নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও মাটির প্রতি মনের টান বুঝার জন্য অন্তত একবার বিদেশ ভ্রমন করুন

এপোলো

একটি বাংলা ব্লগ পেয়ে আমি খুব খুশি।আমি সকলের সাথে বাংলায় ভাব করতে পারব।

এপোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

পটিয়া বাইপাসের ইন্টারসেকশন ডিজাইন ত্রুটিপূর্ণ ও বিপজ্জনক

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৪

সারমর্মঃ পটিয়া বাইপাসের ইন্টারসেকশন ডিজাইনে বড় ধরনের ভুল আছে, জনস্বার্থে অবিলম্বে এই ভুল সংশোধন করা উচিত।

বিস্তারিত ব্যখ্যা নিচে দেয়া হল। দীর্ঘ লেখা, সময় নিয়ে পড়তে বসুন।

এই লেখা লিখতে গিয়ে আমি আমার একাডেমিক ও প্রফেশনাল জ্ঞান কাজে লাগিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, পুরো লেখাতেই আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছি । কোনোধরনের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত আক্রোশ এই লেখায় প্রকাশ করা হয় নি। সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হলো ।


প্রথম ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পটিয়া বাইপাস, যা পটিয়া উপজেলার ব্যস্ততম এলাকাকে পাশ কাটিয়ে একজন যাত্রীকে ইন্দ্রপুল এলাকা থেকে কমল মুন্সীর হাট এলাকায় পৌঁছে দেবে ১০ মিনিটের মধ্যে। অতি সম্প্রতি এই বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়। দূরবর্তী যানবাহনের যাত্রীদের কষ্ট লাগবের পাশাপাশি পটিয়ার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই বাইপাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই সবাই আশাবাদী।
এই বাইপাস সড়ক নির্মাণে বেশ কিছু আধুনিক প্ৰযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে, নির্মাণের আগে পরিকল্পনার সময়ও বেশ কিছু দূরদর্শী সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখা যায়, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার । উদাহরস্বরূপ, বাইপাস এর ব্রিজ গুলোর কথা তুলে ধরতে চাই । আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, রাস্তার কিছু কিছু জায়গায়, বিশেষ করে ব্রিজ গুলোর আগে পরে রাস্তার প্রশস্ততা একটু বেশি, ব্রিজ এবং তার এপ্রোচগুলোতে দুইদিকে দুই লেইন করে মোট চার লেনের রাস্তা বানানো হয়েছে, যেখানে মধ্যবর্তী রাস্তা শুধু মাত্র দুই লেনের জন্য বানানো। ধারণা করছি ভবিষ্যতে এই বাইপাসের আগাগোড়া চার লেন এর প্রশস্ততা পাবে । তবে এখন হয়তো অর্থ অথবা সময় স্বল্পতার কারণে পুরোটাই চার লেন করা সম্ভব হয়নি। দুইলেন এর রাস্তা যতটা সহজে চার লেন করা যায়, দুই লেন এর ব্রিজ তত সহজে বড় করা সম্ভব না। ঠিক সে কারণেই এখন ব্রিজ গুলো বড় করেই বানানো হয়েছে, পরে সময় সুযোগ বুঝে রাস্তাটা বড় করবে। ডিজাইনার এর এই বিচক্ষণতা প্রশংসনীয়।
তবে আজকে বসেছি ইন্টারসেকশন নিয়ে লেখবো বলে। বাইপাস এর দক্ষিণ পূর্ব পাশের ইন্টারসেকশন, যেখানে বাইপাস শেষ হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে মিশে যায়, সেটার ডিজাইন নিয়ে কয়েকটা কথা লেখার ইচ্ছা আছে আজকে।

ছবিতে গুগুল ম্যাপ থেকে নেয়া ইন্টারসেকশন এর বর্তমান অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, মেইন রোডের কাছাকাছি এসে বাইপাসটা দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। অনেকটা ইংরেজি বর্ণমালার Y এর মতো হয়ে মেইন রোডের দুইদিকে যুক্ত হয়েছে । এইধরনের ইন্টারসেকশন আমাদের কাছে নতুন কোন ব্যাপার নয়। ক্রসিং এবং বাদামতলেও এই ধরণের ইন্টারসেকশন আছে একই মহাসড়কের উপর। এটা নতুন কিছু নয়, অনেক পুরোনো একটা আইডিয়া। পুরোনো বলে কোনো সমস্যা নাই, তবে এই ডিজাইন খুবই বিপজ্জনক বলেই আজকে এই লেখা লিখতে বসা।

অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে, বছরের পর বছর ধরে শিকলবাহা ক্রসিং এবং মনসা বাদামতলে গাড়ি চলছে, আর আজকে এসে কিভাবে এই ডিজাইন বিপজ্জনক হয়ে গেলো? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে আমি আর কয়েকটা কথা বলে নেই। তারপর আমি একটা প্রশ্ন করবো সবার কাছে, ওই প্রশ্নের উত্তর যারা দেবেন, তারা সাথে সাথেই বুঝে যাবেন বিপদটা কোথায়।
ধরেন, আপনি বাইপাস থেকে মেইন রোডে উঠে শ্রীমাই ব্রিজ হয়ে সরকারি কৃষি অফিসের দিকে যাবেন। আপনি Y সেকশন এর উপরের মাথা ধরে মেইন রোডে উঠলেন খুব সহজে, কৃষি অফিসে চলে গেলেন খুব সহজে।

অথবা আপনি কমল মুন্সির হাট থেকে বাইপাস হয়ে ইন্দ্রপুল যেতে চাচ্ছেন। রাস্তার বামপাশ ধরে খুব সহজেই আপনি বাইপাস এ উঠে গেলেন। রাস্তার ওপর পাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার জানার কোন দরকার আপনার নাই, কারণ ডান পাশের গাড়ি তো আর আপনার লাইনে আসতেছে না। এই হিসাবে যারা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছে, তাদের জন্য এই বাইপাস খুবই নিরাপদ একটা মাধ্যম। বিশেষ করে বড় গাড়ি গুলো (বাস, ট্রাক) এই রাস্তা ব্যবহার করে খুব আরাম পাবে ।
কিন্তু যে বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছে, সেটি কিভাবে এই ইন্টারসেকশন হ্যান্ডল করবে? এই হলো আমার প্রশ্ন। যে প্রশ্নের কথা আমি একটু আগে বলেছিলাম, এইটাই সেই প্রশ্ন। একটা বড় বাস অথবা লম্বা ট্রাক এই বাইপাস থেকে কমল মুন্সীর হাঁটে যাবার সময় কি করবে? যেহেতু ইন্টারসেকশনটা শুধুমাত্র দুই ধরণের যানবাহনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা, বাইপাস থেকে কক্সবাজারগামী গাড়ি অথবা গিরিচৌধুরী বাজার থেকে ইন্দ্রপুল যেতে চাওয়া গাড়িগুলো কি করবে আসুন আমরা একটু সময় নিয়ে চিন্তা করি।

এই প্রশ্নের একটা সম্ভাব্য উত্তর হলো, এই দুইধরনের সুবিধাবঞ্চিত গাড়িগুলো নিয়মভঙ্গ করে বিপদ মাথায় নিয়ে এই বাইপাস এ চলাচল করবে । বাইপাস এই ডিজাইন ত্রুটির কারণে বড় বাস ট্রাক গুলো রাস্তার বাইরে গিয়ে ওয়াইড টার্ন নেবে, বিপরীতমুখী গাড়ির সাথে সংঘর্ষের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তাটা পার হয়ে অন্য পাশের লেনে উঠার চেষ্টা করবে । এই কাজ করতে গিয়ে রাস্তা পার হতে যাওয়া এবং মেইন রোডের চলন্ত, দুই ধরণের গাড়িই বিপদের ঝুঁকির মধ্যে পড়ব। এই ঝুঁকি এড়াতে গিয়ে এই ইন্টারসেকশন এর গাড়িগুলো গতিবেগ সবসময় কম থাকবে। যতই কম গতি হোক না কেন, বিপদের ঝুঁকি কিছুটা হলেও থেকে যায় । আর যেদিন গাড়ি একটু বেশি চলাচল করবে, এই ত্রুটিপূর্ণ ইন্টারসেকশন ডিজাইন এর কারণে রাস্তার এই অংশে ট্রাফিক জ্যাম হবে।

