নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে হত্যা করা হয় ইন্দিরা গান্ধীকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪



৩১শে অক্টোবর সকালে অফিসের জন্য তৈরি হয়েই ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দুটো পাউরুটি টোস্ট, কিছুটা সিরিয়াল, মুসাম্বির জুস আর ডিম ছিল সেদিনের ব্রেকফাস্টে।
নাস্তার পরেই মেকআপ ম্যান তার মুখে সামান্য পাউডার আর ব্লাশার লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তখনই হাজির হন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার কে পি মাথুর।রোজ ওই সময়েই মিসেস গান্ধীকে পরীক্ষা করতে যেতেন তিনি।
ঘড়িতে যখন ন'টা বেজে দশ মিনিট, ইন্দিরা গান্ধী বাইরে বের হলেন। বেশ রোদ ঝলমলে দিনটা।রোদ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতে সেপাই নারায়ণ সিং একটা কালো ছাতা নিয়ে পাশে পাশে হাঁটছিলেন।
কয়েক পা পেছনেই ছিলেন ব্যক্তিগত সচিব আর কে ধাওয়ান আর তারও পেছনে ছিলেন ব্যক্তিগত পরিচারক নাথু রাম।
সকলের পেছনে আসছিলেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার, সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর দয়াল।
বাসভবনের লাগোয়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ছিল আকবর রোডে। দুটি ভবনের মধ্যে যাতায়াতের একটা রাস্তা ছিল।
সেই রাস্তার গেটের সামনে পৌঁছে ইন্দিরা গান্ধী তার সচিব আর কে ধাওয়ানের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
হঠাৎই পাশে দাঁড়ানো নিরাপত্তাকর্মী বিয়ন্ত সিং রিভলবার বার করে ইন্দিরা গান্ধীর দিকে গুলি চালায়।
প্রথম গুলিটা পেটে লেগেছিল। ইন্দিরা গান্ধী ডান হাতটা ওপরে তুলেছিলেন গুলি থেকে বাঁচতে। তখন একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে বিয়ন্ত সিং আরও দুবার গুলি চালায়। সে-দুটো গুলি তার বুকে আর কোমরে লাগে।
ওই জায়গার ঠিক পাঁচ ফুট দূরে নিজের টমসন অটোমেটিক কার্বাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আরেক নিরাপত্তা কর্মী সতবন্ত সিং।
ইন্দিরা গান্ধীকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে সতবন্ত বোধহয় কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিল। সে নির্বাক তাকিয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিল।
তখনই বিয়ন্ত চিৎকার করে সতবন্তকে বলে 'গুলি চালাও।' সতবন্ত সঙ্গে সঙ্গে নিজের কার্বাইন থেকে চেম্বারে থাকা ২৫টা গুলিই ইন্দিরা গান্ধীর শরীরে গেঁথে দিয়েছিল।
বিয়ন্ত সিং প্রথম গুলিটা চালানোর পরে প্রায় ২৫ সেকেন্ড কেটে গিয়েছিল ততক্ষণে।
নিরাপত্তা কর্মীরা ওই সময়টায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেখান নি, এতটাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সবাই।
তারপরে সতবন্ত সিং গুলি চালাতে শুরু করতেই একদম পিছনে থাকা নিরাপত্তা অফিসার রামেশ্বর দয়াল দৌড়ে এগিয়ে আসেন।
সতবন্ত তখন একনাগাড়ে গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। মি. দয়ালের উরু আর পায়েও গুলি লাগে। সেখানেই পড়ে যান তিনি।
ইন্দিরা গান্ধীর আশপাশে থাকা অন্য কর্মচারীরা ততক্ষণে একে অন্যকে চিৎকার করে নির্দেশ দিচ্ছেন।
ওদিকে এক নম্বর আকবর রোডের ভবন থেকে পুলিশ অফিসার দিনেশ কুমার ভাট এগিয়ে আসছিলেন শোরগোল শুনে।
বিয়ন্ত সিং আর সতবন্ত সিং তখনই নিজেদের অস্ত্র মাটিতে ফেলে দিয়েছে। বিয়ন্ত বলেছিল, "আমাদের যা করার ছিল, সেটা করেছি। এবার তোমাদের যা করার করো।"
