| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বন্দরের জেটি থেকে ভেসে আসছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবাস, আর সেই সুবাসে দেশের তাবত রাজনীতিবিদদের নাক বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম আর পানগাঁওয়ের টার্মিনালগুলো যখন তড়িঘড়ি করে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলো, তখন সরকারের মুখপাত্ররা এলেন ঢাল-তলোয়ার নিয়ে। তাঁরা বললেন, "দেখুন, আমরা কী দারুণ কাজ করছি! ৪০৫টি বন্দরের মধ্যে আমাদের অবস্থান ৩৩৪তম—এটা তো দারুণ লজ্জার! এখন ডেনমার্কের ড্রাইভাররা আমাদের গাড়ি চালাবে, আর গাড়িটা কিন্তু আমাদেরই থাকবে !
শ্রীলঙ্কা ঋণের জালে ফেঁসেছিল, আমরা তো ধার নিচ্ছি না—আমরা তো বরং 'বিনিয়োগ' নিচ্ছি ! আর যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা হয় 'বিশেষ অজ্ঞ' অথবা বন্দর থেকে তোলা চাঁদার অভাবে মন খারাপ করে আছে।" এই বক্তব্যের সারকথা হলো: দেশের সক্ষমতা বাড়াতে চাইলে দেশের সব কিছু বিদেশিদের হাতে তুলে দাও, আর দুর্নীতি রুখতে চাইলে মাশুল ৪০ গুণ বাড়িয়ে দাও। দুর্নীতির নতুন সংজ্ঞা আর কী!
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই সরকারের গতির কাছে হাঁটু গেড়ে বসেছেন। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ চিৎকার করে বলছেন, "এ যে বিশ্বাসঘাতকতা! যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিজেরই মাসখানেকের বেশি আয়ু নেই, সে কী করে ৩০ বছরের জন্য দেশের সম্পদ বন্ধক রেখে দেয়? আর সেই বন্ধক রাখার কাজটিও হয় ছুটির দিনে, বোর্ডের মাত্র দুই জন সদস্যকে দিয়ে, এমন গোপনীয়তায় যে যেন মনে হচ্ছে তারা কোনো জাতীয় নিরাপত্তা নয়, বরং প্রেমপত্র লিখছেন!" কিন্তু সরকারের কানে সেই কথা পৌঁছায় না। সরকার তখন ব্যস্ত থাকে বিদেশি লবিস্টদের প্রশংসা করতে, যাদের সাফল্যের নজির নাকি এই চুক্তি। বিশেষজ্ঞরা যখন গ্যারান্টি, ইনডেমনিটি আর আদানির চুক্তির ভূত দেখতে পান, সরকার তখন বলে: "আহা, সব প্রকাশ করলে তো পরের দর কষাকষিতে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব! দেশের স্বার্থ রক্ষার কৌশল কী আপনারা বুঝবেন না?"
এদিকে, দেশের রাজনৈতিক মাঠের প্রধান খেলোয়াড় বিএনপি-জামায়াত জোট যেন এই 'জাতীয় স্বার্থের খেলায়' গ্যালারিতে বসে পপকর্ন খাচ্ছে। যদি চুক্তিগুলো সত্যিই দেশের জন্য ভালো হয়, যেমনটা সরকার দাবি করছে—দুর্নীতি দূর হবে, সক্ষমতা বাড়বে, আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে দেশ এগিয়ে যাবে: তাহলে বিএনপি-জামায়াতের উচিত ছিল এই সুযোগটি লুফে নেওয়া। তারা বলতে পারত, "দেখুন, আমরা ক্ষমতায় না থেকেও অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে কাজ করাচ্ছি। আপনারা সরকারকে বিশ্বাস না করলেও আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, এই চুক্তি দেশের জন্য ভালো।" কিন্তু তারা তা না করে নীরব। এই নীরবতা থেকে বোঝা যায়, হয়তো তারা সরকারের যুক্তিতে সম্পূর্ণ আস্থাশীল নয়, কিন্তু প্রতিবাদ করলে যদি সেই 'সুষ্ঠু নির্বাচন' আয়োজনকারী পশ্চিমা শক্তিগুলো বেঁকে বসে, সেই ভয়ে তাদের মুখ সেলাই করা।
অন্যদিকে, যদি এই চুক্তিগুলো অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বা ১২-দলীয় জোটের অভিযোগ অনুসারে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের উচিত ছিল রাস্তায় নেমে সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা। তারা বলতে পারত, "এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে, যা জাতীয় বিশ্বাসঘাতকতা! আমরা ক্ষমতায় এলে এই চুক্তি বাতিল করব।" কিন্তু সেই প্রতিবাদও উধাও। এর গভীরে লুকিয়ে আছে এক কুটিল রাজনৈতিক কৌশল: ক্ষমতায় গেলে যদি এই লাভজনক চুক্তিগুলো বাতিল করতে হয়, তবে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ কে দেবে ?
