নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ দেশকে উগান্ডা বলাদের জন্য কিছু কথা

১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৪:৫০

বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে না।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি বাংলাদেশের জনসংখা। শ্রীলঙ্কার প্রায় ৯ গুন।
বঙ্গবন্ধু অবস্য প্রায়ই বলতেন জনগনই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, তখন সেটা ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য, তখন ছিল বেশী জনসংখা মানেই বেশী ক্ষুধা বেশী দারিদ্র।
বর্তমানে সময় বদলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশাল জনসংখা মানেই বিশাল সম্পদ। সেটা তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা।
বিপুল বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদের হুশিয়ারি উপেক্ষা করে বিপুল ব্যায়ে অতি উচ্চমুল্য দিয়ে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন।
অতি সামান্য ব্যাতিক্রম বাদে প্রত্যেক বাড়ীতে বিদ্যুত, প্রত্যেক বাড়ীতে ফোন প্রত্যেক বাড়ীতে ইন্টারনেট, রাস্তা ঘাট সেতু হয়েছে, এখন বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ১০-১২ ঘন্টার ভেতর ঢাকা পৌছানো যাচ্ছে।
সবাই কিছু না কিছু করছে। মৎস উৎপাদনে পৃথিবীতে ২য়, ছাগল গরু মুরগী, দুধ ডিম, শাক সবজি উৎপাদনেও ভাল অবস্থানে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ প্রাপ্তির কারনে উদ্যক্তা, কৃষক, মাছমুরগী চাষিদের উৎপাদন ৫০গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিদেশী রেমিটেন্সের কথা বাদ, এখন অনেকে ঘরে বসেই রেমিটেন্স আনছে।
ফ্রিল্যান্সিংএ বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ভেতর ২য়, ভারতের পরেই ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট (ওআইআই) এর এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এর অংশ বিশ্বের ১৬ শতাংশ।
এছাড়া বাণিজ্যবিষয়ক পত্রিকা ফোর্বস এর তথ্যমতে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রিল্যান্সিং মোট আয়ে বাংলাদেশ এর অবস্থান অষ্টম এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ।
বিশ্বে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে। বাংলাদেশে এই খাতে আয় ১ বিলিয়ন হলেও, সম্ভাবনা আছে ৫ বিলিয়ন ডলারের।
এছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে একক অনলাইনে ভিডিও কন্টেন্ট, জামা কাপড় ও বিভিন্ন বেচাকেনা ও এটা সেটা করেও উপার্যন চলছে।


এক্সপোর্ট বড় মাত্রায় কমে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব একটা ধাক্কা খাবে না।
এর কারন দেশে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে একটি বিশাল সংখক সক্ষম ক্রেতা ভোক্তা।
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদনের শিংহভাগই ক্রেতাই আভ্যন্তরিন, শৃলংকার মত এক্সপোর্ট নির্ভর জিডিপি নয়। বিশাল সংখক ভোক্তা, ভোক্তার সক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট, কাঁচ, মাছ গরু মুরগী .. সব ক্রেতাই আভ্যন্তরিন। চা রপ্তানির তুলনায় দেশেই বেশী বিক্রি হয়। ধিরে ধিরে দেশে তৈরি হয়েছে কোটি কোটি সক্ষম ক্রেতা। বড় শিল্প বাদেই তৃনমুলে উৎপাদন ও সেবার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফুটপাথ ভিত্তিক অর্থনীতিও একটা বিশাল ক্ষেত্র।

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প শ্রীলঙ্কার মত বিদেশী পর্যটক নির্ভর নয়।
পর্যটন শিল্প ৯৯% দেশি পর্যটক নির্ভর। লাখ লাখ দেশী টুরিষ্ট, বিদেশে টুরিষ্ট দরকার পরে না। দেশী পর্যটকদের পকেটে বিদেশী পর্যটকদের চেয়েও বেশী টাকা। হোটেল রিসোর্ট ভাড়া উন্নতদেশের সমপর্যায়ে বা তারচেয়ে বেশী ভাড়া, কোন হোটেল রিসোর্ট খালি থাকে না। ৩০ টাকার নাস্তা ৭০০ টাকায় বিক্রি এর পরেও ভিড়ে উপচে পড়ে।
ঢাকার ও পুরোনো ঢাকার রেষ্টুরেন্টগুলোও পর্যন্টন স্পট হয়ে উঠছে, এখন মফস্বলেও দেখা যাচ্ছে। শত অভাবেও কেউ বলছেনা বেশী মুল্যের কারনে কাষ্টোমার পাচ্ছে না।
কারন আমাদের আছে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১০ গুন বেশী সক্ষম ক্রেতা ভোক্তা।

বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদনের (জিডিপির) শিংহভাগই ক্রেতাই আভ্যন্তরিন,
শৃলংকার মত এক্সপোর্ট নির্ভর জিডিপি নয়। বিশাল বিশাল ইস্পাত শিল্প, বড় বড় সিমেন্ট শিল্প, কাঁচ শিল্প, মাছ গরু মুরগী .. সব ক্রেতাই আভ্যন্তরিন। দেশের বিপুল চা উৎপাদনের চা রপ্তানির তুলনায় দেশেই বেশী বিক্রি হয়।


তাই এক্সপোর্ট ও রেমিটেন্স বড় মাত্রায় কমে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব একটা ধাক্কা খাবে না।
সরকারের আয় কিছু কমবে।
সরকার একটু তৎপর হলে সেটা কমবে না। ট্যাক্স ও ভ্যাট ব্যাবস্থা সম্পুর্নভাবে মেকানাইজড করা হলে এসব খাতে বড় অর্থ ঘুষখোরদের হাতে না যেয়ে সবটাই সরকারের হাতে আসবে।




বৈদেশিক ঋণের কারনেও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমান ১৩১.১৪ বিলিয়ন, যা ২০২০ সালের জিডিপির মাত্র ৩৪.৮১%; দক্ষিন এশিয়ার মাঝে সবচেয়ে ভাল।

মোট বৈদেশিক ঋণ জিডিপির অনুপাতে

Kuwait 17.78%
Bangladesh 34.81% দেবপ্রীয়রা অবস্য বলছে আভ্যন্তরিন ঋন সহ ৪০%
Malaysia 56.32%
Pakistan 77.00%
Sri Lanka 82.99% বর্তমানে ১১২%
Venezuela 214.45%

সুত্র - World Population Review ও IMF:

[
sb]রেমিটেন্স
বিএনপি আমল
2002–2003 - US$ 3,061.97 M
2003–2004 - US$ 3,371.97 M
2004–2005 - US$ 3,848.29 M
2005–2006 - US$ 4,802.41 M


রেমিটেন্স বর্তমান আমল
2016–2017- US$ 12,769.45 M
2017–2018- US$ 14,981.69 M
2018–2019- US$ 16,419.63 M 5.73%
2019–2020 -US$ 18,205.01 M
2020-2021 - $ 22 billion

সুত্র উইকিপিডিয়া।


বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মত হবে, এমনটা হবেই বলে যাচ্ছেন নিজ দেশকে উগান্ডা বলা বিপুল সংখক মানুষ।
এমন বড় সংখার উন্নয়ন অনিচ্ছুক, বিজ্ঞান অনিচ্ছুক জনগোষ্ঠি যে দেশের নাগরিক সেই দেশের সর্বনাশ ঠেকানো আসলেই মুশকিল।
নিজের ভালোতো পাগলেও চায়। দেশটা কার ভাই? উগান্ডা বাসিদের? দেশটাতো আমার, আপনার সবার।
উগান্ডা সরকারের না। তাইলে শেখ হাসিনার উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আপনি নিজের দেশের নিজের পরিবারের সর্বনাশের স্বপ্নে উল্লাস করছেন। কী ভাই?

