| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রাবণধারা
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই প্রকাশ্য উৎযাপন চলছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে। ড. ইউনূস যদি পরাশক্তির ক্রীড়নক না হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর উচিত হবে দায় স্বীকার করে দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা ও মব সন্ত্রাস বন্ধে সরকার কী করছে, তা দেশের মানুষকে স্পষ্টভাবে জানানো।
ড. ইউনূস সরকার শুধু নিজেই ব্যর্থ হয়নি, পুরো জাতিকেই তিনি পরাজয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এনজিওবৃত্তির আড়ালে তিনিএতদিন গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের মুখোশই কেবল দেখিয়ে গেছেন। তারা মব সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছেন, এই অপবাদ এতদিন থাকলেও, গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন কার্যত জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
জঙ্গিদের লক্ষ্যও পরিষ্কার। বিগত সরকারের চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠা তাদের লক্ষ্য। সর্বাত্মকভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বগ্রাসী ক্ষমতা অপরিহার্য। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তারা দেশের উদারনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্র, যুক্তিবুদ্ধি, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি সংস্কৃতির পক্ষে কাজ করে তারাই আক্রমণের লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে ছায়ানট ও উদীচীর মতো প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের সংবিধানে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার স্থান নেই। তাদের দৃষ্টিতে সংগীত, শিল্পকলা, সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তা সবই নিষিদ্ধ, অতএব এরাই তাদের প্রধান শত্রু।
এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় যে ভূমিকার কথা আলোচনায় আসার কথা, সেই মাহমুদুর রহমানের নাম আশ্চর্যজনকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না। শাহবাগ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে ইসলামপন্থি রাজনীতির জন্য যে আদর্শিক জমিন তিনি তৈরি করেছিলেন, সেটাই আজকের এই উগ্রবাদী বাস্তবতার ভিত্তি। ইমান বনাম নাস্তিকতার ফ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ন্যারেটিভ ব্যবহার করে রাজনীতিকে ধর্মীয় আবেগে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে তিনি সহিংস ইসলামপন্থি শক্তিগুলোকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা এনে দেন।
তার পত্রিকার দীর্ঘদিনের প্রতিক্রিয়াশীল বয়ানই আজকের এই মবতন্ত্র, ব্লাসফেমির অভিযোগে সহিংসতা, পত্রিকা অফিস ও সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের আদর্শিক ছক তৈরি করেছে। আজ যখন কটূক্তির অভিযোগে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়, কিংবা সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগুন দেওয়া হয়, তখন এসব ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে লালিত উগ্রপন্থি ধ্যানধারণারই চূড়ান্ত প্রকাশ।
যেহেতু এই পথে তাদের প্রধান বাধা প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের মতো মুক্তবুদ্ধির পত্রিকা, তাই এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। আর শরিয়াভিত্তিক আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত-এর মতো পত্রিকাগুলো ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার চুড়ান্ত ন্যারেটিভ তৈরি করছে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: সব মানুষের ঘাড়ে একটাই মাথা থাকে।
আমরা যদি গণতন্ত্রের কথা বলি, জনগণের ক্ষমতার কথা ভাণ করেও বলি, তবুও সরকার প্রধানকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এটা গণতন্ত্রের কথা শুধু নয়, যেকোন সভ্য সমাজের, সভ্য মানুষেরই কথা। ঘাড়ে একটা মাথা নিয়েই সেটা দাবী করা যেতে পারে।
২|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০০
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার বাপরে একজন বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করল আপনি রাগের মাথায় ঐ লোককে দু চার ঘা বসিয়ে দিলেন....ব্যাটা মরে গেল
এক লোক চুরি করে কিন্তু রাষ্ট্র কিছু বলে না, তো একদিন সকলে মিলে উ্ত্তম-মধ্যম দিয়ে মেরে ফেললেন...
