নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

আমি রানা

আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।

আমি রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৮৬/বি শিরিয়া মন্জিল, ছোটবেলার ডায়রি।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

৭ বুড়ির সংগ্রাম


ছবি: নেট

চলেন একটা যুদ্ধ দেখে আসি, আর সেটা হলো আমাদের দেশের দারিদ্রসীমারও নিচে বসবাস করা কিছু মানুষের মাঝে একটা অসহায় মায়ের যুদ্ধ।

বুড়ি আমার কাছে শিরিয়া মঞ্জিলের একটা বিশেষ অনুপেরনার গল্প, একটা মায়ের গল্প, একটা যোদ্ধার গল্প। প্রথম প্রথম আমার কাছে তাকে সবার মতই লাগতো কিন্তু সমাজের দৃষ্টিতে না দেখে যখন তাকে মানুষের দৃষ্টিতে দেখলাম তাকে এক অনুপ্রেরনার গল্প মনে হয়েছে। এখনো তা আমাকে অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছে।
বুড়ার তখন ৬৫+ বছর, ৭০+ বল্লেও ভুল হবে না। শিরিয়া মঞ্জিলে সে তার মেয়েকে নিয়ে থাকতো। যৌবনে তার অনেক দাপট হয়ত ছিল তা তার চেহারার আভিজাত্য দেখলে বোঝা যায়। কিন্তু বর্তমানে তার ভাগ্যের করুন দশার সাথে সাথে তার চেহারার আভিজাত্যও দারিদ্রের যাতা কলে চাপা পড়ে গিয়েছে। দুঃচিন্তায় মুখের ভাজগুলো স্থায়ী হয়ে যেন তার অতীত জীবনের এক নকশা ফুটিঁয়ে তুলেছে।
সবসময়ের মত এবারো বুড়া কিছু দিনের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছে। ঠিক কদিন পর বাসায় ফিরেছে জানি না। কিন্তু এবারের ফিরে আসাটা ভিন্ন রকম, এবার বুড়া সাথে করে তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে, সাথে করে স্ত্রীর আগের স্বামীর এক ছেলে। তার নাম ফারুখ বয়স ৫-৬ হবে।
স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি এক মহিলা মায়ের সাথে বসে আছে। মাঝ বয়সি মহিলা বয়স ৩৫-৩৮ হবে। মহিলার গায়ের রং শ্যমলা কিন্তু রোদে কাজ করার কারনে তখন গায়ের রং কালো দেখাচ্ছিল। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে সে। মা বলল “এটা বুড়ার নতুন বউ” আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। মা বল্লো নতুন বউ, কিন্তু তাকেত নতুন বউ লাগছে না। তার উপর একটা ৫-৬ বছরের বাচ্চা। বুড়াবে বিয়ে করার কারনে আমরা বাচ্চারা তাকে বুড়ি বলেই ডাকতাম আর আমার মা সহ বাড়ীর অন্য মহিলারা তাকে ফারুখের মা বলে ডাকতো। তার বাড়ি ছিল নোয়াখালীর লাকশামে।
শিরিয়া মঞ্জিল আসার পর থেকে বুড়ির সংগ্রাম শুরু। নতুন বৌ, জনিনা বুড়া তাকে কি বলেছিল কিংবা স্বচ্ছল জীবনের কিইবা স্বপ্ন দেখিয়েছিল।