নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথ নিয়ে কিছু গান

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০


পথ নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় অনেক কবিতা এবং গান রচনা হয়েছে। এই পথ বলতে চলার পথ বুঝায় আবার অনেক সময় মানুষের জীবনের গতিকেও পথের সাথে তুলনা করা হয়। জীবনটা একটা ভ্রমণের মত। পৃথিবীর পথে আমরা হেটে চলেছি আর জীবনটাকে যাপন করার চেষ্টা করছি। তবে এই জীবনের পথ কারও জন্য মসৃণ আবার কারও জন্য বন্ধুর। কেউ ভাবছে এই আনন্দময় জীবন কেন এত দ্রুত চলে যাচ্ছে আবার কেউ জীবনের পথের বাকে খেই হারিয়ে ভাবছে জীবনের দাবার বোর্ডটা উল্টিয়ে খেলা বাতিল করে দিতে পারলে ভালো হত।

এইচ এস সিতে রবার্ট ফ্রস্টের একটা কবিতা ছিল ‘রোড নট টেইকেন’।

Two roads diverged in a yellow wood,
And sorry I could not travel both
And be one traveler, long I stood
And looked down one as far as I could
To where it bent in the undergrowth;

Then took the other, as just as fair,
And having perhaps the better claim,
Because it was grassy and wanted wear;
Though as for that the passing there
Had worn them really about the same,

জীবনের পথ চলতে গিয়ে অনেক সময় সামনে দুইটা পথ চলে আসে। আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে যে কোন একটা পথ বেছে নেই। ভাবি দ্বিতীয় পথটাতে পরে যাব। কিন্তু জীবনের এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আসলে এক পথে চলা শুরু করলে দ্বিতীয় পথে আর কখনও ফেরা যায় না। কারণ তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। এটাই জীবনের বাস্তবতা। উপরের কবিতায় সেই কথাই বলা হয়েছে।

জীবনের পথ ছাড়াও হেটে চলার পথ নিয়েও অনেক কবিতা এবং গান আছে। কাজী নজরুল ইসলাম গান বেঁধেছেন;

গেরুয়া-রং মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়।
সুরের নেশায় নুয়ে পড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়॥
সুর শুনে তার সাঁঝের ঠোঁটে,
বাঁকা শশীর হাসি ফোটে
গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে
রাঙা মাটির আবির ছড়ায়॥

নীচে ‘পথ’ নিয়ে আমার কিছু প্রিয় গান ব্লগারদের জন্য উপস্থাপন করলাম। আশা করি সবাই উপভোগ করবেন।
১। শত শত চোঁখ আকাশটা দেখে (যশোর রোড)- মৌসুমি ভৌমিক

২। কত পথ গিয়ে মেশে তোমার দুয়ারে এসে - মূল শিল্পী চিত্রা সিং (এই ভিডিওতে গেয়েছেন রাফিয়া আমিন)

৩। গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা মাটির পথ - রবীন্দ্র সঙ্গীত - রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

৪। মেঠো পথ - এন্দ্রু কিশোর

৫। COUNTRY ROAD TAKE ME HOME TO THE PLACE I BELONG - জন ডেনভার

৬। পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

৭। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হত তুমি বলত - সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

৮। আমিও পথের মত হারিয়ে যাব আমিও নদীর মত - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

৯। মেঠো পথ – অর্থহীন ব্যান্ড ( জন ডেনভারের ‘কান্ট্রি রোড টেইক মি হোম’ গানের বাংলা সংস্করণ)

১০। September on Jessore Road - Allen Ginsberg


ছবি - প্রশান্তিকা ডট কম
গানগুলি - ইউটিউব থেকে নেয়া

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




"পথের পাঁচালী" সুন্দর হয়েছে।
সবগুলি গানই যথাযথ এবং সুরেলা। পাঠক-শ্রোতাদের ভালো লাগবেই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। আপনার আমার গানের পছন্দের তালিকার মধ্যে অনেক মিল আছে মনে হচ্ছে।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: পথ নিয়ে বেশ কয়েকটি ভালো গানের লিংক দিয়েছেন। তবে আমার দৃষ্টিতে মৌসুমি ভৌমিক কণ্ঠে.....

