| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল আছে যারা মূলত ব্যালেন্স করে রাজনীতি করতে চায়। এটা আসলে কোনোদিনই সম্ভব না। বাংলাদেশে যদি প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি কেউ করে থাকে সেটা হলো আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা (মিথ্যা কথা) নিয়ে আর জামায়াত রাজনীতি করছে ধর্মীয় চেতনা, মুসলিম জাতীয়তাবাদ এবং সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে।
বিএনপির জাতীয়বাদী রাজনীতির গোয়া-মাথা কিছুই বুঝি না। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বললেও বিএনপি আসলে একটি হাইব্রিড রাজনৈতিক দল। তাদের আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশের মেজরিটি মানুষ জুলাই আন্দোলনের পর থেকে কনফিউজড। কেন কনফিউজড হবে না বলুন? একদিকে মিরজা ফখরুল বাউলদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানান, অন্যদিকে নোয়াখালীতে বিয়েবাড়িতে গান-বাজনা করার শাস্তিস্বরূপ বিএনপির নেতারা একটি গরীব পরিবারকে বেত্রাঘাত করে। পরিবারটি থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
এবার আসি আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামীর আলোচনায়। এই দুইটি দলের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ বহু পুরাতন হলেও ১৯৭১ সালে সেটা তীব্র আকার ধারণ করে। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ছিলো অখণ্ড পাকিস্তান রক্ষা আর আওয়ামী লীগের মিশন ছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন করা। পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের ২৫শে মার্চ গণহত্যায় মোটামুটি ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছিলো যে তারা চায় মূলত আওয়ামী লীগ, বাম কিংবা কমিউনিস্ট, হিন্দু এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পূর্ব পাকিস্তানের যে লালিত স্বপ্ন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র সেটা দুঃস্বপ্নে পরিণত করে দেওয়া। এই কাজে তারা জামায়াতে ইসলামীকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছিলো।
জামায়াতে ইসলামীর কতিপয় সদস্য যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীকে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের পাপেট সরকার বানানোর মিশন ছিলো। অর্থাৎ জামায়াত ওতপ্রোতভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, বাঙালি নিধনে সহায়তা করেছিল মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করে। এগুলো সবকিছুই ফৌজদারি অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। আর ফৌজদারি অপরাধ কখনো তামাদি হয় না।
জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার বিচার চলছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে। এখানে আসলে আওয়ামী লীগের বিচার করা হচ্ছে যা ফৌজদারি অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সুদূর লন্ডনে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং সভানেত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এতে দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।
দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালকে সহী ট্রাইবুনাল হিসেবে ধরা হলে জামায়াতের নেতাদের বিচারের রায় সঠিক ছিলো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আবার এখন যে আওয়ামী লীগের বিচারের সাজা চলছে উহাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে এটা মেনে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দল হিসেবে জুলাই আন্দোলনসহ বিগত ১৭ বছরের সকল ট্র্যাজেডি এবং গুম-খুনের বিচার হওয়ার পর দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি আরো জোরালো হবে।
একই ট্রাইবুনালে পূর্বে যখন জামায়াত নেতাদের বিচার ও সাজা হয়েছিল অবশ্যই তখন দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিরোধ যুদ্ধে (মুক্তিযুদ্ধ বলা বারণ) হানাদার বাহিনী (পাকি সেনাবাহিনী) দের পক্ষ নিয়ে দেশব্যাপী ম্যাসাকার করার প্রমাণ অবশ্যই পাওয়া গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে চাইলে ইন্টেরিম সরকার জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা নিয়ে কারো দ্বিমত করার সুযোগ নেই। এখন যদি জুলাই আন্দোলনের প্রধান ভ্যানগার্ড হিসাবে জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয় তবে একই সুযোগ আওয়ামী লীগও পাবে। যদিও তারা সাম্প্রতিক সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত।
কেবল নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিলাম আর দল শেষ হয়ে গেলো এমন না। আওয়ামী লীগের এত আকাম-কুকামের পরও তাদের কোটি সমর্থক আছে। আবার ১৯৭১ সালের পর জামায়াতের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার কথা থাকলেও উপযুক্ত পরিবেশে তাদের ছুপা সমর্থকরা ঠিকই জালের মতো তাদের আধিপত্য বিস্তার করে করে আজও টিকে আছে। আসলে মতাদর্শ কখনো ধ্বংস করা যায় না। এসব দল নিষিদ্ধ করে দেওয়ার মধ্যে বিশেষ কোনো বরকত নেই। বরং রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে গুপ্ত রাজনীতি বেড়ে যাবে যা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য এবং সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
বি:দ্র: কর্ণেল অলির ফটোকার্ড সিরিয়াসলি নেয়ার কিছুই নেই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আর কিছুই ভাবতে চাই না। জনাব।
২|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
করেন।
আপনি যা চান তাই তো হয়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার এত মন খারাপ কেন? আমি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।
৩|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:০৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: বিএনপি নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে।
একটু অপ্রাসঙ্গিক তবু বলি, কিছুদিন আগে ওরিয়ানা ফালাচির (Oriana Fallaci) "Interview with History" এই বইটা পড়ছিলাম। সেখানে ফালাচির নেওয়া জুলফিকার ভোট্টোর (এবং ইন্দিরা গান্ধীরও) ইন্টারভিউ পড়ছিলাম, যা ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি সময়ে নেওয়া। ২৫শে মার্চ রাতে যখন পাকি হানাদারেরা গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সবচেয়ে উঁচু তলায় বসে ভোট্টো হুইস্কি খাচ্ছিলেন - এই বর্ণনাটি ভুট্টো নিজেই ফালাচিকে দিয়েছিলেন। আর তখন টিক্কা খান গণহত্যার নেতৃত্ব দিচ্ছিলো। এই হলো জামাতের জঙ্গিদের আব্বা পাকিস্তানি দোসর।
জামাতের জঙ্গিদের তুলনা তারা নিজেরাই। আমার ধারনা, জামাত যত বেশি ক্ষমতার কাছাকাছি যাবে তত নিজেদের কবর খুড়তে থাকবে। হুইস্কি খেতে খেতে বাড়ি বাড়ি গণহত্যা চালানোর ঘটনা এই জাতীর স্মৃতিতে স্থায়ী হয়ে গেছে। এর ক্ষমা নাই, ক্ষয় নাই, মুক্তি নাই!