লাকশাম ট্রেন স্টেশনে ট্রেনের সাথে সাথে সেও হয়তবা লাকসামকে ছেড়ে এসেছিল, আলোঝলমলে শহরের মতো স্বপ্ন দেখেছিল নতুন কোন জীবনের। আর এ স্বপ্নের স্থায়ীত্ব ছিল স্টেশন থেকে শিরিয়া মঞ্জিল আসা পর্যন্ত। শিরিয়া মঞ্জিলে আসার পর বুড়ার ঘর দেখে সে প্রথম কি ভেবে ছিল সেই জানে কারন বুড়ার ঘরের এমন জড়াজির্ন আবস্থা যে দারিদ্রতাও বুড়ার ঘর দেখলে লজ্জা পায়। তারপর সে ঘরে ঢুকার আগেই সেখানে বিপরীত পক্ষের সেনাপতি হিসেবে দাড়িঁয়ে ছিল বুড়ার কন্যা হাশুনি। বুড়ার সাথে হাসুনির কয়েক দফায় গালি যুদ্ধ চলেছে এ বুড়িকে নিয়ে। প্রতি যুদ্ধেই বুড়ি নির্বাক ছিল, কারন বুড়ি গালাগালি করতে জানতো না। ৮/৮ ফুটের একটা রুম সেখানে হাসুনি, তার সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তান, বুড়া, তার নতুন স্ত্রী বুড়ি ও বুড়ির ছেলে ফারুখ। একরাতের ঘটনা, আমার মাকে ফাঁকি দিয়ে পড়ার রুম থেকে পালিয়ে উঠোনে চলে যাই। সেখানে দেখি হাসুনি উঠোনের এক কোনায় বসে বিষাক্ত সাপের মত করে ফোসঁ ফোঁস করছে আর বুড়াকে গালাগাল করছে। আমি জিঞ্জাসা করলাম “কিরে কি হয়ছে? কাকে গালি দেস?” হাসুনি বলে”এ একটা ছোড গর ওহন বুইড়ার ভিমরুতি উটছে, মাগিডার লগে কাম শুরু কইরা দিছে” আমি তখন কিছুই বুঝতে পারি নাই। কিছু দিনের মধ্যে হাসুনি শিরিয়া মঞ্জিল ছেড়ে চলে গেল।
এবার বুড়া আর বুড়ির সংসার, হাসুনির অধ্যায়ের শেষ কিন্তু নতুন করে আরেক অধ্যায়ের শুরু। বুড়া হয়তবা বুড়িকে স্বপ্ন দিয়েছিল দুবেলা পেটভরে ভাত খাওয়াবে আর পড়ার জন্য মোটা কাপড় দিবে । কিন্তু তা স্বপ্নই রয়ে গেল বুড়া তা আর পুরোন করতে পারছে না। শুরু হলো বাচাঁর যুদ্ধ। বুড়া ঘুরে ফিরে যেভাবেই হোক নিজের খাদ্যের যোগান দেয়, কিন্তু বুড়ি?! একেত নতুন বউ তার চেয়ে বড় কথা শহর শব্দটা তার জন্য নতুন।মানুষ সম্পর্কে তার ধারনা আছে কিন্তু শহরের যান্ত্রিক মানুষ সম্পর্কে তার ধারনা নেই। কিন্তু বেচেঁ থাকার কৌশল সবারই জানা। বুড়ার অপরগতা বুড়িকে বাধ্য করেছে নিজের আর নিজের সন্তানের অন্য যেগারের। প্রথমে কদিন আমাদের ঘরে মাকে সাহায্য করে আমাদের ঘরে খেত কিন্তু বুড়ির আত্ম-সম্মানবোধ তাকে এভাবে খাবার গ্রহনে বাধা দিচ্ছিল। মা হয়তবা তা বুঝতে পেরেছিল। তাই তাকে মাসিক কিছু টাকা আর মা-ছেলের খাদ্যের বিনিময়ে আমাদের ঘরে গৃকর্মী হিসেবে নিয়ে নেয়। পাশাপাশি বুড়ার রুটি ভাজির ব্যবসা ভালোই চলতে থাকে, রুটি আর ভাজি বুড়িই তৈরি করে দেয়। আয় করছে দুজনেই কিন্তু সংসার চলেনা তিনজনের। বাংলায় একটা প্রবাদ আছেনা,”নুন আনতে পান্তা ফুড়াই” এখানেও তাই দুবেলা খাবার সংস্থান করতে অর্থের যোগান ফুড়াই। এর মাঝে ৮/৮ ফুটের পাখির বাসার ভাড়া জমে গেছে প্রায় ১-২ বছরের। একদিন বাড়ির কেয়ারটেকার হোসেন বুড়া আর বুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ঘরে তালা ঝোলালো কিন্তু তাতে কোন কাজ হলো না। ঘরের একপাশের বেড়া খুলে তারা সেখান দিয়েই ঘরে যাওয়া আসা করতে শুরু করলো, হোসেন সেটা বুঝতে পারার পর তিন দিক থেকে ঘরের বেড়া খুলে দিল। বুড়া বুড়ি সেখানেই দিব্যি সংসার করতে লাগলো। একটা জিনিস খেয়াল করলাম এতো কষ্ট কিংবা অপমান সহ্য করেও বুড়ি কোন দিন কাউর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করেনি কিংবা লাকসাম চলে যায়নি। মুখবুজেঁ সে শিরিয়া মঞ্জিল পড়ে রইলো।