লেখার এই পর্যায়ে পাঠকের জন্য আরেকটা প্রশ্ন। আপনার কি মনে হয়, এই “তিন রাস্তার মোড়” পরিকল্পনার পুরোটাই ভুল নাকি “ডিজাইন ঠিক আছে, তবে আরও ভাল হতে পারত” টাইপের ভুল? আমার কাছে মনে হয়, এই ডিজাইনের পুরোটাই ভুল। যদি এটা গ্রামের রাস্তা হত, যেখানে তেমন বেশি গাড়ি ঘোড়া চলে না, বছরে ছয়মাসে ৩-৪ হাজার ইট ডেলিভারি করার জন্য একটা-দুইটা ট্রাক চলে, বছরের বাকিদিন এই রাস্তায় খালি সিএনজি আর রিকশা চলে, তাহলে ঐ রাস্তার জন্য এই ডিজাইন ঠিক থাকত। তাও মাঝের খালি অংশটা বাদ দিয়ে সচরাচর যেভাবে তিন রাস্তার মোড় ডিজাইন করে সেভাবে ডিজাইন করা লাগত। দেশের প্রথম সারির একটা মহাসড়কে এই ডিজাইন পুরোটাই ভুল। আপনি যদি এই রাস্তায় মোটর সাইকেল চালান, অথবা সিএনজিতে চড়েন, আপনার হয়ত মনে হবে না এটা তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু। কিন্তু যিনি এই মোড়ের মধ্য দিয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যাবেন, অথবা বড় লরিতে করে পণ্য সরবরাহ করবেন, তার জন্য এই মোড়টা একটা বিশাল সমস্যা। আর জাতীয় মহাসড়কে হরহামেশা বড় ও লম্বা গাড়ি চলবে, সেটা ধরে নিয়েই ডিজাইন করা লাগে। কারণ, ওইসব বড়গাড়িকে ঠিকমত চলতে না দিলে যে এক্সিডেন্টগুলো হয়, সেখানে সাধারণত ছোট গাড়ির আরোহীরা বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকে। ইন্টারসেকশোনের এই মারাত্মক ভুলটাকে ছোট করে দেখার কোন উপায় নেই।

অথচ এই ইন্টারসেকশন এর ডিজাইন একটু ব্যতিক্রমভাবে করলেই এত্তগুলা অসুবিধা অথবা বিপদের ঝুঁকি থাকতো না, কিছুটা হলেও কমে আসত। উদাহরণ হিসেবে নিচের ছবিটা দেখার অনুরোধ রইল।

এই ডিজাইন এ রাস্তার অন্য পাশে যাওয়া আসা করা গাড়ি আলাদাভাবে হিসাব করা আছে। ঐসব গাড়ি মাঝের চিকন রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে পারবে, তারপর সময় সুযোগ বুঝে রাস্তা পার হতে পারবে। বর্তমান ডিজাইন এ ডেডিকেটেড লেন এর ভুল ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির ডিজাইন এ রাস্তার বাম পাশে চলাচল করা গাড়িগুলো আলাদা সুবিধা পাবে ডেডিকেটেড লেন এর কারণে, এপার ওপার করা গাড়িগুলো একটু থেমে নিরাপদভাবে রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে । এই ডিজাইনে মেইন রোডে বাইপাস এর কারণে জ্যাম লাগার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসে ।

এই তো হল, একটা উদাহরণ মাত্র। আরও বেশ কয়েকটা উদাহরন দেয়া যায় এই ইন্টারসেকশনের উন্নত ডিজাইন পরিকল্পনার জন্য। সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ডিজাইন হত, ফ্লাইওভার নির্মান করলে। মনে আছে দেশে একসময় ফ্লাইওভার নির্মানের হিরিক পড়েছিল? সেই ফ্লাইওভারের যথাযথ ব্যবহার হত যদি এই ইন্টারসেকশনে দুইটা দুইপাশে ফ্লাইওভার বসানো হত। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যেমন এই বাইপাসের ব্রিজগুলো এখনই প্রশস্থ করে বানানো হয়েছে, একই যুক্তিতে এই ইন্টারসেকশনে দুইটা (ওভার)ব্রিজ নির্মান করলে বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসত।

