নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও মাটির প্রতি মনের টান বুঝার জন্য অন্তত একবার বিদেশ ভ্রমন করুন

এপোলো

একটি বাংলা ব্লগ পেয়ে আমি খুব খুশি।আমি সকলের সাথে বাংলায় ভাব করতে পারব।

এপোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতবছর আট হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর আমেরিকা গমন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২৩

তথ্যসূত্রঃ লিঙ্ক



২০২১ সালে ভয়াবহ প্যান্ডেমিকের কারণে সৃষ্ট পর্বতসম বাধা অতিক্রম করে আট হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমিয়েছে। আমেরিকাতে পড়াশুনা করতে পাঠানো অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ গতবছর উপরের দিকে উঠে এসেছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২.৭% কম ছাত্রছাত্রী পাঠালেও অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগীতায় ১৭তম স্থান থেকে ৩ ধাপ এগিয়ে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দুইদেশের মধ্যে পড়াশুনার জন্য ছাত্রছাত্রী আদান-প্রদান একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কৌশল। ছাত্র-ছাত্রী অদল-বদলের এই কৌশলে দুইদেশেরই লাভ থাকে। বাংলাদেশীরা বিশ্বমানের শিক্ষা নিয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেদের মেধার পরিচয় রাখার সুযোগ পায়, আমেরিকা এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করে। বিদেশে, বিশেষ করে আমেরিকার মত উন্নত দেশে ছাত্রছাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে একটা গর্ব করার মত অর্জন। ২০২১ সালে দেশের এই অগ্রগতিতে বাংলাদেশ ও তার নাগরিকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে সবচেয়ে বেশী অভিনন্দন জানাতে হয় বাংলার সেসব দামাল সন্তানদের, যারা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও রাতজাগা স্বপ্নকে বিফলে যেতে দেয়নি। বাংলাদেশ থেকে যারা বাইরে পড়াশুনা করতে আসে, তাদের বেশিরভাগই মাস্টার্স-পিএইচডি লেভেলের বিদ্যার্থী। ব্যাচেলর ডিগ্রী করতে আসা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ফেলে দেয়ার মত না। যারাই এই পথের পথিক, ব্যাক্তিগত উদ্যোগ কিংবা পারিবারিক উৎসাহই তাদের ভরসা। নিজে থেকেই দৌড়াদৌড়ি করে, বিভিন্ন বিশেষায়িত পরীক্ষা দিয়ে, দূতাবাসের জটিল প্রক্রিয়া সামলে, ভিসা ইন্টারভিউয়ের মত কঠিন একটা ধাপ পার করে আমেরিকার ভিসা যোগাড় করে তারা। কত যে শক্ত মনের অধিকারি না হলে এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার করা যায় না, সেটা যারা এই পথ পাড়ি দিয়েছে তারাই ভাল বলতে পারে। বাংলার এই নাছোড়বান্দা দামাল ছেলেমেয়েদের জন্য রইল অশেষ ভালবাসা।