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজা পাকশের শ্রীলঙ্কার দিকে যাবেনা।
কারণ শেখ হাসিনা রাজাও না পাকশে না।
পাকশে ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিবাজ ছিলো এবং তার পরিবার ক্ষমতার অংশ ছিলো। শেখ হাসিনার পরিবার দুর্নীতিতে অংশ নেয়নি।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:৪০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আরেহ হাসান ভাই,
মচতকার পোষ্ট


পোষ্ট টি স্টিকি করা হোক

২| ১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:


দেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমগতভাবে। আপনার জানামতে, কোন আওয়ামী লীগ নেতার প্রতি মানুষের আস্হা আছে কিনা? ড: হাছান, হানিফ, শাহজাহান, ওবায়দুল কাদের, শামীম ওসমান, অর্থমন্ত্রী কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি'র মতো নেতাদের উপর মানুষের আস্হা আছে কিনা?

দেশে বিশাল সংখ্যক মানুষ জামাতের কোন নেতাকে,বা বিএনপি'র কোন নেতাকে বশ্বাস করে না; শেখ হাসিনা এসব নেতৃত্বহীন মানুষদের নিজের কাছে টেনেছেন কিনা, এদের আস্হা অর্জনের চেষ্টা করেছেন কিনা?

১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সত্য।
তবে আমি দেশের অর্থনীতি নিয়ে বলছি,
ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি'র মতো নেতাদের উপর মানুষের আস্হা ওভাবে বোঝার দরকার নেই।
কাজের আউটপুট দিয়ে যাচাই করতে হবে। এখন পর্যন্ত ওরা ভালই করছে, অর্থনীতি সচল রেখেছে।

৩| ১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:২৯

গরল বলেছেন: দেশে উল্লেখযোগ্য আয় উন্নতি ঘটেছে তবে সেটার সুফল আসলে মুষ্টিমেয় লোক ভোগ করছে, এটাই বড় সমস্যা। তাছাড়া সরকার, সরকারি লোকজন ও আওয়ামিলীগের লোকজন দেশের মানুষকে চাকর বাকর সমতুল্য মনে করে। সুশাসন ও বাক স্বাধিনতা না থাকলে মানুষ কখনই এই উন্নয়ণের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে না। আপনি একজন মানুষকে যতই পোলাও মাংস খাওয়ান, তার সাথে যদি দুর্ব্যাবহার করেন তার কাছে সেই পোলাও মাংস তখন পচা বাসি খাবারের চেয়েও নিকৃষ্ট মনে হবে।

১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'দেশে উল্লেখযোগ্য আয় উন্নতি ঘটেছে তবে সেটার সুফল আসলে মুষ্টিমেয় লোক'।
সত্য।

প্রচলিত পুজিবাদি অর্থনীতিতে এটাই বাস্তবতা।
কমুনিষ্ট লেনিন মাওসেতুংরাও অনেক অনেক চেষ্টা করেও সম্পদের সমবন্টন করতে পারেনি।
রসুল মোহম্মদের আমলেও মানুষ দরিদ্র ছিল। খলিফা হারুনুর রশিদের স্বর্নযুগেও অনেক মানুষ অভুক্ত ছিল। খোদ খোদাও সমবন্টন করেন না।

৪| ১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানী সময়ে, মিলিটারীের কারণে, বাংগালীরা পাকী ও বিহারীদের ভয় করতো; বিএনপি'র আমলে মানুষ জামাত ও বিএনপি'র ক্যাডারদের ভয় করতো; এখন দলহীন সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ নেতাদের ও ক্যাডারদের ভয় করে।

৫| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: শেখ হাসিনার অবদান অস্বীকার উপায় নেই। তবে দূুর্নীতি বেড়েছে বহুলাংশে, লাগামহীনভাবে। এটি ও ঠিক যে দেশটি লাগাতার হরতাল অবরোধের পাল্লায় দীর্ঘদিন না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিসের ভিত্তিতে বলছেন দূুর্নীতি বেড়েছে? তাও লাগামহীনভাবে।
লোকজন বলাবলি করছে তাই বলছেন। কোন প্রমান কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন?

আমি বলছি বাংলাদেশে প্রতি বছরই দুর্নিতি কমছে। অবস্যই কমেছে। আমার কথা না, দেশে বিদেশে যারা দুর্নিতি মাপে তারাই বলছে দুর্নিতি কমছে।
পৃথিবীর কোন দেশই দুর্নিতি মুক্ত নয়।
আগের আমলে দুর্নিতি বেশি ছিল। বিনপি-জামাত আমলে রফতানি ভাল ছিল, রেমিটেন্সও বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ৫ বছরে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ১ পয়শাও বাড়েনি, ৩ বিলিয়ন ছিল ৫ বছর পর সেই ৩ বিলিয়নই রেখে গেছে।
বিদ্যুৎ এক ছটাকও বাড়েনি। কোন সেতু হয় নি, মেগা প্রকল্প দুরের কথা, মেগা প্রকল্প কি জিনিষ কাহাকে বলে সেটাও যানতো না।
তাদের আমলে কোন পাচার হয় নি রিজার্ভ হ্যাকিংও হয় নি। তাহলে রেমিটেন্সের ডলারগুলো কোথায় গেল? সেটাই দুর্নিতি।
যেখানে আওয়ামীলীগ ৩ বিলিয়ন কে ৪৮ বিলিয়নে পরিনত করলো, দুর্নিতি কম হয়েছে তাই সম্ভব হয়েছে।
৫ বছর একটানা দুর্নিতিতে ১ নং চ্যাম্পিয়নের অন্ধকার যুগ থেকে নব নির্বাচিত আওয়ামীলীগ প্রতি বছর কমাতে কমতে বর্তমানে ১৪

৬| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২২

নিমো বলেছেন: কতিপয় নষ্টদের জন্য নিজ দেশকে বিকৃত নামে ডাকা বলদদের দেশে থাকার অধিকার নাই। এসব রামছাগল দেশ ,রাষ্ট্র, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার, রাজনৈতিক দলের পার্থ্যকটাও বোঝে না।

৭| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার বেশিরভাগ পয়েন্টের সাথে আমার দ্বিমত।

দুইটা বিষয়ে কমেন্ট করলাম।

পৃথিবীর কোন অর্থনীতিবিদ বলে যে মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌছানো যাবে না?
১৬% ফ্রিল্যান্সার যদি বাংলাদেশের হয় তবে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে কত টাকা বাংলাদেশের আয় হওয়া উচিত? কেন নেই?

