নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

আমি রানা

আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।

আমি রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুনদের বাংলাদেশ

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

বর্তমান বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যার ৬৬% কর্মক্ষম(১৫-৬৪ বছর) জনসংখ্যা, এর মাঝে ৫০% অধিক তরুন রয়েছে। এবং প্রতিবছর ২০ লাখেরও বেশী তরুন শ্রম উপযোগী হচ্ছে। যেখানে উন্নত বিশ্বে ২০-২৫ ভাগ তরুন পাওয়া দুষ্কর। আমাদের এ বিপুল তরুন জনসংখ্যা নিসঃন্দেহে আমাদের জন্য আশির্বাদ। কারন বর্তমানে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাস কালের সুবিধা ভোগ করছি। আর যদি সঠিক ব্যবহার না করতে পারি তাহলে কি হবে?

বর্তমান বিশ্ব ও বাংলাদেশের বেকারত্বের একটি পরিসংখ্যান

বর্তমানে সারা বিশ্বে বেকারের সংখ্যা প্রায় ১৮৮ মিলিয়নে দাড়িঁয়েছে। তার উপর ১৬৫ মিলিয়ন লোকের যতেষ্ঠ বেতনের কাজ নেই। এবং ১২০ মিলিয়ন মানুষ হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে কাজের সন্ধান ছেড়ে দিয়েছে কিংবা শ্রম বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। আর আমাদের ৫০ ভাগ তরুনের বাংলাদেশে বর্তমান বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ ভাগ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে বলা হয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা বিশ্বব্যাংকের গবেষণা অনুসারে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিএসের হিসাবে প্রতি বছর কর্মের বাজারে আসে ২৪ লাখের বেশি কর্মী। এর মধ্যে কাজের সংস্থান করতে পারেন মাত্র ৬ লাখ কর্মী। বাকি ১৮ লাখের মধ্যে কিছু নিজ উদ্যোগে ব্যবসাবাণিজ্য করেন। বাকিদের সামান্য অংশ বিদেশে যায়। আর সবই বেকার থাকে। এভাবে প্রতি বছরই বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটির বেশি হবে।

বর্তমান বিশ্বে তরুন বেকারদের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো

২০২০ সালে বিশ্বব্যাপি তরুন বেকারের হার ৬.৫৭% যা ২০১৯ সালেও ছিল ৫.৩৬%।



Arab World 28.44%
South Asia 21.48%
Latin America & Caribbean 20.82%
Euro Area 20.16%
European Union 18.78%
Europe & Central Asia 18.32%
North America 15.35%
Sub-Saharan Africa 14.5%
East Ashia & Pacific 10.81%


বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষিত বেকার

আমাদের দেশে ২০২০ সালে সরকারী, বেসরকারী ও আন্তর্জাতিক মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫৮টি। তার মাঝে ৫৩টি সরকারী ও ১০৩টি বেসরকারী ও দুটি আন্তর্জাতিক। বিবিএসের জরিপে দেখা যায়, দেশে নিম্ম মাধ্যমিকের চেয়ে স্নাতক বেকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এটি করোনার আগে থেকেই। করোনার কারণে এ খাতে বেকারত্ব আরও বেড়েছে। ২০১৫ সালে স্নাতক বেকার ছিল ৩২%। ২০১৬ সালে তা বেড়ে বেড়ে ৩৯%, ২০১৭ সালে ৪১%এবং ২০১৮ সালে ৪৩% দাঁড়ায়। ২০১৯ সালে এ হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭%। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, করোনার কারণে এখন এ হার ৮০ % বা ৬ কোটির কাছাকাছি হবে।

গত বছর ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পরেছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি ।যা ব্রুনাই, বাহামা, আইসল্যান্ড, বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, গ্রেনাডাসহ কয়েকটি দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশী। জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী ২০২০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬৪.৬৮৯ মিলিয়ন ও বংলাদেশের শিশু জন্মের হার ১.৩৭% বা ১৩,৭০,০০০ যারা পাচঁ বছর পর বিদ্যালয়ে যায়। যার মাঝে ১০,০০,০০০ কাছাকাছি উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করবে। তাদের ভবিষ্যত কি?




