নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিন শুরু হোক উস্তাদ ভিলায়েৎ খাঁ সাহেবের সেতারে, রাগ ভৈরবী\'র মূর্ছনায়

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

দিনের এখন ঠিক যে ভাগ, এই সময়ের জন্যে সবচে উপযুক্ত রাগ হচ্ছে ভৈরবী (কোমল - ঋষভ, গান্ধার, ধৈবত ও নিষাদে চলন)। একদম ভোরে, সূর্য উঠছে যখন, সে সময়ের জন্যে উপযুক্ত ছিল রাগ ভায়রো/ ভৈরব। সিতারে এনায়েত খানি বা'যের মূর্ছনা ছড়িয়ে জীবদ্দশায় ভারতের সিতারের অবিসংবাদিত সেরা ছিলেন যিনি, তিনি উস্তাদ ভিলায়েৎ খাঁ সা'ব। এনায়েত খানি বা'য , বা উস্তাদ ভিলায়েৎ খাঁ সাহেবের বাবা উস্তাদ এনায়েত খাঁ সা'বের সেতার বাদনের স্টাইল , যেটা ভিলায়েৎ খাঁ সাহেবের পর এখন তাঁর ছেলে উস্তাদ সুজাত খাঁ সা'ব কন্টিনিউ করছেন বংশ পরম্পরায় , তাঁর আরেক নাম হচ্ছে গাওয়াইয়া বা'য, অর্থাৎ, সেতার বাজানোর পাশাপাশি তাঁর বন্দেশের অংশটুকু কণ্ঠে গেয়েও শোনান তারা, কখনো কখনো। সেই গাওয়াইয়া স্টাইলের একটা উদাহরণ এই অডিও ক্লিপিংস। বাবা আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের মাইহার ঘরানার সন্তান আলী আকবর খাঁ সা'ব, পণ্ডিত রবিশঙ্কর জী, বা তাঁর কন্যা আনুশকা শঙ্করের বাদন এ ধাঁচের নয়। তারা প্রায়ই সিতারের তারে ডবল স্ট্রোকের মাধ্যমে একটা ভিন্ন মূর্ছনা আনেন। হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকের এ এক অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য, খুব সামান্য পার্থক্যই এমন সব মাধুর্যমণ্ডিত ভিন্নতা তৈরি করে দেয় ঘরানা থেকে ঘরানায় , যা খুব সূক্ষ্ম কানে দীর্ঘদিন যাবত না শুনলে পার্থক্য করা যায় না।

উত্তর ভারতীয় ক্ল্যাসিক মিউজিক , বিবিধ ঘরানা , ঘরানার বড় বড় উস্তাদদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখা শুরু করবো হয়তো কোন একদিন। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে আমার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ আজ ২৬ বছরের।

ভিলায়েৎ খাঁ সা'ব পারফর্ম করছেন কাবুলে, আফগানিস্তানে। এই পারফর্মেন্স আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সেই কাবুলের, যা একসময় কৃষ্টি - কালচার - সাংস্কৃতিক চর্চার পীঠস্থান ছিল। খালেদ হুসাইনির উপন্যাসগুলির মুখ্য চরিত্রের শৈশবের কাবুল - হিরাট ভাসে আমাদের চোখের সামনে।

নানারকম খাপছাড়া আলাপের শেষে মূল প্রসঙ্গে আসি। এই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল এনায়েতখানি বা'যের এক অনন্য সাধারণ উদাহরণ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা। সে বাদন, উস্তাদ ভিলায়েৎ খাঁ সাহেবের সিতারে রাগ ভৈরবী'র পরিবেশন আপনার কর্মময় সকালটিতে প্রশান্তি ছড়িয়ে দিক -

