নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধরে রাখতে হবে মানুষের মন জয়ের আন্দোলনের গৌরব

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

কোন অন্যায় জুলুম ও অনিয়মকে রুখতে নিজেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করলে প্রথমে নিজের মধ্যে অনিয়মের যে ছিটেফোঁটা রয়েছে সে গুলোকে পরিষ্কার করা এবং নিজের মধ্যে যে পশুর বসবাস তাকে গভীর নিদ্রায় দমিয়ে রাখা।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের যে বিপ্লবের সাক্ষী হলাম তা আমাদের ভবিষ্যৎতের দেশ ও জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা ও শক্তি হিসেবে কাজ করবে।এই আন্দোলনের ভেতর দিয়ে যে ছবি ফুটে উঠেছিছে তাহলো আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব যাদের হাতে, যারা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অবদান রাখবে তাদের দেশপ্রেম,দেশাত্মবোধ এবং চোখে মুখে অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রোহের আগুন।যাদের বিরুদ্ধে কথা বললে গুম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এটাই যখন আমাদের আজকের বাস্তবতা, সেই সব রাষ্ট্রীয় দানবীয় চরিত্রের মানুষও এই দ্রোহের সামনে মাথা নত করে আইন মানতে বাধ্য হয়েছে।যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এক অচিন্তনীয় বিষয় ছিল।আমরা এতদিন যে ছাত্র সমাজ নিয়ে আশাহত ছিলাম,বলতাম ছাত্র সমাজের মধ্যে জাতীয়তাবোধ নেই, এরা বিভিন্ন ভোগবাদী রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে, এরা ইন্টারনেটে অপচয় সময় ব্যয় করে, যাবতীয় হতাশার কথার মধ্যদিয়ে যাদের সংজ্ঞায়িত করতাম তারা কিন্তু আমাদেরকে তাদের স্বরূপ চিনিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনের ভেতর দিয়ে। যারা দেশকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসেন তাদের কাছে এটি একটি জাতীয় অর্জন। দেশ যখন দুর্নীতি অনিয়ম দ্বারা সর্বগ্রাসী তখন এই ক্ষুদে কিশোর কিশোরীরা আশার আলো দেখিয়েছেন আমাদেরকে । এছাড়া দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে গণ-মানুষের সমর্থনে টিকে থাকা ও ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করতে হলে চলমান রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, যার বহিঃ প্রকাশ আন্দোলন পরবর্তী ক্ষমতাসীনদের হতাশার মধ্য দিয়ে দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে। কিন্তু দেশের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ যাদের সংসার চলে রাষ্ট্রীয় দুষ্কৃতিকারীদের লেজুড়বৃত্তি করে, যারা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য দেশ বিরোধী চক্রের গুণগান গায় তাদের কাছে এই আন্দোলন ছিল চরম এক হতাশার ব্যাপার। এই জন্য তারা হাতগুটিয়ে বসেও ছিলেন না। এই আন্দোলনকে ঘিরে যত প্রকার অপপ্রচার ও অপকৌশলের প্রয়োগ তারা করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে।আন্দোলন পরবর্তী সময়ে রাস্তা চলাচলে স্কুলের পোশাক পরা কিছু ছাত্র-ছাত্রীর অনিয়মের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে এই অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামের ভয়ে হয়ে ভীত হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের অনেকেরই নানা অভিযোগ দেখিয়ে গ্রেপ্তার ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

আমাদের গর্বিত ছাত্রছাত্রীদের এখন থেকে সজাগ থাকতে হবে, যে অর্জনের ভেতর দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছো সেই অর্জন নিয়ে যেন দেশের মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাবাদী লোক প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে। ওপর দিকে আমরা যারা এমন অধিকার প্রতিষ্ঠার গণ-জোয়ারে গা ভাসিয়েছি, সমর্থন দিয়ে রাস্তায় রোঁদে পোড়া আন্দোলনকারীদের প্রেরণার রসদ যুগিয়েছি তাদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে সব সময় নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। সাম্প্রতিক কিশোর কিশোরীদের আন্দোলন আমাদের সুন্দর-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

তবে আমাদের অভাব, অনটন, বেকারত্ব কি তাদের সৎ ও ভালো পথে থাকতে দেবে? আমাদের কি কোনো দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা নেই?

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

বিজন রয় বলেছেন: একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার 'কলম'।তার পর সেই ১৯৯৭ সালে 'স[/sb

তারপর?

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাগ ,অভিমান,ঝগড়া সব একদিন শেষ হয় কারণ তখন ভালবাসা ও টান ফুরায় যায় ৷ থাকে শুধুই দৈনন্দিন প্রয়োজন ,অভ্যাস ও ফাকা মন..কেন সব হারায় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.