নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভালোবাসার খোঁজে"

১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

বান্ধবী বলেছিল, "তুই এত শিক্ষিত একটা মেয়ে। ঘর সামলানো আর সন্তান লালন পালন করেই কাটিয়ে দিবি? নিজের চাহিদা, ভরন পোষনের জন্য আরেকজনের উপর নির্ভরশীল থাকবি? এটা কি মেনে নেওয়া যায়?
ধর তোর স্বামীর অন্য কাউকে ভাল লাগল
বা ধর তোর প্রতি তোর স্বামীর ভালোবাসা কমে গেল বা অন্য একটা বিয়ে করল। তখন তোর কি হবে?"
রাহিকা (ছদ্মনাম) চিন্তায় পড়ে গেল। আসলেইতো যদি স্বামী আমাকে আর গুরুত্ব না দেয়। যদি আগের মত আর ভালো না বাসে? আমিতো মাস্টার্স কমপ্লিট করা উচ্চ শিক্ষিত মডার্ন মেয়ে। আমি কেন আরেকজনের দয়ার উপর নির্ভরশীল হবো?

শুরু হোল রাহিকার নতুন পথ চলা। যেহেতু শিক্ষিতা এবং আধুনিক চিন্তাধারার মেয়ে একটা কর্পোরেট সেক্টরে কাজ পেতে খুব একটা অসুবিধা হোলনা। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডিউটি। মাঝে মাঝে রাতে আসতে দেরীও হতে পারে। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির উচ্চ পদস্থ অফিসারের পিএ বলে কথা। মাঝে মাঝে এখানে ওখানে দাওয়াত থাকে তাই সাথে যেতেই হয়। বেতনও ভালই। এখন আর স্বামীর উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছেনা। নিজের খরচ নিজেই চালাচ্ছি। অবশ্য ছোট ছেলেটার জন্য একটু খারাপ লাগে। মাকে খুব মিস করে সারাদিন। তবে সমস্যা নেই। দশ হাজার টাকার একটা আয়া রেখে দিয়েছি বাসায়, ওই সামলায় ছেলেকে।

ইদানিং লক্ষ্য করছি সাদিক (স্বামী) আর আমাকে আগের মত ভালবাসেনা। আমার জন্য আগে হাতে করে টুকটাক অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসত এখন আর আসেনা। অবশ্য আমাকে বাসায় এসে ক্লান্ত পায় বা পায়না তেমন একটা। সারাদিন অফিস করে জ্যাম ঠেলে বাসায় এসে শরীরটা আর চলেনা। আগে বেতন পেলে নতুন কড়কড়া নোটগুলো বেছে বেছে আমাকে দিত গিফট পেপারে মুড়িয়ে। বেতনের দিন আমার প্রিয় রজনীগন্ধার খোপা কিনে এনে আমাকে পরিয়ে দিত। আমি প্রতি মাসের এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন আমি এরকম কয়েক হাজার খোপা একসাথে কিনার সামর্থ্য রাখি কিন্তু কেমন যেন সব হারিয়ে ফেলেছি। যে ভালবাসা হারানোর ভয়ে আমি সংসার ছাড়লাম, সন্তান ছাড়লাম এখন সেই ভালবাসায়ই হারিয়ে ফেলেছি। আমি আগে ছিলাম আমার স্বামীর হৃদয়ের রানী। আমাকে বুকে আগলে রাখত সব সময়। এখন হয়তো আমার অনেক টাকা আছে, আমার আর তাকে দরকার নেই ভেবে সে ভালবাসার সুতাটা আঁকড়ে ধরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসল ভালোবাসা যে কোথায়, বা ভালোবাসা আদৌ কপালে জুটবে কিনা, তা মানুষ জানে না। তাই ভালোবাসার খোঁজে মানুষ নিরন্তর ছুটে চলে।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা আর আল্লাহর জন্যই ঘৃনা করা। খুবই সিম্পল একটা থিওরী। যদি মিলে যায় নিজের জীবনের সাথে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। না মিললেও আলহামদুলিল্লাহ, কারন এটা পরীক্ষা।

২| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সব কিছু অনিশ্চিত আসলে ,

তাই নিজেকে যেখানে হারানো যাবে না সেখানেই ঠাঁই নিতে হয় !!

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫২

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা আর আল্লাহর জন্যই ঘৃনা করা। খুবই সিম্পল একটা থিওরী। যদি মিলে যায় নিজের জীবনের সাথে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। না মিললেও আলহামদুলিল্লাহ, কারন এটা পরীক্ষা। নিজে কোথায় হারাবো আর কোথায় স্থির হবো এটাও আমার হাতে নেই। তাই বিধান মেনে পূর্ণ প্রচেষ্টা আর নির্ভরতা আল্লাহর উপর।

৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: ১০ হাজার টাকা কেনো কোটি টাকার আয়াও মায়ের অভাব পূরণ করে দিতে পারবেনা, হাজার খানেক নিজের জন্য নিজের কেনা ফুলের খোপা কেউ ভালোবেসে কিনে দেওয়া একটি খোপার ধারেকাছে যাবার ক্ষমতা রাখেনা। মানুষ গুলো স্বাধীন হতে গিয়ে কখন যে পরাধীন হয়ে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছেনা!
এতো ভালো একটা পোস্ট অথচ কোনো পাঠক নেই! দীর্ঘশ্বাস...

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক আপনাকে। একজনই কি যথেষ্ট নয় আপনার মত পাঠক। আলহামদুলিল্লাহ।

৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে সব কিছুই অনিশ্চিত।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সব কিছু অনিশ্চিত নয়। সব কিছু নির্ভর করে আপনার প্রস্তুতির উপর। এক্সামের জন্য কিভাবে প্রিপারেশন নিয়েছেন তার উপর। বিদ্যুতের পরিমান এবং বিভব পার্থক্যের মধ্যে সম্পর্ক লিখতে বললে আপনাকে ওহমের ল ফলো করতে হবে এখানে নিজে পন্ডিতি করে নিউটন'স ল জাহির করতে গেলেতো প্যাঁচ লাগবেই।

৫| ১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: তারপরেও মেয়েদের স্বনির্ভর হবার দরকার আছে।

১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: স্বনির্ভরতার উদ্দেশ্য যদি এই আশংকা থেকে হয় যে, স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেলে আমার কি হবে? তবে চিন্তা করবেননা সেই নারীর ডিভোর্সই হবে। যে নারী নিজেকে ডিভোর্সি হতে হবে ধরে নিয়েছে তার জন্য বিয়ে করার দরকারই বা কি?

৬| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েদের বিয়ের আগে স্বনির্ভর হওয়া দরকার। তারপর বিয়ে।

১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: স্বনির্ভর পাত্রীর ভাল জামাই জুটে, এই আশায়??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.