"শত শত চোখ আকাশটা দেখে
শত শত শত মানুষের দল
যশোর রোডের দু'ধারে বসত
বাঁশের ছাউনি, কাদামাটি জল
কাদামাটি মাখা মানুষের দল
গাদাগাদি হয়ে আকাশটা দেখে
আকাশে বসত মরা ঈশ্বর
নালিশ জানাবে ওরা বলো কাকে?
ঘরহীন ওরা, ঘুম নেই চোখে
যুদ্ধে ছিন্ন ঘর, বাড়ি, দেশ
মাথার ভিতরে বোমারু বিমান
এই কালোরাত কবে হবে শেষ?"

এবং Allen Ginsberg এর "September on Jessore Road" কবিতার গণসংগীত যুক্ত করা হলে পূর্ণতা পেতো। +

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। দুইটা গানই যোগ করে দিলাম পোস্টে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পথ নিয়ে আরও গান আছে তবে আমার মনে এসেছৈ যতগুলো সেগুলোতে পথ শব্দটি আছে তবে পুরো পথ নিয়ে গান নয় । এই যেমন- আজ দুজনার দুটি পথ ,পিচঢালা এই পথটারে , আমি এক দুরন্ত যাযাবর ( এইগানে পথ শব্দটি আছে ) , আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ইত্যাদি

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আপনার দেয়া গানগুলি 'আজ দুজনার দুটি পথ', 'পিচ ঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি', 'আমি এক দুরন্ত যাযাবর' এবং 'আমি পথ ভোলা এক পথিক এসেছি' আমার প্রিয় গান। এই গানগুলিতে পথের কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু এগুলির কথা আমার মনে ছিল না। আপনার সৌজন্যে গানগুলি নীচে দিলাম;

আজ দুজনার দুটি পথ


পিচ ঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি


আমি এক দুরন্ত যাযাবর


আমি পথ ভোলা এক পথিক এসেছি

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি উত্তম কুমারের 'জীবন জিজ্ঞাসা' সিনেমাটা দেখেছেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: না দেখিনি। আপনি যখন বললেন, দেখবো। ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জীবনের পথ কারো কারো জন্য খুবই পিচ্ছিল এইটা শতভাগ সত্য। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পথের পরিবেশ খুবই মনোরম ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জীবনে অনেকেই পথ হারা পথিক। পথ চিনতে চিনতেই জীবন শেষ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের গ্রামগুলির সৌন্দর্য অন্য রকম।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: John Denver - Country Road
Almost heaven, West Virginia
Blue Ridge Mountains, Shenandoah River
Life is old there, older than the trees
Younger than the mountains, growin' like a breeze
Country roads, take me home
To the place I belong
West Virginia, mountain mama
Take me home, country roads
All my memories gather 'round her
Miner's lady, stranger to blue water
Dark and dusty, painted on the sky
Misty taste of moonshine, teardrop in my eye
Country roads, take me home
To the place I belong
West Virginia, mountain mama
Take me home, country roads
I hear her voice in the mornin' hour, she calls me
The radio reminds me of my home far away
Drivin' down the road, I get a feelin'
That I should've been home yesterday, yesterday
Country roads, take me home
To the place I belong
West Virginia, mountain mama
Take me home, country roads
Country roads, take me home
To the place I belong
West Virginia, mountain mama
Take me home, country roads
Take me home, (down) country roads
Take me home, (down) country roads



অঞ্জন দত্ত - একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবেনা সাথে কোন ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি, জামা মাথা
থাকবেনা রাস্তায় গাড়িঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হদৃয়ে
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখা
ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা

অদূরে কোথাও কোন রেডিওতে
এই পথ যদি না শেষ হয়
আর বৃষ্টির র ংহয়ে যাবে নীল
আর আকাশের রংটা ছাই

একদিন, বৃষ্টিতে একদিন …

ভাঙ্গা দেয়ালের গায়ে সাত পাকে বাঁধা কবে-
কার নুন শো তে কোথাও
আর বৃষ্টির ছাঁটে যাবে না দেখা দুজনের চোখের জল
ছমছম
ছমছম চোখের জল

একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
আমরা ধরা পড়ে যাব জেনো ঠিক
ধুয়ে যাবে যত আছে অভিমান
ধুয়ে যাবে সিঁদুরের টিপ
আর চটিটাও ছিঁড়ে যাবে তক্ষুনি
তাই পালানো যাবেনা যে কোথাও
রাস্তা যেমন তেমনি
শুধু লোকজন সব উধাও