১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অর্থমন্ত্রী সাইফুররহমান প্রায়ই বলতেন
কৃষিতে বেশী ভর্তুকি দেয়া হলে ওরা সাহায্য বন্ধ করে দিবে,
লোকসানি পাটকল বন্ধ না হলে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হবে। বিদ্যুতে ভর্তুকি দিলে বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরির টাকা লোন দেয়া হবে না।
সবার জন্য বিদুত দরকার নেই, যাদের দরকার শুধু তারাই নিবে।
সবার জন্য ফোনও দরকার নেই - একথা না বললেও ফোন একটি মাত্র কম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল, ফোনের দাম ছিল ১ লাখ যার বর্তমান ভ্যালু ৩ লাখ।

ফ্রিল্যান্সার সংখায় বাংলাদেশ ২য় অবস্থান থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং আয়ে বাংলাদেশ এর অবস্থান অনেক পরে - অষ্টম।
কারন হচ্ছে এরা নবিস। খুব একটা দক্ষ না, ভাল কাজ বেছে বার্গেনিং করার মত কেপেবল না।
তবে আশার কথা বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার বয়স কম, ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়স। আর বছরখানেকের ভেতর দক্ষ ও অভিজ্ঞ হওয়ার সুযোগ আছে।

৮| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: দেশের কিছু উন্নয়ন তো হয়েছেই কিন্তু তাকে আমি সাধারন মাত্রার উন্নয়ন বলব , আহামরি কিছু নয় । উন্নয়নের দৌড়ে আমরা চীনের সমকক্ষ ছিলাম । আজা চেয়ে দেখুন চীন কোথায় আর আমরা কোথায় । কেন ওরকম নিট উন্নয়ন হয়নি ! পরিকল্পনার অভাবে , ফাণ্ডের যথাযথ ব্যাবহার না করা । চীন ঠিক কি কি পথ অবলম্বন করেছিল তার ডাটা আমরা অনুসরন করিনা । কি হৈ চৈ এক ব্রিজ নিয়ে যেখানে চীনারা সারা দেশ ব্রিজ আর মহা সড়কে ভরে দিয়েছে । দেশের মেকানিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে সরকারের অবদান শুন্য অথচ প্রচুর উদ্যোক্তা আছে যারা ব্যাঙ্ক লোণ পায়না কারখানা গড়ার । মাধবদিতে মেশিনারিজ পার্টস কাস্টিং মান্দাতা আমলের ধারায় চলছে আধুনিক কাস্টিং সিস্টেম গ্রো করেনি । সৈয়দপুরে একটু টাচ দিয়ে আবার থেমে যাবার প্রবনতা দুঃখজনক । নিউজপ্রিন্ট , হার্ডবোর্ড , খুলনা টেক্সটাইল মিল সেই যে ৭৪ সালে জাতীয়করণ করার পর বন্ধ হয়েছে উদ্যোগ নেই খোলার । আদমজী চালু করা যেত ৈ পরিবারকে দিয়েই , ইচ্ছে নেই তাই জমি ভাগ করে ছোট শিল্পের নামে জমি কেনাবেচার একটা রাস্তা হয়েছে । সরকারে কেউ নেই তো তৃতীয় রাষ্ট্র থেকে কনসাল্টেন্ট নিয়োগ দিলেই হতো । অনেক পথ খোলা থাকার পরও আমরা সেদিকে না গিয়ে আমদানি নির্ভর শিল্প ব্যাবস্থা গড়ে তুলেছি । এখনো সময় আছে ঘুরে দাঁড়াবার ।

১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চীনের সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলে না
চীন একটি বিশাল রাষ্ট্র কমিউনিস্ট রাষ্ট্র কিন্তু চলে ক্যাপিটালিস্ট পদ্ধতিতে তাদের অনেক সুবিধা, অনেক অর্থ।
কর্তৃত্ববাদী শাসন যেকোনো সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে। অল্প সময়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে, জবাব্দিহি সংক্ষিপ্ত।
এই জন্য যে কোন উন্নয়ন নির্মান কার্য দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারে
তাদের একটি রাস্তা তৈরি করতে কারো অনুমতির দরকার হয় না
রাস্তা তৈরিতে পাথর বালু কয়লা বিটুমিন ইত্যাদি কিছুই কিনতে হয় না নিজেদেরই আছে। এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে সমস্যা হয় না কারণ কর্তৃত্ববাদী শাসন সেখানে সকল জমি রাষ্ট্রের নিজস্ব।

বাংলাদেশ একটি রাস্তা করতে হলে প্রতিটি ইঞ্চি জমি বাজার দরে বা আরো বেশি দামে কিনে নিতে হয়।
এবং তাদের বাসাবাড়ি করে দিতে হয় অন্য স্থানে খরচ। রাস্তা তৈরিতে বিটুমিন এবং প্রতিটি পাথর টুকরা ডলারে কিনে আনতে হয় জাহাজ ভাড়া দিতে হয়। রাস্তা করার আগে কাদা নরম মাটিকে রোলিং করে শক্ত ভিত্তি বানাতে হয়। এরপর মাটি ফেলে ফ্লাড লেভেল থেকে উচু করতে হয়, (চীনে পাথুরে মাটি কিছুই করা লাগে না)। এরপর আছে এক মাইল পরপর কালভার্ট তৈরি, কাল্ভার্ট তৈরির খরচ রাস্তার খরচে যুক্ত হয়। অনেক খরচ। এরপর আছে দুর্নিতি, বাংলাদেশে সবাই এখনো সাধু হয়ে যায় নি। তাই বাংলাদেশে রাস্তা নির্মাণ খরচ পৃথিবীর সর্বোচ্চ। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

৯| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আওয়ামী লীগের পতন চান ভাল কথা, কিন্তু দেশের পতন চান কেন? পতন এর আগেই এত উল্লসিত????? এই আপনারা ই ১৯৭১ সনে নিজের পরিবারকে উজার করে দিয়েছিলেন অন্য পক্ষের হাতে শুধু বাংলাদেশ যাতে স্বাধীন না হয়। এমন মানসিকতার লোকজন তো এই দেশের পতনে খুশীই হবে। উনারা দিনে ৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকা কে ই উন্নয়ন বলে মানতে চান।

১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের বিশাল সংখক লোকজন চাইছে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হোক।
এর আগেও আমেরিকা যখন নিশেধাজ্ঞা দিল তখনো এরা আরো বেশী চাচ্ছিল, রপ্তানি বন্ধ করা চাচ্ছিল।
গত বছর - পঙ্গপাল আসছে, পঙ্গপাল সীমান্তের কাছে এসে গেছে - ওরে খুসিতে কি উল্লাশ!
হাসিনাকে নামাতে দেশের ধ্বংশ, নাদানগুলো নিজেরাও গরিব ফকির হয়ে যেতেও রাজি।
৭১ এ শুনেছিলাম কিছু পাকিস্তান সমর্থক নিজেদের পরিবারের মেয়ে সদস্যদের খানসেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলাম রক্ষা পাকিস্তান রক্ষার জন্য।
এত বিপুল জারজ সন্তান নিজেদের সর্বনাশ চাইলে দেশটি শ্রীলংকর চেয়েও ভয়াবহ ..... ..