কোভিডের ভয়াবহ ছোবলে দেশের নিত্যদিনের কর্মপরিকল্পনা ধ্বসে পড়েছিল। সব সরকারি, আধা-সরকারি, এবং বেসরকারি অফিসগুলো হয় বন্ধ ছিল অথবা স্বল্প পরিসরে কোন রকমে টিকে ছিল। এর মাঝেই IELTS অথবা GRE র মত পরীক্ষাতে অংশগ্রহন করতে হয়েছে এই বিদ্যার্থীদেরকে। এসব পরীক্ষার ফী গুনতে হয় হাজারে। শুধু টাকা দিলেই হবে না, পরীক্ষায় ভাল নাম্বারও পেতে হবে। সেজন্য ৩-৪ মাস ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়। সময়সাপেক্ষ ও খরুচে এইসব টেস্টের রেজাল্ট হাতে আসার পর শুরু হয় "প্রফেসর ম্যানেজ" করা। রাতের পর রাত জেগে শ'য়ে শ'য়ে ইমেইল পাঠাতে হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের একাউন্টে। এইসব প্রফেসর বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অসংখ্য ইমেইল পান প্রতিদিন। এত প্রতিযোগীতার মধ্যে একটা ইমেইলের উত্তর পাওয়াটাও অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। বেশিরভাগ ইমেইলের কোন রিপ্লাই আসেনা। রিপ্লাইএর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একসময় একটা নেগেটিভ রিপ্লাই পেলেই মনে শান্তি লাগে যে, "নাহ, অন্তত কেউ একজন তো আমার ইমেইল পড়ে দেখেছে" ভেবে। বাংলাদেশের দিনের বেলা আমেরিকায় রাত। ইমেইলের রিপ্লাই পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য অনেকেই দেশের রাতের বেলা ইমেইল পাঠায়। মনে তাদের ক্ষীন আশা, ইমেইলটা যখন প্রফেসরের কম্পিউটারে এসে পৌছাবে, তখন যদি উনি কম্পিউটারের সামনে থাকেন, তাহলে অন্তত পড়ে তো দেখবেন। এরকমই অনিশ্চিত যাত্রায় দিনের পর দিন (আসলে রাতের পর রাত হবে) চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে ওরা। অনেকেই আবার নিজস্ব টাকায় পড়াশুনা করবে বলে সরাসরি ভর্তির আবেদন করে। যেভাবেই হোক, ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তির চিঠি না পাওয়া পর্যন্ত কেউ পরবর্তী ধাপে যেতে পারে না। একটা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেবল ভর্তির চিঠি হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। ২০২০-২০২১ সালের করোনাকালীন সময় এতগুলো ধাপ পার করার বাংলাদেশী এসব স্বপ্ন দেখা তরুন-তরুনীদেরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে কবে এম্বেসীর ভিসার ডেট পাবে আশায়। বছরের বেশিরভাগ সময়ে এম্বেসী বন্ধ অথবা স্বল্প পরিসরে চালু ছিল। অনেক শিক্ষার্থী আছে এসিস্ট্যান্টশীপসহ ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও সময়মত ভিসার জন্য দাড়াতে পারেনি। তাদের কপাল খারাপ। এত ঝামেলা পোহানোর পরেই ৮৫০০ এর মত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী ২০২১ সালে আমেরিকা গমন করেছে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকার জন্য তাদের জানাই সাধুবাদ।

অবাক হওয়ার মত হলেও এটা সত্য যে, বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের বাইরে পড়াশুনা করার জন্য তেমন কোন সহযোগীতা প্রদান করে না। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাইরে পড়াশুনা করার জন্য আলাদা প্রোগ্রাম আছে। কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিকরা বাইরে পড়তে যেতে চাইলে সবকিছু নিজে নিজেই ব্যবস্থা করতে হয়। প্রশ্ন জাগতে পারে, সরকার এইক্ষেত্রে কি করতে পারে?

চাইলে করতে পারে অনেককিছুই। লিস্ট অনেক লম্বা হবে কি কি করতে পারে তার। তবে আমার মতে, এই লম্বা তালিকার সবার উপরে আছে, এইসব বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করা। এই ঋণের ব্যবস্থা করলে বাংলাদেশের লাভ হবে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ এর ভিত্তি করেই দেশের আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য হিসাব করা হয়। দেশী ভাইবোনেরা বিদেশে ভাল পজিশনে চাকরি করতে পারলে রিজার্ভের পরিমান বেড়ে যাবে কয়েকগুন। উদাহরন হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকালেই বুঝা যাবে কিভাবে ওরা বহির্বিশ্বে তাদের পায়ের ছাপ রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এইক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। এটা সত্য যে ২১ সালে আমরা ৩ ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। সরকারী সহায়তা থাকলে এই তিন তিনে আটকে না থেকে ছয় কিংবা নয় হতে পারত।