অঞ্জন দত্ত - এই পথ যদি না শেষ হয়
চলো এখনো সময় আছে বেড়িয়ে পড়ি
ফেলে রেখে সব পিছু টান
ঝাড়া হাত পা নিয়ে চলো যাই পেরিয়ে
সব বাঁধা সব বেবধান...
শুধু চলার জন্য চলা যাক না
ভুলে গিয়ে গন্তব্য.
আমি আমার পথের গান গাইছি তুমি
তোমার গানটা ধরতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো


পাইনের ফাঁকে ফাঁকে নীলচে আকাশ
উকি মেরে ডাকছে তোমায়...
দূর পাহাড়ের গায়ে খেলানার ঘর বাড়ী
ভাসছে আবার কুয়াশায়...
চ্যাপটা ঠোঁটের ফাকে তুমিও
হেসে চলেছো,অকারন
ঘুরে ঘুরে একি পথে উঠতে উঠতে
চলো একসাথে গাই সেই গান
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো


চলো যাই খুজে পাই আকাশটা নিজেদের
খুজে পাই আকাশের মন
চলো গরুমারা, চলো দার্জিলিং
কিংচুলে, কালিমপং
পুরনো ঠিকানা গুলো হয়ে যাক নতুন

নতুন গানটা পুরনো...
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো


০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জন ডেনভারের 'কান্ট্রি রোড টেইক মি হোম' গানটা আমি পোস্টে দিয়েছি। এই গানের বাংলা সংস্করণও দিয়েছি ( ৯ নং গান। অর্থহীন ব্যান্ড - মেঠো পথ)। এছাড়া মিরোরডডল নীচে তার মন্তব্যে এই গানের আরেকটা বাংলা সংস্করণ দিয়েছে। খুব জনপ্রিয় গান বলেই বাংলাতে দুইটা সংস্করণ হয়েছে। আপনার দেয়া বাকি গানগুলি সুন্দর। নীচে দিয়ে দিলাম;

এক দিন বৃষ্টিতে বিকেলে


এই পথ যদি না শেষ হয় (অঞ্জন দত্ত)

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:০২

মিরোরডডল বলেছেন:




পথের প্রেমই প্রেমরে মনা
পথের মনই মন
পথের বাঁকেই খুঁজে পাবি
হাজার প্রিয়জন




পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে
সেই দুঃখে চোখেরও পানি
ও আমার চক্ষু নাই




অনেক দূরে তবু কাছে
হয়তো, একদিন হারিয়ে যাব..
পথে পথে চলতে চলতে
হঠাৎ একদিন থেমে যাব




বল কত দূরে চলে গেলে
চেনা পথ চেনা শহর
থাকবে না বুকের ভেতর
ভালোবেসে দুঃখ পাবার
হবে না অবসর




একাকী একা পথে, ঠিকানা কি জানিনা
অজানা মেঘে ভাসে তোমার স্মৃতি




মেঠো পথ
নিয়ে যাও আমাকে
সেখানে সেই সে গ্রামে
যেখানে মোর ঠিকানা




পথ আমাকে ডাকছে ।
এখনি পথে নামতে হবে সাচু ।
পরে কথা হবে ।


০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পথ নিয়ে কত গান যে শোনা হয়নি। মিরোরডডল কত গান যে জানে!!! মিরোরডডলের দেয়া গানগুলি সব সময় ভালো হয়। আমার পছন্দের সাথে মিল আছে।

এই কারণে মিরোরডডলের উচিত মাঝে মাঝে গান নিয়ে পোস্ট দেয়া। তাহলে আমরা কিছু ভালো গানের সাথে পরিচিত হতে পারবো। বিশেষ করে আমি। কারণ আমার বদ অভ্যাস হল ব্রিটিশ আমলের গান শোনা। :) নতুন ভালো গানগুলি আর শোনা হয়ে ওঠে না। এতগুলো ভালো গান দেয়ার জন্য আমার প্রিয় একটা ব্রিটিশ আমলের গান দিলাম মিরোরডডলের জন্য;


৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: পথের মানুষ আমি যে ভাই
https://www.youtube.com/watch?v=Y2cHs4gGBhs

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আব্দুল হাদি আমার প্রিয় একজন শিল্পী। আপনার দেয়া গানটা খুব ভালো লাগলো। কত গান শোনা হয় নাই!!!