ইন্দিরার আরেক কর্মচারী নারায়ণ সিং সামনে লাফিয়ে পড়ে বিয়ন্ত সিংকে মাটিতে ফেলে দেন।
পাশের গার্ডরুম থেকে বেরিয়ে আসা ভারত- তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বা আই টি বি পির কয়েকজন সদস্য দৌড়ে এগিয়ে এসে সতবন্ত সিংকেও ঘিরে ফেলে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সবসময়ে একটা অ্যাম্বুলেন্স রাখা থাকত । ঘটনাচক্রে সেদিনই অ্যাম্বুলেন্সের চালক কাজে আসেন নি।
ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাখনলাল ফোতেদার চিৎকার করে গাড়ি বার করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মাটিতে পড়ে থাকা ইন্দিরাকে ধরাধরি করে সাদা অ্যাম্বাসেডর গাড়ির পিছনের আসনে রাখেন আর কে ধাওয়ান আর নিরাপত্তা কর্মী দিনেশ ভাট।
সামনের আসনে, ড্রাইভারের পাশে চেপে বসে পড়েন মি. ধাওয়ান আর মি. ফোতেদার।গাড়ি যেই চলতে শুরু করেছে, সোনিয়া গান্ধী খালি পায়ে, ড্রেসিং গাউন পরে 'মাম্মি, মাম্মি' বলে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে আসেন।ইন্দিরা গান্ধীকে ওই অবস্থায় দেখে সোনিয়া গান্ধীও গাড়ির পিছনের আসনে চেপে পড়েন। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ইন্দিরা গান্ধীর শরীর। সোনিয়া তার মাথাটা নিজের কোলে তুলে নেন।
খুব জোরে গাড়িটা 'এইমস' বা অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্সের দিকে এগোতে থাকে। চার কিলোমিটার রাস্তা কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেরিয়ে যায়।সোনিয়া গান্ধীর ড্রেসিং গাউনটা ততক্ষণে ইন্দিরা গান্ধীর রক্তে পুরো ভিজে গেছে।
ওই গাড়িটা 'এইমস'এ ঢুকেছিল ন'টা ৩২ মিনিটে।
জরুরী বিভাগের দরজা খুলে গাড়ি থেকে ইন্দিরা গান্ধীকে নামাতে মিনিট তিনেক সময় লেগেছিল। কিন্তু সেখানে তখন কোনও স্ট্রেচার নেই। কোনওরকমে একটা স্ট্রেচার যোগাড় করা গিয়েছিল।
গাড়ি থেকে তাকে নামানোর সময়ে ওই অবস্থা দেখে সেখানে হাজির ডাক্তাররা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।ফোন করে সিনিয়র কার্ডিয়োলজিস্টদের খবর দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডাক্তার গুলেরিয়া, ডাক্তার এম এম কাপুর আর ডাক্তার এস বালারাম ওখানে পৌঁছে যান।
ইসিজি করা হয়েছিল, কিন্তু তার নাড়ীর স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। চোখ স্থির হয়ে গিয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছিল যে মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে।একজন চিকিৎসক মুখের ভেতর দিয়ে একটা নল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন যাতে ফুসফুস পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। মস্তিষ্কটা চালু রাখা সবথেকে প্রয়োজন ছিল তখন।৮০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। শরীরে যে পরিমাণ রক্ত থাকে, এটা ছিল তার প্রায় ৫ গুণ।
ডাক্তার গুলেরিয়া বলছেন, "আমি তো দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে উনি আর নেই। কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইসিজি করতে হয়েছিল। তারপরে আমি ওখানে হাজির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শঙ্করানন্দকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এখন কী করণীয়? ঘোষণা করে দেব আমরা যে উনি মৃত? তিনি না বলেছিলেন। তখন আমরা মিসেস গান্ধীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই।"