এর ভারডিক্ট কী হবে যদি বলে দেন
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা
আপনি আপনার এই বহু চর্চিত, নিচুমানের "বাপরে, একজন বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করল" কুযুক্তি বাদ দিন। নরহত্যার মত ভয়াবহ অপরাধের শাস্তি আপনার হবেই। আপনার বাপরে গালি দিলেও হবে, না দিলেও হবে।
আপনি এই ভয়ানক মব কিলিং ও আধমরা মানুষকে গাছে ঝুলিয়ে পুড়িয়ে দেওয়াকে দু-চার ঘা বসিয়ে দেওয়া হিসেবে দেখেছেন! আপনি একজন সাংঘাতিক মস্তিষ্কবিকৃত মানুষ।
৩|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২২
মাথা পাগলা বলেছেন: সবাই তো দেখি হাদি নিয়ে ছিল। ভেবছিলাম কেউ না কেউ এই ব্যাপারে লিখবে, কিন্তু শেষমেশ আমি নিজেই একটা পোস্ট দিয়েছি। লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
@আলামিন১০৪
আমার একটা ভাবনা আছে, কেউ যদি মনে করে তার মতাদর্শের মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে আর কারো থাকার অধিকার নেই, সেসব মানুষদের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। কারণ সে অন্যের বেঁচে থাকার অধিকার অস্বীকার করছে। এরা সভ্য সমাজের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
গালি দেয়া একটা এক্সপ্রেশন, যতোক্ষন পর্যন্ত না সেটা হেনস্তার পর্যায়ে যাচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা বা মেরে ফেলার কথা বলা, এমনকি চিন্তা করাও অপরাধ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি গতকাল বিষয়টা নিয়ে লিখতে গিয়েও লিখে উঠতে পারিনি। মাথায় ছিল, প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারে আরও মানুষ মারা গেছে কি না। সেখানে দুজন বন্ধু কাজ করে।
আজ সৈয়দ কুতুব আর কলিমুদ্দিন দফাদারের পোস্ট দেখে মনে হলো লেখা যাক। তখন আপনার পোস্টটাও দেখলাম।
৪|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কোন হিন্দু ইসলামধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবে।তব্ বন্ধু মহলে আলাপ কালে করতে পারে।সেটা হয়তো তৃতীয় কেউ শুনে এমন একশনে যেতে পারে।হিন্দুদের উপর হামলা পরিকল্পিত।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার পয়েন্টটা গুরুত্বপূর্ন। হিন্দুদের ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করার সম্ভবনা কম।
আপনি যে আমার পোস্টের প্রথম দুই তিন লাইন পড়েছেন, এটা জেনে আনন্দিত! ![]()
৫|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
৩২. এ কারণেই বনী ইসরাঈলের উপর এ বিধান দিলাম যে, নরহত্যা বা যমীনে ধ্বংসাত্মক কাজ করার কারণ ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে(১) সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল(২), আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল(৩)। আর অবশ্যই তাদের কাছে আমার রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলেন, তারপর এদের অনেকে এর পরও যমীনে অবশ্যই সীমালংঘনকারী।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধর্মগ্রন্থের বাণী কী মনে করে এখানে লিখলেন? এটি তো আমার পোস্টের প্রসঙ্গ নয়।
আমার বিশ্বাস আপনার মস্তিষ্কের ফিতা কতগুলো ছোট বিষয়ে আটকে আছে। সেগুলো থেকে মুক্তির চেষ্টা করুন।
৬|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গার্মেন্টস মালিক, যাদের সাথে দিপু দাসের গেঞ্জাম হয়েছে এদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এটা মোর দেন ব্লাসফেমি!