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: "It´s a Long Road"
https://www.youtube.com/watch?v=0MxAYAPWsFQ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: Rambo সিনেমাটা খুব ভালো লাগতো। এটার সম্ভবত একাধিক পার্ট আছে। Rambo র গানটা খুব ভালো লাগলো। 'কমান্ডো' সিনেমাটাও ভালো লাগতো। 'পুলিস একাডেমী' সিনেমাটা দেখেছেন? এটারও অনেকগুলি পার্ট আছে। প্রত্যেকটা খুব হাসির ছিল। অনেক আগের সিনেমা। আরও হাসির সিনেমা হল 'গড মাস্ট বি ক্রেইজি', 'হোম এলন', 'বেবিস ডে আউট'।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:




পথের প্রেমই প্রেমরে মনা
পথের মনই মন
পথের বাঁকেই খুঁজে পাবি
হাজার প্রিয়জন


এটা আমার খুব প্রিয় একটা গান।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আগে শুনি নাই। কিন্তু মিরোরডডল শেয়ার করার পর শুনলাম। খুব ভালো লাগলো। মিরোরডডলের গানের পছন্দের তালিকার সব গানই ভালো। খারাপ কখনও লাগেনি।

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রথম ছবির দৃশ্যর মতো গ্রাম বাংলার মেটো পথের দৃশ্য গুলো আমার খুবই প্রিয়। গ্রাম গুলো এখন তার প্রাকৃতিক রূপ হারাচ্ছে। আমার চাচার মৃত্যুর সময় গ্রামে গেসি। একটার বেড়ার বা টিনের বা মাটির ঘির নেই। সব পাকা বাড়ি। আধুনিকতার ছোয়া । এই নিয়ে বেশ বিরক্ত।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের অঞ্চলের কিছু গ্রাম এখনও আগের গ্রামের মতই আছে। তবে একটু ভিতরে যেতে হয়। প্রচ্ছদের ছবিটা আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল তাই প্রচ্ছদ হিসাবে বেছে নিলাম। আমাদের অঞ্চলের গ্রামগুলিতেও পাকা দালান তোলার প্রতিযোগিতা চলছে। অনেক বাড়িতেই প্রবাসীরা থাকে। পাল্লা দিয়ে গ্রামকে শহর বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামগুলি না আবার বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যায়।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবগুলো গানই সুন্দর। তার সংগে মরুভূমির জলদস্যুর গান গুলোও সুন্দর। মিরোর গান গুলোও দারুণ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দুইজন ছাড়াও অনল ভাই, জুলভার্ন ভাই, নিবর্হণ ভাই এবং গোফরান ভাইয়ের গানও আমার ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

নীলসাধু বলেছেন: নাইস পোষ্ট।
পথ নিয়ে গানের একটা সমাহার হয়ে গেছে :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলসাধু ভাই উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। মন্তব্যেও অনেকে পথ নিয়ে আরও কিছু গান যোগ করেছেন। ফলে এই পোস্টে অনেকগুলি পথের গানের সমাহার হয়েছে। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০

অনল চৌধুরী বলেছেন: র‌্যাম্বো প্রধম পর্ব কিছুটা যুদ্ধবিরোধী ছিলো্। কিন্ত ২য় পর্বে স্বাধীনতাকামী ভিয়েতনামীদের সোভিয়েত অনুচর বলে জঘণ্যভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছে।
৩য় পর্বে বিরাট আফগানভক্ত সেজে সোভিয়েতবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্ত একইসময়ে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের দখলদারীত্ব সমর্থন করে গেছে।
বিস্তারিত জানার জন্য পড়েন । হলিউডের বিদ্রুপাত্মক,বর্ণবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী চলচ্চিত্র-২
'গড মাস্ট বি ক্রেইজি', 'হোম এলন', 'বেবিস ডে আউট'-, সব ছবি দেখেছি।
৯০’র ডিসেম্বরে বিদ্যালয় ছাড়ার পর পরবর্তী ১৬ বছর কোনো প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে বাসায় বসে বই পড়েছি, ছবি দেখেছি অর গবেষণা-লেখালেখি- করেছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার তো চলচ্চিত্রের উপর ডিগ্রি আছে। তাই আপনি আমার চেয়ে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অনেক ভালো জানবেন। শুনেছি ভিয়েতনামে নিজেদের পরাজয় ঢাকার জন্য অ্যামেরিকা ভিয়েতনাম নিয়ে বহু ছবি তৈরি করেছে। সব সিনেমাতে ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও প্রচুর ছবি আছে। সেগুলিতে নিজেদের মহত্ত্বগাঁথা গাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যত দোষ জার্মানি আর তার মিত্রদের। ওনাদের কোন দোষ নাই। এভাবে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। আপনার লিঙ্কে দেয়া পোস্টটা পরে পড়ার পর মন্তব্য করবো।