আর যদি বাতিল না-ই করা হয়, তাহলে এই নীরবতা দিয়ে তারা বিদেশিদের কাছে প্রমাণ করে দিল যে তারা চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগ্রহী। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের নীরবতা প্রমাণ করে, দেশের লাভ/ক্ষতির চেয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়িটা তাদের কাছে অনেক বেশি দামি। তারা অপেক্ষা করছে, সরকার যখন দেশটাকে একটা 'গলার কাঁটা' উপহার দিয়ে চলে যাবে, তখন তারা এসে ঘোষণা করবে, "দেশের স্বার্থে এই কাঁটা আমরা হজম করলাম," বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মহলের সাধুবাদ নেবে।
বন্দরের টার্মিনাল চুক্তি নিয়ে এই রাজনৈতিক নীরবতা আসলে এক ট্র্যাজেডি। এর মাধ্যমে বিরোধী দল জনগণকে এই বার্তা দিল: জাতীয় স্বার্থের এই ডামাডোলে তাদের ভূমিকা হয় অজ্ঞতা থেকে নীরব থাকা, নয়তো ক্ষমতার লোভ থেকে কৌশলগতভাবে চুপ থাকা। এই পরিস্থিতিতে জনগণের সন্দেহ দূর করার কোনো পথই খোলা রইল না ।
মুল সংবাদ: লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দরের দায়িত্বে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন..বিবিসি বাংলা । আদানির মতো অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চুক্তি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের?.....বণিক বারতা । চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটর বিতর্ক: যে ব্যাখ্যায় মিলল ...চট্টগ্রাম প্রতিদিন
২|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:০৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মনে হচ্ছে তারা কোনো জাতীয় নিরাপত্তা নয়, বরং প্রেমপত্র লিখছেন!"
....................................................................................................
দেশ যখন সঠিক পথে চলবে না
তখন বানরের শাসন উপভোগ করতে হবে !
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আর কোনো বানরের শাসন দেখতে চাই না।
৩|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:০৭
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও একসময় শুধু বিজনেস করতেই এসেছিল, তারপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি। একটা প্যাসেজ পড়েছিলাম, অনেক সফল কিছু মানুষ যারা নিজের এরিয়ায় খুবই ভালো করতে পেরেছিল, তাদেরকে যখন সেইম পলিসি নিয়ে অন্য একটা রিজিয়ন এ পাঠানো হয়, তারা ভয়ংকর রকমভাবে ব্যর্থ হয়। সব জায়গায় একই কৌশল কাজে আসবেনা। এই লোকটাকে নিয়ে কিছু বলবো না। চাঁদগাজী যে বলে প্রফেসর ইউনুস একজন অসৎ লোক, কথা আসলেই সত্য। উনি এদেশের মানুষের ভালোবাসা অতীতেও কোনোদিন পাননি, ভবিষ্যতেও কোনোদিন পাবেন না।