বেসরকারী অনেক সংস্থা এইক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে থাকে। বিশেষ করে ফেসবুকভিত্তিক দুটো গ্রুপ বিগত ৩-৪ বছরে প্রচুর পরিমান ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তথ্য ও উৎসাহ দিয়ে সহযোগীতা করেছে। গ্রুপ দুটো হলঃ

১. NexTop-USA (Higher study in USA)
২. HigherStudyAbroad - Global Hub of Bangladeshis

এর বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের নেটওয়ার্কও এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার নির্ভরযোগ্য একটা মাধ্যম। আমেরিকান এম্বেসীর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন শহরের তথ্য কেন্দ্র পরিচালনা করা হয় বিদেশ গমনেচ্চুদের বিনাখরচে সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে। নিচের তালিকায় উল্লেখিত এসব তথ্যকেন্দ্র এম্বেসীর ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।

১. American Center at U.S. Embassy Dhaka
২. Edward M. Kennedy (EMK) Center for Public Service and the Arts located in Dhanmondi, Dhaka
৩. American Corner Chittagong (at Chittagong Independent University, 12 Jamal Khan Road Chittagong – 4000)
৪. American Corner Khulna (at Northern University of Business and Technology Khulna KhulnaCampus, Shib Bari More, Khulna)
৫. American Corner Sylhet (at Sylhet International University Shamimabad, Bagbari, Sylhet)
৬. American Corner Rajshahi(at Varendra University House No# 532, Jahangir Shoroni, Talaimari Rajshahi-6204).

সবশেষে বলতে হয়, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় সেটা বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা আরেকবার প্রমান করেছে বিশ্ববাসীর দুয়ারে। বাংলাদেশের জন্য রইল অশেষ শুভকামনা। সঙ্গীতের যুবরাজ আসিফের সাথে গলা মিলিয়ে বলব, ভালবাসা অবিরাম।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ( রেংকিং বীহিন) হচ্ছে একটা শপিংমল। বিদেশী ছাত্ররা হচ্ছে তাদের কাস্টমার। আমাদেরর দেসের অনেক পিতা মাতাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে যে কোন বিশ্ববিদ্যায়ে স্টুডেন্ট ভিসা এপ্রুভ হলেই ্সেখানে পাঠিয়ে দেন খরচের কথা তেমন একটা না ভেবে। কিন্ত গ্র্যজুয়েশন লেভেলে খরচ আকাশশ্চুম্বী । কয়েক কোটি টাকা লেগে যায় স্রেফ গ্র্যজুয়েশন শেষ করতে। কিন্ত শেষ করার পর সেখানে চাকুরি পাবার বা সেটল হবার কোন গ্যরান্টি নাই। পরিচিতদের মধ্যেই বেশ কয়েকজনকে দেখেছি ফ্ল্যট বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিল। কিন্ত গ্র্যজুয়েশন শেষ করে দেশে ফেরত চলে এসেছে কারন স্টুডেন্ট ভিসা শেষ হয়ে গেছে এবং আর কোন উপায়ে সেখানে থাকার সুযোগ হয়নি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৪