চিকিৎসকরা 'হার্ট এন্ড লাং মেশিন' লাগিয়েছিলেন ইন্দিরার শরীরে। ধীরে ধীরে তার শরীরে রক্তের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি থেকে কমে ৩১ ডিগ্রি হয়ে গেল।তিনি যে আর নেই, সেটা সকলেই বুঝতে পারছিল, কিন্তু তবুও 'এইমস'এর আটতলার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে।

চিকিৎসকেরা দেখেছিলেন যে যকৃতের ডানদিকের অংশটা গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। বৃহদান্ত্রের বাইরের অংশটা ফুটো হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্রেরও।ফুসফুসের একদিকে গুলি লেগেছিল আর পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল গুলির আঘাতে। তবে হৃৎপিণ্ডতে কোনও ক্ষতি হয় নি।দেহরক্ষীদের গুলিতে ছিন্নভিন্ন হওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর, দুপুর দুটো ২৩ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।কিন্তু সরকারি প্রচারমাধ্যমে সেই ঘোষণা করা হয়েছিল দূরদর্শনের সন্ধ্যা ছয়টার খবরে। সংবাদ উপস্থাপক সালমা সুলতান ইন্দিরা গান্ধীর মারা যাওয়ার খবর প্রচার করেন।
ইন্দিরা গান্ধীর জীবনীকার ইন্দর মালহোত্রা বলছেন, গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে মিসেস গান্ধীর ওপরে এরকম একটা হামলা হতে পারে।তারা সুপারিশ পাঠিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর আবাস থেকে সব শিখ নিরাপত্তা-কর্মীদের যেন সরিয়ে নেওয়া হয়।কিন্তু সেই ফাইল যখন ইন্দিরা গান্ধীর টেবিলে পৌঁছায়, তখন ভীষণ রেগে গিয়ে তিনি নোট লিখেছিলেন, "আরন্ট উই সেকুলার?" অর্থাৎ, "আমরা না ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?"
এরপরে ঠিক করা হয়েছিল যে একসঙ্গে দু'জন শিখ নিরাপত্তা-কর্মীকে প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি ডিউটি দেওয়া হবে না।৩১শে অক্টোবর সতবন্ত সিং বলেছিল যে তার পেট খারাপ। তাই তাকে শৌচালয়ের কাছাকাছি যেন ডিউটি দেওয়া হয়।এইভাবেই বিয়ন্ত আর সতবন্ত সিংকে একই জায়গায় ডিউটি দেওয়া হয়েছিল।যার পরিণতিতে স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অপারেশন - 'অপারেশন ব্লুস্টার'এর বদলা নিয়েছিল তারা প্রধানমন্ত্রীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে।
১৯৮৪ সালের আজকের এই দিনে নিহত হন ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুটির জন্য রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

(সুত্রঃবিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া ও নেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন আর্টিকেল)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইন্দিরা শিখদের উপর অন্যায় করেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হতে পারে!

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

" @নুরুলইসলা০৬০৪,

চাঁদগাজী জানতে চেয়েছেন, আপনি কবে থেকে ইন্দিরা গান্ধী থেকে বুদ্ধিমান হয়ে গেলেন?"

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইন্দিরার পজিসনে ইন্দিরা বুদ্ধিমান, আমার পজিশনে আমি।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৭১ সালে ওনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম আরও অনেক কঠিন হত। উনি ব্যক্তিগত আগ্রহ ও ভালোবাসা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সঠিক, ৭১এ বাংলাদেশ বিষয়ে ইন্দিরার ভুমিকা আন্তরিক ছিল।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। বেশ ছোট ছিলাম তাই সেসব ঘটনা মনে নেই এতেমন একটা। তবে শিখদের স্বর্ন মন্দির নিয়ে তৎকালীন সরকারের সমস্যা চলছিল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইন্দিরার মৃত্যুতে সে সময়ে উপমহাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ফেসবুকে আজ গোটা দশেক পোস্ট পড়েছি ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে। ব্লগে আপনার লেখাটাই পড়লাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন জুলভার্ন

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিখদের উপাসনালয় স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন চালানোয় স্বাভাবিকভাবেই শিখরা ক্ষিপ্ত ছিল। নিরাপত্তারক্ষী দুজনও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজনৈতিক আবেগের চেয়ে ধর্মীয় আবেগটাই মানুষের বেশি। আসলে ইন্দিরা গান্ধীরও করার কিছু ছিল না। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা টিকিয়ে রাখতে নির্দয় হতেই হতো।
যাহোক, ইন্দিরা হত্যার পর নিরপরাধ শিখদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। দাঙা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক নিরীহ শিখকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওদের ঘরবাড়ি পুড়ানো হয়। লুটপাট করা হয়।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পরবর্তীতে শিখ হত্যা বিষয়ে রাজিব গান্ধী বলেছিলেন, "বড় গাছ উপড়ে পড়লে,মাটি কিছুটা কাপবেই"।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ডিটেইলস জানতাম না। ভালো লেখা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন মনিরা সুলতানা।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

সোহানী বলেছেন: আমার সাথে একটা পান্জাবী ছেলে কাজ করতো। ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এ নিয়ে। সে যে ভয়াবহ এ্যাকশানের কথা শুনালে পান্জাবে শিউরে উঠার মতো। তখন পান্জাবের পরিস্থিতি ছিল আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো। এরকম একটা পরিস্থিতিতে ইন্দিরা গান্ধী নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়াটা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ ছিল?

