নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বগুড়ার ডায়েরি
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪
এক কথায় চমৎকার একটি দিন কাটলো বগুড়ায়। শীত নেই বললেই চলে। ওহ, আজ ১৬-ই ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। কাল রাতের যার্নির ধকলের কারণে সকাল ৬টায় ঘুম ভেঙে বন্ধুকে অঘোরে ঘুমোতে দেখে আর জাগালাম না। বিজয় দিবসের প্যারেডে শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে যাওয়া স্থগিত। যাক, সকাল ১১ টায় এদিক সেদিক ঘুরেফিরে বেলা ১২ টায় গেলাম মহাস্থানগড়। জানলাম ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেড়টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ, শুধু শিশু ও প্রবীনরাই এ সময় যেতে পারবে। কি আর করা! দেড়টা পর্যন্ত আশেপাশে ঘুরে যথাসময়ে গেলাম মহাস্থানগড়। দেখলাম মিউজিয়াম। ছোটো। খুব অল্প সময়েই শেষ হলো মহাস্থানগড় ভ্রমণ। খনিকটা হতাশই বৈকি। ভেবেছিলাম অনেক কিছু দেখবো, কিন্তু ওটুকুই। আমার বন্ধু ফয়সাল। স্থানীয় বগুড়ার। কিন্তু সে নিজেও প্রায় ৭-৮ বছর পর গেলো মহাস্থনগড়ে। তেমন কিছু জানে বলে মনে হলো না। অনেকটা টুরিস্টের মতোই আচরণ ওর! হে হে হে। যা হোক কিঞ্চিত হতাশা নিয়েই গেলাম বগুড়ার বিখ্যাত শাহ আলি মাজারে। বিরাট মাজার। বেশ বড় জায়গা জুরে অবস্থিত। সেখনে যেয়ে মন শান্তি ও পবিত্রতায় ভরে উঠলো। খুব উপভোগ করলাম শাহ আলির মাজার ভ্রমণ। তারপর গেলাম বহু কাঙ্খিত বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর দেখতে। বেশ ভিড় ছিলো আজ। বিজয় দিবসের ছুটি উপলক্ষে হয়ে থাকবে। যেমন ভেবেছিলাম, তেমন বড়ো কিছু নয়, তবে ভালো লাগলো। প্রাণ ভরে উপভোগ করলাম। মূল স্তম্ভে উঠতে বেশ একটা পর্বতারোহণের আনন্দ পেলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে শহরের সাত মাথায় ক্ষিরসা দই খেয়ে ফিরে আসলাম বন্ধুর বাসায়। সবমিলিয়ে চমৎকার উপভোগ্য একটি দিন কাটলো বগুড়ায়। সুখ স্মৃতি হয়ে থাকবে জীবনভর। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু ফয়সাল এ সুযোগ করে দেবার জন্য। শুভ কামনা সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্টটা পড়ে গেলাম। তবে খুবই সংক্ষিপ্ত, আরেকটু বড় হলে আরো ভাল লাগতো।