বিএনপি হচ্ছে একটা অপদার্থ দল, আর জামাত হচ্ছে ভন্ড, মিথ্যুক।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি-জামাত যদি ব্যাখ্যা করে বলে দেয় যে এসব চুক্তি ভালোর জন্য হবে তবে জনগণ সরকারকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে না।
৪|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪৯
মাথা পাগলা বলেছেন: গাড়ি আমাদের, কিন্তু স্টিয়ারিং ধরেছে অন্য কেউ - অবস্থা এখন এমনই। কাগজে-কলমে বন্দর রাষ্ট্রের হলেও অটোমেশন আর আউটসোর্সিংয়ের নামে দেশীয় শ্রমিক কমবে, সিদ্ধান্ত নেবে বিদেশি অপারেটর। তাদের প্রথম কাজই হবে নিজের ইনভেস্টমেন্ট দ্রুত রিকভার করা, দেশের শ্রমবাজার বা দীর্ঘমেয়াদি লজিস্টিক নীতি তাদের দেখার কথা নয়।
ট্রানজ্যাকশন রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে ৬২ দিন সময় ধরা ছিল, পুরো প্রক্রিয়াটা দুই সপ্তাহের মতো সময়ে শেষ হয়েছে যা স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সবচেয়ে ভয়ের কারন চুক্তি হয়েছে ৩৩ বছরের সাথে ১৫ বছরের চুক্তি। কনট্রাক্টের মূল শর্তগুলো পাবলিকলি অ্যাভেইলেভল না। প্রথম আলো ইংরেজি ভার্সনে উদাহরন দিয়েছে - Djibouti সরকার DP World-এর সাথে ৫০ বছরের একতরফা চুক্তি করে, পরে বাতিল করতে চাইলে আদালত রায় মানছে না।
https://en.prothomalo.com/business/local/8hutsps7up
এত দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি চুক্তি কি সত্যিই একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের করার কথা ছিল, নাকি এমন সিদ্ধান্তের আগে অন্তত জনগণের ম্যান্ডেট আর সংসদীয় আলোচনার জন্য অপেক্ষা করাই বেশি যুক্তিসংগত হতো? এই কাজের জন্য ইউসুফ সরকারের পেটে কতো টাকা গেছে সেটার হিসাব পাওয়া গেলে ভালো ছিলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চুক্তি করছে ভালো কথা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এই চুক্তি ভালো না খারাপ সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া। হাম বাঙাল হ্যায় সব কুছ নেহি বুঝতা হ্যায় বাবু।
শেখ হাসিনা এমন কতো উল্টাপাল্টা চুক্তি করেছে হিসাব রাখেন?
৫|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০১
আলামিন১০৪ বলেছেন: ডেনমার্ক কোন পরাশক্তি না যে ধীরে ধীরে আসন গেড়ে বসে, দেশ দখল করে নিবে, শাহজালাল এয়ারপোর্টের সাথে বিদেশের একটা বিমানবন্দরের তুলনা করেন, বুঝবেন আমাদের সক্ষমতা কতটুকু। চোর বদমায়েশের দেশে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ত্ব বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া অনুচিত বটে, তা না হলে চোরের বখড়া তো শুন্য হয়ে যাবে...