এপোলো বলেছেন: আপনার কথাটাও ফেলে দেয়ার মত না। পড়াশুনা শেষে অনেকেই দেশে ফিরে যায়, অনেককেই দেশে ফিরতে হয়।
আমার জানাশোনা ২ জন দেশে ফেরত গেছে। একজন ইচ্ছা করেই, আরেকজন বাধ্য হয়েই। আমাদের সাথে তখন ২০-২২ জনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করত। তাহলে হিসাব করে বলা যায়, ১০% দেশে ফেরত যাচ্ছে, ৯০% বিদেশ থেকে যাচ্ছে। এটা সলিড হিসেব, কিন্তু গ্রহনযোগ্য না। কারন আমার ভার্সিটি গ্রাফের একটা বিন্দুমাত্র। এরকম হাজারটা বিন্দু লাগে ঢালাও একটা মন্তব্য করতে। নিজের চারপাশে কি হচ্ছে সেটা দিয়ে দুনিয়া মাপা খুব কঠিন একটা কাজ। ২১ সালের ৮৫০০ জনের মধ্যে কতজন কি করছে সেটাই বড় কথা। আশেপাশে কতজন ফ্লাটের মালিক সেটা বড় কথা না।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকাতে পড়তে আসা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের এই সাফল্য এর মাঝে আমার নিজেরও ছোট, কিন্চিৎ, সামান্য, নগন্য, অবদান আছে...বেশ কিছু সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীকে আমার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে সাহায্য করেছি। আবার অনেককে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে রেকমেন্ডশন লেটার দিয়েছি। প্রায় সবাই এখন এখানেই সেটেলড...কাউকে ফিরতে দেখি নাই (উপর এর কমেন্ট এর পরিপ্রক্ষেতে বলা)।
মজার কথা হল সামুর এক ব্লগার এর লিখা এতই পছন্দ হয়েছিল যে, আমি নিজেই তাকে অফার দেই এখানে আসার জন্য (নিকের পাশে বিজ্ঞান এর পরিচয় দেওয়া ছিল)..। পিএইচডি শেষ করে এখন এখানেই পোস্ট ডক্টোরেট করছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

এপোলো বলেছেন: কলাবাগান১ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য। আমার প্রফেসর জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন। উনার ল্যাবে কাজ পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারতো না। একটা ভিন্ন সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল আমার। আমার মতো সবাই এই সময়টা পেলে কম সময়ে কাজে মন বসাতে পারে। প্রফেসর বাংলাদেশী হওয়াতে সে সময়টা আমরা পেয়েছিলাম। স্যার ক্যাম্পাস এর মধ্যে প্রফেশনাল সম্পর্ক বজায় রাখতো, ক্যাম্পাস এর বাইরে গেলেই বাংলাতে গল্প গুজব। একটা ভিন্ন দেশে ভিন্ন সংস্কৃতিতে এসে পরিচিত একটা পরিবেশ পাওয়ার চাইতে বেশি কিছু চাওয়ার থাকে না। আপনার চোখে এ অবদান নগন্য হলেও এটা অনেক বড় একটা কাজ।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: এপোলো,




উপরে ঢাবিয়ান এর কথাগুলো যেমন সত্য তেমনি সত্য প্রচুর বাংলাদেশী এখন আমেরিকাতে পড়াশোনার সুযোগ করে নিয়েছে। বেশীর ভাগই পিএইডি করছে, ভার্সিটির ফান্ডিং নিয়ে। এসবই নিজের চেষ্টায় যেমনটা আপনি বলেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেকেই থাকছে কষ্ট করে যাতে দুটো পয়সা দেশে পাঠাতে পারে। এই ফান্ডিং আর অনক্যাম্পাস জব বা বাইরে লুকিয়ে লুকিয়ে অড জব করে কামানো টাকা থেকে অনেককেই দেশেও টাকা পাঠাতে হচ্ছে। তাদেরকে এতোদুরের দেশে থেকেও দেশে পরিবারকে টানতে হচ্ছে। একেকজনের কাহিনী মোটামুটি এরকম-ই।
আমেরিকাতে যারা উচ্চশিক্ষা নিতে আসে তারা মনে হয় বেশীর ভাগই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। এদের সংগ্রাম দেখলে সম্ভ্রমে মাথা নত হয়ে আসে। এই মেধাগুনো সর্বাত্মক চেষ্টা করে একটি চাকুরী পেতে যাতে তাদের ভিসা ষ্ট্যাটাস পরিবর্তন হয়ে আমেরিকাতে থেকে যেতে পারে। নইলে উচ্চশিক্ষার আরও একটি ফান্ডিং যোগাড় করে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে নেয় তারা। মেধার কারনে তারা ফান্ডিং পেয়েও যায়। শুধু আমরা এইসব মেধাবীদের দিকে কোনও পর্যায় থেকে সাহায্যের হাত তো বাড়াইনে কখনও, মূল্যায়নও করিনে তাদের ।