১০| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশকে হেয় করতে যারা উগান্ডা, সুদান বলে ডাকে এরা আসলে নিজেদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে।
শেখ হাসিনার যত সুবিধা বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য। মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে টিকে আছে।

১১| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তবুও সাবধান থাকা ভালো। কিছু লোক অহেতুক দেশ গেল দেশ গেল বলে চিল্লায়।

দেশ ভাল থাকুক, আমরাও ভাল থাকি। দেশ এগিয়ে যাক। +++

১২| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:২২

রবিন.হুড বলেছেন: দেশের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু দরকার টেকসই উন্নয়ন, মানবিকতার উন্নয়ন।

১৩| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২১

তানভীর রাতুল বলেছেন: আমার 'উগান্ডা' রূপকটা এগিয়ে যাচ্ছে, এমনকি এতদূর পৌঁছে গেছে। ভাবতে ভালোই লাগে...

২১ শে জুন, ২০২২ রাত ২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকলে ১২ বছর আগেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যেত।
তখন শ্রীলঙ্কার জনগণ বলতো শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে।

১৪| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২২

খাঁজা বাবা বলেছেন: @নিমো, উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। উগান্ডার মাথাপিছু আয় ২৯৬০ ডলার।
বাংলাদেশকে উগান্ডা বললে যদি কাউকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হয় তবে যারা এখন দেশ চালাচ্ছেন তাদের ও দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
তারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে কখনো সিঙ্গগাপুর, কখনো কানাডা বা কখনো অন্য কোন দেশ বানিয়ে ফেলছেন।

১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই পোষ্টে আমি কোথাও বলিনি কাউকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে।

১৫| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: @ কলাবাগান ১ ভাই,
দেশ, সরকার, এবং আওয়ামীলিগ তিনটা আলাদা বিষয়। এটুকু বুঝতে খুব অল্প জ্ঞান থাকাই যথেষ্ট।

১৬| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

নিমো বলেছেন: খাঁজা বাবা বলেছেন: বাংলাদেশকে উগান্ডা বললে যদি কাউকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হয় তবে যারা এখন দেশ চালাচ্ছেন তাদের ও দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
তারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে কখনো সিঙ্গগাপুর, কখনো কানাডা বা কখনো অন্য কোন দেশ বানিয়ে ফেলছেন।

জ্বি সঠিক বলেছেন। উনাদের শুধু দেশ নয়, একেবারে পৃথিবীর বাইরে পাঠিয়ে দিলে সবাই উপকৃত হব।

১৭| ১২ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

কলাবাগান১ বলেছেন: খাজা বাবা: ভাল করেই বুঝি যে তিনটা ই আলাদা... কিন্তু ১০০% লোক যারা খুশী হবে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হলে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ এর পতন চান সরকার থেকে। দেশ গোল্লায় গেলেও উনাদের কোন আফসুস হবে না কেননা হাসিনা কে সরানোই উনাদের যপমন্ত্র।

১৮| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:২১

বিটপি বলেছেন: আপনি আর কলাবাগান১ - এই দুইজন পুরা দেশবাসী অথবা তার ৯০% কেই স্বাধীনতা বিরোধী ভাবতে ভালোবাসেন। এটা যে কতটা ভয়ঙ্কর চিন্তা - তা আপনাদের কল্পনাতেও আসেনা। কেউ যদি দেশকে উগান্ডা বলে থাকে - সে তার দেশপ্রেম এবং দেশকে নিয়ে তার আশংকা থেকেই বলেছে। নিজের উগান্ডা চেহারা আয়নায় দেখলে অন্তত বাংলাদেশ হতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু আপনি যদি ভুল করে দেশকে কানাডা বা সিঙ্গাপুর বানিয়ে দেন - তাহলে কেউ আর হাত পা নাড়তে চাইবে না।

১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সোশাল মিডিয়াতে ও নিউজের নিচে কমেন্টগুলো দেখলে বোঝা যায় দেশের বিশাল সংখক লোকজন চাইছে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হোক।
যে কোন বোকাও বুঝবে।
এর আগেও আমেরিকা যখন নিশেধাজ্ঞা দিল তখনো এরা তখন তালেবান বন্দনা বাদ দিয়ে আমেরিকা ভক্ত বনেগেল। আরো বেশী মার্কিন আঘাত চাচ্ছিল কোন রাখঢাক ছাড়াই, রপ্তানি বন্ধ করা পর্যন্ত চাচ্ছিল।
হাসিনাকে নামাতে দেশের ধ্বংশ, পরিবার সহ নিজেরাও গরিব ফকির হয়ে যেতেও রাজি নাদানগুলো। এরা এই তালেবররা দেশের ভাল চায় বলছেন?


১৯| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: আওয়ামীলীগ অনেক কিছু করছে, কিন্তু মানুষের মন পাচ্ছে না।
দিন দিন তাদের বিরোধী সংখ্যা বাড়ছে।

অনেক পাঁড় আওয়ামীলীগার এখন আওয়ামীলীগ বা সরকারকে বাঁকা চোখে দেখছে।

অথচ এটা এড়ানো খুব সহজ ব্যাপার। এখনো সময় আছে।

২০| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

জ্যাকেল বলেছেন: আমার জানা অনুসারে উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আর আপনার ভাষ্য অনুসারে কেহ যদি উগান্ডা নিয়ে লিখেন তবে উহা বাংলাদেশ নিয়ে লেখা হবে। এটা তো ভয়ানক সমস্যা। আপনি উগান্ডা নিয়ে লিখতে নিরুৎসাহিত করছেন, খুব খারাপ।
আর দেশ নিয়ে ভালবাসা থাকে বলেই খারাপ কিছু ঘটতে না দেবার চেস্টায় অনেকেই নিজ দেশ সম্পর্কে লিখেন। আর আপনি উহাকে তাল বানিয়ে একদম দেশবিরুধী বানাইয়া দেন। এটা বাকস্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।

২১| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান,

আপনার লেখার কিছু বিষয়ের সাথে একমত এবং এটা শতভাগ সত্য যে শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ এক নয় অনেক দিক দিয়েই ।

কিছু কিছু জায়গায় শ্রীলংকা আমাদের থেকে যোজন যোজন সামনে ছিল ও আছে তবে শুধু মাত্র ক্ষমতাসীনদের ভূল নীতি ( ভাগ কর - শাসন কর ও একক পরিবার বন্দনার ) কারনে শ্রীলংকার আজ যে অবস্থা তৈরী হয়েছে আমরাও কি তাই করছিনা ?

আর মানুষ একের মাঝে অন্যের তুলনা করে ভাল ও খারাপের সীমারেখা বুঝানোর জন্য । এটা খারাপ কোন মত ও পথ নয়।

২২| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ বুঝলাম উন্নয়ন হয়েছে।
কিন্তু আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও সরকারী হাসপাতালে দালাল। আজও কোটি কোটি বেকার।

২৩| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২৭

অক্পটে বলেছেন: আপনার মাথায় ভয়ানক সমস্যা আছে। মানুষ আশঙ্কা করছে শ্রীলংকার বর্তমান অবস্থা দেখে। এটা মানুষের স্বপ্ন নয় দুশ্চিন্তা কেউই চায়না দেশ উগান্ডা অথবা শ্রীলংকা হোক। এটা সতর্ক করা। কোন ভুলে আমরা যাতে এমন সমস্যায় না পড়ি এজন্য এমন বলা।

এই সরকারের সীমাহীন দূর্ণীতি যা আপনার চোখে পড়ছেনা তাছাড়া আপনি দেশের ৯৫% জনগণকে মনে করেন পাকি ছানা তো এমন একজন পাগলে কি না বলতে পারে। আপনার অবস্থা আমরা বুঝি। কিছু মানুষ চাইলেই দেশ উগান্ডা হবেনা সরকার সতর্ক না হলে দেশ উগান্ডা হতে পারে।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই সরকারের সীমাহীন দূর্ণীতি?
লোকজন বলাবলি করছে তাই বলছেন। কোন প্রমান কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন?
তানভির জুমার স্যার প্রমান দিয়েছেন
১) আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে কয় হাজার কোটি টাকা লোটপাাট হয়েছে তার হিসাব কি আপনার কাছে আছে?
২) সরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানে জনগণ কে কি পরিমান টাকা ঢালতে হয় সেবা পাওয়ার জন্য আপনার জানা আছে?