পুনশ্চঃ বিদেশী ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা শেষে দেশে ফিরেছি, কিয়ৎকাল পরে কর্তৃপক্ষ চোঙায় ভরে সার্টিফিকেট পাঠালে চুঙ্গিঘরে হাজিরা দিতে হয়েছিল। অতঃপর ১০০০ টাকা ঘুষ প্রদান করে চোঙ্গাখানা ছাড়িয়ে নিই, এই হলো অবস্থা
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিদেশিদের বন্দর দেয়া ভালোর জন্য হলে বিএনপি-জামাতের উচিত সভা সেমিনার,টকশোতে এসব নিয়ে পজেটিভ আলোচনা করা। না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ বাড়বে।
৬|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মাফিয়া রাজনৈতিক দল ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের এইসব সার্বভৌমত্ব বিক্রির গাল্গপ্প এখন আর কেউ খায় না। বন্দরের দ্বায়িত্ব কোন দেশের হাতে নয় , বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তিভিত্তিক দ্বায়িত্ব পালন করা একটি অত্যন্ত এফিসিয়েন্ট শিপিং কোম্পানি APM Terminals এর হাতে দেয়া হয়েছে। APM Terminals manages container terminals and provides integrated cargo and inland services, operating 74 port and terminal facilities in 38 countries on five continents. ।
মানুষ এখন আর তথ্যের জন্য গনমাধ্যমের উপড় নির্ভরশীল নয়। বর্তমান বিশ্বের গ্লোবালাইজেশনের প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতামুলক ব্যবসা বানিজ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতা বুঝার জন্য বিশাল বিশাল বই পুস্তক পড়ারও দরকার নাই।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আনু মোহাম্মদ কোনো মাফিয়া রাজনৈতিক দল না। তিনি কোনো ব্যবসায়ী না। যদি সিন্ডিকেট এবং চাদাবাজির জন্য বন্দর বিদেশ কে দেয়া লাগে তাহলে উচিত সবার আগে সিন্ডিকেট এবং চাঁদাবাজ কে ধ্বংস করা। বিএনপি-জামাত যার যার ইশতেহারে এসব রাখরে পারে। কিন্তু যখন মেইনস্ট্রীম রাজনৈতিক দল অন্যান্য ঘটনা নিয়ে বিজি তখন তাদের বন্দর নিয়ে সময় কোথায়?
সরকারি সব বয়ান কেন জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে? যদি বন্দর দেয়া এতই লাভজনক হতো শেখ হাসিনা সবকিছুর বিনিময়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইতেন। বন্দরের কিছু চুক্তি উনার আমলের। বিদেশিদের সব ভালো এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হলো এসব চুক্তির ব্যাপারে জনগণকে বুঝিয়ে বলা।
৭|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
আনিসুজ্জামান বলেছেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এতো বড়ো আর্থিক চুক্তি করা দায়িত্ব হবার কথা না। তেমনি ভাবে নতুন পে-স্কেল দেয়া তাদের দায়িত্ব নয়।
ইহা অনস্বীকার্য, বন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষ চুড়ান্ত ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। যার ফলাফল, বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ বন্দরের পিছিয়ে থাকা।
আমজনতা চুক্তির শর্ত জানার অধিকার রাখে কিনা জানিনা, তবে আমাদের বিজ্ঞজনদের উচিত গঠনমূলক সমালোচনার উদ্দেশ্যে চুক্তির শর্তসমূহ জেনে সমালোচনা করা, চোর বাটপারদের লাভ ক্ষতি বিবেচনা করে নয়।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: টকশো, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ এবং সম্ভব হলে সরকারি যারা চুক্তির বিষয়ে অবগত আছেন সবার উচিত বিষয়টি ক্লিয়ার করা।
যেহেতু সমালোচনা হচ্ছে চুক্তির কিছু বিষয়ে সবার মাঝেই এক ধরণের আশংকা রয়েছে।
৮|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪১
সপ্তম৮৪ বলেছেন: রাজ নৈতিক দল গুলো সংস্কার আর নিয়ে ব্যস্ত। তাদের ডিস্টাপ করা উচিত হবে না। যদিও নির্বাচন কবে হবে নির্দিষ্ট ডেট নাই এখনো।
শেখ হাসিনা ছিল বাংলাদেশের সকল সমস্যার মূল। তাকে হঠানো হয়েছে , তার কর্মের বিচার হয়েসে। আলহামদুলিল্লাহ।
