বই: বরফ গলা নদী
লেখক: জহির রায়হান
উপসংহারের আগে:
একটি গ্রুপ ছবি।
একটি স্মৃতি।
একটি ভয়ানক ঘটনা।
৫ বছর আগে। হাসিখুসির দিন। দুঃখের দিন। সুখের দিন। একসাথেই ছিল তারা। তারপর?
তারপর এলো সেই আমবস্যার রাত্রি, যে রাতে মাহমুদ ছিল ব্যস্তময় অফিসে।
ধ্বসে গেছে তার বাড়ী, তাদের সুখের নীড়। চলে গেছে বৃদ্ধ বাবা হাসমত আলী, মা সালেহা বিবি, বোন মরিয়ম, হাসিনা, দুলু, বাদ যায়নি ছট্টো খোকনটিও।
স্বপ্ন। তারাও স্বপ্ন দেখতো। একটি বাড়ীর, একটি ভাল জায়গার। কিন্তু গরীবের যে স্বপ্ন দেখতে নেই!
বাবার রোজগারের টাকা দিয়ে সংসার চলতো না তাদের। তাইতো মাহমুদ বেছে নিয়েছিল পঞ্চাশ টাকার সাংবাদিকতার চাকরী; মরিয়ম টিউশনি। এভাবেই চালিয়ে নিতে হতো তাদের লেখাপড়া।
প্রেম। মরিয়ম পড়লো মনসুরের প্রেমে। হাসিনা তসলিমের। রফিক স্কুল শিক্ষিকার। মাহমুদ কারোর না!
সত্য সুন্দর, কিন্তু সবসময় না। নিষ্ঠুর এই সমাজে বাঁচতে হলে মিথ্যার মুখোশ পড়ে চলতে হয়। জাহিদের আগমনের সত্য স্বীকারোক্তিই যেন প্রথম জোয়ারের উচ্ছৃাসে ভাটা পড়েছিল মরিয়মের জীবনে। দু'মাস পরেই চলে আসতে হয়েছিল বাবার বাড়ী।
তারপরেই এসেছিলো সেই আমবস্যা, সেই কালো রত্রি।
উপসংহার:
নিম্নবিত্ত পরিবারের চরম সত্য অবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে উপন্যাসে। এরকম পরিবারে মরিয়মের মতো মেয়য়েরা হয় লক্ষ্মী, মাহমুদের মতো ছেলেরা হয় পরিবারের ভরসা।
মাহমুদ চরিত্রকে একটু উদ্ভটে বা অসামাজিক মনে হলেও সর্বদা সে উচিত কথাই বলতো। তাইতো মরিয়মকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্র চলে এসেছে তার কাছে।
জহির রায়হানের লেখা পড়েছেন কিন্তু *বরফ গলা নদী* পড়েননি ---তা কি হতে পারে?????
সাধারণ বর্ণনায় অসাধারণ কিছু পেতে চান???----চোখ বন্ধ করে পড়ুন এই উপন্যাস!