সরকারের উচিৎ সব মেধাবীদের বাইরে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়া যাতে দেশে উৎপাদিত শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা না বাড়ে। আর আপনি যেমনটি বলেছেন - সরকার এদের জন্যে দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষাঋনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এরা বিদেশে থিতু হলে দেশে রেমিটেন্সের পরিমান বাড়বে, এটা সরকারের লাভ। সরকারের আরও বাড়তি লাভ হবে, দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা খানিকটা হলেও কমবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

এপোলো বলেছেন: বিদেশে এসে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা যে ব্যস্ত এবং কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে পরে, আপনার কমেন্টে সেটা উঠে এসেছে, আহমেদ জী এস। অনেক ধন্যবাদ।
মধ্যবিত্তের কষ্ট আসলেই বেশি। এক একটা শিক্ষার্থী যেন এক একটা পরিবারের স্বপ্নপূরণের দেবদূত। তাদের উপর প্রত্যাশা বেশি, তারাও চেষ্টা করে সবদিক সামলে এগিয়ে যেতে। থেমে তো আর থাকা যাবে না।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: এপোলো,



কলাবাগান১ এর মন্তব্যটি পোস্ট হবার সময়কালীন আমি আপনাকে মন্তব্য লিখছিলুম। তাই তার মন্তব্যটি দেখতে পাইনি, পেলে তার কথাও আমার আগের মন্তব্যটিতে বলতে পারতুম।

কলাবাগান১কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

গত বছর পড়তে আমার ভাগনী আমেরিকা গিয়েছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

এপোলো বলেছেন: ভাগনীর জন্য শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৫

গরল বলেছেন: খুবই আশাব্যাঞ্জক খবর, এরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে বদলে দিবে যেভাবে বদলেছে ভারত ও চায়না। শুধু আমেরিকা না কানাডাতেও অনেকেই এসেছে ২০২১ এ, তবে পড়ালেখা শেষ করার পর চাকরি যোগার করাটাই মূলত সমস্যা হয়ে দাড়ায়। আমার পরিচিত দু-একজন ৬-৭ বছর H1B নিয়ে চাকুরী করেও দেশে ফেরৎ যেতে হয়েছে ভিসা জনটিলতার কারণে। পড়ালেখার পর কিভাবে তারা নিজেদেরকে সেটেল করবে সেটা নিয়ে লিখতে পারেন, অনেকেরই উপকার হবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫২

এপোলো বলেছেন: ভিসা জটিলতার ব্যাপারটা ২০১৮-১৯ সালে খুব খারাপ অবস্থা ধারণ করেছিল। ইমিগ্রান্টদের প্রতি তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বিমাতাসুলভ মনোভাব ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রমে ধীরগতি নিয়ে এসেছিলো। তারউপর করোনার হানা বিদেশী কর্মীদের ক্যারিয়ারে বিশাল একটা ধাক্কা দেয়।
H1B ভিসাটার নিয়মেই অনেক ঝামেলা আছে। লটারির মাধ্যমে মানুষের জীবন নির্ধারণ করা যায় না, অথচ এই ভিসা সিস্টেম এ লটারীই মূল ভরসা। এই সিস্টেম এর উপর আমার কখনোই আস্থা ছিল না। তবে আস্থাহীন হলেও শত শত বিদেশী এই ভিসার মাধ্যমেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছে এখানে।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে বিগত ৩-৪ বছর ধরে National Interest Waiver (NIW) এর মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশী তাদের ভিসা স্টেটাস বদলাচ্ছে। মাস্টার্স করে একটা ভালো চাকরি নিলেই NIW বিভাগে গ্রীন কার্ড এর আবেদন করা যায়। গ্রীন কার্ড এর আবেদন নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী পারমিট এর মাধ্যমে চাকরি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
একসময় প্রচলিত ভুল ধারণা ছিল শুধুমাত্র পিএইচডি ডিগ্রীধারীরাই NIW তে আবেদন করতে পারেন । সম্প্রতি এই ধারণা থেকে বের হয়ে প্রচুর মাস্টার্স ডিগ্রীধারীরা সফলতার দেখা পেয়েছেন। পরে একদিন সময় করে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট বাংলাদেশে গ্রাজুয়েশন শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছে।
সল্প সংখক বাদে কেউ বাড়ী ফ্ল্যট বিক্রি করে কেউ যাচ্ছে না। কোটি টাকা টিউশন ফি দিচ্ছে তো না ই উলটো মাসে দুইহাজার চারশত ডলার বৃত্তি/খাতা দেখার বেতন/রিসার্চ গ্রান্ট/ ইত্যাদি পাচ্ছে।
আমার জানা মতে যারা চান্স পাচ্ছে বেশিরভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ের। বুয়েট ও কুয়েটের প্রায় 90 ভাগ ছাত্র ছাত্রী আবেদন করে স্কলারশিপ পেয়ে যাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় কথিত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয় গুলো হাজারের নিচে থাকলেও উন্নত বিশ্বে চান্স পাওয়ার র‍্যাঙ্কিংএ ১৪