আপনি আপনার তারুণ্যের মূল্যবান সময় গবেষণা, জ্ঞানার্জন আর লেখালেখিতে ব্যয় করেছেন বলেই বিবিধ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আরও অনেক বিষয়ের উপরে ভালো জানেন এবং লেখেন।

আমরা যখন স্কুল/ কলেজে পড়তাম তখন বিতর্কের বিষয় ছিল 'সুশিক্ষিত জন মাত্রেই স্বশিক্ষিত'। এই কথা অনেক অর্থ বহন করে। কিন্তু আমরা শিক্ষাকে সার্টিফিকেট নির্ভর আর জীপিএ নির্ভর বানিয়ে ফেলেছি। ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা কার্যক্রমের কারণে তরুণ প্রজন্মের মেধার সঠিক বিকাশ হচ্ছে না।

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবগুলো কালেক্সান সুন্দর। প্রীয়তে অবস্যই।
আর ছবিটার কথা না বললেই নয়, 'গ্রাম বাংলার মেঠো পথের দৃশ্য' অপুর্ব।

তবে বহুদিন পর সুজি কোয়াট্রোকে দেখে সেই স্টুডেন্টজীবনের নষ্টালজিয়ায় হারিয়ে গেলাম .......
ধন্যবাদ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই। আমাদের গ্রামগুলির আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটা অঞ্চলেরই নিজস্ব একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে। এমন কি মরুভূমির মধ্যেও একটা সৌন্দর্য আছে। যেমন আছে পাহাড়, তুষার, সমুদ্র আর বনভূমির মধ্যে।

সুজি কোয়াট্র এই ৭২ বছর বয়সেও গান গেয়ে চলেছেন। ওনার সাক্ষাৎকার দেখলাম গতকাল ইউটিউবে। ভালো থাকবেন।

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: চলচ্চিত্র নিয়ে এমএ পড়ার সময় দেমের বিখ্যাতত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং পূণা-হলিউড ফেরত শিক্ষকরা আমাদের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্রে ইতিহাস পড়াতেন।
ইটালীর নব্য বাস্ত্ববাদ,(Neo-Realism)) ফ্রান্সের নব-তরঙ্গ (Neo Wave-এইসব, যেসব তারা নিজেরাও মুখস্থবিদ্যা শিখে পড়েছিলেন।
কিন্ত সাম্রাজ্যবাদ-বর্ণবাদ বা আগ্রাসনবিরোধী চলচ্চিত্রে মতো বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র আলোচনা তাদের জ্ঞানের আওতার বাইরে ছিলো।
এখনো যদি আপনি এসব বিষয়ে গুগলে খোজেন, তাহলে বাংলা বা ইংরেজীতে কিছু্ই পাবেন না ‍শুধু আমার কিছু লেখা ছাড়া।
আমি চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু করার অনেক আগে থেকেই গবেষক এবং চলচ্চিত্র নিয়ে লিখি। কিন্ত চলচ্চিত্র একটা ব্যবহারিক বিষয় এবং নিজে নিজে চলচ্চিত্র বানানো শেথা সম্ভব না হওয়ায় এটা নিয়ে পড়তে গিয়েছিলাম। কিন্ত চলচ্চিত্র নিয়ে আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে এই শিক্ষার তেমন ভূমিকা নাই।
সুশিক্ষিত জন মাত্রই স্বশিক্ষিত-একথা বাংলাদেশের মতো মুখস্থবিদ্যার এবং ইউরাপ-এ্যামেরিকার উন্নত শিক্ষাব্যাবস্থার দেশগুলির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
কারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষকে নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে কিছু ধারণা দিয়ে একটা ডিগ্রি দেয়। কিন্ত কেউ জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে সেটা তাকে নিজের চেষ্টাতেই করতে হয়।