(বইটার একটা ফ্রি পিডিএফ কপি ইন্টারনেটে আছে। পড়ে দেখার চেষ্টা করতে পারেন!)
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপির রাজনৈতিক কোনো তুলনা নেই। এক বিশাল সমর্থকের কি নিদারুণ অপচয়।
৪|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি কখনো মন খারাপ করি না।
যে যার কাজের ফল পাবে।
আমি আমার কাজের ফল পাবো।
অন্যেকর দোষের জন্য আামার মন খারাপ করার কোন কারণ নেই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনার কাজের ফল তিনি পাচছেন । আপনার মন খারাপের কিছু নেই ।
৫|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: এতদিনে অরিন্দম কহিলেন বিষাদে! আপনার এতদিন লাগলো বুঝতে, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আমি মনে হয় আপনার কোনো পোষ্টেই বলেছি বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপির টপ টু বটম সুবিধাবাদী/সুযোগ সন্ধানী।
আর কর্ণেল অলির ফটোকার্ড ম্যাটার না করলেও বলি। একদার মুক্তিযোদ্ধা আজকের রাজাকার এর যথার্থ উদাহরণ উনি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৩ ইডিয়টস : জেড আই পাননা , ফজলুর রহমান এবং কর্ণেল অলি ।
বিএনপি কি সেটা এখানে বিবেচনার বিষয় না । আপনার দল যে আকাম কুকাম করেছে সেটার বিচার করা হইতেসে । এর চেয়ে শরমের বিষয় আর কি হতে পারে ?
৬|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
বিএনপি কে নিয়ে আপনার অনুধাবন পড়ে মনে হলো এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কিংবা ক্ষমতায় যেতে না পাড়লে বিএনপি অস্তিত্ব সংকট তথা জাতীয় পার্টির মতো ছোট দল হয়ে যাওয়ার মতো সম্ভবনা তৈরি হতে পারে। ঠিক এই কারনে কি এখন তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অপরাধী ৭১ পরাজিত শক্তি প্রচারণায় উঠে পড়ে লেগেছে কিনা কে জানে?
তবে বিএনপি ধ্বংস দুর্বল করার মুল হোতা তারেক রহমান নিজে। সে কখনো তারুণ্যের নির্ভর বুদ্ধিদীপ্ত পজেটিভ রাজনীতি করতে পারেনি। ০১-০৫ সাল পর্যন্ত তার আমলনামা দেখলে বুঝবেন সে ছিল তখন এখনকার উপদেষ্টা আসিফ, সারজিসদের মতোই।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়া মাইনাস হয়ে গিয়েছে কিনা সেটা আগে দেখেন। ![]()
৭|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দেশ চালাচ্ছে জামায়াত। তাদের নিষিদ্ধ করবে কে? আর বিএনপির মুরোদ আছে একা দেশ চালানোর? এককভাবে কখনো সরকারে ছিল?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপির একক ভাবে দেশ চালানোর মুরোদ আছে। আপনি লিগ পিও মানুষ আপনি তো বলবেনই যে জামাত দেশ চালাচছে। বরং সবাই মিলে ভাগবাটোয়ারা করে দেশ টেনে নিচছে ।
৮|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
নতুন বলেছেন: আমলীগ যেমন জামাতীদের রাজনিতি বুঝতে পারেনাই। বিএনপিও পারছেনা।
জামাতের তো বাংলাদেশে রাজনিতি করার নৈতিক অধিকার নাই্। যেই সন্তানকে ১৯৭১ এ মেরে ফেলার চেস্টা করেছিলো তার অভিভাবক হবার জন্য জামাতের এই খায়েস দেখে হাসি পায়। আবার জনগনও ব্রেনওয়াস্ড হয়ে জামাতীদের ভোট দিতে চায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি জামায়াত কে opponent বলে মনে করে না । জামাতের পলিটিক্স হলো মুনাফেকি পলিটিক্স । বহু বছর ধরে বিএনপি জামাত থেকে মোটা টাকা ডোনেশন পায় তাই জোরে কিছু কইতে পারে না । লিগ যখন পাওয়ারে আসলো জামাত লিগকেও ডোনেশন দিয়ে কিনে নিয়েছে । আওয়ামি লিগের official পেইজ চালায় জামাতিরা । তাহলে এবার বুঝেন ।
লিগ-বিএনপি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে ।
৯|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৭
নতুন বলেছেন: সবাই যদি ধান্দাবাজ হয় জনগন যাইবো কই? ![]()
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জনগণ আর কি করবে ? বারবার ঠকবে ।
১০|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ হলো সব দলের বাপ।
বাপকে অস্বীকার করা যাবে না।
১১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগের সাথে জামাত অন্যায় করেছে।
শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন। এইদিকে জামাত নীল নকশা করে। এবং সফল হয়। সমস্যা নাই। আওয়ামীলীগ আবার আসিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এখন চারিদিকে কথা চলছে
মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের পথে
.......................................................
আপনি কি ভাবছেন ???