এরকম আরও অনেক বিকল্প ডিজাইন আছে যা এই মোড়কে বিপজ্জনক তালিকা থেকে বের করে আনতে পারবে। এমনকি চিরাচরিত তিনরাস্তার মোড়ের মত করে যদিও এই ইন্টারসেকশন ডিজাইন করত, তাহলেও এটা এত অসুবিধা তৈরী করত না। কিন্তু মাঝখানের ত্রিভুজাকৃতির আইল্যন্ডটা বসানোর কারণে এই ইন্টারসেকশন মুহূর্তের মধ্যেই “কম কার্যকরী” থেকে “বিপজ্জনক ও অকার্যকরী” ইন্টারসেকশনে পরিণত হয়েছে।

লেখার এই পর্যায়ে এসে আমি লিখতে বসার আসল কারণটা বলা জরুরি বলে মনে করছি। আজকে লিখতে বসার আসল কারণ হল, জনসচেতনতা। এই লেখার পুরোটা পড়ার আগে আপনি যতটুকু সচেতন ছিলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই সচেতনতায় বাড়তি কিছুটা হলেও আমি যোগ করতে পেরেছি। আপনার কাছেই এখন আমার দাবি, এই বিষয়ে কিছু একটা করুন। আপনাকে নাগরিক সুবিধা দেবে বলেই সরকার এই রাস্তা তৈরী করেছে। কিন্তু মাঝখানে কোন এক অদক্ষ কর্মকর্তা, অথবা কোন এক অপরিপক্ক প্রকৌশলীর ভুলের কারনে আপনি পুরো সুবিধাটা পাচ্ছেন না। আপনার এই “অসুবিধা”র কথা আপনার জনপ্রতিনিধিকে জানান। আপনার এলাকার এম.পি. সাহেবকে জানান। আপনি জানান যে, যত টাকা খরচ করে এই প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হয়েছে, তার তুলনায় হয়ত সামান্য কিছু টাকা বেশি খরচ হবে, কিন্তু তাতেই এই এলাকায় যানবাহনের দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলোর কথা তুলে ধরে আপনি দাবি জানান, যে এই ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন সংশোধনে অবিলম্বে উদ্যোগ নেয়া হোক। আপনার দাবি যদি জনপ্রতিনিধিকে না জানান, তাহলে তিনি আপনার হয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলতে পারবে না। মনে রাখবেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের উপরে কিছু নাই, সেই সংসদে কথা বলার জন্য সাংসদেরা তৈরী হয়ে আছেন। এখন নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্য, আপনার দাবি সাংসদের দরবারে পৌছানো। আপনার অসুবিধার কথা প্রকাশ করুন।

যারা যারা মনে করছেন, এইটা সামান্য একটা ভুল, এতে তেমন বেশি সমস্যা হবে না, বাংলাদেশে এরকম ভুল হওয়া জায়েজ। তাদের কে বলছি। নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটা লম্বা লরি, যেগুলোতে করে সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা এবং অন্যান্য শহরে মালামাল পরিবহন করা হয় । কক্সবাজারের বন্দরটা পুরোদমে চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে এই লরি অহরহ চলাচল করবে। এরকম একটা লরি কিভাবে এই ইন্টারসেকশন এ চলাচল করবে একবার চিন্তা করে দেখেন। আপনি না হয় সবসময় সিএনজি নিয়ে চলাফেরা করেন, কিন্তু এইরকম একটা লরি আপনার সিএনজির পাশ ঘেঁষে রাস্তার উল্টাদিকে চলে গেলে আপনি কেমন নিরাপদ মনে করবেন?

