নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিঁপড়েদের মধ্যে এক শ্রেণির পিঁপড়ে আছে যাদেরকে সৈনিক পিঁপড়ে বলে। এই সৈনিক পিঁপড়ে আবার কয়েক প্রকার যেমন- আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পিঁপড়ে, কলোনী নিরাপত্তা পিঁপড়ে, গুদাম নিরাপত্তা পিঁপড়ে, দাঙ্গা পিঁপড়ে, বিশেষ নিরাপত্তা পিঁপড়ে ও শত্রু প্রতিহত পিঁপেড়ে। পিঁপড়া সমাজবদ্ধ প্রাণী। একটি কলোনীতে কয়েক লক্ষ এমনকি কোটি পর্যন্ত পিঁপড়ে থাকতে পারে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পিঁপড়েরা কলোনীর সার্বকি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নিজেদের মধ্যে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে দিকে তারা সতর্ক খেয়াল রাখে। পিঁপড়েরা তাদের স্ব-স্ব কাজ ঠিকভাবে করল কিনা সে বিষয়টিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সৈনিক পিঁপড়ের দেখার দায়িত্ব। দায়িয়ত্বে অবহেলা করলে শাস্তিসহ কলোনী থেকে বহিস্কারের পর্যন্ত বিধান আছে। কলোনীতে আরেক ধরণের পিঁপড়ে আছে যাদের কাজ হচ্ছে কলোনীকে নিরাপত্তা প্রদান করা। বহি শত্রুর আক্রমন থেকে কলোনীকে সুরক্ষা করা তাদের কাজ। কলোনী রক্ষা পিঁপড়েদের একজন প্রধান আছে যার কমান্ডে সৈনিক পিঁপড়ারা কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় তৈরির মাধ্যমে কলোনীকে নিরাপত্তা প্রদান করে। পিঁপড়েরা খাদ্য সংরক্ষন করে রাখে। যখন বর্ষার পানিতে সব কিছু তলিতে যায় তখন এই সংরক্ষিত খাদ্য পিঁপড়েদের ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই এই খাদ্য পাহাড়ার জন্য সুদক্ষ বাহিনী থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পিঁপড়া জাতি অলস হয়ে যেত কারণ খাদ্য সংগ্রহ না করে সংরক্ষিত খাদ্য চুরি করে খেয়ে ফেলত। গুদাম পাহারার কারণে কোন পিঁপড়ে রাজা ও রানীর হুকুম ছাড়া একটু খাবারও খেতে পারে না। অনেক সময় অন্য প্রানী দ্বারা কলোনী আক্রান্ত হয় অথবা নিজেদের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয় সে সময় কলোনীতে এক বিশেষ ধরণের পিঁপড়ে আছে যারা দাঙ্গা পিঁপড়ে নামে পরিচিত তারা বহি: শত্রুর আক্রমণ হতে কলোনীকে রক্ষা করে। তাদের দেহে এক বিশেষ ধরণের পদার্থ থাকে যা ফরমিক এসিড নামে খ্যাত তা কোন প্রানীর দেহে প্রবেশ করলে দেহে জ্বালা শুরু হয়। যখন কোন শত্রু কলোনী আক্রমণ করে তখন দাঙ্গা পিঁপেড়ারা তাদের দেহের ফরমিক এসিড দ্বারা শুত্রুকে প্রতিহত করে কলোনীকে রক্ষা করে। প্রতিটি কলোনীতে রাজা , রানী ও মন্ত্রী থাকে । তাদের নিরাপত্তার জন্যও বিশেষ ধরণের নিরাপত্তা পিঁপড়ে আছে যারা সারাক্ষণ রাজা,রানী ও মন্ত্রীদের নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকে। বন্যার পানিতে যখন মাঠ, ঘাট সব তলিয়ে যায় তখন পিঁপড়েদের কলোনীও পানিতে তলিয়ে যায়। তখন পিঁপড়েদের মধ্যে এক বিশেষ ধরণের বৈজ্ঞানিক পিঁপড়ে আছে তারা সকল পিঁপড়েকে দলা পাকিয়ে ফুটবলের মত করে পানির উপর দিয়ে ভেসে যায়। এতে পিঁপড়েদের কোন ক্ষতি হয় না কারণ চলার সময় ফটবল যেমন গড়িয়ে চলে তেমনি পিঁপড়েদের দলাটিও সে রকম গড়িয়ে চলে। এতে তাদের শ্বসনের কোন অসুবিধে হয় না। কেননা কোন পিঁপড়ে সব সময় নীচে থাকতে হয় না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নীচের পিঁপড়ে আবার উপরে উঠে আস।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: খুব ভালো লাগল।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: । পিঁপড়েরা তাদের স্ব-স্ব কাজ ঠিকভাবে করল কিনা সে বিষয়টিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সৈনিক পিঁপড়ের দেখার দায়িত্ব। দায়িয়ত্বে অবহেলা করলে শাস্তিসহ কলোনী থেকে বহিস্কারের পর্যন্ত বিধান আছে। কলোনীতে আরেক ধরণের পিঁপড়ে আছে যাদের কাজ হচ্ছে কলোনীকে নিরাপত্তা প্রদান করা। {টাইপো}
কিন্তু সায়েন্টিফিক কোন রেফারেন্স কই??
মজা পাইছি
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: স্বীকৃতি প্রদান কিংবা পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা নাই??
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: যখন কোন শত্রু কলোনী আক্রমণ করে তখন দাঙ্গা পিঁপেড়ারা তাদের দেহের ফরমিক এসিড দ্বারা শুত্রুকে প্রতিহত করে কলোনীকে রক্ষা করে। প্রতিটি কলোনীতে রাজা , রানী ও মন্ত্রী থাকে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২১
প্রামানিক বলেছেন: পিঁপড়ে সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