Ustad Vilayat Khan - Raga Bhairavi, Live in Kabul

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: ১৯৮২ সালে ভারত ভ্রমন পর্বে দিল্লীতে জানলাম বড়খাম্বা রোডের সাথে যে হল সেখানে উস্তাদ ভিলায়েত খাঁ সাব সিতার বাজাবেন । আমরা পাশেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার মাঠে বিশাল তাবুর নিচে থাকি । ১০ রুপির টিকেটে যেতে যেতে স্টেজে উঠিয়ে দিল । মাঝে কার্পেটে ভিলায়েত খাঁ সাব বসবেন আর আমরা দরিদ্র ৫০/৬০ জন টুরিস্ট তাকে ঘিরে বসব ফরাসে । মাঝে ব্রেক দিয়ে তিন ঘণ্টা বাজালেন । বান্দেশি করলেন যা আমাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন কিছু । পুরো হল ভর্তি সাদা পাগড়িআলা মানুষ দিয়ে ভর্তি । খুব স্মরণীয় ইভেন্ট ছিল আমার জন্য একেবারে কাছে বসে বাদন শোনা আর শিল্পীর হাতের কারুকাজ দেখা ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কি সৌভাগ্যবান মানুষ আপনি, স্যার! এক জীবন্ত কিংবদন্তী'র পরিবেশন সামনা সামনি দেখেছেন। এমদাদখানি ঘারানার বড় সিতারিয়া উস্তাদ শাহিদ পারভেজ খাঁ সা'ব বেঙ্গলে বাজিয়ে গেলেন বছর খানেক আগে। আমার আর রাত জেগে ওনার পরিবেশন সামনা সামনি শোনার সৌভাগ্য হল না।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: উসাইন বোল্টকে যারা সঙ্গ দেবে, তাদেরকে জাসটিন গ্যাটলিন, আসাফা পাওয়েল, টাইসন গে, মরিস গ্রিন বা কার্ল লুইসের মত হতে হয়, অথচ গত কয়েকদিনে আপনার লেখার বৈচিত্র্য দেখে মনে হচ্ছে আমি হলাম বাংলাদেশের মাহবুবুর রহমান!!!!

আপনার লগে বেশি তাল দেওন যাইতো না....

অফিসে স্ট্রেসের মধ্যে ব্যকগ্রাউন্ডে সেতার শুনার অভ্যাস করেন, দেখবেন মুড ভালো থাকবে।.... আপ্নে কি এইডারে পাঁরির কোনো আপিস পাইছেন?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রত্যেক লেখার নিজস্ব পাঠক থাকতে হজরতজী। যে যার পছন্দের জিনিস খুইজা বের করে পড়ে। আপনারে তাল দেয়ার লাইগা জোর করবার আমি কে? তালের অভাবে তো তাইলে আমার আর্ট হিস্টোরির সিরিজ কবেই বন্ধ হইয়া যাইত।

আমি তো আরও ভাবলাম আপনার কাজ পিসির সামনে বইসা, ব্লগে প্রায়ই একটিভ দেখি আপনারে তাই। হেডফোনে ছাইড়া রাখন যায় না? আমি তো আমার আপিসে দিনমান সাউন্ড বক্সে সেতার - সরোদ - সুরবাহার বা পিয়ানোর ইন্সট্রুমেন্টাল ছাইড়া রাখি।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি তো আরও ভাবলাম আপনার কাজ পিসির সামনে বইসা, ব্লগে প্রায়ই একটিভ দেখি আপনারে তাই। হেডফোনে ছাইড়া রাখন যায় না? আমি তো আমার আপিসে দিনমান সাউন্ড বক্সে সেতার - সরোদ - সুরবাহার বা পিয়ানোর ইন্সট্রুমেন্টাল ছাইড়া রাখি।

একদা আমারও এ রকম আপিস ছিলো, তখন কেবলি কেতাদুরস্ত আপিসের জন্য হাহাকার হতে থাকায় এক সময় কেতাদুরস্ত আপিসে যোগদান ফর্মাইলাম। কিন্তু এখন ওই নেপথ্যে পিয়ানোর সুর বাজানো কাজের কর্মস্থলের জন্য হাহাকার বোধ হয়...... লাইফ হোতো এইসে!