শিরিয়া মঞ্জিলে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আর বেচেঁ থাকার যুদ্ধের পর বুড়ির শুরু হয় অন্য এক যুদ্ধ আর তাহলো মাতৃত্বের যুদ্ধ। তখন অল্প বয়সের কারনে তার সংগ্রামটাকে বুঝতে পারিনি। তবে আজ যখন কল্পনায় তার জীবনটাকে দেখি…..
বুড়া আবার উদাস জীবন কাটাচ্ছে সংসারের কোন খোজঁ বা দায়িত্ব সে আর রাখেনা। বুড়ি নিজেই তার আর তার ছেলের দায়িত্ব নিয়েছে। এমন সময় বুড়ির জীবনে আবার আসে মাতৃত্বের ডাক। তার পেট বড় হতে থাকে সাথে সাথে কমতে থাকে তার কর্ম ক্ষমতা। কিন্তু এ সময় যে তার পুষ্টিকর খাদ্যের অনেক প্রয়োজন। আপাততো খাদ্য আর সামান্য অর্থের যোগান দিয়ে ছিল আমার মা। সময় মতোই বুড়ি একটা কন্যা সন্তানের জন্ম দিল। সাথে সাথে বুড়া হয়ে পড়লো সম্পূর্ণ সংসার বিরাগী। বুড়ি তার কন্যার নাম দিলো কুলছুম। বুড়ির অতি যত্নে বড় হচ্ছে কুলসুম। এখন মুখ বেড়েছে তিন জনের খাদ্যের যোগান দিতে হয় বুড়িকে। তাই সে বাসার কাজ নিয়েছে। যখন বাসার কাজ করে কুলছুমকে দেখা শুনা করে ফারুখ।
বুড়া যে ঘর ভাড়া নিয়েছিল সেখান থেকে বুড়ার অনুপস্থিতিতে বের করে দেওয়া হলো বুড়িকে। দুই সন্তান নিয়ে বুড়ি উঠলো আমাদের ঘরে। তারো কিছু দিন পর সে অন্য জায়গাই বাসা নিয়ে চলে যায়। শিরিয়া মঞ্জিল ছাড়ার পর তাকে তিন মাস আর দেখিনি। এ তিন মাসে সে কি করেছে কোথায় থেকেছে তর কিছিুই জানতাম না। তখন বুড়া বয়সের ভারে শারিরীক ভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে পড়েছে। মাজোরে ভিক্ষা করে তার খাদ্যের যোগান দেয়। তিন মাস পর বুড়ি আবার ফিরে আসে শিরিয়া মঞ্জিলে। তবে আগের ঘরে না, অন্য আরেকটা ঘরে। মানসুরাদের পাশে এক রুমের একটা ঘর।সেখানে সে তার ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকে। এ তিন মাসে শিরিয়া মঞ্জিলের বড় ঘটনা হলো মানসুরার আত্মহত্যা, মানসুরার আত্মহত্যার পর তার ছোট বোন নুরজাহান বিয়ে করে স্বামীকে নিয়ে শিরিয়া মঞ্জিলেই বসবাস করতে থাকে। একদিন সকাল বেলা, আমরা ছেলেরা বাড়ির উঠোনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন নুরজাহানের স্বামী বলে ”ভাই ওই ঘরেত দুই নাম্বার চলে”। আমরাতো অবাক! দুই নম্বর মানে? নুরজাহানের স্বামী একটা চোখের ইশারা দিলো, তাও আমরা বুঝতে পারলাম না। তখন সে খোলাসা করে বলে, দুই নম্বর কাজ চলে ও ঘরে রাতে আমরা আাওয়াজ পাই। তখন আর আমাদের বুঝতে বাকী রইলো না। শিরিয়া মঞ্জিলে চলছে নীরব কানাঘোষা, তার কিছুদিনের মাঝে বসলো বিচার, বিচার করছে জমিদার খালাম্মা। বাড়ীর মহিলারা সবাই রয়েছে বিচারে। বাচ্চারা আমার নেতৃত্বে বিভিন্ন জাইগা থেকে উকি ঝুকি মারছে। সেদিন কে কি বলেছিল আমার মনে নেই। তবে বুড়ি কোন কথা না বলেই নীরবে দাড়িঁয়ে ছিল।