দিপু দাস কি বলেছে এটা সবার আগে জানতে হবে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে এমনিতে ব্লগের চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন বলিনি। দেখেন, আপনি কত গুরুত্বপূর্ন একটা পয়েন্ট নিয়ে কথা বললেন।
৭|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২২
হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: পোস্টে আপনার মতের সাথে আমি সহমত নই, আই ডিজেগ্রী।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: অবশ্যই! কথায় আছে, উই এগ্রি টু ডিজেগ্রী! দেখেন, মানুষের মতের মিল না হলেও, দ্বিমতে মিল হয়।
আমি যে শঙ্কার কথা এখানে হাইলাইট করেছি, সেটা করতে গিয়ে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। কিন্তু একের পর এক ঘটনা তো দেখছি।
৮|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
দেশে চলমান উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর নাশকতার মুল চালিকা শক্তি "ভারত হিন্দু সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র" এবং "শরিয়া কায়েম"।
ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য নিষিদ্ধ সহ এবং মাদ্রাসা গুলোকে কঠোর জবাবদিহিতা আনা জরুরি।
ধর্মান্ধতা মানুষকে এতো উগ্র করে তোলে গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রত্যক্ষ না করলে বুঝা কঠিন ছিল।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হলেও হতে পারে, কিন্তু সেখানে সুশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। ভেবে দেখুন, এক নজরুল ও বেগম রোকেয়াকে আমরা কত অসম্মান করেছি। ভারতে রবীন্দ্রনাথ বা মহাত্না গান্ধীর ক্ষেত্রে সেটা প্রায় অসম্ভব।
আর বর্তমানে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো আমার মতে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল বা মাদ্রাসা শিক্ষার ফলের চেয়ে বেশি ঘটেছে এসবের বি-মানবিকরণ ও দুবৃত্তায়নের কারণে। মাহমুদুর, পিনাকী, ইলিয়াস - এরা তো কেউই ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল বা মাদ্রাসা শিক্ষার লোক নন।
৯|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জনগণ যা ভালো মনে করে করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো আর কথা বলা যাবে না, পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা বলা যাবে না, সবসময় যে দিকে দল ভারী সেই দিকেই কথা বলতে হবে।
আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত যদি দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে অন্য সকল মিডিয়া জ্বালিয়ে দেয় এবং দেশে ইসলামী শাসনের চুরান্ত ন্যারেটিভ তৈরী করে তাহলে ইহা একান্তই জনগণের ইচ্ছে। জনগণের ইচ্ছে, চাওয়া-পাওয়ার বিরুদ্ধে কখোনোই কিছু বলা যাবে না।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বটে!
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ইসলামী শাসনের ন্যারেটিভ তৈরি করা বিষয়টা বোধহয় এমন হবার নয়। উদাহরণ হিসেবে ইরানকে যদি ধরি, দেখবেন, সে দেশের বহু মানুষ ইসলামী শাসনের বিরোধী। আরও ইন্টারেস্টিং হলো, পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ইরানিরা ইরানের সর্বগ্রাসী ইসলামী শাসনকে ঘৃণা করতে গিয়ে প্রবলভাবে ইসলামবিদ্বেষী হয়ে গেছে।
ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে গেলেও, ধর্মকে মুক্ত করে দিতে হয়। তবে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সে আলাদা কথা।