এখন আমরা কিচুদিন অন্ধ বোবা হয়ে থাকবো। শীত নিদ্রায় যাবো।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার । জাতিকে বোকা বানিয়ে গিয়েছেন । আগে আমরা চালাক ছিলাম ।
৯|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা চলে যাবার পর দেশে একটাও ভালো কিছু ঘটে নাই। যা হচ্ছে সব খারাপ হচ্ছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব কিছু শেখ হাসিনার আমলে চুকতি করা ছিলো। ঘটনা হলো জনবিরোধি চুকতি করায় শেখ হাসিনাকে সরায়ে দিলো জনতা আবার সেই একই রকম চুকতি করছে ইনটেরিম । উহা হজম হইতেসে না ।
১০|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
সপ্তম৮৪ বলেছেন: সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, কার্যকর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচনে
"একজন উপদেষ্টার সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে;
তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো সংগঠনের সদস্য হবেন না; পরের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার লিখিত সম্মতি দেবেন এবং তার বয়স ৭২ বছরের বেশি হবে না।"
আল হামদুলিল্লাহ বিনপির প্রত্যাশিত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল।
তবে ইউনুস স্যারের বয়স ৮৫। তাই এবারের নির্বাচনের জন্য নহে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য আগেই আইন করে পুনর্বহাল করে রাখা হল। আপাতত শিকেয় তুলে রাখার জন্য।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কেয়ারটেকার ফিরলে কি আর না ফিরলেই কি ? ইলেকশন এর আগে ঠিকই ইনজিনিয়ারিং করতে চাইবে । সে সময় বিরোধি দলের সাথে কুংফু খেলে তারপর সরকার নামবে । কিছু মানুষ মারা যাবে বেহুদা ।
১১|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫০
ইফতি সৌরভ বলেছেন: বন্দর ব্যবস্থপনা এবং বন্দর বিদেশিদের দেওয়া ভালো হলো কি না - তা বলতে পারবে এদেশের মেরিন অফিসারগণ এবং বিভিন্ন দেশের বন্দর ব্যবস্থপনা নিয়ে যারা জড়িত। অথচ আসল বিতর্ক করছে সর্বজান্তা সাংবাদিক/সম্পাদক মহোদয়গণ এবং যারা বন্দরে ১ ঘন্টা লেটের কারণে জাহাজ কোম্পানির কত ডলার ক্ষতি হয় - তা নিয়ে কোন কথা নেই!!
অবশ্য বাংলাদেশ এপি মার্কসের সাথে চুক্তির সময়ে যদি এ শর্ত দিত, প্রতি মার্ক্স জাহাজ যেগুলো বাংলাদেশে আসবে, মিনিমাম ০২ জন দেশি অফিসার- ০২ ক্রু থাকবে (ভারত-চীন এ এমন আছে), তাহলে ভিসা বন্ধ হবার কারণে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা কিছুটা এ দিকে আলোর মুখ দেখত।
কম-বেশি যাই হোক, লীগের সময় সুন্দরবনে কয়লা, আদানি বিদ্যুৎ - এমন অনেক কিছু নিয়ে আন্দোলন হলেও এখন যেভাবে সবাই নামছে, চর্চা হচ্ছে তখন তা দেখা যায় নি।
বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশ তাদের বন্দর ব্যবস্থপনা এভাবে চুক্তিতে দিয়ে রেখেছে। এমনকি, ভারতেও দেখেছিঃ একই পোর্ট (ভিশাখাপাটনাম) কিন্তু পাশাপাশি জেটির ১টি সরকারি অন্যটি বেসরকারি। একটু চিন্তা করুন তো, কাজটা কোনটাতে কেমন?? শুধু ১টা বলি, সরকারিতে ইউনিয়ন আছে কিন্তু বেসরকারিতে কোন ইউনিয়ন লিডার ঢুকলেও কাজ না করে খবরদারি করার সুযোগ নেয়। একটাতে ৩ টা জাহাজ এর অপারেশন সম্পন্ন হতে যে সময় লাগে অন্যটাতে একই রকম হওয়া স্বত্বেও ১ টা জাহাজ শেষ হয় না কারণ প্রতিদিন হাজার ইউনিয়ন ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, টাগ - স্রোত এর হিসাব।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো কিংবা খারাপ যাই হোক পলিটিকাল দলগুলোকে এসব নিয়ে কথা বলতে হবে । তা না হলে জনগণ বুঝবে না । আমার ভাবনা হলো ইনটেরিম আমলে এসব সাইনিং না করা । ভালো থাকবেন ।
১২|
২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাক সার জমিন বাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: Click This Link
https://www.bonikbarta.com/bangladesh/xa3xxPD41h6e6z1I