আপনি কি জানেন, এর পর থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে পান্জাবীরা। কানাডার বিশাল অংশ পান্জাবী। সম্ভবত চারজন মন্ত্রী পান্জাবী, বিরোধী দল এনডিপির প্রধান পান্জাবী, দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান পান্জাবী, কলেজ ইউনি গুলো হাজারে হাজারে ন্টুডেন্ট পান্জাবী। এরা একজন আরেকজনকে জীবন দিয়ে সাহায্য করে। আর আমরা পারলে কিক আউট করি ;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যে সব রাস্ট্র প্রধান হত্যা কান্ডের শিকার হয়েছিলেন তাদের অধিকাংশের জীবনি পড়ে জানা যায়, এদের প্রায় সকলকে গোয়েন্দা সংস্থা গুলি সতর্ক করেছিল। এরা আমলে নেন নি।বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া পাঞ্জাবীরা বহু দেশে মুল ধারার সাথে মিশে তাদের প্রতিভার আলো ছড়াচ্ছে।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি ভয়ংকর।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৫

সোহানী বলেছেন: লেখক বলেছেন (চাঁদগাজী):

স্বর্ণ মন্দিরের ভেতরে অভিযান চালিয়ে ইন্দিরা গান্ধী ভুল করেছিলেন; কিন্তু অন্যায় করেননি, শিখেরা প্রথম আক্রমণ করেছিলো; উনি পান্জাবকে আলাদা হওয়ার সুযোগ দিলে, ভারতের শান্তি বিনষ্ট হতো; আসাম ও পুর্বের প্রদেশগুলো স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধ শুরু করতো।


চাঁদগাজী ভাই এর এমন্তব্যে সহমত। ইন্দিরা গান্ধী যদি শক্ত হাতে পান্জাবীদের দমন না করতো তাহলে ভারত আজকে ১৮ ভাগ হতো। সে তার জীবন দিয়ে ভারতেকে রক্ষা করেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাস্ট্র প্রধানগন রাস্ট্রের অখন্ডতা রক্ষার শপথ নিয়ে ক্ষমতায় বসেন। শপথ রক্ষায় ইন্দিরা গান্ধী উনার নিজের অবস্থানে সঠিক ছিলেন।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইন্দ্রিরা গান্ধী ৭১ এ আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর সাথে তার সুসম্পর্ক ছিলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন রাজীব নুর।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৬

উদারত১২৪ বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো

এক জান্নাতী সাহাবিয়ার ধৈর্য কতটুকু ছিল দেখুন

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাদীনতার সংগ্রামে ইন্দিরার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি মার্কিন-চীন সহ পাকিদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে যেভাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছুটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য তার ঋণ শোধ করার মতো নয়। ইন্দিরা অনেক দূরদর্শী ও সাহসী ছিলেন। তার দূরদর্শিতার কারণেই পাঞ্জাব সহ ভারতের নানান অংশের বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছিল। নতুবা ভারত কয়েকখন্ডে ভাগ হয়ে যেত তখনই।

তিনি গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের আদলে ভারতকে একটি সাধারণ জনগণের জন্য রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন যা বর্তমান ভারত নেতৃত্বে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এখন তথাকথিত ৫৬ ইঞ্চি ছাতির 'হেন্ করেঙ্গা তেন করেঙ্গা' বলিউড হিরো মোদির আফিমে বুদ্ হয়ে গলাকাটা ক্যাপিটালিজম আর মিশন ইম্পসিবল মুভির কল্পনার জগতে ডুবে আছে (নিমজ্জিতই বলতে পারেন)। যেই কল্পনার জগতে সাধারণ জনগণ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত বা অবহেলিত - অতিমারীতে লক্ষ লক্ষ লোকের মৃত্যু তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইন্দিরা গান্ধী একজন দুরদর্শি ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিধ ছিলেন। এ উপমহাদেশে পরবর্তীতে কোন রাস্ট্র প্রধান উনার সমকক্ষ হতে পারেননি।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @শূন্য সারমর্ম,চাঁদগাজীর উপর সন্মান রেখেই বলছি ,এ কথার কোন উত্তর এক দুই পাতায় হয় না।অনেক কথা আমি বলতে পারি কিন্তু লিখতে পারি না।সংক্ষেপে এটাই বলতে পারি, আমি প্রতিটা মানুষের মুক্তি চাই।জাতিয় শোষন,ধর্মীয় শোষন বর্নবাদী শোষন।ভারত তার অনেক অঞ্চলকেই শোষন করে,সেই শোষন থেকে মুক্তি লাভের অধিকার তাদের আছে।যেমন ছিল আমাদের

