নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টআমি জানিনা আমি কে?আমি আপনার দিকে দৌড়াতেই থাকবো,যতক্ষন না আপনার রহস্য এবং হাকিকত জানতে পারি,আর আপনি তা না জানালে আমাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়,আয় আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাত দিয়েন,আর আপনার পবিত্র সুন্দর চেহরা দর্শনের তৌফিক দিয়েন,তারও বহু বৎসর পর আপনার রহস্য এ

সুলাইমান হোসেন

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

সুলাইমান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশেের বর্তমান অবস্তায় আমাদের করনীয়:পর্ব ৪

২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৪৬

বর্তমান বাংলাদেশর অবস্তা এবং আমাদের করনীয়:পর্ব—৪

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সরকার ব্যাবস্তার ভিত্তি গনতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত।

গনতন্ত্র কি?
রাষ্ট্রব্যাবস্তায় গনতন্ত্র হলো এমন একটি দর্শন,যেখানে বিশ্বাস করা হয় রাষ্ট্রের যাবতীয ক্ষমতা জনগনের হাতে।সংক্ষপে এটাকে রাষ্ট্রিয় দর্শনে বলা হয়,জনগন সকল ক্ষমতার উৎস।যদিও কথাটি বাস্তবে প্রয়োগ করা হয়না।আমরা দেখতে পাই রাষ্ট্রের উর্ধতন কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রিয় সকল ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করেন।
তাহলে একথা কেন বলা হয়,জনগনই রাষ্ট্রিয় সকল ক্ষমতার উৎস?
কথাটিকে আসলে জনগনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য এবং ভোট আদায়ের জন্য বলা হয়।আসলে এর কোনো বাস্তবতা নেই।
সৎ রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রের সকল কাজ জনগনকে সাথে নিয়েই করে।
আপনারা দেখবেন,জনগনকে সকল ক্ষমতার উৎস বলা হয়,কিন্তু পরিশেষে জনগনকে কোনো পাত্তা দেওয়া হয়না।
আমরা এরকম কথা পরিহার করার জন্য আবেদন জানাই,যার বাস্তব প্রায়োগিক দিকটি অস্তিত্ব শুন্য হয়ে থাকে।


ধর্ম
রাষ্ট্রের সকল মানুষকে সমান অধিকার দিতে হবে।
বাংলাদেশে বসবাস করে মুসলমান,হিন্দু,খ্রিস্টান, বৈধ্য সহ আরো অনেক ধর্মের লোকজন।সবাইকে তাদের স্ব স্ব স্বাধীনতা এবং অধিকার দিতে হবে।প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে,কেউ বাধা দিতে পারবেনা।কোনো ধর্মকে নিয়ে কুৎসা রটনা করা যাবেনা,হেয় করা যাবেনা,মানষিক অনুভুতিতে আঘাত লাগে এমন সব কাজকর্ম, কথাবার্তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধান ধর্মগুলো নিন্মরুপ—
১। ইসলাম
ইসলাম হল সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ২য় বৃহত্তম ধর্ম।যার শুরু হয় মানবজাতির পিতা হযরত আদম আলা নাবিয়্যিনা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালামের সময় থেকে,এবং শেষ হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে।

ইসলামের বৈশিষ্ট্য এবং পরিচয়
ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।যথা—
১।একথার সাক্ষ দেওয়া যে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া ইবাদত করার মতো অন্যকোনো সৃষ্টিকর্তা নেই।এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের পূর্বক্ষনে শেষ নবী এবং রসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন।
২।নামাজকে প্রতিষ্ঠিত করা।
৩।রমজান মাসে বিশেষ নিয়মে এক মাস রোজা পালন করা।
৪।নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে যাকাত দেওয়া।
৫।বাইতুল্লা পর্যন্ত যিয়ারতের সামর্থ থাকলে হজ্জ করা।

এগুলো হলো ইসলামের শক্তিশালী ভিত্তি।এছাড়াও ইসলামের আরো অনেক বিষয়বস্তু রয়েছে,যেগুলো বিল্ডিংকে উঁচু এবং আকর্ষনীয় সৌন্দর্য মন্ডিন্ত করার জন্য পালন করতে হয়।তারমধ্যে গুরিত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিন্মরুপ—
১।আসমান জমিনে যাকিছু আছে এসবকিছু নিয়ে মুরাকাবা করতে থাকা,এবং সৃষ্টিকর্তার একত্বকে অনুভব করার চেষ্টা করা।(কুরআন পড়ে দেখুন)
২।মানুষের কষ্ট দূর করে দেওয়া।
৩।ক্ষুদার্থকে খাবার খাওয়ানো।
৪।ঘুমন্ত আত্মাকে জাগ্রত করা,এবং উন্নত করার চেষ্টা করা।
৫।আত্মশুদ্ধি অর্জন করা,আত্মাকে শক্তিশালী করা,সীমালঙ্ঘন না করা।
৫ নম্বরটাই ইসলামের মূল বিষয়।অন্যগুলো হলো এটাকে হাসিল করার হাতিয়ার মাত্র।