বিচারের পরও বুড়ি শিরিয়া মঞ্জিলে ছিল, কিন্তু তার ঘর থেকে আর কোন আপত্তিকর শব্দ আসে নি। এরো কিছুদিন পর আবার বুড়ির পেটে বাচ্চা আসলো। শুরু হলো আমাদের ভদ্র সমাজের কানাঘোষা। অনেক মজার মজার উত্তেজক তথ্য ও শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল তখন। আস্তে আস্তে বুড়ির সন্তান প্রশবের সময় হয়ে এলো সাথে সাথে, কথা আসতে শুরু হলো এ বাচ্চার কি হবে? দ্বায়িত্ব নিবে কে? দফায় দফায় বৈঠক হলো বুড়ি আর আমার মায়ের। আমার মা বার বার তাকে প্রশ্ন করতে লাগলো এ নতুন বাচ্চাকে কি সে চালাতে পারবে? তাকে কি বড় করে তুলতে পারবে?
সর্বপোরি বাচ্চার দায়িত্ব কি বুড়ি নিতে পারবে? যেখানে সে নিজেকেই চালাতে পারছে না। তার উপর আরো দুটি ছোট বাচ্চা আছে তার। বুড়ি প্রতিবারই চুপ থাকতো। হয়তবা তার এসব কথা শুনতে ভালো লাগতো না। হয়তবা এসব কথা শুনলে তার মেজাজ এতোই খারাপ হতো যে সে কোন কথা বলতে পারতো না। প্রতিবারেই তাকে আমি নীরব থাকতে দেখতাম। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো তার এ বাচ্চাকে দত্তক দেওয়া হবে। যথাযথ নিয়মে সন্তান প্রসব করলো বুড়ি। একটা ছেলে সন্তান। খুবি সুন্দর এক সন্তান। বুধবার সন্ধ্যায় বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর সে মায়ের আদর পেয়েছে মাত্র এক থেকে দেড়দিন। পরের শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এক লোক এসে বাচ্চাটিকে নিয়ে যায়। আর বুড়িকে আশ্বাস দিয়ে যায় ভালো রাখবে তার ছেলেকে, অনেক ভালো। সাথে পাচঁ হাজার টাকা দিয়ে যায় বুড়িকে। আমি জানিনা বুড়ি এটাকা টা নেওয়ার সময় কি ভেবেছিল আর কিইবা করেছে এ টাকা দিয়ে।
ঘর ভাড়া অনেক বাকী পড়ে গিয়েছে বুড়ির, শিরিয়া মঞ্জিলে তাকে আর রাখতে চাইছেনা কেয়ারটেকার হোসেন। ঘর থেকে বুড়ির সকল মালামাল বের করে দিয়েছে হোসেন। বাচ্চা দত্তক নিয়ে বুড়ি আমাদের ঘরে আসা ও আমার মায়ের কাছ থেকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বুড়ির আর এ শহরে কেউ নেই যে তাকে আশ্রয় দিবে কিংবা তার পাশে দাড়াঁবে। ঘরের দড়জায় তালা ঝুলছে। সারা দিন এখানে সেখানে ঘুড়ে বেড়ালেও রাতেত আর ঘুরে বেড়ানোর কোন উপাই নেই। আর কুলছুম ও ফারুখ খুব ক্লান্ত। তখন আমি নিয়মিত মসজিদে যেতাম। ভোরে যখন মসজিদে যাই দেখি ডাস্টবিন বসানোর জন্য ড্রেনের উপর যে পাটাতন দেওয়া হয়েছে সেখানে ফারুখ ও কুলসুম ঘুমিয়ে রয়েছে আর বুড়ি বসে মসা তাড়াচ্ছে, বাসা থেকে বের হয়ে তার দিকে তাকালাম সেও অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে। কিন্তু তার চরিত্র বিবেচনা করে নাক সিটকে চলে গেলাম সেখান থেকে। এর দুদিন পর থেকে তাকে আমি আর কখনো দেখিনি।
সেদিন আমার বিবেচনায় ঠিক করেছিলাম কিন্তু আজ আমার সে সময়টার জন্য শুধু অনুসূচনাই হয়। তখন তাকে তার চরিত্রের দিক থেকে বিবেচনা করে ছিলাম কিন্তু মানুষ হিসেবে বিবেচনা করি নাই। মা যে মাই হয় তখন তা চিন্তা করিনি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জীবন বড় কঠিন ও জটিল।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