গবেষকদের মতে বাংলাদেশের বেকারত্বের কারন ও তার সমাধানের পথ

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাস কালের সুবিধা ভোগ করছে তার যদি সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার আমরা না করতে পারি তাহলে এ সুবিধা আগামি কয়েক বছরের মাঝে আমাদের জনশক্তি সুবিধা না হয়ে জনদূর্ভোগে পরিনত হবে। এ বিপুল জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হলে যুগপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত না করে বেকার জাতিতে পরিনত করছে। কারন প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসারে আমাদের তরুন সমাজ চাকুরীর প্রতি আগ্রহী বেশী হচ্ছে, আর চাকরি দাতারা শিক্ষার চেয়ে অভিজ্ঞতার সন্ধান করে বেশী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন নতুন উদ্ভাবন দ্বারা আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না। যার ফলে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি জোর দেওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও দেশের তরুন উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আনার মাধ্যমে দেশের এ বিপুল বেকার সমস্যা সমাধানে অবদান রাখার জন্য সরকার নানা ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। easyfie.com তেমনি একটি উদ্যোগ যা এ বিশাল বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বেকার?
আসলে যাদের যোগ্যতা নেই তারাই বেকার থাকে। শুধু লেখাপড়া করলেই হয় না। যোগ্যতা অনেক বড় ব্যাপার। গোজামিল দিয়ে লেখাপড়া করে পাশ করেছে। এখন চাকরী পায় না।

০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৮

আমি রানা বলেছেন: আপনি কি বেকার?
-না
আসলে যাদের যোগ্যতা নেই তারাই বেকার থাকে। শুধু লেখাপড়া করলেই হয় না। যোগ্যতা অনেক বড় ব্যাপার। গোজামিল দিয়ে লেখাপড়া করে পাশ করেছে। এখন চাকরী পায় না।
-আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাই গোজা মিলের তাই আমাদের এতো বেকার প্রতি বছর যোগ হচ্ছে। সার্টিফিকেটের যোগ্যতা আসলে তেমন কোন বিশেষ কাজেই লাগে না।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিষয়টা অনেকেই জানে না; বা বুঝে না। আমাদের পাঠ্যবইতে লেখা হয় আমাদের দেশের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা!

ফিলিপিনস তাদের জনসংখ্যাকে কাজে লাগাচ্ছে। মিডিলইষ্ট, ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়িয়ে এখন তারা চীনেও লোক পাঠাচ্ছে। আর আমারা আমাদের দেশের জনগন দেশের বাইরে গেলে তাদের কামলা বলি দাম দেই না!

দেশের ভিতরে যারা আছে তাদের বড় একটা অংশ বিসিএস নামের এক সোনার হরিনের পিছনে ছুটছে। বেকার বসে থাকবে, কিন্তু দোকানপাট দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করবে না।

এমবিএ করে স্বপ্ন সুপার স্টোরের ম্যানেজার হতে পারবে; কিন্তু এলাকায় মুদি দোকান দিতে পারবে না!

০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

আমি রানা বলেছেন: আমদের মূল সমস্যাটা আসলে এখানেই। যে কেউ স্নাতক পাশ করলেই বাকীদের কামলা মনে হয় তার। আর আমাদের সমাজত রয়েছেই ডিমোটিভেট করার জন্য।
বিসিএস পরিক্ষার্থীদের তথ্য আরো ভয়াবহ। অনেকে মাস্টার্স করেও বিসিএস হওয়ার জন্য পাচঁ বছর অপেক্ষা করে।
আমাদের সমাজ আর শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শেখায় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে জুতার দোকানে সেলসম্যান হতে রাজী কিন্তু, নিজে চেষ্টা করে জুতার দোকান দিতে রাজী না। কারন মানুষ মুচি ডাকবে।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০১

সোনাগাজী বলেছেন:




ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন, " ...এমবিএ করে স্বপ্ন সুপার স্টোরের ম্যানেজার হতে পারবে; কিন্তু এলাকায় মুদি দোকান দিতে পারবে না! "

বেকারেরা এলাকায় মুদি দোকান দেয়ার পুঁজি কোথায় পাবে? ৪/৩ কোটী মানুষ যদি নতুন করে মুদি দোকান দেয়, এত দোকানের ক্রেতা কি বেকারেরা হবে? আপনার অনেক বুদ্ধি! "

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি খুবই দরকারী বিষয়টি অনুধাবন করেছেন ও সেটা নিয়ে লিখেছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ, বিষয়টা আসলে সকলের চিন্তা করা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.