২।সনাতন ধর্ম(সিন্ধু ধর্ম)
এই ধর্মের প্রসিদ্ধ নাম সিন্ধু ধর্ম।বেশি প্রসিদ্ধ নাম হলো হিন্দু ধর্ম।সিন্ধু থেকেই হিন্দু শব্দের উৎপত্তি।হিন্দু ধর্মেের দর্শন এবং বিশ্বাস অনুযায়ী মোটমাট ছয়জন সৃষ্টিকর্তা বিভিন্ন জায়গা থেকে জগত পরিচালনা করেন।তাদের ধর্মেও একজন প্রধান সৃস্টিকর্তা আছেন,যাকে তারা ভগবান বলে থাকেন।হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন দেবতা আছেন,যার পুজা তারা করে থাকেন।দেবতাদেরকে অবতার বলা হয়।ইসলামের শেষ নবীকে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদে কল্কি অবতার বলা হয়েছে।

এই ধর্মেের বৈশিষ্ট্য —
১।তাদেরকে বার মাসে তেরটি পুজা অনুষ্ঠান পালন করতে হয়।
২।আগে তারা সতিদাহ প্রথা পালন করত,কিন্তু এখন এই ভয়ংকর জঘন্ন প্রথা বাতিল করা হয়েছে।
৩।তারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন দেবতাদের মুর্তি বানায় এবং সেগুলোর ভক্তি শ্রদ্ধা করে।
৪।তাদের মধ্যে জাত এবং বর্নপ্রথা এখনো প্রচলিত রয়েছে।ব্রাহ্মণ দেরকে উঁচু জাত বলে মনে করা হয়।
৫।পন্ডিতরা যা আদেশ দেয়, তা তাদেরকে খুবই কঠোরতার সহিত পালন করতে হয়।

৩।নাস্তিকতা
নাস্তিকতা এমন একটি ধর্ম,যেখানে বিশ্বাস করা হয়, তারা বান্দরের বংশধর,অর্থাৎ বান্দরের বাচ্চা থেকে হয়েছে।
যদিও সব নাস্তিকরা ডারউইনের এই মতবাদে বিশ্বাসি নয়,তারা প্রাচীন নাস্তিকদের অনুসারী।
নাস্তিকদের মধ্যে অনেক শ্রেনীভেদ রয়েছে।সবাই নিজেদেরকে বান্দরের বাচ্চা বলে বিশ্বাস করে না।

আধুনিক নাস্তিকদের জনক কে?
আধুনিক নাস্তিকদের বড় একটা অংশের জনক হলো মি.ডারউইন।
ডারউইনের মতবাদের নাম হলো বিবর্তনবাদ।তারা কোনো সৃষ্টিকর্তার অস্থিত্বকে বিশ্বাস করেনা।তারা নিজেদেরকে বান্দরের বাচ্চা বলে বিশ্বাস করে।

কেন তারা নিজেদেরকে বান্দরের বাচ্চা বলে?
তারা মূলত বান্দরের সাথে নিজেদের মিল খুজে পেয়েছে,এজন্য তারা নিজেদেরকে শিপপাঞ্জি অথবা বান্দরের বাচ্চা বলে থাকে।

আধুনিক নাস্তিকদের ধর্মমতেের বৈশিষ্ট—

১।তারা বিশ্বাস করে বান্দর বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ হয়ে গেছে।
২।কোনো সৃষ্টিকর্তাকে তারা বিশ্বাস করেনা।
৩।ভোগ বিলাশ,এবং ইচ্ছামত জিন্দেগী পরিচালনা করা।
৪।আত্মাকে অশিকার করে।
৫।কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না।

সেকেলে বা প্রাচীন নাস্তিকদের অনুসারীদের ধর্মমতের বৈশিষ্ট্য —
১।তারা বিশ্বাস করে আমাদেরকে কোনো সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করে নাই।মাতৃগর্ভে ভ্রূণের মধ্যে আমাদের হস্ত পদ অটোমেটিকেলি হয়ে গিয়েছে। চক্ষু একা একাই গজিয়েছে।এত সুন্দর চেহারাটা অটোমেটিক হয়েছে।পায়খানা করার লাইন আর পেশাব করার লাইন অটোমেটিক হয়ে গিয়েছে।

এই সমস্ত সেকেলে নাস্তিকরা বিশ্বাস করে,নাক কানের ফুটো গুলো এমনি এমনি হয়েছে, কেহ এগুলো সৃষ্টি করেনাই।

সেকেলে নাস্তিকদের ধর্মমতের বৈশিষ্ট—
১।তারা কোনো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে শিকার করেনা।
২।তাদের মূলত খাওয়া এবং দুনিয়াবি মজা উড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।তবে যখন সুযোগ পায় অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে বিশ্বাসিদেরকে খুঁচানো হলো তাদের কাজ।
৩।মূলত তারা সত্যসন্ধানী নয়, এবং নিজেদের জানার বাইরে কোনোকিছু মানতে রাজি নয়।


এই পর্বটা একটু বড় হয়ে গিয়েছে,
দেখা হবে ইনশা আল্লাহ আগামী শুভ কোনো সময়ে,সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন এই প্রত্যাশা করি।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.