আমি রানা বলেছেন: জীবন জীবনের নিয়মে চলে।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অসহায় ও দরিদ্র মানুষ আমাদের সমাজে কোটি কোটি। এদের গল্প গুলো করুণ। এদের সাহায্য করার মানুষ খুবই কম।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। সমাজের প্রায় সব অসহায় মানুষের গল্প একই। এরো মাঝে কিছু মানুষ আলাদা। তাদের গল্প আলাদা।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সকলের দুঃখ কষ্ট দূর হোক।

১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান ভাই। সকলের দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যাক। আপনার পোষ্ট দেখে আসলাম, আমার পছন্দের বিষয়ে আপনার পোষ্ট সমূহ।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার পোস্ট আপনার ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগছে খুব। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কত রকমের মানুষের বাস আমাদের সমাজে। দারিদ্রতা মানুষকে অমানুষ বানা চরিত্রহীন বানায় তবুও মানুষ সুখে বেঁচে থাকতে চায় :(

১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি আপা। বিচিত্র রকমের মানুষের জন্য আমাদের জীবন এতো বিচিত্র। অমানুষ যে কেউ হতে পারে এখানে ধনী দরিদ্র ভাগ নেই। আর চরিত্র... শরীরকে অস্বীকার করা যায় না। দিন শেষে মানুষ কেবল মাত্র সুখ চায়।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩০

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: মুখ ফুটে তিনি কাকে কি বলতেনই বা ?
ভালো লেগেছে লেখা ।

১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২৪

আমি রানা বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম ভাই। লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবি আনন্দিত। আসলেই বুড়ির মুখ ফুটেঁ কিছু বলার ছিল না।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। সমাজের প্রায় সব অসহায় মানুষের গল্প একই। এরো মাঝে কিছু মানুষ আলাদা। তাদের গল্প আলাদা।

দরিদ্র মানুষদের আমার ভালো লাগে না। তাঁরা খুব মিথ্যাবাদী হয়। ভালো অভিনয় জানে। সবচেয়ে বেশি জানে জটিলতা ও কুটিলতা।

অবশ্য আমি নিজেও ধনী মানুষ নই।

১৪ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২৭

আমি রানা বলেছেন: রাজীব ভাই আবারো মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইদানিং দরিদ্র মানুষকে আমারো ভালো লাগে না। কারন তারা ভিক্ষার জন্য আমাদের কাছে ইমোশন বিক্রি করে।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই আবারো মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইদানিং দরিদ্র মানুষকে আমারো ভালো লাগে না। কারন তারা ভিক্ষার জন্য আমাদের কাছে ইমোশন বিক্রি করে।

আমরা প্রতিটা মানুষ ভেতরে ভেতরে এত ভেঙে আছি যে,অন্যের ভাংচুর হবার গল্প আর আমাদের স্পর্শ করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.