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২৬

এপোলো বলেছেন: ভালো পর্যবেক্ষণ, কালবৈশাখী ভাই।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কোনো ধরনের ফান্ডিং ছাড়া দেশের বাইরে পা ফেলতে ইতস্তত বোধ করে। সেজন্য অনেককে ১-২ বছর বার তারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় একটা ভালো সুযোগের জন্য। এরকম এসিস্টেন্টশিপ পেলে নিজের পকেট থেকে তেমন বেশি খরচ করা লাগে না। শুরুর দিকে বিমান ভাড়া আর নতুন জায়গায় এসে থিতু হতে যা খরচ হয়। তার মধ্যে প্রথমবারের বিমান ভাড়ার চল্লিশ হাজার টাকা ফেরত পাওয়া যায় বাংলাদেশ-সুইডেন ফান্ড থেকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম সেমেস্টার কিছু ফী দিয়ে দ্বিতীয় সেমেস্টার থেকে সবাই মোটামুটি ভালো একটা অবস্থানে চলে যায়।
আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রাগিব হাসান বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ফান্ডিং এর আশায় ১-২ বছর বসে থাকার ট্রেন্ড থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান তার নিয়মিত ফেইসবুক পোস্ট এ। তিনি মনে করেন, প্রথম সেমেস্টার এ যদি কিছু টাকা খরচও হয়, গ্রাজুয়েট লেভেল এ দ্বিতীয় সেমেস্টার সবাই কিছু না কিছু ফান্ডিং অথবা অ্যাসিস্ট্যান্স পেয়ে যায়। ইন্ডিয়ানরা সাধারণত এই ট্রেন্ড ফলো করে। ফান্ড না পেলেও এডমিশন পেলেই চলে আসে ওরা। দুইবছর মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করার পর পকেট থেকে যা খরচ হয় তারচেয়ে বেশি পকেটে চলে আসে।
এইসব ফ্যাক্টর বাংলাদেশ কে ১৪ থেকে আরও উপরে তুলে নিতে পারবে আগামী বছরগুলোতে।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৫১

অগ্নিবেশ বলেছেন: দুনিয়াবী শিক্ষা দিয়ে পরকালে কি হবে? এই সব মেধাবীদের পথ মক্কা মদিনার দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে, তবেই জাতি আলোকিত হবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৬

এপোলো বলেছেন: জ্বী হুজুর।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ষ্টুডেন্ট মাইগ্রেশন না করে যদি পলিটিক্যল দু পায়া পশু গুলো কে যদি মাইগ্রেট করা যেত তবে বাংলাদেশ এর জন্য খুব ই ভালো কিছু হতো। একটা ষ্টুডেন্ট এর পেছনে বাংলাদেশ যে পরিমান খরচ করে তা পুরোপুরি গচ্ছা যায় শুধুমাত্র মাইগ্রেশন এর কারনে।
বুঝতেই পারছেন মইগ্রেশন এ শুধু মাত্র ক্লাসিপাইড ষ্টুডেন্ট গুলো ই করতে পারে বা করে আর দেশে রয়ে যায় আস্তকুড়ে ফেলে দেয়া আবর্জনা, পরবর্তিতে ঐ আবর্জনা গুলো ই সংসদ চালায়, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নিপিড়ন চালায়।

