নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও মাটির প্রতি মনের টান বুঝার জন্য অন্তত একবার বিদেশ ভ্রমন করুন

এপোলো

একটি বাংলা ব্লগ পেয়ে আমি খুব খুশি।আমি সকলের সাথে বাংলায় ভাব করতে পারব।

এপোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদূরদর্শী উন্নয়ন

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১২

কিছুদিন আগে দেশে গিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের একটা গ্রামে পুরো সময় কাটিয়েছি। দেশে চলমান উন্নতি চোখে পড়লো। আগে গ্রামে আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো কাঁচা ছিল। এখন দেখলাম সব কিছুতে পিচ ঢালাই চলছে। ইটের উপরে ঢালাই, গর্তে মাটি ভরে তার উপর ঢালাই, মাটির উপরে ঢালাই। খালি রাস্তা পাকা করছে। দেশের এই উন্নতিতে আমি অবাক। এর আগে দেশে ফ্লাইওভার এর উন্নতি হয়েছিল। অপরিকল্পিত উন্নয়ন এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাঁচা রাস্তা পাকা করার আগে রাস্তার এলাইনমেন্ট ঠিক করা দরকার ছিল। গ্রামেগঞ্জের রাস্তাঘাট ক্ষেতের জমির আইল এর মতোই আঁকাবাঁকা। একসময় এই রাস্তায় রিকশা চলবে বলে চিকন রাস্তা প্রসস্থ করেছিল। যেহেতু রিকশার গতিবেগ কম, আঁকাবাঁকা রাস্তা কোন সমস্যা ছিল না, দিন চলে যাচ্ছিলো ভালোই। কিন্তু এখন সবাই মোটরযান এ চলাফেরা করে, গতি বেশি। উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক কম গতি, তবে রিকশার চাইতে বেশি। গ্রামের রাস্তায় তুলনায় অতিরিক্ত।
এইসব রাস্তা পাকা করার আগে কিছু পরিকল্পনা করা দরকার ছিল। রাস্তা সোজা না করলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা। স্বাধীনতার পর যেমন রিকশায় চড়ার জন্য রাস্তা বড় করছিলো ৪০ বছর পর কি হবে সেটা না ভেবে, এখনো রাস্তা পাকা করছে ১০ বছর পর কি হবে সেটা না ভেবে ।



এলাকায় কয়েকটা নবনির্মিত ব্রিজ দেখলাম এক লেন এর। দুই দিক থেকে দুইটা রিকশা পার হতে পারবে বড়জোর। চার চাকার কোন গাড়ি গেলে ব্রীজগুলো কালুরঘাট এর পুরান ব্রীজ এর মতো হয়ে যাবে। একদিক থেকে গাড়ি আসবে , আরেকদিকে গাড়ি দাঁড়ায় থাকবে।
এইসব উন্নয়ন অদূরদর্শী, এই উন্নয়নে দীর্র্ঘস্থায়িত্ব নাই। হয়তো বিদেশে আছি বলেই এইসব ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এর অদূরদর্শীতা দেখে খারাপ লাগছে। কারণ বিদেশের যেকোন প্রজেক্ট এ দীর্র্ঘস্থায়িত্বতা বিবেচনা করে ফান্ডিং দেয়া হয়। বাংলাদেশ এ উন্নয়নের নামে খালি টাকা নষ্ট করে। দেশি আমলারা বিদেশ ঘুরে ট্রেনিং নেয়, দেশে গিয়ে সব ভুলে যায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২২

শায়মা বলেছেন: আমার তো চারিদিকে ভালোই উন্নয়ন মনে হয়।
দেশে থাকি তো তাই মনে হয় এমন হয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩২

এপোলো বলেছেন: চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকায় প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। ওখানে দোকান কেনার জন্য কেউ কেউ কোটি টাকা খরচ করতেও রাজি আছে। যারা ওখানে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে, অথবা বসবাস করে তারা অনেক টাকার মালিক। গাড়িঘোড়াও আছে। ওরাও আপনার মতো উন্নয়ন দেখে খুশি। শুধু সমস্যা একটাই। ওদের অনেকের ফ্লাট এ রিক্সা নিয়ে যাওয়ার জায়গাও নাই, ওদের অনেকের গাড়ি কেনার টাকা আছে, শুধু পার্কিং এর চিন্তায় কিনতে পারতেছে ন। গাড়ি কিনবে, রাস্তায় রাখবে, আর জোয়ারের পানি উঠলে আল্লাহ আল্লাহ করবে যেন গাড়ির ভেতরে পানি না ডুকে। উন্নয়নে কোন সমস্যা নাই, দূরদর্র্শিতা নিয়ে কথা বলছিলাম আমি।
দেশে থাকা আর বিদেশ থাকাটাই আপনার চোখে বেশি পড়েছে। দেশে কিভাবে ভালো থাকবেন সেটা নিয়ে কথা বললাম, ওটা আপনার চোখে পড়েনি।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: টেকসই উন্নয়ন বলে যে একটা কনসেপ্ট আছে এটা আমাদের সরকারি আমলারা জানেই না মনে হয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

এপোলো বলেছেন: ওরা চাইলেই বদলাতে পারে। উৎসাহ পায় না।
কর্মদক্ষতা ছাড়াই যেখানে পদোন্নতি পাওয়া যায়, ভাল কাজ করার চেষ্টাই বা কেন করবে?

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৯

সাদীদ তনয় বলেছেন: ঢাকা শহর যদি পরিত্যক্ত নাহয় আগামী কয়েক দশক পর তাহলে আমি অবাক হব। রাজধানীতে কোনো দূরদর্শী উন্নয়ন হয় না। পত্রিকায় ডেমু ট্রেনে শত শত কোটি গচ্চার খবর দেখলাম। মেট্রোরেলের পরিণতি তাই হবে। তবে পদ্মা সেতু প্রজেক্ট একটা ভালো উদ্যোগ।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

এপোলো বলেছেন: মার্কিন এম্বেসী কর্তৃক সংগৃহিত ডাটা থেকে বলা যায়, এই বছরের শুরুর দিকে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ঢাকার বাতাস বিপজ্জনক মাত্রায় দূষিত ছিল।

বাতাসে ধুলাবালির উপস্থিতিতে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ ব্যবস্থাপনা কতটুকু ভূমিকা রেখেছে সেটা তদন্ত করা সময়ের দাবি।
উন্নয়নের সাথে সাথে টেকসই চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নে সরকারি নিয়ম নীতির হালনাগাদ এবং প্রয়োগের সময় পার হয়ে গেছে । এই ক্ষেত্রে সরকার যদি কিছু একটা না করে, তাহলে শহরগুলোকে বাঁচানোর উপায় থাকবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.