এগুলো সব হাওয়াই কথা, সুনির্দিষ্ট প্রমান দেন কে কে বড় দুর্নিতি করলো?
বর্তমানে বেশীরভাগ সরকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে কোন অর্থ খরচ করতে হয় না।

থানায় মামলা করবেন জিডি করবেন জেনুইন কেস হলে ১ পয়শাও ঘুষ লাগবে না। আগের আমলে ঘুষ বাদে জিডি অসম্ভব কল্পনা ছিল।
পানি সংযোগ নিতেও কোন ঘুষ লাগবে না।
ল্যান্ড ফোন ও বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিতে এক সময় ২০ হাজার টাকা ঘুষ লাগতো (বর্তমান ভ্যালু ২ লাখ) এখন ১ পয়শাও ঘুষ লাগবে না।
বিদ্যুত সংযোগ নিবেন সরকারি ফি বাদে কোন ঘুষ লাগবে না। গ্যারান্টি।
এখন আপনি এসব ক্ষেত্রে দুই নম্বরি কিছু করতে গেলে ঘুষ লাগবেই। তার জন্য দেশকে উগান্ডা বলতে পারেন না।


এই পোষ্টে আমি কোথাও ৯৫% জনগণকে পাকি ছানা বলিনি, কাউকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতেও বলিনি।
আর আপনারা ৯৫% মনে করেন নাকি? পাগলের সুখ মনে মনে।

জিয়া ও এরসাদের সময়কাল থেকে সবগুলো সাধারন নির্বাচনে জামাতের ভোট ৫% বেশী হয় নি কখনো।
এর আগে জামাত আলাদা ভাবে যতবার ঢাকা সিটি মেয়র পদে প্রার্থি দিয়েছিল প্রতিবারই ৩৫ হাজার ভোট পেত, কমবেশী হত না।
কিন্তু ২০০৮ এ এন আইডি কার্ডের মাধ্যমে ছবি সহ নতুন ভোটার তালিকা মাধ্যমে সেনা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে জামাতের মোট ভোট মাত্র ২%

২৪| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১০

খাঁজা বাবা বলেছেন: @কলাবাগান ১, মানুষ আওয়ামীলিগের পতন চান, বাংলাদেশের না।
দেশ পুরোপুরি ধ্বংস না করে তারা আগেভাগে বিদায় নিলেই জাতী রক্ষা পায়।
যারা শত অত্যাচার করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় মূলত তারা ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠিই দেশের অমঙ্গল চায়।

২৫| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: অর্থমন্ত্রী সাইফুররহমান প্রায়ই বলতেন
কৃষিতে বেশী ভর্তুকি দেয়া হলে ওরা সাহায্য বন্ধ করে দিবে,
লোকসানি পাটকল বন্ধ না হলে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হবে। বিদ্যুতে ভর্তুকি দিলে বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরির টাকা লোন দেয়া হবে না

তখন আমরা আই এম এফ এর উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিলাম। তারা ভর্তুকির বিপক্ষে।
কিন্তু বিদ্যুত লাগবে না তা কে বলেছে?

ছেলেমানুষি কথা

১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদ্যুত লাগবে না - অবস্যই বলেছে সাইফুর।
শুধু বলেলেই খান্ত হয় নি। কাজেও কথাটা প্রমান করে দিয়ে গেছেন।
বিএনপি জামাত আমলে ১ মেগা তো দুরের কথা এক ছটাক বিদ্যুতও বাড়ে নি। ১টি বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও হয় নি। ভবিশ্বতে হবে এমন কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি প্ল্যানও রেখে যায় নি। সাইফুর রহমানের বাজেট বকতৃতা গুলো এখনো খুজে পাবেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে ১ পয়সাও বাজেট বরাদ্দ রাখেন নি।

২৬| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার কমেন্টের কথা গুলো শ্রেফ সরকারের প্রপাগান্ডা।
এগুলিতে কান দিতে নাই।

বর্তমানে সরকার উতপাদন ক্ষমতা কত বলে আর বাস্তব উতপাদন কত, জানা আছে আপনার?

২৭| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

তানভির জুমার বলেছেন: আপনাকে আজকের খবরের একটা লিংক দিলাম, পড়েন মানুষ কি কষ্টে আছেে এটা একটু হলেও বুঝতেে পাারবেন। আর আওয়ামী মাথা দিয়ে চিন্তা করলে খালি উন্নয়ন আর উন্নয়ন দেখবেন। আওয়ামীলিগ টানা ১৩ বছরর ধরে ক্ষমতায় থেকে যে উন্নয়ন করেছে, দেশে কোন সরকার না থাকলেও এর চেয়ে বেশী উন্নয়ন হতো। আপনি প্রশ্ন করলেন কিসের ভিত্তিতে বলছেন দূুর্নীতি বেড়েছে?
১) আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে কয় হাজার কোটি টাকা লোটপাাট হয়েছে তার হিসাব কি আপনার কাছে আছে?
২) সরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানে জনগণ কে কি পরিমান টাকা ঢালতে হয় সেবা পাওয়ার জন্য আপনার জানা আছে? মানুষ এখন এইসব দূুর্নীতিকেই স্বাভাবিক ভাবে এই জন্য কোন প্রতিবাদ হয় না।
৩) আইনের শাসন এখন কোথায় আছে জানেন? মানুষ আর এখন তার সাথে ঘটে যাওয়া কোন অপরাধের বিচার চায় না এটা সরাসরি মিডিয়াতে বলে কেন জানেন?
৪) দেশের ৯৫% জনগণ কে যদি আপনি পাকি প্রেমি মনে করেন তাহলে আর কিছু বলার নাই।
৫) ভালো আছে দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ যারা লোটপাটের ভাগিদার। বাকি জনগন সত্যিই ভালো নেই।

লিংক


১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি বলছেন - "দেশে কোন সরকার না থাকলেও এর চেয়ে বেশী উন্নয়ন হতো"।

তাহলে বিম্পি আমলে (২০০১-২০০৬) রিজার্ভ ১ ডলারও বাড়লো না কেন?
বিএনপি জামাত আমলে কোন বড় সেতু বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হলো না কেন?
১ মেগা তো দুরের কথা এক ছটাক বিদ্যুতও বাড়াতে পাড়লো না। বাড়ানোর ব্যাবস্থাও করলো না। ১টি বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও বানাতে পারলো না। ভবিশ্বতে তৈরি করতে হবে এমন কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা সেতু তৈরি প্ল্যানও রাখা হলো না।
সাইফুর রহমানের বাজেট বকতৃতা গুলো এখনো খুজে ভাল করে শুনুন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে ১ পয়সাও বাজেট বরাদ্দ রাখেন নি। কিছু বরাদ্দ ছিল, সেটা তার ছাড়া খাম্বার জন্য বরাদ্দ ছিল।

দেশের সকল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ফেললো ভারতের ক্ষতি করতে। পাকিস্তানের পরামর্শে উলফাকে আর জংলিদের কে অস্ত্র কিনে দিতে।

২৮| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

তানভির জুমার বলেছেন: লিংক

২৯| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

তানভির জুমার বলেছেন: লিংক.