আর মেধার কথা বলছেন তো ? মেধা কে দমিয়ে রাখা যায় না কেন ভাবে ই, সে উপরে উঠে আসবেই, সে তার জায়গা করে নিবেই কোন না কোন ভাবে। শুধু মাত্র দরকার একটু সহযোগিতা বা একটু পৃষ্টপোসকতা আর কিচ্ছু না।

ভালো থাকবেন ভাই

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৩৫

এপোলো বলেছেন: আপনার মন্তব্য কিছুটা হলেও চিন্তার খোরাক যোগায়। ধন্যবাদ।
একটা স্টুডেন্টের পেছনে দেশের খরচ করা কোন টাকাই মাইগ্রেশনের কারণে গচ্চা যায় না। বাংলাদেশে বেকারত্বের যে অভিশাপ চলছে, কিছু শিক্ষিত ছেলেমেয়ে দেশের বাইরে গিয়ে সমপরিমান বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করছে। এমন যদি হত যে বাংলাদেশে লোকবলের অভাবে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে, তাহলে বলতাম, হ্যা, এইসব পোলাপানের দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ করা দরকার। অবস্থা তার উলটা। দেশে চাকরি করার জন্য প্রচুর লোকবল আছে, কিছু স্টুডেন্টের বাইরে যাওয়াতে বরং বেকার কমছে।
যারা বাইরে যায়, তার দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে অবদান রাখে। আজকের খবরে প্রকাশ, রিজার্ভ থেকে হাজার কোটি টাকা ধার করে সরকার দেশ চালাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এই রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে। মিডল ইস্টে শ্রমিকের পাশাপাশি শিক্ষিত বাংলাদেশীদের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারলে এই রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও জোরদার হত।
যারা উন্নত বিশ্বে পড়াশোনা করে দেশে ফেরত যায়, তার কর্মক্ষেত্রে সাধারণ বাংলাদেশীর তুলনায় বেশী ভুমিকার রাখার যোগ্যতা অর্জন করেই দেশে ফেরত যায়। দেশের কর্মক্ষেত্রে এথিক্স এর চর্চা বাড়াতে বিদেশে পড়াশুনা করা বাংলাদেশীরা সহজে বেশী ভুমিকা রাখে।
তবে হ্যা এইসব মেধাকে দেশে ধরে রাখতে পারলে দেশের উন্নতি আরও ত্বরান্বিত হত। চায়না ইন্ডিয়া এখন বিদেশে পড়াশুনা করা মেধাবীদের দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহন করেছে। বাংলাদেশও হয়ত এইভাবে চিন্তা করতে পারে।
শুভকামনা রইল.

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, অন্তত ৮০০০+ পটেনশিয়াল দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কমলো বাংলাদেশ থেকে, যারা দেশে থাকলে 'সিস্টেমে' পড়ে অন্যায় করত, না হয় করতে বাধ্য হত...

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

এপোলো বলেছেন: বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে এথিক্যাল অথবা দুর্ণীতিজনিত সিস্টেম লস কমাতে উন্নত দেশের কর্মপরিবেশ অনুসরন করা উচিত। এক ব্রিটিশ আমলের সিস্টেমে আর কতদিন থাকবে? যে সিস্টেমে দূর্ণীতির শাস্তি হয় "বদলি" সে সিস্টেমে আর যাই হোক অন্যায় কখনো কমবে না।
বিদেশে পড়াশুনা করা বাংলাদেশীরা কিছুটা হলেও অন্য সিস্টেম কেমন চলে তার সাথে পরিচিত হয়। ওদেরকে দেশে চাকরির ব্যবস্থা করলে দেশের সিস্টেম বদলানো অনেক সহজ হবে।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১০