১০|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
কিরকুট বলেছেন: বিগত ১৬ বছর ধরে এটাই চাইছিলো এক গোষ্ঠী। আমরা হাসিমুখে সেইটাই হতে দিলাম ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
শ্রাবণধারা বলেছেন: বিগত ১৬ বছরের সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন নিশ্চয়ই আপনার জানা থাকবে। বাঘের খাঁচা থেকে সিংহের খাঁচায় পড়েছি বলে আগের বাঘের খাঁচাটাকে ভালো বলা যায় না। বরং আগে যদি জানাও যেত যে যেখানে যাচ্ছি সেই অদৃশ্য জায়গাটা মনে হয়, সিংহের খাঁচার মতো কিছু একটা হবে, তবুও হয়তো মানুষ সেখানে ঝাঁপ দিত।
১১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিগত ১৬ বছরের সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন নিশ্চয়ই আপনার জানা থাকবে। বাঘের খাঁচা থেকে সিংহের খাঁচায় পড়েছি বলে আগের বাঘের খাঁচাটাকে ভালো বলা যায় না। বরং আগে যদি জানাও যেত যে যেখানে যাচ্ছি সেই অদৃশ্য জায়গাটা মনে হয়, সিংহের খাঁচার মতো কিছু একটা হবে, তবুও হয়তো মানুষ সেখানে ঝাঁপ দিত।
আচ্ছা আপনি বলতে চাচ্ছেন জ্বলন্ত কড়াই থেকে ফুটন্ত তেলে ঝাপ দেয়ার মতো কোন বিষয় । আপনার এই কথা শুনে একটা কথা মণে পরে যাচ্ছে, গত ৫ আগস্টে আমি একজনার পোস্টে এই কথাটাই মন্তব্য করেছিলাম যে আমরা জ্বলন্ত কড়াই থেকে ফুটন্ত তেলে ঝাপ দিলাম তখন আপনাদের এই ব্লগের প্রতিযসা ব্লগার ঢাবিয়ান আমাকে মৃদু হুমকি সহযোগে প্রতিমন্তব্য করেছিলেন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।
৬ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর সকালে আমি "আওয়ামী হায়েনার বিচারের চেয়েও এখন জরুরি ধর্মান্ধ, জঙ্গি ও ইসলামিস্টদের বিষয়ে সতর্কতা" নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, যদিও এটার মাত্রা যে এত খারাপ হতে পারে, সেটা তখন বুঝিনি।
১২|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭
কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। ৬ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর সকালে আমি "আওয়ামী হায়েনার বিচারের চেয়েও এখন জরুরি ধর্মান্ধ, জঙ্গি ও ইসলামিস্টদের বিষয়ে সতর্কতা" নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, যদিও এটার মাত্রা যে এত খারাপ হতে পারে, সেটা তখন বুঝিনি।
আমার এই ইসলামিস্ট শব্দটা নিয়ে আপত্তি আছে । ধর্মান্ধ জঙ্গী এই শব্দ ঠিক আছে । কারন আমার দাদা নানারা প্রচন্ড ধর্মান্ধ ছিলেন কিন্তু তারা হিংসাত্বক মনভাবী ছিলেন না । তারা তাদের সময় নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন কিন্তু তাদের ইতিহাসে কোন দাঙ্গা হাঙ্গামায় উষ্কানী দেবার মতো কার্যকলাপ ছিলো না ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
অনেক সময় শব্দের অর্থ চাপিয়ে দেওয়া হয়। সে হিসাবেই এই শব্দের অর্থও তাই। যার কিছু শোভন বাংলা হতে পারে উগ্রপন্থী। আমরা এমন কিছু শব্দ প্রায় ব্যবহার করি যা নিজেদের জাতি, ধর্মকে ছোট করে। আবার আমাদের আচরণ আর কাজের মাধ্যমেও আমরা নিজেদের জতি ও ধর্মকে খাটো করি। করতে করতে সেটার মানেই দাঁড়িয়ে যায় খাটো।
১৩|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
মেঘনা বলেছেন: বাংলাদেশের এই ইসলামী জেহাদের সবচাইতে বড় কারন হাসিনা নিজে। ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য হাসিনা মৌলবাদের সাথে আপোষ করছে। মৌলবাদীদের চাপে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করছে। কওমি মাদ্রাসাকে মেন স্টিমে যুক্ত করছে। অর্থাৎ ক্ষেত্র হাসিনা নিজেই তৈরি করছে। ধর্মীয় জলসা গুলাতে বিধর্মী এবং নারীদের বিরুদ্ধে ঢালাও ফতোয়া কে সম্মতি দিয়েছে। সে আওয়ামী মতাদর্শকে ধ্বংস করছে। নিজের দলের লোকদের উগ্র মৌলবাদীতে পরিণত করছে।