৩০| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

তানভির জুমার বলেছেন: লিংক কাজ করতেছে না। প্রথম আলোর আজকের খবর শিরোনাম: ‘আগে দুইটা পরোটা খাইতাম, এখন একটা দিয়ে সারতে হচ্ছে।

৩১| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: @তানভির জুমার, ইদানিং খবরের অনেক লিঙ্ক বাংলাদেশে কাজ করে না। :D

৩২| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন:
দেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সত্য।
তবে আমি দেশের অর্থনীতি নিয়ে বলছি,
ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি'র মতো নেতাদের উপর মানুষের আস্হা ওভাবে বোঝার দরকার নেই।
কাজের আউটপুট দিয়ে যাচাই করতে হবে। এখন পর্যন্ত ওরা ভালই করছে, অর্থনীতি সচল রেখেছে।

-অর্থনীতি ভালো হচ্ছে, কিন্তু অর্থনীতি, সম্পদ ও সুযোগ সবকিছু ওদের দখলে।

৩৩| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

এমজেডএফ বলেছেন: ১৪ নম্বর মন্তব্যে খাঁজা বাবা বলেছেন, "@নিমো, উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। উগান্ডার মাথাপিছু আয় ২৯৬০ ডলার।"
৩১ নম্বর মন্তব্যে খাঁজা বাবা বলেছেন, "@তানভির জুমার, ইদানিং খবরের অনেক লিঙ্ক বাংলাদেশে কাজ করে না।"

'উগান্ডার মাথাপিছু আয় ২৯৬০ ডলার' - এই তথ্যের সূত্র কী? আমি বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখলাম: উগান্ডার মাথাপিছু আয় ৮০০ ডলার' সূত্র: World Bank
তানভির জুমার দেয়া লিঙ্ক কাজ না করার কারণ ভুল লিঙ্ক অথবা সঠিক পদ্ধতিতে লিঙ্ক দিতে পারে নাই। এর জন্য কি সরকার দায়ী :P
এ ধরনের ডাহা মিথ্যা বলার পরেও বলবেন, দেশে বাক স্বাধীনতা নাই :)

৩৪| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

অক্পটে বলেছেন: "এক্সপোর্ট ও রেমিটেন্স বড় মাত্রায় কমে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব একটা ধাক্কা খাবে না।"

একজন বিকারগ্রস্থ্য মানুষের অনুমানই শুধুমাত্র এমন হতে পারে।

৩৫| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ৬ নাম্বার মন্তব্যে নিমো বলেছেন: কতিপয় নষ্টদের জন্য নিজ দেশকে বিকৃত নামে ডাকা বলদদের দেশে থাকার অধিকার নাই। এসব রামছাগল দেশ ,রাষ্ট্র, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার, রাজনৈতিক দলের পার্থ্যকটাও বোঝে না।

ভাই নিমো,আপনি কি জানেন কেন উগান্ডা বলা হচ্ছে। কারণ আই সি টির ৫৭ ধারার নষ্ট আইন উগান্ডা বলতে বাধ্য করছে মানুষকে। বাংলাদেশ বললেই কালো আইনে কারাভোগ করতে হবে। এখন আপনি কাইন্ডলি বলেন, কারা রামছাগল? যারা বাংলাদেশ কে ৫৭ ধারার কালো আইন মারফত উগান্ডা বলতে বাধ্য করছে তারা নাকি যারা বাধ্যতামূলক উগান্ডা বলছে তারা।

উত্তরটি আওয়ামী লীগ হিসেবে দিবেন না, ব্লগার হিসেবে দিবেন।

৩৬| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

এমজেডএফ বলেছেন: ২০ নম্বর মন্তব্যে জ্যাকেল বলেছেন: "আমার জানা অনুসারে উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। ...
আর দেশ নিয়ে ভালবাসা থাকে বলেই খারাপ কিছু ঘটতে না দেবার চেস্টায় অনেকেই নিজ দেশ সম্পর্কে লিখেন। আর আপনি উহাকে তাল বানিয়ে একদম দেশবিরুধী বানাইয়া দেন। এটা বাকস্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।"

উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে - এই ব্যাপারে কিছু তথ্য যোগ করে দিলে আমরা পাঠকের জন্য ভালো হতো। আমার জানা মতে বাংলাদেশ উগান্ডার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে:
সূত্র ১ : Quality of Life Comparison
সূত্র ২ : Country Economy

দেশ নিয়ে যাদের সত্যিকারের ভালোবাসা আছে তারা দেশের খারাপ দেখলে যেমন সমালোচনা করে, তেমনি ভালো দেখলেও তা নিয়ে উৎসাহ ও গর্ববোধ করে। যারা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির বিশ্বব্যাংকের কথিত অভিযোগে দেশপ্রেমে উৎলে উঠে লাফালাফি করে, কানাডার আদালতে দুর্নীতি প্রমাণ না হওয়ায় মামলা খারিজের খবরে বাকশক্তি হারিয়ে পেলে তারা দেশপ্রেমিক নয় দেশশত্রু।
যথেষ্ট কারণ না থাকা স্বত্তেও এখন অতি উৎসাহী যারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা উগান্ডা হয়ে যাবে বলে লাফালাফি করছে এরা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক নয়।

৩৭| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৮

নিমো বলেছেন: ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ভাই নিমো,আপনি কি জানেন কেন উগান্ডা বলা হচ্ছে।
জ্বি জানি, কারণ আপনার মত দেশ ,রাষ্ট্র, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার, রাজনৈতিক দলের পার্থ্যকটাও বোঝে না, এমন কেউ ব্লগে এই ধরণের নির্বোধ প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন।

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কারা রামছাগল?
আবারও বলি, দেশ ,রাষ্ট্র, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার, রাজনৈতিক দলের পার্থ্যকটা নিয়ে একটু জানার চেষ্টা করুন। এটা ব্লগ, পাঠশালা নয়, নইলে শেখাতাম।
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন:উত্তরটি আওয়ামী লীগ হিসেবে দিবেন না, ব্লগার হিসেবে দিবেন।
এতটা আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেকে কোনটাই কোনদিন ভেবে দেখি নি। যেহেতু ব্লগার শব্দটা এসেছে তাই একটা কথা বলি, গত কয়েক বছরে একমাত্র ডঃ এম এ আলী আর সাজিদ উল হক আবির ছাড়া আর কাউকেই পাই নি যাদের আসলে লেখক বা ব্লগার বলা যায়। বাকিদের পোস্টে মন্তব্য করা বা মন্তব্য চালাচালিটাও আসলে সময় নষ্ট।