কাছের-মানুষ বলেছেন: উচ্চশিক্ষা এবং অভিবাসী প্রত্যাশীদের জন্য আমেরিকা ভাল দেশ! প্রচুর বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রি এই মহামারির সময়েও আমেরিকায় যাচ্ছে ব্যাপারটা ইতিবাচক, তবে আমার ধারনা যা আসে তার থেকে আরো বেশী আশা উচিত। H1B একটা ঝামেলার ভিসা, এর চেয়ে সরাসরি গ্রিন কার্ড এপ্লাই করা ভাল সুযোগ থাকলে, আমি করোনার ভরা মৌসুমে পোস্টডকে এসেই NIWতে এপ্লাই করেছিলাম, এখন ১৪০ এপ্লোভ, ৪৮৫ পেন্ডিং আছে তবে পেন্ডিং ৪৮৫ EAD দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি!৷

আমাদের তুলনায় ইন্ডিয়ার অনেক ছেলে মেয়ে আমেরিকা আসে, আমাদের দেশ থেকে আরো আশা উচিত। একটা ভাল দিক হল বেশ কয়েক জনকে দেখলান NIW বাংলাদেশ থেকেই এপ্লাই করে IVP ফাইল করে গ্রিন কার্ড নিয়ে আমেরিকায় ঢুকছে। যারা মোটামুটি গবেষনায় যুক্ত আছে তাদের জন্য আমেরিকা আসাটা মোটামুটি সহজ, বিশেষ করে STEM এ পিএইচডি থাকলে ব্যাপারটা অনেক সহজ দেশ থেকেও, মাস্টার্স থাকলেও চলে!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯

এপোলো বলেছেন: আমেরিকা মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে জানে। NIW হলো তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আপনার সাফল্যের জন্য অভিনন্দন রইলো।
কয়েকদিন আগে দেখলাম STEM PhD এর জন্য গ্রীন কার্ড এর ক্যাপ তুলে দেয়ার বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এইটা পাস হলে বাংলাদেশিদের জন্য অভিবাসন আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫১

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ওরে ভাই.... রেমিট্যান্স এর ফাঁদে পড়ে মেধা চলে যাচ্ছে, দেশ মেধা শুন্য হচ্ছে আর দেশে রয়ে যাচ্ছে নন-প্রডাক্টিব অঘামঘা, যাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু ই পায় না, ফলাফল.....!! বৈধ- অবৈধ মিলে ৫ লাখের ও বেশি ভারতীয় বাংলাদেশ থেকে ঐ যে রেমিট্যন্স এর সিংহ ভাগ :),
আর নন-প্রডাক্টিব এরশাদ/বদি/তারেক/জয় দের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন.... ভালো থাকবেন

মাপ করবেন ভাই... রাজনৈতিক ক্যচালে আমি সুসু করি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৫

এপোলো বলেছেন: অস্বীকার করার উপায় নাই মেধাবীরা চলে যাচ্ছে সেটা।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ হতে সরকার এবং অন্যান্য বড় বড় কোম্পনীকেই এগিয়ে আসতে হবে। ওয়াল্টন আজকে চাইলে ঘোষণা দিতে পারে ওরা দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষিত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত নিয়ে যেতে পারবে । কারণ ওদের সে সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে এইসব মেধাবীদের দেশে ফেরত নিয়ে যোগ্য স্থানে নিয়োগ দিতে পারবে। ওদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
যতদিন পর্যন্ত এইসব হর্তাকর্তারা এই "চাওয়াটা" চাইছেন না, ততদিন তো এসব স্বপ্নদেখা উদ্যোমীরা ঘরে বসে থাকবে না। দেশকে ভালোবাসার জন্য জীবন দেবে ওরা সন্দেহ নাই, কিন্তু মান্দাতার আমলের সিস্টেম এ কেরানি বা আমলা হওয়ার জন্য দেশে বন্দি করে রাখা তো আর যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.