আমি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড বা এমআইটির মতো পৃথিবী বিখ্যাত নামধীরী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলেও এতো বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করতে পারতাম না যা আমি নিজে পড়াশোনা ও গবেষণা করে অর্জন করেছি ,
বই বা পত্রিকায় গবেষণামূলক লেখা তো অনেক দূরের কথা।
বাংলাদেশের মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা দেশে লক্ষ-কোটি ডিগ্রিধারী গরু-ছাগল সৃষ্টি করেছে, যাদের মধ্যে সভ্যতা-ভদ্রতা-শিষ্টাচার দূরে থাক, সাধারণ জ্ঞান-উন্নত চিন্তাভাব্না-দর্শন তত্ত্ব-নির্দেশনা বোঝার মতো ক্ষমতাও নাই। তাই প্রচলিত চিন্তাভাবনা ও মতের বাইরে কেউ কোনোকিছু বললেই তাকে গন্ড-মূর্খদের মতো পাগল-ছাগল-মানসিক রোগী এ্সব বিভিন্ন নোংরা কথা বলে বিকৃত আনন্দ পায়।
অতীতেও কোপার্নিকাস, ব্রুনো, গ্যালিলিও, ডারইউন, মার্কস, এঙ্গেলস, ফ্রয়েড-সবাইকেই প্রচলিত মত-বিরোধী মতবাদ ও তত্ত্ব দিয়ে এইধরণের মূর্খদের কারণে প্রাণ হারাতে বা দেশ ছাড়তে হয়েছিলো। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তাদের সবাইকেই তাদের দেয়া উন্নত চিন্তাধারার গ্রহণ করতে হয়েছে।
তবে এধরণের মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যাবস্থায় পড়েও আপনি, সাজিদ, ঢাবিয়ান,রাজীব নূরে মতো অনেক প্রকৃত মেধাবী এবং উন্নত চিন্তাধারার ব্যাক্তিরা আমার কথা বুঝতে পারছেন ,কারণ আপনারা নিজের চেষ্টায় স্বশিক্ষিত হয়েছেন।
একারণেই উন্নত চিন্তাধারা ও দর্শন বুঝতে পারছেন ,এসব সমর্থন করছেনএবং এজন্য লড়াই করছেন।
এটাই হচ্ছে প্রকৃত স্বশিক্ষা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সম্ভবত সচেতনভাবে এই শিক্ষকেরা সাম্রাজ্যবাদ, বর্ণবাদ বা আগ্রাসন বিরোধী চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলে না। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের মত এরা অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার ভান করে সম্ভবত। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও দেখা যায় যে দেশে বিদেশে একপেশে সাংবাদিকতার একটা প্রবণতা আছে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলি অনেক বিষয়ে একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। সচেতনভাবে কিছু বিষয় এরা এড়িয়ে যায়। হয়তো ভয়ে কিংবা ব্রেন ওয়াশের কারণে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও হয়তো এটা প্রযোজ্য। এই কারণে সাম্রাজ্যবাদ, বর্ণবাদ এবং আগ্রাসন বিরোধী চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলতে এরা বিব্রতবোধ করে।

উপরে ১৪ নং মন্তব্যে যে পোস্টের সুত্র দিয়েছেন সেই পোস্ট পড়ার পর আমি কিছু মন্তব্য করেছি। আশা করি উত্তর দিবেন। চলচ্চিত্র একটি ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক বিষয়। আপনি চলচ্চিত্র নিয়ে আগে থেকেই লিখেছেন পরে এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিয়েছেন। আপনার কাছ থেকে একটা চলচ্চিত্র আশা করি। যদিও অনেক টাকার প্রয়োজন হয় একটা সিনেমা তৈরি করতে। তবে ভালো বিষয়ের উপর হলে স্পন্সর পেয়ে যেতে পারেন। রাষ্ট্রীয়ভাবেও শুনেছি অনেক চলচ্চিত্রের জন্য অর্থ দেয়া হয়ে থাকে।

কেউ যদি সত্যিই কোন বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে চায় তাহলে তাকে নিজের উদ্যোগেই গবেষণা এবং পড়াশুনা করতে হবে। পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে পড়াশুনা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ স্বাধীন জ্ঞানার্জনের জায়গা হল নিজের প্রচেষ্টায় এবং আগ্রহে গবেষণা কর্ম যেখানে মার্কস, গ্রেড বা ডিগ্রির জন্য মনস্তাত্ত্বিক চাপ থাকে না। গভীর এবং নিরপেক্ষ জ্ঞান অর্জন করতে হলে আপনাকে নিজস্ব গবেষণার দিকে ঝুকতে হবে। যেটা আপনি করছেন।

আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বড় সমস্যা হোল সেখানে গণ্ডির বাইরে স্বাধীন চিন্তা করতে শেখায় না। ফলে বুকিশ পড়াশুনা হয়ে থাকে। দেশে বিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে জ্ঞান বিতরনের নামে সচেতনভাবে মানুষকে যে অনেক সময় বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে এটা এই বুকিশরা ধরতে পারে না। এই কারণে আপনার মত স্বাধীন গবেষকদের লেখা এরা ধরতে পারে না। তাদের কাছে অস্বাভাবিক লাগে। অথচ তথাকথিত মূলধারার বিপরীতে আপনিই অনেক গোপন সত্য কথা প্রকাশ করছেন আপনার লেখায়, যার মধ্যে অনেক চিন্তার খোরাক আছে। সবার পক্ষে আপনার লেখার মর্ম বোঝা সম্ভব না। চিন্তাশীল মানুষ না হলে আপনার লেখার অনেক বিষয় অনেকেই বুঝবে না।

পৃথিবীতে যারাই প্রচলিত মিথ্যার বিপরীতে কাজ করেছেন তারাই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং শাসকদের রোষানলে পড়েছেন। এই কারণে আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা অনেকের ভালো লাগে না। কারণ তারা প্রচলিত ভুল ধারণায় নিমজ্জিত।

এই কারণেই স্বশিক্ষিত হওয়া খুব জরুরী। যেটা আপনি সাহস করে অর্জন করেছেন অনেক বাঁধা বিপত্তি সত্ত্বেও। ধন্যবাদ আপনাকে। ইদানিং একটু ব্যস্ত আছি। ফ্রি হলে আপনার লেখাগুলি নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে।

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন:
সারাজীবন শিক্ষকদের সম্মান করে এসেছি। এজন্যই জীবনে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি যেটা দিয়ে বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীকে পাল্টে দেয়ার দাবী করি।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পূণা ফেরত শিক্ষকদের মদ‍্যপান এবং প্রকাশ‍্য লাম্পট‍্য দেখে আমি ক্ষুদ্ধ ছিলাম।
ডিগ্রি নিয়ে চলে আসার পর ছাত্ররা একে ছাত্রীকে কুপস্তাব দেয়ায় পূণাফেরত এক লম্পটের উপরে এতোটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলো যে আন্দোলন করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করেছিলো।
এই লোক শুধু মাতাল বা লম্পটই ছিলো না,একইসাথে ছিলো চরম দুর্নীতিবাজ।
সেও তার অবৈধ প্রভাব ব‍্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৭৫ লাখ টাকা পেয়েছে।
তার বানানো ছবি দেখে মনে হয় ৫ লাখ ও ব্যায় হয়নি।
টাকার প্রায় পুরোটাই সে মেরে দিয়েছে।
চলচিত্র নির্মাণ একটা ব্যায়বহুুল ব্যাপার । কিন্ত অনুদান পেতে গেলে লেজুড়বৃত্তি করতে হয় , যেটা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ।
সরকারী অনুদান নিয়ে দুর্নীতি করার ফলে এক পরিচালককে কারাগারে যেতে হয়েছে, যেটা নিয়ে ব্লগেও লিখেছিলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারী অনুদান বন্ধ করা হোক
আমি মনে করি, হয় অনুদানের নামে দুর্নীাতির সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হোক অথবা নগদ টাকা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে টাকা সরকার নিজে পরিশোধ করুক ।
তাহলে আর দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না।
উন্নত চিন্তাধারা যিনি দেন, তার চেয়ে অনেক মহান আপনারা সেইসব ব্যাক্তিরা , যারা সেই চিন্তাগুলি বোঝেন। কারণ তারা না বুুঝলে এবং প্রচার না কররে পৃথিবীতে কোনো প্রগতিশীল চিন্তাই টিকে থাকতো না।
উন্নত দর্শন,ও তত্ত্ব ও নির্দেশনা দানকারীদের কিভাবে মুখস্থবিদ্যাধারী গন্ডমূর্খ-নকল করে পাস করা শ্রমিকের দল পাগল-ছাগল -মানসিক রোগী বলে , সেটা আমি সারাজীবন দেখে এসেছি ।
আর এই ব্লগে তো আপনি এর সবচেয়ে বড় সাক্ষী।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমান যুগের অনেক শিক্ষক সম্মান পাওয়ার যোগ্য না। আমাদের সময় ৫% শিক্ষক ছিলেন খারাপ এখন ভালো এবং নীতিবান শিক্ষক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য হোল সার্টিফিকেট আর চাকরী। এই জ্ঞান দিয়ে সমাজ পাল্টানো সম্ভব না। আপনি শুরু থেকেই জ্ঞানার্জন করেছেন সমাজ পরিবর্তনের ইচ্ছা মাথায় নিয়ে। আপনার মত আরও মানুষ একত্র হলে সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভিসিরা এখন সবচেয়ে বিতর্কিত। রাজনৈতিক নেতাদের তেলবাজি না করলে ভিসি হওয়া যায় না। ভালো শিক্ষকের পরিমান খুব কম। বেশীর ভাগই জ্ঞানপাপী। রাজনীতি, দলাদলি আর নারী নিয়ে এদের কারবার। অথচ এদের বেশীরভাগই বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেয়া। তাহলে কি শিখল এরা বিদেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এটাই আমার প্রশ্ন। অবশ্যই কিছু ভালো শিক্ষক আছেন। হাই স্কুলের শিক্ষক পর্যন্ত কিশোরী মেয়েদের দুর্বল দিক খুঁজে বের করে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাক মেইল করে। অল্প বয়সী মেয়েরা মানসিক কষ্টে ভোগে এই সব শিক্ষকের কারণে। এই ধরণের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানে না।