৩৮| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৭

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: নিমো @ আপনি অনেক জ্ঞানী ব্যাক্তি। আপনার সাথে তর্ক করার যোগ্যতা এবং জ্ঞান আমার নাই। তবে আপনি না জেনে একটা কথা বলেছেন, ডঃ এম আলী আর সাজিদ উল হক আবির ছাড়া এই ব্লগে আর কোন ব্লগার নেই। আপনি ৩ লক্ষ ব্লগার কে এই কথা বলে অপমান করেছেন। এখন ব্লগে যারা অন লাইন আছেনঃ তাদের মধ্য হতে কিছু ভালো ব্লগার আছেন। যেমনঃ সোনাবীজ , আহমেদ জি এস, কাল্পনিক ভালোবাসা, বিডি আইডল, রিম সাবরিনা জাহান, মোস্তফা কামাল পলাশ, শায়মা। আপনি ৫ বছরে মাত্র ১ টি পোস্ট করে কে ব্লগার আর কে ব্লগার না এটার মাণ নির্ণয় করতে এসেছেন !! শীট !! কার সাথে তর্ক করলাম! সরি ভাই , ভুল হইছে। আপনার নিক্টি ভিজিট না করে আমার আপনাকে মন্তব্য মেনশান করাই উচিৎ হয়নি।

আপনি জানেন না, দেশে এই মুহুর্তে যারা সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যম গুলোতে ভালো লেখালেখি করে সুনাম অর্জন করেছেন তার সিংহ ভাগ সামু ব্লগ থেকে উঠেছেন। না জানলে জেনে নিবেন।

৩৯| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া সাহেবের একটা সাক্ষাৎকারে উনি ছয় বছর আগে শ্রীলঙ্কার অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করেছিলেন বলে দাবি করছেন। আমার ব্যক্তিগত মতামত বাঙালিদের অহেতুক আতংকিত হবার কারণ নেই। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা এরকম কিছু বললে একটা দুশ্চিন্তা চলেই আসে।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রেজা কিবরিয়াকে এখন আর অর্থনীতিবিদ বলা যায় না।
উনি এখন রাজনীতি জীবি। উনি আওয়ামীলীগ থেকে গণফোরামে গেছিলেন, গণফোরামে সুবিধা করতে না পেরে আরেকটি ছোট দলে যোগ দিয়েছিলেন। বিএনপিতে যাওয়ার চেষ্টাও ছিল। বর্তমানে চ্যাংড়া পোলা নুরুর নবগঠিত দলে যোগ দিয়েছেন।

যাইহোক পোষ্টকে ইতিবাচক হিসেবে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪০| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টে আপনার তথ্যমূলক বিচার বিশ্লেষণের সঙ্গে এফজেডএফ ভাইয়ের মন্তব্যদুটিও খুব ভালো লেগেছে।

৪১| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫৯

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: দলকানা, এক নেতা এক দেশের প্রবক্তারা আরো কতো ১ মিথ্যা ২ ডাহা মিথ্যা ৩ পরিসংখ্যান নিয়ে ছেলে ভুলানো গল্প বলে যাবে।

৪২| ১৩ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দেশে উন্নয়ন বা জিডিপি বাড়ছে ঠিকই তবে সামাজিক বৈষম্য ও দুর্নীতি বেড়েছে তার তুলনায় অনেক বেশি। এই দুটিকে সামাল দিতে না পারলে জনগণের অসন্তোষ শ্রীলংকার মতো রূপ নিতে পারে যে কোনো সময়েই। হাসিনা শক্ত হাতে দেশের হাত ধরেছেন বলে হয়তো এখন সেটা নিয়ন্ত্রণে আছে - কিন্তু বারুদে স্ফূলিঙ্গ জ্বলতে পারে যে কোনো সময়েই ।

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সামাজিক বৈষম্য নিরসন, অর্থনৈতিক বৈষম্য
এসব বৈষম্য কমানো যায়, কিন্তু দূর করা অনেক কঠিন।
নিউজিন্যান্ডের মত বিশাল এলাকা নিয়ে সম্পদশালী কিন্তু বাংলাদেশের একটি জেলার সমান জনসংখা হলে কিছুটা বৈসম্য কমানো যায়। এরপরেও নিউজিল্যান্ডে দারিদ্র আছে।
আমেরিকা কানাডা জার্মানির মত ধনাঢ্য উন্নত দেশগুলোও বৈষম্য বেড়েছে। কমাতে পারেনি। সেখানে বৈষম্য আমাদের চেয়ে বেশী। রাস্তায় ঘুমানো ফকির মিসকিন অনেক।
সামাজিক অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পুর্ন বিলুপ্তির স্লোগান দিয়ে সোভিয়েট ও চীন ৭০ বছরেও পারেনি।
হজরত ওমরের আমলেও অনেক দারিদ্র ছিল। খলিফা হারুনুর রশিদের স্বর্নযুগেও অনেক মানুষ অভুক্ত থাকতো।

তবে শেখ হাসিনা ১৯৯৬তে ক্ষমতায় এসেই উন্নত দেশের ন্যায় অতিদরিদ্রের জন্য কিছুটা সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা দেয়ার ব্যাবস্থা করেন।
হাতে এমন অর্থ না থাকার পরও ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর প্রথমবারের মত বয়স্কভাতা দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা প্রতিবন্ধি ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ইত্যাদিতে প্রায় দেড় শতাধিক খাতে বছরে বরাদ্দ একলাখ কোটি টাকারও বেশি।
দুর্নিতি এড়াতে ভাতা বিতরন করা হচ্ছে ডাইরেক্ট মোবাইল ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। বর্তমানে তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীও এর আওতায় এসেছে।

৪৩| ১৩ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:০৪

জ্যাকেল বলেছেন: @এমজেডএফ

https://samakal.com/africa/article/2203102258

৪৪| ১৩ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থনৈতিকভাবে দেশের অবস্থা ভালোই বলা যায়। তবে আরও গতি বৃদ্ধি করতে হবে। অনেক সম্ভবনা ১০০% বিদ্দুতায়নের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই। সময়মত অনেক গুরুত্বপুর্ন কমেন্টের জবাব দিতে পারি না।
সারাদিন চাকরিবাকরি করে লম্বা ড্রাইভিং করে বাসায় এসে ঘুম পেয়ে যায়, আগে পেট বাচাতে হবে তারপর তো ব্লগিং।

দেশে শতভাগ ১০০% বিদ্যুতায়নের জন্য সরকার যে বিপুল ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিলের মাধ্যমে এই টাকা ইহজনমেও উঠে আসার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু জনগন ও উদ্যক্তারা উৎপাদন বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে এই ব্যায়ের চেয়ে বহুগুন অর্থ ইতিমধ্যেই সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে পরক্ষ ভাবে।
একজন ভিন্ন মতাবলম্বি হয়েও আমার পোষ্টকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন, এজন্য আবারো ধন্যবাদ।