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাইপাসটি কি হয়ে গেছে?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

এপোলো বলেছেন: হ্যা, বাইপাসটার নির্মান গতবছর শেষ হয়েছে। এখনও কিছু উন্নয়নমূলক টুকটাক কাজ চলতেছে, তবে বাইপাসটা গাড়িঘোড়ার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫

জ্যাকেল বলেছেন: এটা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া উচিত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

এপোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। সাংবাদিক কোন বন্ধু না থাকায় কিভাবে প্রত্রিকায় লেখাটা প্রকাশ করব সেটা বুঝতে পারছি না। আশা করি ব্লগ থেকে কেউ না কেউ আমাকে দিকনির্দেশনামূলক সহযোগীতা প্রদান করবে।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮

বিটপি বলেছেন: এরোকম ভুল বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই আছে। এসব ছোটখাট ভুল ধরলে চলেনা। শিকলবাহা ক্রসিংটাও এরকমই। কিন্তু এঈ রাস্তায় এখন পর্যন্ত কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৯

এপোলো বলেছেন: অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণ ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা'
আপনার ঋণের টাকা দিয়েই এইসব সরকারি প্রজেক্ট বানানো হয়। আপনি হয়তো ভাবছেন, সরকারি প্রজেক্ট তো ফ্রি জিনিস, যেটা পাইছি সেটাই লাভ। আপনার ভাবনাতে ভুল আছে। আপনার পকেটের টাকা দিয়েই সরকারি প্রজেক্ট হয়। বাস ভাড়া দেয়ার সময় যেমন প্রতি টাকার হিসাব করি আমরা, সরকারি প্রজেক্টেরও প্রতি টাকার হিসাব করা দরকার আমাদের। পাশের বাসার প্রতিবেশীর ভুল না ধরে আসুন আমরা সবাই সরকারি প্রজেক্টের ভুল ধরার অভ্যাস করি। তাহলে অন্তত সরকারি কাজে জবাবদিহিতার প্রচলন হবে।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

কালো যাদুকর বলেছেন: ভাল বলেছেন।
কিন্তু বানান শেষ এখন পরিবর্তন করতে অনেক খরচ লাগবে।

আপনি যে অপসনের কথা বললেন এটাকে বলে "half cloverleaf interchange" । এরকম একটা বিপদজনক ইনটারসেকশন কেন বানান হল সেটা কে বলতে পারবে? আমার মাথায় আসছে না।

এগুলো বানানোর আগে পাবলিক মতামত নিতে হয়, কয়েকটে এজেন্সী একমত হয়, এরপর বিল্ড করে। তবে বাংলাদেশের কথা আলাদা।





আমি আমাদের এলাকাতে এরকম "half cloverleaf interchange" দেখেছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

এপোলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি ঠিক এইটার কথাই বলছিলাম। টাকা খরচ করতে চাইলে ক্লোভারলিফ ইন্টারচেঞ্জ বানাতেই টাকা ঢালা দরকার। এখন যেটা করছে সেটা অসম্পূর্ণ।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভালো জিনিস তুলে ধরেছেন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

এপোলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

নতুন বলেছেন: বাজেট কম এবং এতো চিন্তা না করে হাতের কাছে যেই সমাধেন পেয়েছে সেটাই তারা ব্যবহার করেছে তাই এমন ভুল করেছে।

আশা করি এই জিনিস তাদের চোখে পড়লে তারা সমাধানের চেস্টা করবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

এপোলো বলেছেন: আপনার কমেন্টের দ্বিতীয় লাইনটা পড়ে মন জুড়িয়ে গেল। এইটাই আমার মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল। আমরা যারা এই রাস্তার ব্যবহারকারী (যেটা এই দেশের সবাই, কারণ এটা একটা জাতীয় মহাসড়ক), আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা যদি তুলে না ধরি, আমাদের উন্নতি কেউ করতে পারবে না।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪০

গফুর ভাই বলেছেন: ভাল লাগল খুব....।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

এপোলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমন বাইপাস অনেক জায়গায়ই আছে তবে দুর্ঘটনা বলতে উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি। তবে এসব ডিজাইন করার সময় এগুলো মাথায় রাখা দরকার।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: দুইদিকে দুটো ইউটার্ন রাখলেই তো সমস্যার সমাধান হয়। এরজন্য হয়ত কয়েক একর জমি এক্যোয়ার করতে হবে শুধু।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সাসটেইনেবল ওয়েতে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যে করা হয় না এটি তারই একটি ছোট্ট উদাহরণ হতে পারে। এরকম শত শত জগাখিচুড়ি উন্নয়নের চিত্র রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচিতগুলো হচ্ছে মগবাজার ফ্লাইওভারের উপর সিগনাল, গাজীপুর মেট্রো বাসের জন্য নির্মিত লাইনের জন্য অন্য যাহবাহনের র্যাম্পসহ অন্য টেকসই ব্যবস্থা না রাখা, ঢাকা টু ভাঙা তথাকথিত এক্সপ্রেসওয়েতে বাস বে নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েসহ অন্যান্য নির্মিত হাইওয়েতে আন্ডারপাস-ওভারপাস পর্যাপ্ত না থাকা ইত্যাদি.....। এগুলো কীভাবে যে ডিপিপি তৈরি করে আল্লাহ মালুম! আর কীভাবেই যে পাস হয়!... :(

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

এপোলো বলেছেন: ইউটার্নের আইডিয়াটাও অনেক জায়গায় দেখেছি। তবে এইক্ষেত্রে রাস্তার ধরনটাও মাথায় রাখতে হবে। কোন রাস্তাটা কি উদ্দেশ্যে বানানো হচ্ছে সেটা যদি আগে থেকে হিসাব করে রাখা যায় তাহলে কিভাবে রাস্তার উন্নতি সাধন করা লাগবে সেটা ঠিক করা অনেক সহজ হয়ে যায়। যেমন এইটা একটা জাতীয় মহাসড়ক। সেই হিসেবে ভবিষ্যতে এই রাস্তায় এক্সেস কন্ট্রোল করা লাগতে পারে। তখন মনে হয় সেপারেট ইন্টারচেঞ্জ এর দরকার হতে পারে। ইউটার্নের প্যাটার্ণটা আঞ্চলিক মহাসড়কেই বেশি কার্যকর বলে প্রতীয়মান।
আশা করি সরকারি কর্মকর্তারা এইসব নীতিনির্ধারণে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেবে। দেশ থেকে প্রতি বছর হাজারের উপর ইঞ্জিনিয়ার বের হচ্ছে। তাদের অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে ব্যবহার না করলে এই পড়াশুনা করায়ে দেশের আর কি লাভ হল!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২০

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: প্রশাসন ও উচ্চমহলের নজরে আনার চেষ্টা করুন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

এপোলো বলেছেন: চেষ্টা করছি। অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন। মগবাজার ফ্লাই ওভার ভুল করে লেফটহ্যান্ড ড্রাইভ ট্রাফিকের জন্য বানিয়েছিল। আপনার পরিকল্পনা মত বা কাল যাদুকর ভাইয়ের দেখানো পদ্ধতি ঠিক।
এখানে বাইপাস থেকে এক্সিট নিয়ে বলেছেন, কিন্তু চিটাগাং থেকে কক্সবাজার যেতে বাইপাসে ইন করার সময় কক্সবাজার থেকে আসা ট্র্যাফিক এড়ানোর ব্যবস্থা কি সঠিক ভাবে করা হয়েছে? আমার জানা নেই তাই বললাম, কারন আমার মনে হয় ওখানে একটা আন্ডারপাস বা ওভারপাস দরকার।
ভাল থাকুন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

এপোলো বলেছেন: ইন্দ্রপুল ব্রিজটা নতুন করে বানানো হচ্ছে। ব্রিজ এর কাজ হয়ে গেলে তখন হয়তো ঐদিকের ইন্টারসেকশনটা পূর্ণরূপ পাব। সেজন্য এখনই ঐদিকের ইন্টারসেকশন নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকছি।
তবে একটা কথা এখানে উল্লেখ করি। কমল মুন্সির হাটের দিকের ইন্টারসেকশন যদি উন্নত করা হয়, আশা করা যায় একই পদ্ধতি ওপর পাশেও অবলম্বন করা হবে। সেক্ষেত্রে আপনি যে অসুবিধার কথা বলছে সেটা দূর হবে বলেই আশাবাদী । একটা সঠিক ইন্টারচেঞ্জ দুইদিকের ট্রাফিক এর কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.