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রায় সকল দেশেই একটা শ্রেণী বৈষম্যের শিকার, এ থেকে উত্তরন আবশ্যক।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

@নুরুলইসলা০৬০৪, (১৪ নং মন্তব্যের বিপরিতে মন্তব্য ):

ইন্দিরা গান্ধীর সময় (১৯৬৬-১৯৭৭, ১৯৮০-১৯৮৪) পান্জাব কিভাবে শোষিত হচ্ছিলো? ইন্দিরা ও উনার বাবা তো আধা-সোস্যালিষ্ট ছিলেন, এবং তখন পান্জাব ছিলো কৃষি ভুমি। শিখরা ভারতে পুর্ব পাকিস্তানের মতো অবস্হায় ছিলো? যদি পুর্ব পাকিস্তানের মতো অবস্হায় থেকেই থাকতো, উহা আপনি বুঝলেন, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বুঝলেন না? ইন্দিরার পরিবার তো ক্যাপিটেলিষ্ট পরিবার ছিলো না, মিলিয়ন ডলার আয় ছিলো না; এগুলোকে বলে ছাত্র ইউনিয়নের ঘোড়ারোগ। "

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমন ধারণা রাখিনা,তাই যৌক্তিক কিছু বলতে পারলাম না।

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
@নুরুলইসলা০৬০৪, (১৪ নং মন্তব্যের বিপরিতে মন্তব্য ):

চাঁদগাজী বলেছেন :

ইন্দিরা গান্ধীর সময় (১৯৬৬-১৯৭৭, ১৯৮০-১৯৮৪) পান্জাব কিভাবে শোষিত হচ্ছিলো? ইন্দিরা ও উনার বাবা তো আধা-সোস্যালিষ্ট ছিলেন, এবং তখন পান্জাব ছিলো কৃষি ভুমি। শিখরা ভারতে পুর্ব পাকিস্তানের মতো অবস্হায় ছিলো? যদি পুর্ব পাকিস্তানের মতো অবস্হায় থেকেই থাকতো, উহা আপনি বুঝলেন, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বুঝলেন না? ইন্দিরার পরিবার তো ক্যাপিটেলিষ্ট পরিবার ছিলো না, মিলিয়ন ডলার আয় ছিলো না; এগুলোকে বলে ছাত্র ইউনিয়নের ঘোড়ারোগ। "

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টে আমি চাঁদগাজীর কোন মন্ত্যব্য খুঁজে পেলাম না।

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি নির্মম হত্যাযজ্ঞ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ নিন।

১৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮

জগতারন বলেছেন:
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুটির জন্য রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সহমত!!!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন জগতারন

১৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২

ইসিয়াক বলেছেন: ইন্দিরা গান্ধী যখন মারা যান তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। উনার অন্তেষ্টিক্রিয়া টিভিতে দেখেছিলাম। উনাকে আমার মা ভীষণ পছন্দ করতেন। সে সময় উনার সম্পর্কে যেখানে যত খবর পত্রিকায় বেরিয়ে ছিল সব পত্রিকা আমার মা আমাকে দিয়ে সংগ্রহ করেছিলেন। মনে আছে স্বনামধন্য কলকাতার পত্রিকা " দেশ আর sunday" অনেক বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করেছিলাম।
ইন্দিরা গান্ধির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইসিয়াক, ওই সময়ে আমার বয়স ছিল ১৩,সে সময়ের অনেক কিছুই আমার মনে আছে।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ শূন্য সারমর্ম,আপনি ভারত নামক রাষ্ট্র আর ইন্দিরা পরিবারকে এক করে দেখছেন।পাঞ্জাব কিভাবে শোষিত ছিল এটা পাঞ্জাবীরাই ভালো জানে।তারা আজো স্বাধীনতা চায় এবং প্রবাসী সরকার চালায়।তাদের নিজস্ব টিভি সেন্টার আছে।সেখান থেকে ২৪ ঘন্টা প্রচার হয় অনেক গুলো ভাষায়।
ঘোড়ারোগ বলে কোন সমালোচনা হয় না।এটা বলে আপনি নিজেকেই নিজে ছোট করছেন।আলোচনা করুন যুক্তি দিয়ে, ঘোড়ারোগ বলে নয়।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপ্নার মন্তব্য থেকে পাঞ্জাব সম্পর্কে ভাল একটা তথ্য জানলাম। এদের প্রবাসী সরকারের অবস্থান কোথায়?

২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

সাজিদ! বলেছেন: আয়রন লেডি ছিলেন। ধন্যবাদ, চমৎকার পোস্টের জন্য।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন সাজিদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.