আপনার উপরের মন্তব্যে দেয়া পোস্টটা আমি আগেই পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি।

প্রকৃত জ্ঞানী লোকের মূল্যায়ন এখন এই দেশে হয় না। উন্নত দেশে হয়। এই কারণেই ওরা উন্নত হতে পেড়েছে। ফ্রি হলে আপনার লেখাগুলি নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যেই, আমি যেভাবে বলতে চেয়েছিলাম, আহমেদ জী এস ঠিক সেভাবেই বলেছেনঃ
"পথের পাঁচালী" সুন্দর হয়েছে। সবগুলি গানই যথাযথ এবং সুরেলা। পাঠক-শ্রোতাদের ভালো লাগবেই।

পথ ও পথের বাঁক আমাকে আকর্ষণ করে। পথ নিয়ে আপনার গানের সংগ্রহ চমৎকার।

পোস্টে প্লাস। + +

২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একজন সঙ্গীত প্রেমী এটা আমি বুঝতে পেড়েছি। আমার গানের পোস্টগুলিতে আপনি কিছু গান শেয়ার করেছেন যেগুলি খুব ভালো লেগেছে। আমি সেগুলি তালিকায় দিয়ে দিয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ প্লাস দেয়ার জন্য এবং উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

১৯| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের ছবিটা সুন্দর!

২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিরোনামের ছবিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল যে কারণে শুরুতেই ছবিটা দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন। আমার মা সামরিক বাহিনীর ডাক্তার ছিলেন (১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত)। বিভিন্ন বাহিনীতে ছিলেন। আপনি হয়তো চিনবেন (নাও চিনতে পারেন অবশ্য)। একদিন আরও বিস্তারিত বলব ইনশাল্লাহ।

২০| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চাকুরীকালে আপনার মায়ের সাথে যদি কোনদিন সাক্ষাৎ নাও হয়ে থাকে, ওনার চাকরির যে সময়সীমাটা আপনি উল্লেখ করেছেন তা থেকে আমি অনুমান করতে পারি, ওনার নামটা জানা থাকলে আমি উনাকে অন্তত: নামে চিনতে পারবো। ১৯৭৭ সালের এন্ট্রির ডাক্তারদের অনেককেই আমার চেনার কথা, কেননা ততদিনে আমাদের দু'বছরের সার্ভিস হয়ে গিয়েছিল।

২১| ২২ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিশেষ করে ওনার প্রথম পোস্টিং টা ঢাকায় কিংবা রংপুরে হয়ে থাকলে চেনার সম্ভাবনা বেশি।

২২ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার নাম মেজর ফাতেমা খাতুন (অবঃ)। সেনাবাহিনীর আগে আরও প্রায় ১৪/১৫ বছর সিভিলে চাকরী করেছেন। তবে এই নামে ঢাকা সিএমএইচে একজন ছিলেন শুনেছি। নাম বললে সবাই ভুলে ওনাকে মনে করে। উনি না। রংপুরে কখনও ছিলেন না। ঢাকাতে মাস ছয়েক ছিলেন ১৯৯০ সালে। এছাড়া যশোর, টাঙ্গাইল, সাভার ছিলেন। বাকি সময় অন্য বাহিনীগুলিতে ছিলেন।

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আমি অন্য ফাতেমাকেই চিনি, যিনি একজন গাইনোকলজিস্ট ছিলেন এবং যার স্বামীও এএমসিতে লেঃ কর্নেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ফাতেমা নামে অন্য আরেকজনও আছেন/ছিলেন, এটাও শুনেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.