বীরউত্তমবীরবিক্রম , এবং বীরপ্রতীক দের তালিকা)।

জগৎজ্যোতি কে বীরশ্রেষ্ট উপাধি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেস্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ জানান, শহীদ জগৎজ্যোতিকে বীরশ্রেষ্ট খেতাব দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার এবং তার বীরত্বগাথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সঙ্গে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষার এই যুদ্ধে জগৎজ্যোতির প্রত্যুতপন্নমতিত্ব, প্রাকৃতিকভাবে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন দায়িত্বরত এলাকায় নতুন নতুন রণকৌশল ও দুঃসাহসী সফল অপারেশনের কারণে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে একাধিকবার তার বীরত্বগাঁথা প্রচার হচ্ছিল সম্মানের সঙ্গে। আর একারণে তার প্রতি চরম ক্ষুদ্ধ ছিল পাক হায়েনারা।

জগৎজ্যোতি দাস বীরবিক্রম
’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভাটি বাংলার গেরিলা বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাস। বাবা মা আদর করে ডাকতেন শ্যাম নামে। যদিও কোন কোন তথ্যে সে কোন উপাধি পায় নি কিন্তু বীর বিক্রমদের তালিকা অনুযায়ী সেক্টর ৫ থেকে তাকে বীরবিক্রম উপাধী দেয়া হয়

কমিউনিষ্ট আদর্শে দিক্ষিত হলেন
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের জীতেন্দ্র দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি। শৈশব থেকে জ্যোতি শান্ত স্বভাবে হলেও ছিলেন প্রতিবাদী, জেদি, মেধাবী ও সাহসী । স্কুল জীবনেই জ্যোতি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করার পর সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন এবং তেজোদীপ্ত, বিপ্লবী ও স্পষ্টভাষী ছাত্র নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন । ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব পালনে ভারতের গৌহাটির নওপং কলেজে ভর্তি হন। সেখানে অবস্থানকালে অনেকগুলো অঞ্চলের ভাষা আয়ত্ব করেন এবং ধীরে ধীরে নকশাল পন্থীদের সঙ্গে জড়িত হন। এখানে অস্ত্র গোলাবারুদ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসেন।

যুদ্ধ শুরু হলো
’৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যখন সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয় । পাকবাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংস হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে রূখে দাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেন জগৎজ্যোতি । যোগ দেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ইকো-১ ট্রেনিং ক্যাম্পে। বাংলার ভাটি অঞ্চলের সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা এবং হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ৭ নং সেক্টর। এ সেক্টরের কমান্ডারের দায়্ত্বি পান তৎকালীন মেজর শওকত আলী। ৭ নং সেক্টরকে কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের দায়্ত্বি দেওয়া হয় বর্তমান বিশিষ্ট নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তার অধীনেই প্রথমত জগৎজ্যোতি বিভিন্ন আক্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত চৌকস যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয় গেরিলা দল, যার নাম দেওয়া হয় ফায়ারিং স্ট্কোয়াড ‘দাস পার্টি’।

কয়েকটি সফল অপারেশন
জগৎজ্যোতি ইংরেজি, হিন্দি, গৌহাটির আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শী হওয়ার সুবাদে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সঙ্গে তার যোগাযোগ সহজতর হয় । এর ফলে দাস পার্টির জন্য ভারতীয় মিত্র বাহিনীর জগৎজ্যোতি আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহে সমর্থ হন । দাস পার্টির উল্লেখযোগ্য একটি অপারেশন ছিল পাকবাহিনীর বার্জ আক্রমণ । ’৭১-এর ১৬ অক্টোবর পাকবাহিনীর সেই বার্জটিতে আক্রমণ চালিয়ে বার্জটি নিমজ্জিত করে। দাস বাহিনীর গেরিলা অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তানী শত্রু ঘাঁটি ধ্বংস শুরু করে। পরবর্তীতে পাহাড়পুর অপারেশন, বানিয়াচংয়ে কার্গো বিধ্বস্ত করা, বানিয়াচং থানা অপারেশনসহ বেশ ক’টি ছোট বড় অপারেশন দাস পার্টির যোদ্ধারা সফল ভাবে সম্পন্ন করে।

বদলপুর অপারেশন
বদলপুর অপারেশন ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি একটি বিশাল সাফল্য । জগৎজ্যোতির সঙ্গে ছিল বানিয়াচংয়ের মোহাম্মদ আলী মমিন, আমির হোসেন, খালেক মাস্টার, হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, আজমিরীগঞ্জের রাশিদুল হাসান চৌধুরী কাজল, মতিউর রহমান, নিত্যানন্দ দাস, ইলিয়াছ চৌধুরী, আঃ রশীদ, নিপেন্দ্র দাশ, ছাতকের আয়ুব আলী, আঃ মজিদ ও দিরাই উপজেলার আহবাব হোসেন এবং নীলু। জগৎজ্যোতির দল আজিমিরীগঞ্জ, মারকুলি, গুঙ্গিয়ারগাঁও প্রভৃতি অঞ্চলে শত্রু ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। বদলপুরে শত্রুসেনারা দাস পার্টির প্রতিরোধের মুখে পাকসেনারা শক্তি বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়। গুলি ছোড়ার জন্য হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয় । রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জগৎজ্যোতি র পাশে ছিল ইলিয়াস নামে আরেকজন অসীম সাহসী যোদ্ধা।

শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়ে গেলেন
পাক ক্যাম্প থেকে মাত্র ২০০ গজ দুরে রাজাকার/পাক সেনাদের আক্রমণে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে দাস পার্টি। রণাঙ্গণে পরিস্হিতির ভয়াবহ চিন্তা করে এক পর্যায়ে জ্যোতি তার দলকে ফিরে যাবার নির্দেশ দিয়ে একটি মাত্র এলএমজি নিয়ে নিজে একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন । এজন্য জ্যোতি সহযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিনকে নির্দেশ দেন যাতে অন্যরা তাদের জীবন বাঁচিয়ে নিরাপদ স্হানে সরে যায় । এরপর দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন মাত্র দুইজন, জ্যোতি ও ইলিয়াছ। সুস্হির এবং দৃঢ় মনোবলের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতে থাকে একটানা কিন্তু হঠাৎ ইলিছাস পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন। জ্যোতি পিছু না হটে তার মাথার লাল পাগড়ি খুলে শক্ত করে ইলিয়াসের বুকে‌ এবং পিঠে বেঁধে দেয়, যাতে তার রক্তক্ষরণ থেকে যায়। ইলিয়াছ সেই অবস্হায় মেশিনগান নিয়ে ক্রমাগত গুলি ছুড়তে থাকে পাক হানাদারদের ওপর।

অবিশ্বাস্য হলেও তিন দিক থেকে আক্রমণ সত্ত্বেও দক্ষ যোদ্ধা জ্যোতির কাছে ভিড়তে পারেনি পাকসেনারা। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ম্যাগজিন লোড করে শত্রুর অবস্থান দেখতে মাথা উঁচু করতে মুহুর্তে ১টি গুলি জগৎজ্যোতির চোখে বিদ্ধ করে( একটু সুত্র দাবী করে তার পাঁজর বিদ্ধ করে)। মেশিনগান হাতে উপুড় হয়ে পাশের বিলের পানিতে নিশ্চল হয়ে ঢলে পড়েন জ্যোতি ।

জনসমক্ষে ঝুলিয়ে রাখা হলো
রাজাকারেরা রাতে জ্যোতির মৃতদেহ (একটি সুত্রে বলা হয় তিনি তখনও বেঁচে ছিলেন) খুজে পেয়ে পাকবাহিনীকে খবর দেয় । তাকে আজমিরীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। রাজাকাররা জ্যোতি হত্যার ঘটনা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য তার দেহ কে আজমিরীগঞ্জ গরুর হাটে একটি খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। তারপর চলে মৃতদেহ অবমাননা । একটি সুত্র দাবী করে জ্যোতি তখনও জীবিত ছিল এবং তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় । হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি পরা জ্যোতির নিথর দেহটি কোন সৎকার ছাড়া ঝুলিয়ে রেখে পরে একসময় ভাসিয়ে দেওয়া হয় কুশিয়ারা নদীতে। কিন্ত্ত তার সহযোদ্ধারা তার মৃত্যুতে পিছু হটেনি । জগৎজ্যোতি ছিল তাদের কাছে জীবনের বিনিময়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার এক অনন্য দৃষ্টান্ত । জগৎজ্যোতির বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের কাহিনী সিলেটের সেই অঞ্চলের মানুষের কাছে এখনে মুখে মুখে ফেরে ।

বিস্মৃতির অতলে জগৎজ্যোতি
ছিটে ফোটা দু একটি লেখা ছাড়া খুব কমই আলোচনায় এসেছে এই মহান বীর । মইদুল হাসানের "মূলধারা একাত্তরে" পড়েছিলাম আওয়ামীলীগের একটি অংশ ছাত্রইউনিয়ন সহ দলের বাইরের কোন মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির পক্ষে ছিল না ।

জগৎজ্যোতির কমান্ডার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দেশের ক্ষমতাশীল দলের কান্ডারীদের একজন হয়ে তার ভাগ্য বদলেছেন । চ্যানেল আইতে তৃতীয় মাত্রা সহ একাধিক টিভি অনুষ্ঠানে তাকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে দেখেছি ।কিন্তু এই যোদ্ধার নাম ভুলেও বলতে দেখিনি । হয়তো পুরনো কাহিনী বলে সবাই ভুলে গেছে ।

সামহোয়ারইন থেকে শুধু একটি কথাই বলতে পারি, আমাদের ক্ষমা করুন জগৎজ্যোতি!

সূত্র:

ক. ভাটিবাংলায় মুক্তিযুদ্ধ এবং দাস পার্টি , রাশেদ আহমেদ খান, দৈনিক সমকাল, ৮ ডিসেম্বর ২০০৬।
খ. মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ তিন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতিদাস, তালেব ও গিয়াস
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৪৫
১৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×