এখানে আমার কাজ পিসির সামনে থাকা, এ কারণে অফিসে ঢুকেই ব্লগ লগিন করি। মাঝে মধ্যে স্পিকারও চালাতে পারি, কিন্তু আপনার ওই স্বর্গীয় পরিবেশের আপিচ নয় স্যার।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সবদিক থেকেই মন মত আপিস বোধয় একমাত্র ঈশ্বর চালান হজরত। আমাদের পার্থিব আপিসগুলি তো এরকমই। পেমেন্ট পছন্দ হইলে বসের ব্যবহার পছন্দ হয় না, আবার বস ভালো হইলে পেমেন্ট ভালো হয় না, আবার পেমেন্ট - বস দুইটাই ভালো হইলে দেখা যায় চাকরির নিশ্চয়তা কম।

যা হোক, যে আপিসেই থাকেন, প্রার্থনা করি সেইটা আপনার জন্যে ফেভারেবল হয়।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: রাগ ভৈরবী না। দিন শুরু হোক সূরা বাকারা দিয়ে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কার মুখে কি কথা B:-)

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক শিক্ষক রগরগে শারীরিক ভালোবাসার কবিতা লেখেন, একজন "জিলাপী" নিয়ে লিখছেন, আপনি ভোরের রাগিনি নিয়ে লিখেছেন, আরেকজন চীনা সভ্যতার আজগুবি ইতিহাস মিতিহাস লেখেন; পড়ালেখা, ছাত্রদের জীবন, একাডেমিক সমস্যা, প্রাইভেট ইুনিভার্সিটি নামে সার্রিফিকেট বিক্রয় কেন্দ্র ইত্যাদি নিয়ে কারা লিখবেন?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার কি মনে হয় না স্যার, যার যেটা পেশা / পয়সা কামানোর মাধ্যম - সেইটাই কেবল তাঁর লেখার বিষয়বস্তু হইতে হবে, এটা একটা সমস্যাসঙ্কুল সিদ্ধান্ত?

উদাহরণ দিয়া বুঝানোর চেষ্টা করি।

হুমায়ূন আহমেদের তাইলে রসায়ন শাস্ত্র নিয়াই আজীবন বই লেখা উচিৎ ছিল, তাই তো?
বা সত্যজিত রায়ের মূল পরিচয় যেহেতু ফিল্মমেকার, উনি প্রফেসর শঙ্কু, বা ফেলুদা বাদে কেবল ফিল্মের কলাকৌশল নিয়া বই লেখলেই ভালো করতেন?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আর একটা কথা , বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের যারা নেতৃত্বে আসবে, তারা কিন্তু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না স্যার। মন্ত্রী - মিনিস্টার বা বড় বড় ব্যবসায়ীদের ছেলেপেলেরা, যারা পরবর্তীতে মন্ত্রী মিনিস্টার হবে এদেশে ( তাই তো ট্র্যাডিশন এদেশে, নাকি?) , তারা হয় সরাসরি বিদেশে চলে যায় পড়তে, আর দেশে থাকলে নর্থ সাউথ - ইস্টওয়েস্ট - ব্র্যাক - আই ইউ বি - এ আই ইউ বি প্রভৃতি প্রাইভেট ভার্সিটিগুলিতে পড়ে। মাষ্টার কোয়ালিটি এজুকেশন প্রোভাইড করতে না পারলে ইউনিভার্সিটির মালিকরে মন্ত্রী / ব্যবসায়ী পিতা সরাসরি ফোন করে মাস্টারের নামে কমপ্লেইন করে। মাস্টারের চাকরি নিয়া টানাটানি লাগে। এইরকম স্বচ্ছতা, আর জবাবদিহিতা কিন্তু ২০২০ সালে বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.