এতসবের পরেও এত সমঝোতার পরেও মৌলবাদীরা হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। বাংলাদেশে এখন শরিয়া আইনের চাষ হবে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: হাসিনার সময়ে আওয়ামী লীগের চুরি-ডাকাতি ছাড়া আর বিশেষ কোনো আদর্শের চর্চা আমার চোখে পড়েনি।
ওয়াজ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য সঠিক। আর এখন শরিয়া প্রতিষ্ঠার একটা চেষ্টা হচ্ছে। সফল হবে, এটা আমি মনে করি না।
১৪|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মেঘনা বলেছেন: বাংলাদেশের এই ইসলামী জেহাদের সবচাইতে বড় কারন হাসিনা নিজে। ক্ষমতার টিকে থাকার জন্য হাসিনা মৌলবাদের সাথে আপোষ করছে। মৌলবাদীদের চাপে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করছে। কওমি মাদ্রাসাকে মেন স্টিমে যুক্ত করছে। অর্থাৎ ক্ষেত্র হাসিনা নিজেই তৈরি করছে। ধর্মীয় জলসা গুলাতে বিধর্মী এবং নারীদের বিরুদ্ধে ঢালাও ফতোয়া কে সম্মতি দিয়েছে। সে আওয়ামী মতাদর্শকে ধ্বংস করছে। নিজের দলের লোকদের উগ্র মৌলবাদীতে পরিণত করছে।
এতসবের পরেও এত সমঝোতার পরেও মৌলবাদীরা হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। বাংলাদেশে এখন শরিয়া আইনের চাষ হবে।
আপনার মতো ছাগলদের মন্তব্য পড়ে রাগ সংবরণ করা কঠিন। দেশটা এরা খেয়ে ফেলল, তাও এখানে শেখ হাসিনার দোষ, ইউসুফের না। ইউসুফ যে ডরে এদের বিরুদ্ধে কিছু করছে না, একই ডর তো শেখ হাসিনারও ছিল। ইউসুফকে দায় দিচ্ছেন না কেন? মৌলবাদীরা হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে তাই?
লেখক বলেছেন: হাসিনার সময়ে আওয়ামী লীগের চুরি-ডাকাতি ছাড়া আর বিশেষ কোনো আদর্শের চর্চা আমার চোখে পড়েনি। গত ১৬ বছরে মৌলবাদীদের এমন আস্ফালন লক্ষ্য করেছেন? শেখ হাসিনা টাইট দিয়েছেন, বলেই এরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। গত দেড় বছরে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এই মোল্লাশ্রেণি যতটা না ধর্মপ্রচারের কারণে আলোচনায় এসেছে, তারচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে রাজনীতি আর উগ্রবাদী কাজকর্মের কারণে। অনেক সচেতন মানুষ বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনার বিরোধিতা করেনি এই উগ্রবাদীরা এসে দেশ খেয়ে ফেলবে তাই। বুঝতেই তো পারছেন এখন।
১৫|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
প্রামানিক বলেছেন: সব সমস্যা সৃস্টি করেছে এদেশের খাই খাই রাজনীতি
১৬|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: ইউসুফ সরকারের অদক্ষতা আর নির্লিপ্ততার ফলে আজকের দেশের এই অবস্থা হচ্ছে। এখন দরকার ছিল ফকরুদ্দীনের মত সরকার, তা না পেয়ে, আমরা পেয়েছি দাচোকাবো ইন্টেরিম সরকার।
তবে নির্বাচিত সরকার আসার পরেও যদি এই পরিস্থিতি না বদলায় তবে তখন বাংলাদেশ সত্যিই হেরে যাবে!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে,
............................................................................................................................
কার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে,
উনারা পরিস্কার ঘোষনা দিয়েছেন,
তাদের সবকিছু করার ম্যান্ড্যান্ট আছে
সুতরাং বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধঁবে কে ???