৪৫| ১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: @জ্যাকেল,
'আপনার জানা অনুসারে উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।' -এর সমর্থনে দেওয়া লিঙ্কের তথ্য হল - ১৯২১ সালে সুখী দেশের তালিকায় বৈশ্বিকভাবে উগান্ডা ৮৩ তম স্থানে আছে। শুধু এই একটা তথ্যই পেলেন! তারপরেও চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে আরো লেটেস্ট তথ্য দিচ্ছি:
২০২২ সালের বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় (ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট 2022) দেশের র‌্যাঙ্কিংয়ের বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম স্থানে, উগান্ডার অবস্থান ১১৭তম।
সূত্র: World-happiness-index 2022
এখানেই দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। কারো চোখে দশটা ভালো চোখে পড়ে না, একটা খারাপ থাকলে সেটাই চোখে পড়ে।

বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ২০২০ - ২০২২ মাত্র তিন বছরে ৩১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে এসব তথ্য। যাই-হোক, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ ও সুখী দেশ দুটির পরিপ্রেক্ষিত সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেক দরিদ্র লোক গাছতলায় ঘুমিয়ে সুখী। আবার অনেক ধনী ২২ তলায় এয়ারকন্ডিশন ঘরে শুয়েও সুখী নয়।

শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকুন।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একদম সবার মুখোষ খুলে দিয়েছেন।

৪৬| ১৩ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: চীনে এখন কোন কিছুই ফ্রি নয় । কয়লা কর্পোরেশনকে , পাথর কোম্পানিকে , ইট প্রস্তুত কারিকে , কৃষককে জমির মুল্য বা ফ্লাট কিনে দিয়ে সব আয়োজন করতে হয় । কনট্রাক্টর কোম্পানিকে সরকার টাকা দেয় তাদের কাজ পূর্ণ করতে । এটাই সংস্কারের সুফল ।

৪৭| ১৩ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: @এমজেডএফ ঐটা ২০১৫ সালের হিসাব ছিল বর্তমানে উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে অবশ্যই পেছনে পড়ে আছে। আপনি সঠিক, উহারা এখন আর আমাদের চেয়ে এগিয়ে নেই।

৪৮| ১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের মন্তব্যের শেষ অংশ সঠিকভাবে লিখতে পারিনি;

অনেক সম্ভবনা আছে বাংলাদেশের সামনে। ১০০% বিদ্যুতায়নের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জি ধন্যবাদ। সেটা বুঝতে সমস্য হয় নি, সামান্য টাইপিং মিস্টেক হতেই পারে।

৪৯| ১৪ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪১

নিমো বলেছেন: @শাহ আজিজ, চীন আর বাংলাদেশ আদপেও তুলনাযোগ্য নয়। তারপরও যেহেতু তুলনা করেছেন তাই কিছু প্রশ্ন করি।
১। শি জিনপিং ও তার দলবল কোন রাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় এলো ?
২। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার প্রক্রিয়াটা কতটুকু গণতান্ত্রিক ? একটু জানান, জাতি দেখুক চীনের গণতন্ত্রনামা।
৩। পূর্ব আফ্রিকা সহ, আফ্রিকায় নব্য উপনিবেশবাদ চালুতে চীনের ভূনিকা নিয়ে কিছু জানান ?
৪।সকল তথ্য পাবার অবারিত মাধ্যমগুলো নিয়েও কিছু জানান।
৫।শ্রীলংকার আজকের অব্স্থানে আসার পেছনে চীনের কোন ভূমিকা আছে কি ?
৬। করোনা নিয়ে লুকোচুরি কেন ?
আপাতত এগুলোর উত্তরই দিন।

৫০| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২০

অক্পটে বলেছেন: ভাষাহীন হয়ে গেলাম আপনার কথা শুনে!! দেশে দূর্ণীতি নেই? এ যেন এক নিঃশব্দ অন্ধ আত্মোপলব্ধির নাম।
আমি নিজে যে দূর্ণীতির সাক্ষী সেগুলো বলতেও আর রুচিবোধ লাগছেনা। আপনি কোথায় থাকেন? ১৫ তম রোজার সময়ই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গরীব সিরিয়াস রোগী ভর্তি করেনি ডাক্তার। অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছে। বলেছে ঈদের পরপরই আসতে। ঈদের পরপরই রোগি নিয়ে গেছে, না দেখেই বলেছে রোগির এই অবস্থায় ভর্তি সম্ভব না, এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। ২০ দিন পরে আসবেন। ঘুষ দিলে ভর্তি করানো সম্ভব ছিল। রোগী নিয়ে বেচারা স্বামী কেঁদে কেঁদে বাড়ি ফিরেছে। এখন আপনি বলছেন সেই গরীব মানুষটিকে প্রমাণ করতে হবে যে চাহিবা মাত্রই ঘুষ ছাড়া বাংলাদেশে সকল সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সম্ভব!!! হায় খোদা আপনি কোন দেশের মানুষ?

ব্লগে কেউ কি আছেন এই গরীব পরিবারটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে সাহায্য করার। পরিবারটিকে আমি কিছু আর্থিক সহায়তা করেছি। গলার অপারেশান করতে হবে। আমি তাদের কথা দিয়েছি আমার পক্ষে আর যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবো।

১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশে কোন দুর্নীতি নেই, এ কথা আমি কোথাও বলিনি।
কিন্তু পোস্টে সীমাহীন দুর্নীতি দেশের লাগামহীন দুর্নীতি ইত্যাদি বলা হচ্ছে।
আমি বলছি দেশে লাগামহীন দুর্নীতি একসময় ছিল এখন দিন দিন তা কমে আসছে। নেই হয়ে যায়নি।
আমার জানামতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কখনো কোন রোগীকে ফেরত দেওয়া হয় না। সিট না থাকলে মাটিতে শুইয়ে হলেও রাখে বারান্দায় হলেও রাখে।
আমি কিছুক্ষণ আগে ফোনে জেনে নিলাম এখনও রাখে।

আপনার রোগীর সম্ভবত এর আগে দালালের খপ্পরে পড়েছিল অন্য হাসপাতাল থেকে টেস্ট মেস্ট করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তারপরে এসেছে, অপারেশন লাগবে হয়তো। এ ধরনের রোগী সাধারণত ইমারজেন্সিতে রাখেনা, outdoor ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে তার পরামর্শ মতো অপারেশন করার ডেট বা কিছু একটা করতে হয়।
বাংলাদেশ বলেন আর আমেরিকা বলেন গরীবের জন্য চিকিৎসা ব্যাবস্থা খুবই সংকটপুর্ন।
আপনি তাকে সাহায্য করছেন মানবতার কাজ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

৫১| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৮

অক্পটে বলেছেন: আপনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে ফোনে জেনেছেন। আমিও এমনই জানতাম। দুখী দরিদ্রের শেষ ভরসাস্থল তো ওটাই হওয়ার কথা কিন্তু ওরা তিনবার গিয়েছে সেখানে নতুন করে ২০ দিনের সময় দিয়েছে। ২৫/২৬শে মে আবার যাবে। ভর্তিটা করা করানো খুব জরুরী হয়ে গেছে। আচ্ছা আপনি কি কোন ভাবে একটু সহায়তা করতে পারবেন ভর্তির ব্যাপারে। যদি পারেন প্লিজ জানাবেন।

আমি ওদের ব্যাপারে ভর্তিতে সহায়তা চেয়ে একটা পোস্ট লিখেছি, একটু দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.